বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদ ভোলাতেও চালিয়েছে হত্যাযজ্ঞ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ভোলা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনি অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মাজেদ ৭৫-এ শুধু বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করেই ক্ষ্যান্ত হয়নি। ওই সময় সে তার নিজ এলাকা ভোলাতেও চালিয়েছে হত্যাযজ্ঞ, গুমসহ নানা অপকর্ম। তার নির্যাতনের শিকার হয়েছিলো ভোলার বহু আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দুইদিন পর ১৭ আগস্ট ক্যাপ্টেন মাজেদ বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদ এর এপিএস শফিকুল ইসলাম মিন্টুকে মোহাম্মদপুরের সলিমুল্লাহ সড়কের বাসা থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করে। কেনো কি কারণে কিভাবে তাকে হত্যা করা হয় তা কিছুই জানতে পারেনি তোফায়েল আহমেদ ও তার এপিএস মিন্টুর পরিবারের সদস্যরা।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ জানান, মাজেদ শুধু বঙ্গবন্ধু কেই হত্যা করে নাই। সে মিন্টুকে হত্যা করেছে যার লাশ আজও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

শফিকুল ইসলাম মিন্টুর মেয়ে শামিমা ইসলামের দাবি ৭৫-এ ক্যাপ্টেন মাজেদের কারণে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সাথে তাদের পরিবারটিও নিঃস্ব হয়ে যায়। ক্যাপ্টেন মাজেদকে এতোদিন ধরা সম্ভব হয়নি বিধায় মিন্টু হত্যাসহ ভোলার অন্যান্য হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে মাজেদের কাছে থাকা অনেক তথ্য এখনও জানা সম্ভব হয়নি। তার ফাঁসি কার্যকর করার আগে তাকে রিমান্ডে নিয়ে এসব হত্যা ও নির্যাতনের প্রকৃত চিত্র জানতে চায় নিহতের মেয়ে শামিমা ইসলাম ও তার স্বজনরা।

এদিকে, মাজেদের অত্যাচার, অনাচার আর তাণ্ডবের সাক্ষী বোরহানউদ্দিনের সাধারণ মানুষ তার গ্রেফতারে আনন্দিত হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে উল্লাস করতে পারছে না। এখানকার সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল দ্রুত ক্যাপ্টেন মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করার জন্য সরকারের কাছে দাবি করছেন।

আগামীতে হজের খরচ আরও বাড়বে: ধর্ম মন্ত্রণালয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী বছরগুলোতে হজের খরচ আরও বাড়বে। এ জন্য চলতি বছরই হজ নিবন্ধনের অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

রোববার (২ এপ্রিল) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে- বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ও সৌদি আরবের হেরেম শরীফের নিকটবর্তী বিভিন্ন হোটেল ভেঙে ফেলায় এ বছর হোটেল ভাড়া নেওয়ার সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে এবং অধিক পরিমাণ অর্থে হোটেল ভাড়া করা হচ্ছে।

আরও বলা হয়, সার্বিক বিবেচনায় বিভিন্ন কারণে এ বছরের হজ প্যাকেজকে হ্রাসকৃত প্যাকেজ হিসেবে ধরা যায় এবং সেই বিবেচনায় একই ধারাবাহিকতায় বলা যায় যে, আগামী বছরগুলোয় হজ প্যাকেজের মূল্য আরও বৃদ্ধি পাবে। কারণ, ভেঙে ফেলা বাড়ি/হোটেলসমূহ আবার গড়ে তুলতে আরও ২ থেকে ৩ বছর লাগবে।

এ জন্য চলতি বছরের ঘোষিত হজ প্যাকেজই সর্বনিম্ন হিসেবে বিবেচনা করা যায়। একই বিষয় বিবেচনায় হজযাত্রীদের এ বছরই হজ প্যাকেজে নিবন্ধিত হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

;

বিএনপি 'জয় বাংলা' স্লোগান দেয় না: কৃষিমন্ত্রী



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বার্তায় 'জয় বাংলা' উল্লেখ করেছেন, মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনে লড়াইয়ের জন্য বাংলাদেশের মানুষের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। আর দেশে বিএনপি জামায়াতসহ স্বাধীনতাবিরোধীরা 'জয় বাংলা' স্লোগান মুখে আনে না ও দেশের স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করতে নানান ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, দেশটাকে স্বাধীন করেছি। জয় বাংলা স্লোগান হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বহিঃপ্রকাশ ও বাঙালি জাতির সাহস সক্ষমতার প্রতীক। অসাম্প্রদায়িক চেতনা, গণতান্ত্রিক চেতনা ও সম্পদের সুষম বণ্টনের চেতনার বহিঃপ্রকাশ হলো জয় বাংলা স্লোগান। এই স্লোগান বিএনপি দিবে না।

রবিবার (২ এপ্রিল) টাঙ্গাইলের মধুপুরে উপজেলা অডিটোরিয়ামে এবি ব্যাংক আয়োজিত স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে কৃষিঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিগত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। দেশ থেকে মঙ্গাকে দূর করেছে। মানুষ এখন পেট ভরে ভাত খেতে পায়। একইসঙ্গে, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, ফলমূলসহ পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের মাথাপিছু প্রাপ্যতা ও গ্রহণের হার অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এবারের স্বাধীনতা দিবসে মাছ, মাংস আর চালের স্বাধীনতা নিয়ে অপপ্রচারমূলক সংবাদ প্রচার করে স্বাধীনতার চেতনায় ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতাবিরোধী চেতনাকে উসকে দেয়া হয়েছে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুল সংবাদ পরিবেশন ও মিথ্যাচার করে দেশে অরাজকতা ও অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করেছে।

কৃষিঋণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সরকার কৃষিখাতে মাত্র চার শতাংশ সুদে ঋণ দিচ্ছে। কিন্তু ব্যাংকগুলো নানান কঠিন শর্ত দিয়ে রেখেছে। অনেক সময়ই এসব শর্ত কৃষকেরা বিশেষ করে ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও ভূমিহীন কৃষকেরা পূরণ করতে পারে না। এর ফলে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেজন্য, প্রকৃত কৃষককে সহজ শর্তে
ঋণ দিতে হবে।

কৃষিঋণের যথাযথ ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে কৃষকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ঋণ নিয়ে কৃষিকাজে উৎপাদনশীল খাতে কাজে লাগাতে হবে।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী কৃষকদের মাঝে কৃষিঋণ বিতরণ করেন ও স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে সহজ শর্তে কৃষকদের ঋণ দেয়ায় এবি ব্যাংককে ধন্যবাদ জানান । এবি ব্যাংক সহজ শর্তে মাত্র শতকরা চার ভাগ সুদে
মধুপুর ও ধনবাড়ী উপজেলার ১৫০০ কৃষকের মাঝে কৃষিঋণ বিতরণ করে। প্রতি কৃষককে এক লাখ টাকা ঋণ প্রদান করা হয়।

এবি ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আফজালের সভাপতিত্বে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, মধুপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছরোয়ার আলম খান আবু, ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনার রশীদ হীরা, মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা ইয়াসমিন, পৌরমেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, ধনবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর ফারুক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম তপন প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

;

৮ বিভাগে হচ্ছে নিউরো প্রতিবন্ধীদের জন্য স্থায়ী নিবাস: সমাজকল্যাণমন্ত্রী



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
৮ বিভাগে হচ্ছে নিউরো প্রতিবন্ধীদের জন্য স্থায়ী নিবাস: সমাজকল্যাণমন্ত্রী

৮ বিভাগে হচ্ছে নিউরো প্রতিবন্ধীদের জন্য স্থায়ী নিবাস: সমাজকল্যাণমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, নিউরো-ডেভেলেপমেন্টাল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য স্থায়ী আবাসন ও পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরে ৮টি আবাসন ও পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

রোববার (২ এপ্রিল) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১৬তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সমাজকলাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি।

মন্ত্রী বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা যে দেশের সম্পদ তা বর্তমান সরকারের নানা কর্মকাণ্ডের কারণে মানুষ বুঝতে সক্ষম হয়েছে। আগে প্রতিবন্ধিতা মানে অভিশাপ মনে করা হতো। বর্তমানে দেশে শনাক্তকৃত প্রতিবন্ধীর সংখা প্রায় ত্রিশ লাখ। শনাক্তকৃত প্রতিবন্ধী ব্যক্তির শতভাগ ভাতা ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি পাচ্ছেন। অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ও অন্যান্য নিউরো-ডেভেলেপমেন্টাল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য থেরাপি সেবা, বিশেষ শিক্ষা, মাতা-পিতা ও কেয়ারগিভারদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, আবাসন ও পুর্নবাসনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ৮টি বিভাগে ৮টি আবাসন ও পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপনের নির্দেশনা দেন। এনডিডি ব্যক্তিরা যেন উন্নত ও নিশ্চিত জীবনযাপন করতে পারে সে লক্ষ্যে কেন্দ্র সমূহ হবে আধুনিক প্রযুক্তিগত সকল সুযোগ সুবিধা সম্বলিত একটি ওয়ানস্টপ সেন্টার।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমাজের কোন অংশকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয়। অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে অটিজম নিয়ে কাজ করার জন্য প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে আহবান জানান।

অপর বিশেষ অতিথি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেন, এনডিডি নিয়ে ২০১৩ সালে আইন প্রণয়ণের পর থেকে এ ধরণের প্রতিবন্ধিতা বিষয়ে সচেতনতা বেড়েছে। সরকারের নানামুখি উদ্যোগের কারণে তারা সমাজের মূল স্রোতে এসেছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে পরিচালিত কর্মসূচি আরও বেগবান করতে হবে।

পরে মন্ত্রী অটিজম বিষয়ে বিশেষ অবদান রাখায় ১০ ব্যক্তি ও ৩ প্রতিষ্ঠানের হাতে সম্মাননা তুলে দেন। শেষে অটিজম বিশিষ্ট সম্পন্ন শিশুদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

;

মেহেরপুরে দুই সহোদর হত্যা মামলায় ৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
মেহেরপুরে দুই সহোদর হত্যা মামলায় ৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড

মেহেরপুরে দুই সহোদর হত্যা মামলায় ৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুরের কাজিপুর সীমান্তে রফিকুল ইসলাম ও আবু জেল নামের দুই সহোদর হত্যা মামলায় ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত।

রোববার (২ এপ্রিল) দুপুরে মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামের কিয়ামতের ছেলে হালিম (৩৫), আছের উদ্দীনের ছেলে আতিয়ার (৪০), নজির আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম (৪০), মৃত দবীর উদ্দীনের ছেলে শরিফ (৪০) ও ফরিদ (৪৫), আব্দুল জলিলের ছেলে জালাল উদ্দীন (৪৩), আফেল উদ্দীনের ছেলে আজিজুল (৩৬), মুনছারের ছেলে মনি (২৫), নজির উদ্দীনের ছেলে দবির উদ্দীন (৩২)। এর মধ্যে জালাল উদ্দীন পলাতক রয়েছেন। বাকিরা রায় প্রদানের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলায় ৫ আসামি আরিফ, রাজিব, আলমেস, হারুন ও ফারুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় আদালত তাদের বেকুসর খালাস প্রদান করেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ৫ জুন কাজীপুর গ্রামের একটি মাঠ থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় ফেন্সিডিল উদ্ধার করে বিজিবি। বিজিবিকে ফেন্সিডিল ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে রফিকুল ইসলাম ও আবু জেলের নামে। এ ঘটনায় ঐ দিন রাতে রফিকুল ইসলামকে ডেকে নিয়ে মারধর করে অভিযুক্তরা। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে রফিকুলকে উদ্ধার করে। ১৫ জুন রাত ১০ টার দিকে বিষয়টি মিমাংসার জন্য ঐ দুই ভাইকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। তারপর থেকেই ঐ দুইজনের আর কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলো না। এদিন ভোর রাতে কাজীপুর গ্রামের ভারতীয় সীমান্ত মেইন পিলার ১৪৫ এর সাব পিলারের ৬ এস এর পাশে ঐ দুই ভাইয়ের ক্ষত বিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। তাদেরকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে সীমান্তে মরদেহ ফেলে রাখা হয়েছিল। এ ঘটনায় দুই ভাইয়ের বোন জরিনা বেগম গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তভার পড়ে তৎকালীন গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানের হাতে। ২০১২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ১৪ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তিনি। এ মামলায় তিন জন আসামি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকাক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন।

১৭ জনের সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত এই মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবি ছিলেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. কাজী শহীদুল হক ও আসামি পক্ষের আইনজীবি ছিলেন অ্যাড. কামরুল ইসলাম, অ্যাড. এ.কে.এম শফিকুল আলম, অ্যাড. আতাউল গনি আন্টু।

এ মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি অ্যাড. কাজী শহীদুল হক। তিনি বলেন, এটি একটি দৃষ্টান্তমূলক রায়। এ রায় নজির হয়ে থাকবে। কারণ মামলায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারক্তি মূলক জবানবন্দীও রয়েছে।

অন্যদিকে আসামী পক্ষের আইনজীবি অ্যাড. এ.কে.এম শফিকুল আলম বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নয়। ন্যায় বিচারের জন্য উচ্চদালতে আদালতে আপিল করবো। এদিকে রায় ঘোষণার পর পরই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের স্বজনরা|

 

 

 

 

;