খাদ্যের অভাব নেই, পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত আছে

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ছবি: সংগৃহীত

আমাদের খাদ্যের অভাব নেই, পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, অনেক মানুষ আছে যারা হাত পাততে পারেন না। তাদের খাবার ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। আমাদের খাবারের অভাব নেই, পর্যাপ্ত আছে। খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১২ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের জেলা কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকারের করণীয় নিয়ে সমন্বয় করতে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস একটি অদৃশ্য শক্তির মতো আমাদের মাঝে বিরাজ করছে। সারা বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। উন্নত দেশ মোকাবিলা করতে হিমশিম খাচ্ছে। যারা মারা যাচ্ছে তাদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছি। আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

বিজ্ঞাপন

জনগণকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি অনুরোধ করছি আপনারা ঘরে থাকেন। সবাই পরিবার নিয়ে ঘরে থাকেন। বের হওয়ার দরকার নেই। একবারে প্রয়োজন ছাড়া। আমি আপনাদের কষ্ট হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২৩টি গাইডলাইন প্রস্তুত করেছে। এগুলো মেনে চলুন। বেশি করে গরম পানি খান।

শেখ হাসিনা বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলব। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে এ ব্যপারে আরো নির্দেশনা দিতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে। মাস্ক ব্যবহার করলে সতর্ক থাকতে পারবেন, নিজেকে সুরক্ষা করতে পারবেন।

নবর্বষের সকল অনুষ্ঠান বন্ধ জানিয়ে তিনি বলেন, নিজের পরিবার পরিজন নিয়ে ঘরে পালন করুন। জনসমাগম হবে এমন অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে। আমাদের করোনাভাইরাস যেন না ছড়াতে পারে এজন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।

পণ্য বাজারজাত করার ব্যবস্থা করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের পণ্য যেন পচে না যায় এ ব্যবস্থা নিতে হবে। দূরত্ব বজায় রেখে বাজার ব্যবস্থা চালু রাখতে পারেন। আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীকে বলব পণ্যবাজারজাতের ব্যবস্থা করে দিতে। তাহলে কিছু নিম্ন আয়ের মানুষের উপার্জন হবে। এর জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে।

এরআগে ৩১ মার্চ ৬৪ জেলার প্রতিনিধি ও গত মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।