না.গঞ্জে করোনায় আক্রান্ত ১০২৬, লকডাউনের মধ্যে ফুটপাতে হকার
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গত ২৬ মার্চ থেকে নারায়ণগঞ্জে লকডাউন চলছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই লকডাউন ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে চলমান সাধারণ ছুটি ৫ মে থেকে ১৪ মে পর্যন্ত বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তবে গার্মেন্টস কারখানা খুলে দেয়ায় নারায়ণগঞ্জে মানুষের চলাফেরা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে লকডাউন মানা হচ্ছে না। অথচ আইএসপিআর থেকে নির্দেশিত লকডাউন এখনো তুলে ফেলা হয়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক থেকে ২ নং রেলগেইট পর্যন্ত সব বেকারি, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান, খাবারের দোকান খোলা রয়েছে। দিগুবাবুর বাজারের প্রবেশ পথেও প্রচণ্ড ভিড় রয়েছে। এছাড়া শহরের ফুটপাতগুলোতে ধীরে ধীরে বসতে শুরু করেছে হকাররা।
মূলত শহরের শহীদ মিনার, হক প্লাজা, চাষাঢ়া ডাকঘর, প্রেসক্লাব, নূর মসজিদ, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, নারায়ণগঞ্জ ক্লাব ও ডাচ বাংলা ব্যাংকের উল্টো দিকে বসেছে হকাররা।
খাবারের পাশাপাশি, পোশাক, ইলেকট্রনিক্স, জুতা, পাঞ্জাবি, ফলসহ বিভিন্ন পসরা সাজিয়ে চলছে বেচাকেনা। আর মানুষও নিরাপত্তার তোয়াক্কা না করেই পণ্য কিনে নিচ্ছেন।
লুঙ্গি ব্যবসায়ী কালাম হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘অনেকদিন ধরে ঘরে বসে রয়েছি। হাতে কোনো টাকা নাই। তাই এখন লুঙ্গি বিক্রি কইরা যদি পেট চালাইতে পারি সেই আশায় ফুটপাতে বসেছি।’
পুলিশ তাদের কোনো বাঁধা দেয় কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পুলিশ আসে না। মাঝে মাঝে গাড়ি নিয়ে যেতে দেখি। পুলিশ আসলে আমাদের চলে যেতে হবে।’
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে জানান, লকডাউন এখনো শিথিল হয়নি। এরই মাঝে মানুষ অনেক বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছে। সুযোগ পেলেই তারা বসে যাচ্ছে হকারি পণ্য নিয়ে। পুলিশ দেখলে উঠে যায়, আবার পুলিশের গাড়ি চলে গেলে বসে পড়ে। তবে পুলিশি তৎপরতা আগের মতোই অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জে করোনায় মোট ১ হাজার ২৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তবুও লকডাউন না মেনে ঘর থেকে বের হচ্ছে সাধারণ মানুষ। ফুটপাতে বসছে হকার, চলছে কারখানা। এই মুহূর্তে লকডাউন না মানলে পুরো জেলায় করোনা আরও ছড়িয়ে পড়বে।
করোনায় মোট আক্রান্তদের মধ্যে জেলায় মারা গেছেন ৪৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ৪৭ জন।