আম কিনতে রাজশাহী গেলে আবাসন নিশ্চিত করবে জেলা প্রশাসন
করোনাভাইরাস সংক্রমণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দিশেহারা রাজশাহীর আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা এবার আম কিনতে আসবেন কিনা তা নিয়ে সংশয়ে তারা। দুর্যোগের দিনে ব্যবসায়ীরা রাজশাহী এসে থাকবেন কোথায়, সেটিই বড় প্রশ্ন হিসেবে দেখা দিয়েছিল।
তবে তার সমাধান করে দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। মন্ত্রী বলেছেন, ‘আম কিনতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যেসব ব্যবসায়ীরা রাজশাহী যাবেন, তাদের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে জেলা প্রশাসন। প্রয়োজনে খাওয়ার ব্যবস্থাও করতে হবে। তাদের থাকা-খাওয়াসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করলে সমস্যা কিছুটা হলেও লাঘব হবে।’
আম, লিচু ও অন্যান্য মৌসুমী ফল বিপণন এবং কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ বিষয়ে শনিবার (১৬ মে) সকালে এক ভিডিও কনফারেন্সে রাজশাহী জেলা প্রশাসনকে মো. হামিদুল হককে এ নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
ভিডিও কনফারেন্সে অন্যদের মধ্যে যুক্ত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম মতিয়া চৌধুরী, নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রমূখ।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলম কৃষিমন্ত্রীর কাছে দাবি করেন, আমের মৌসুম শুরু হলে রাজশাহী থেকে যেন আম নির্বিঘ্নে পরিবহন করা যায়, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করার। কৃষিমন্ত্রী তাকে আশ্বস্ত করেন যে, ‘বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত করা হবে।’
ভিডিও কনফারেন্স শেষে রাজশাহী জলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামসুল হক বলেন, রাজশাহীর প্রধান সমস্যা ছিল ব্যবসায়ীরা আম কিনতে এসে কোথায় থাকবেন। সেটির সমাধান হয়েছে। আবাসিক হোটেলগুলো এখন বন্ধ থাকলেও আমের কেনাবেচা শুরু হলে প্রশাসন কয়েকটি নির্ধারিত হোটেল খোলার ব্যবস্থা করবে। আমরাও প্রশাসনকে এ কাজে সহযোগিতা করব।
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক হামিদুল হক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘কৃষিমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে আমাদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। তার মধ্যে অন্যতম ব্যবসায়ীদের আবাসনের ব্যবস্থা করা। সেটা নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি। দ্রুত এ বিষয়ে সব প্রস্তুতি নিয়ে জানানো হবে।’
তিনি বলেন, ‘আম ব্যবসায়ীরা রাজশাহীতে এলে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। রাজশাহী থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আমের সরবরাহ নিশ্চিতে সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা তৎপর থাকব।’