তবুও যাত্রী নিয়ে ঘাটমুখী বেকার মোটরসাইকেল চালকেরা
করোনা সংক্রমণ এড়াতে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১ টি জেলার সাথে রাজধানীতে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটেও বন্ধ ফেরি চলাচল। ঢাকা আরিচা মহাসড়ক জুড়ে রয়েছে পুলিশের চেক পোষ্ট। তবুও যাত্রী নিয়ে ঘাটমুখী মোটরসাইকেল চালকদের যাত্রা অব্যাহত।
বৃহস্পতিবার (২১ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা আরিচা মহাসড়কে সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা যায়। মহাসড়কের গোলড়া পুলিশ চেক পোষ্টে ঘাটমুখী যাত্রী নিয়ে আটকে আছে বেশ কিছু মোটরসাইকেল চালকেরা। জরুরী প্রয়োজনে বাড়ি যাওয়ার জন্য যাত্রা, এমনটা দাবি যাত্রীদের। আর বেকার অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে শখের মোটরসাইকেলে যাত্রী আনা-নেওয়া বলে মন্তব্য মোটরসাইকেল চালকদের।
আতিকুর রহমান নামের এক মোটরসাইকেল চালক বার্তা২৪.কমকে জানালেন, আশুলিয়া এলাকার একটি পোশাক বিক্রির দোকানে চাকুরী করতেন তিনি। প্রায় দুই মাস ধরে বন্ধ রয়েছে দোকান। তবে থেমে নেই পরিবারের খরচ। যে কারণে শখের মোটরসাইকেলে নবীনগর থেকে বিভিন্ন এলাকায় যাত্রী নেওয়া আনা করছেন তিনি।
ধামরাইয়ের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক আকবর আলী জানান, বেতন-ভাতার দাবির আন্দোলনে চলতি সপ্তাহেই বন্ধ হয়ে গেছে তার কারখানা। কবে নাগাদ খুলবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। ভাড়া বাড়িতে একা সময় কাটানোর চেয়ে কষ্ট করে বাড়ি যেতে পারলে বেশ ভাল হবে বলে বাড়ির উদ্দেশ্য নিয়ে মোটরসাইকেল ভাড়া করে রওয়ানা হয়েছেন তিনি। তবে পাটুরিয়া ঘাটে ফেরি চলাচল বন্ধের বিষয়টি নিয়ে তিনি অবগত নয় বলে জানান তিনি।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান জানান, ঘাটমুখী যাত্রীদের যাত্রা রুখতে মহাসড়কের গোলড়া এলাকায় প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলসহ সকল প্রকার যাত্রীবাহী যানবাহন আটকে দেওয়া হচ্ছে। দিনের বেলায় বেশ কিছু মোটরসাইকেল চালকদের জরিমানাও করেন ম্যাজিষ্ট্রেট। তবুও যাত্রী নিয়ে এখনো ঘাটমুখী মোটরসাইকেল চালকেরা।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। সকল প্রকার যানবাহন ও যাত্রী পারাপারও বন্ধ রয়েছে। তবুও ঘাট পারের অপেক্ষায় পাটুরিয়াতে কয়েক’শ যাত্রীরা অপেক্ষামাণ রয়েছে বলে জানান তিনি।
এসব বিষয়ে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম বার্তা২৪.কমকে বলেন, পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় আগত যাত্রীদেরকে বাস ভাড়া করে দিনভর ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ঈদে ঘরমুখী যাত্রীর যাত্রা রুখতে মহাসড়ক ও ঘাট এলাকায় জেলা পুলিশের শতাধিক পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে। তবুও ঘাট এলাকায় ভিড় করছে কিছু যাত্রী। তাদেরকে বুঝিয়ে ফের তাদের নিজ অবস্থানে ফেরত দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।