হাতুড়ির টুং টাং শব্দে ব্যস্ত কামারপাড়া

  • কান্ট্রি ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ শহরের নতুন হাটখোলা বাজার। ছবি: বার্তা২৪.কম

ঝিনাইদহ শহরের নতুন হাটখোলা বাজার। ছবি: বার্তা২৪.কম

ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ব্যস্ততা বেড়েছে কামারপাড়ার দোকানগুলোতে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে কাজ, দমফেলার ফুরসত নেই তাদের। কাজ বেশি থাকায় লাভও বেশি হচ্ছে তাদের।

বর্তমানে ঝিনাইদহ শহরের নতুন হাটখোলা বাজারে কামারের দোকানে দা, বঁটি, ডাসাসহ মাংস কাটার অন্যান্য জিনিস পোড়ানো (ধার দেয়া) ও তৈরির কাজ চলছে। হাতুড়ির টুং টাং শব্দে এখন মুখরিত পাড়াটি। প্রতিদিন সকাল থেকে একটানা গভীর রাত পর্যন্ত চলছে দা-বঁটি পোড়ানোর কাজ।

বিজ্ঞাপন

হাটখোলা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কোরবানিদাতারা কোরবানির পশু কাটার জন্যে তাদের পরিবারের ব্যবহৃত ও অব্যবহৃত সব দা, ছুরি, ধামা আর বঁটি ধার দেয়ার জন্যে কামারদের কাছে নিয়ে আসছে। ফলে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কামারদের বিরামহীন ব্যস্ততা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/18/1534579459174.jpg

কেউ আসছে নিজের পুরাতন এসব জিনিস ধার করাতে, কেউবা আসছে নতুন করে তৈরি করতে। ঈদের মাত্র কয়েকদিন বাকি, তাই কামারদের ব্যস্ততা এখন বেড়েছে কয়েকগুণ। প্রতিটি ছুরি ধার করাতে প্রকার ভেদে ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকা, বটি ৫০ টাকা থেকে ৮০ টাকা, দা ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা, ডাসা ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা নেয়া হচ্ছে। প্রতিদিন একজন কামারের লাভ থাকছে গড়ে ২ হাজার টাকা।

কয়েকজন কামারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্প্রিং ও কাঁচা লোহা ব্যবহার করে সাধারণত এসব উপকরণ তৈরি করা হয়। স্প্রিং লোহা দিয়ে তৈরি উপকরণের মান ভালো, দামও বেশি। আর কাঁচা লোহার তৈরির উপকরণগুলোর দাম তুলনামূলক ভাবে কম।

তারা আরও জানান, বছরের ১১ মাসে তাদের ব্যবসা হয় এক রকম, আর কোরবানির ঈদের আগের এক মাসে ব্যবসা হয় আরেক রকম। ঈদুল আজহা এলেই উপজেলার কামারের দোকানিদের বেচাবিক্রি ও ব্যস্ততা বেড়ে যায়।

পুরাতন হাটখোলা এলাকার রানা কর্মকার জানান, বছরের বাকি সময়টার বেশির ভাগই হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে হয়। কোরবানি এলেই বেচাবিক্রি ও লোকজনের মরিচা পড়া দা, বঁটি, ছুরি ইত্যাদি সরঞ্জাম ধারালো করার ব্যস্ততা বেড়ে যায়।