বজ্রপাতে একদিনে ১৮ জনের মৃত্যু



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বজ্রপাতে একদিনে নয় জেলায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বগুড়ার চারজন, হবিগঞ্জের তিনজন, ময়মনসিংহে তিনজন, পাবনায় দু’জন, কুষ্টিয়ায় দু’জন এবং নোয়াখালী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, টাঙ্গাইল ও জয়পুরহাটে একজন করে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুন) দুপুর থেকে বিকেলে পর্যন্ত পৃথক দুর্ঘটনা ঘটে।

বগুড়া

বগুড়ার ধুনট, কাহালু ও সারিয়াকান্দি উপজেলায় বজ্রপাতে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দু’জন। দুপুর থেকে বিকেলে পৃথক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

মৃতরা হলেন- ধুনট উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের দেওড়িয়া গ্রামের দেরাস আলীর ছেলে আব্দুস সালাম (৫৫) এবং সারিয়াকান্দি উপজেলার কাজলা ইউনিয়নের চরকুড়িপাড়া গ্রামের বুলু মণ্ডলের ছেলে লেবু মণ্ডল (৩৫), কাহালু উপজেলার এরুইল গ্রামের মৃত কছির উদ্দিনের ছেলে মোকলেছার রহমান। আরেক জনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

ধুনট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান ও কাহালুর মালঞ্চা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম পৃথক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জে বাহুবল ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে তিন কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুইজন।

নিহতরা হলেন- বাহুবল উপজেলার পুটিজুরী ইউনিয়নের নোয়াঐ গ্রামের দরদ মিয়ার ছেলে ওরখাইদ (১১) ও সাতকাপন ইউনিয়নের মানিকা গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে নছর উদ্দিন (১৭) এবং আজমিরীগঞ্জ উপজেলার নয়ানগর গ্রামের সমর আলীর ছেলে লিলু মিয়া (১৬)।

বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ও আজমিরীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম বজ্রপাতে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ময়মনসিংহ

বৃহস্পতিবার বিকেলে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার আছিম পাটুলী ও কালাদহ ইউনিয়নে বজ্রপাতে শিশু-কিশোরসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- আব্দুল মোতালেব (৫০), রবিন (১৩) ও ইমরান (১৭)।

ফুলবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পাবনা

পাবনায় বজ্রপাতে কলেজছাত্রসহ দু’জন নিহত হয়েছেন। তারা হলেন, সদর উপজেলার আতাইকুলা থানার তেলিগ্রামের নূরুজ্জামান মোল্লা (১৯) ও সুজানগর উপজেলার শান্তিপুর গ্রামের আ. জলিল (৫০)।

কলেজছাত্র নূরুজ্জামান ওই গ্রামের আলতাফ মোল্লার ছেলে। আর আ. জলিল ওই গ্রামের রোস্তম আলীর ছেলে ও পেশায় কৃষক ছিলেন।

তাদের মৃত্যুর বিষয়টি আতাইকুলা প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি কামরুল ইসলাম এবং সুজানগরের শান্তিপুর গ্রামের স্কুল শিক্ষক নজরুল ইসলাম নিশ্চিত করেন।

কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে দু’জন নিহত হয়েছেন। বিকেলে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের ঘোষপুর ও নন্দলালপুর ইউনিয়নের সদরপুর গ্রামে ঘটেছে।

নিহতরা হলেন- সাদিপুর ইউনিয়নের ঘোষপুর গ্রামের হামিদুল মন্ডলের ছেলে ফারুক মন্ডল (৩০) ও নন্দলালপুর ইউনিয়নের সদরপুর গ্রামের ময়েজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে শফি মন্ডল (৪৫)।

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান জানান, দুপুরে গরু চরাতে পদ্মার চরে যায় ফারুক। তার একটু পরে আকাশে ঘনকাল মেঘ লাগে এবং বিদ্যুৎ চমকাতে থাকে। এরমধ্যে বিকালে গরু চরানো অবস্থায় বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।

তিনি আরও জানান, অন্যদিকে নন্দলালপুর ইউনিয়নের সদরপুর গ্রামের মাঠ থেকে ধান আনতে গিয়ে বজ্রপাতে কৃষক শফি মন্ডলের মৃত্যু হয়।

নোয়াখালী

দুপুরে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বজ্রপাতে রফিক উল্যাহ (৩৮) নামের এক মাটি কাটা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত রফিক সুবর্ণচর উপজেলার ৪নং ওয়ার্ডের মধ্য চরবাটা গ্রামের গুল্লালাগো বাড়ির মৃত শফি আলমের ছেলে।

হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল খায়ের বজ্রপাতে শ্রমিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ

বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় নিজ বাড়িতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে পাপিয়া বেগম (৩৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত পাপিয়া উপজেলার পাকা ইউনিয়নের চর পাকা গ্রামের হেরাস উদ্দীনের স্ত্রী।

জনপ্রতিনিধির বরাত দিয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

টাঙ্গাইল

জেলার সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়নের ধরেরবাড়ী পশ্চিমপাড়া এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকেলে বজ্রপাতে মো. অনিক (১৫) নামে নবম শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।

বাঘিল ইউনিয়ন পরিষদের ধরেরবাড়ী এলাকার ইউপি সদস্য মো. আব্দুল হক সত্যতা নিশ্চিত করেন

জয়পুরহাট

বিকেলে জেলার সদর উপজেলার পারুলিয়া গণকবাড়ী গ্রামে বজ্রপাতে সুকমল চন্দ্র (৫০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, কৃষক সুকমল বাড়ির পাশে টিউবওয়েলে গোসল করার সময় বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ক ডিবিতে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামসহ তিনজনকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অপর দুই সমন্বয়ক হলেন- আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ডিবি বলছে, নিরাপত্তা এবং জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

তারা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

;

কারফিউ তুলে নেয়ার ব্যাপারে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত কারফিউ নিয়ে সবাইকে একটু অপেক্ষা করতে হবে। কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা, তা আমরা দেখছি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা আমরা দেখছি। পুলিশ বিজিবি, সেনাবাহিনী কাজ করছে। জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে। জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এ বিষয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানান তিনি।

এ সময় আন্দোলনের নামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশের এই ক্ষতির দায় কে নেবে? বিএনপি বলছে সহিংসতার মধ্যে তারা নেই। তাহলে কে করেছে? এটা জনগণের প্রশ্ন।

কোটা আন্দোলনকারীদের আটকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকারী নেতারা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। এসময় সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়।

পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ের জন্য কারফিউ শিথিল করা হলেও এখনো পুরোপুরি এখন তুলে নেয়া হয়নি।

;

যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের আট বিভাগেই মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এতে বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্ট লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

এ অবস্থায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

একইসঙ্গে খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।

এ সময় টাঙ্গাইল, সিলেট ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে। 

বর্ধিত ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

;

বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর নতুন বার্তা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার কারণে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার আগে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার কর্মপন্থা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এক বার্তায় জানান, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপত্তা ও সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করে পাঠদান শুরু করার জন্যে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রতি অনুরোধ জানাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা শুরু হওয়ায় গত ১৬ জুলাই রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে দেশের সব মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মাদ্রাসা ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

একই দিন রাতে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

;