যোগ দিবসে অনলাইনে প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে ভারত



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক যোগ দিবস-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে ভারত সরকার অনলাইন ভিডিও ব্লগিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। তারই অংশ হিসেবে বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশন, দেশটির আয়ুষ মন্ত্রণালয় এবং ভারতীয় সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বিভাগ ‘আমার জীবন, আমার যোগ– বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনলাইন ভিডিও ব্লগিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।

২০১৪ সালে জাতিসংঘের স্বীকৃতি পাওয়ার পর থেকে ২১ জুন আন্তর্জাতিক যোগ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। এ বছর কোভিড ১৯-এর বিস্তার নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন বিধিনিষেধের কারণে ভারত সরকার অনলাইনে আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর অংশ হিসাবে ভারত সরকারের আয়ুষ মন্ত্রণালয় বিশ্বব্যাপী ‘আমার জীবন, আমার যোগ’ নামক অনলাইন ভিডিও ব্লগিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে, যেখানে যোগাভ্যাসকারীরা ফেসবুক, টুইটার এবং ইনস্টাগ্রামে তাদের অভিজ্ঞতা ও যোগ দক্ষতা ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ পাবে।

প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সময়সীমা ১৫ জুন ভারতীয় সময় রাত ১১টা ৫০ মিনিট এবং বাংলাদেশ সময় ১৬ জুন রাত ১২টা ২০ মিনিট। প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ সংস্করণের বিজয়ীরা আকর্ষণীয় পুরস্কার পাবেন এবং ‘আমার জীবন, আমার যোগ’ প্রতিযোগিতার বৈশ্বিক সংস্করণেও অংশ নিতে পারবেন।

শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম এবং যোগিক অনুশীলনগুলো শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সুপরিচিত। নিয়মিত যোগাভ্যাস কেবল মানসিক চাপ কমাতে নয়, স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও কার্যকর। বাংলাদেশের সকল অপেশাদার এবং পেশাদার যোগাভ্যাসকারীরা এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তাদের জীবনের যোগের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ পাবেন।

অনলাইন ভিডিও ব্লগিং এ অংশগ্রহণের নির্দেশিকা: সকল প্রতিযোগীকে অবশ্যই ডিজিটাল ভিডিওর মাধ্যমে অংশ নিতে হবে। প্রতিটি ভিডিওতে অবশ্যই ‘আমার জীবন, আমার যোগ’ বা ‘জীবন যোগ’ (My Life My Yoga or Jeevan Yoga) এই প্রতিপাদ্যের উপর জোর দিতে হবে। পুরস্কার জেতার জন্য ভিডিও অবশ্যই প্রতিযোগীর নিজস্ব ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা টুইটার হ্যান্ডেলে আপলোড করতে হবে এবং আয়ুষ মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক / টুইটার / ইনস্টাগ্রাম পাতায় যুক্ত করতে হবে।

ফেসবুকে অংশগ্রহণে নিচের পাতাটি অনুসরণ করুন: ফেসবুকে আয়ুষ মন্ত্রণালয়ের পাতাটি লাইক এবং অনুসরণ করুন (https://www.facebook.com/moayush/)

ইনস্টাগ্রামে অংশগ্রহণে নিচের পাতাটি অনুসরণ করুন (https://www.instagram.com/ministryofayush/)। আইজিটিভি ভিডিও পাতা হিসেবে ভিডিওটি আপলোড করুন এবং আপনার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলটি পাবলিক করুন।

   

পর্যটন উন্নয়নে সহযোগিতায় আগ্রহী সংযুক্ত আরব আমিরাত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা ও সহায়তা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে দেশটির রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলী আল হামুদি এ কথা জানান।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পে উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনাকে বাস্তবায়ন করতে এভিয়েশন খাতের বিদ্যমান অংশীদারিত্ব আরও বৃদ্ধির পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা ও সহায়তা করতে চাই। এভিয়েশন ও পর্যটন শিল্প দুদেশের জনগণের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করবে।

জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন উন্নয়নে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে দেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যা ২ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে আমরা নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। বাংলাদেশের পর্যটন অবকাঠামো উন্নয়ন, হোটেল ও রিসোর্ট নির্মাণে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে। যদি আমিরাত এই খাতে বিনিয়োগ করে তবে আমরা তাদের সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবো।

তিনি বনলেন, এভিয়েশন খাতের বিদ্যমান সম্পর্কের পাশাপাশি পর্যটন শিল্পে নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্র, দুদেশের সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

;

জিম্মি নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সোমালিয়ার উপকূলে জিম্মি ২৩ নাবিককে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে নিরাপদে নাবিকদের ফিরিয়ে আনার সব প্রচেষ্টা চলছে। তবে সবকিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে গণমাধ্যমকেও সতর্কভাবে সংবাদ প্রচারেরও আহ্বান জানান তিনি।

যুদ্ধের মধ্যে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি সদস্যদের আগের প্রক্রিয়ায় ফেরত পাঠাতে ‘কাজ চলছে’ বলেও জানান হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ২০০ সীমান্তরক্ষী বাংলাদেশে অবস্থান করছে। তাদেরকে ফেরানোর জন্য মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে।

রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থ বরাদ্দ প্রতিবছর কমছে উল্লেখ করে অর্থবরাদ্দ পর্যাপ্ত পাওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ 'এমভি আবদুল্লাহ' জিম্মি হওয়ার সাতদিন পেরিয়ে গেছে। সোমালিয়ার উপকূলের একেবারে কাছে নোঙর করা এই জাহাজ নিয়ে এখনো আসেনি কোনো সুখবর। কেননা এখন পর্যন্ত দস্যুদের পক্ষ থেকে মুক্তিপণ কিংবা দাবির বিষয়ে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। ফলে জিম্মি নাবিকদের মুক্তি ঠিক কতদিনে সম্ভব সেটি নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে যাচ্ছে। যদিওবা ২৩ নাবিকসহ জিম্মি বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজটিকে উদ্ধারে সোমালি পুলিশ ও আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে খবর বেরিয়েছে।

;

স্বাস্থ্যসেবাকে এমন পর্যায়ে নিবো সারাবিশ্ব হাততালি দিবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন স্বাস্থ্য সেবা সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশে বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবাকে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যাতে চাই যাতে সারাবিশ্বের মানুষ হাততালি দেয়। তারা যাতে বলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা অনেকদূর এগিয়েছে। আমাদের একটাই চাওয়া, স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। আর এটার সবচেয়ে বড় কারিগর আপনারা।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে এ হলেই আমাদের স্বাস্থ্য খাতের সব কনফারেন্স হবে। কোনো ফাইভ স্টার হোটেলে আমরা যাব না। এ প্রতিষ্ঠানকে আমরা জনগণের কাছে নিয়ে যাব। এখানেই আমাদের আগামী পাঁচ বছরের যত অনুষ্ঠান আছে, সব করব।

স্বাস্থ্য খাতে এখন থেকে ‘কথা কম, কাজ বেশি’ হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কথা কম বলতে চাই ও কাজ বেশি করতে চাই। তাহলে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো এবং তার ইচ্ছা পূরণ হবে।

অনুষ্ঠানের উদাহরণ দেখিয়ে মন্ত্রী বলেন, আজ সকাল ১০টায় প্রোগ্রাম শুরু করে ১১টার মধ্যেই শেষ করতে চেয়েছি। আমি চাই এখানে যারা বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসাসেবায় জড়িত মানুষরা আছেন, তারা এখান থেকে গিয়ে দ্রুত কাজে যোগ দেবেন। তাই সময়ের মধ্যেই শেষ করব।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা না থাকলে আজ আমি থাকতাম না। আজ মন্ত্রী হতে পেরেছি, আপনারা যারা আমার সামনে এসেছেন তারা আসতে পারতেন না। স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, মার্চ মাসে আমরা থাকতাম ইস্কাটনে। তখন হাতিরপুলে গেলে বঙ্গবন্ধু লুঙ্গি পরে নিচে আসতেন, আমাদের সঙ্গে কথা বলতেন। আমরা যারা কাছ থেকে দেখেছি, তারা জানি তার দেশের প্রতি কতটুকু ভালোবাসা ছিল। তিনি সবচেয়ে বেশি যেটি চিন্তা করতেন সেটি হলো, সাধারণ মানুষের কাছে চিকিৎসা পৌঁছে দেওয়া। তিনি সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে কয়েকবারই গিয়েছিলেন। তখন ডাক্তার-নার্সদের উদ্দেশে বলতেন, তোমরা হচ্ছো ডাক্তার, নার্স। তোমরা যদি সময়মতো আসো, সময়মতো সেবা দান কর তাহলে আমি সন্তুষ্ট। তাহলে আমি বুঝব আমার সারাজীবনের কষ্ট আর দেশ স্বাধীন করা সার্থক।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্যসচিব মো. আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশিদ আলম প্রমুখ।

 

;

বিয়ে, ডিভোর্সের নামে মোটা অঙ্কের অর্থ নিতে সাধনার প্রতারণা



ziaulziaa
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রেম করে বিয়ের পর স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতারণা করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি, যিনি একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা।

কুলসুম আসাদী মহল সাধনা নামে ওই নারীর চতুর্থ স্বামী দাবিদার ওই ব্যক্তির অভিযোগ, সাধনা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফিনল্যান্ডের নাগরিক। গত বছর প্রেমের সম্পর্কের পর তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের মাসখানেক পরই স্বামীর কাছে সাধনা মোটা অঙ্কের অর্থ দাবি করতে থাকেন।

পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী স্বামীর দাবি, সাধনা বিয়ের পর তার ব্যক্তিগত ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩০ লাখ টাকা দিতে চাপ দেন। সংসার টেকাতে বিয়ের দুই মাস পর যৌথ অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা দেন। এরপর দুই দফায় দেন আরও ১০ লাখ। এখন আবার তাকে মামলার জালেও ফাঁসানো হয়েছে।

থানায় করা এ সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরি ও বিয়ের কাগজপত্র বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সাধনা এর আগেও তিনটি বিয়ে করেছেন। প্রত্যেক স্বামীর কাছ থেকেই মামলা ও প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন টাকা।

জানা গেছে, মাধ্যমিক পাসের পর সাধনার প্রথম বিয়ে হয় সদ্য অবসরে যাওয়া সাবেক এক আমলার সঙ্গে। বিয়ের মাসখানেক পর ভেঙে যায় সেই সংসার। ১৯৯৬ সালে এক সহপাঠীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। ২০০৬ সালে ভেঙে যাওয়া সেই সংসারে সাধনার দুই সন্তান রয়েছে।

এর পর সাধনা ২০১০ সালে সাবেক এক সেনা কর্মকর্তাকে তৃতীয় বিয়ে করেন। আড়াই বছর টেকা ওই সংসার ভাঙে স্বামীর কাছে টাকা দাবি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলার মধ্য দিয়ে। ওই স্বামীকে কারাগারে পাঠানোর পর মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে মামলা প্রত্যাহার করে।

ভুক্তভোগী সর্বশেষ স্বামীর ভাষ্য, প্রেমের সম্পর্কের পর ১৮৭২ সালের বিশেষ বিবাহ আইনে তিনি সাধনাকে বিয়ে করেন। ৭ মাস টিকে থাকা সেই সংসারে তারা একসঙ্গে ছিলেন গত ১৩ মে পর্যন্ত। এর মধ্যে তিন মাসেরও বেশি সময় সাধনা বিদেশে ছিলেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদের আবেদন করেছেন ওই ব্যক্তি।

ভুক্তভোগী স্বামীর দাবি, বিভিন্ন পুরুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব, গভীর রাত পর্যন্ত আড্ডা, বিভিন্ন ক্লাবে মদ্যপান করাসহ হঠাৎ প্রায়ই নিরুদ্দেশ হয়ে যেতেন সাধনা। এসবের প্রতিবাদ করলেই হুমকি-ধমকি দেওয়া হতো। স্ত্রী সাধনা এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে চারটি মামলা করেছেন।

সাধনার চতুর্থ স্বামীর অভিযোগ, নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল আদালতে নির্যাতনের অভিযোগ, যৌতুক আইনে, বিয়ে গোপন করে বিয়ে এবং খোরপোশ দাবিতে তার বিরুদ্ধে এসব মামলা করা হয়েছে। তবে বিশেষ বিবাহ আইনে বিয়ে হওয়ায় খোরপোশের কোনো বিধান নেই।

গত ২৬ জুন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলায় ভুয়া ও জাল মেডিকেল সার্টিফিকেট ব্যবহার করেন সাধনা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার জালিয়াতির বিষয় আদালতেও জানিয়েছে।

বর্তমানে ৫১ বছর বয়সী কুলসুম আসাদী মহল সাধনার এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছেন। তার দাবি, তিনিই প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

সাধনা রবিবার (১৭ মার্চ) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমি যদি অর্থলোভী হই, দুশ্চরিত্রা হই, মানব পাচারকারী হই, দেহ ব্যবসায়ী হই, তাহলে তিনি (চতুর্থ স্বামী) আমাকে ডিভোর্স দেন না কেন? কারণ, ডিভোর্স দিলে তিনি ধরা পড়ে যাবেন, জবাবদিহি করতে হবে। আমার চরিত্র এত ঠুনকো না।’ প্রথম স্ত্রীর মামলা থেকে বাঁচতে তার স্বামী তাকে জড়িয়ে এসব মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে বলেও দাবি সাধনার।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি একটি বিয়ের কথা উল্লেখ্য করেন এবং তার আগের স্বামীর রেখে যাওয়া সন্তানরা দ্বিতীয় স্বামীর বলে উল্লেখ্য করেন। এ সময় সাংবাদিকরা তার আগের ৩ টা বিয়ের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংবাদ সম্মেলনে আমি যা বলবো সেটাই ঠিক।

আদালতে আপনাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মামলা চলছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আদালত পুলিশ, সাংবাদিক, ও অ্যাডভোকেটরা আমাকে ঠকিয়েছে।

এদিকে ভুক্তভোগী একটি অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির গুলশান থানার এসআই (নিরস্ত্র) মো. শাহীন মোল্লা। তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে।’

অন্য একটি অভিযোগের বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকতা এসআই (নিরস্ত্র) ফাইজুল হক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘সাধনা পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। মামলার বিবাদী সাধনা মহল বিদেশের নাগরিক। তার নাম-ঠিকানা-পরিচয় সব কিছু যাচাই করছি। যাচাই-বাছাই শেষে আমরা আইনগত প্রক্রিয়া শেষ করবো।’

;