ময়মনসিংহ নগরে ভিড় বাড়ছে, মাস্ক মুখে নয় থাকে পকেটে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
সঙ্গে মাস্ক থাকলেও সেটি মুখে নয় পকেটে কিংবা হাতে নিয়ে কাজ করছে অনেকেই।

সঙ্গে মাস্ক থাকলেও সেটি মুখে নয় পকেটে কিংবা হাতে নিয়ে কাজ করছে অনেকেই।

  • Font increase
  • Font Decrease

লকডাউন শিথিল করার পর থেকে ময়মনসিংহে জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। লকডাউনে যারা গ্রামে ছিলেন তারাও শহরে ফিরছেন বেশ কয়েকদিন যাবৎ। তবে যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলা হয়েছিল সে তুলনায় জনসচেতনতা অনেক কম দেখা গেছে।

ময়মনসিংহ জেলা রেড জোনের আওতায় পড়ার পরও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা কিংবা করোনা প্রতিরোধে নিজেকে সাবধান রাখার ক্ষেত্রে উদাসীন ভূমিকায় দেখা গেছে অধিকাংশ নগরবাসীকে।

সোমবার (৮ জুন) দুপুরে সরেজমিনে নগরের গাঙ্গিনারপাড়, দূর্গাবাড়ি, ছোটবাজার, চরপাড়া, নতুন বাজার, স্বদেশি বাজার এলাকায় ঘুরে প্রচুর মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে।

এমনকি গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে ব্যাপক যানজটেরও সৃষ্টি হয়েছে। অনেকের সঙ্গে মাস্ক থাকলেও সেটি মুখে নয় পকেটে কিংবা হাতে নিয়ে কাজ করতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারা তেমন কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। কয়েকজন বলেছেন, গরমের কারণে তারা মাস্ক খুলে রেখেছেন। কয়েকজন আবার আনতে ভুলে গেছেন বলেও জানিয়েছেন।

সামাজিক দূরত্বও মেনে চলছে না কেউ। মার্কেট, কাঁচাবাজার, ফুটপাত সর্বত্রই মানুষ গাদাগাদি করে চলাফেরা করছে। কোনো কোনো দোকানের সামনে পণ্য কেনাকাটা করছে জটলা পাকিয়ে। দূর্গাবাড়ি এলাকায় ওষুধের দোকানগুলোতেও এমন ভিড় দেখা গেছে। একই সঙ্গে ফুটপাতের দোকানগুলোতেও মানুষকে ভিড় করে বিভিন্ন পণ্য ক্রয় করতে দেখা গেছে।

এভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলতে থাকলে ময়মনসিংহের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ময়মনসিংহ মহানগরের সম্পাদক আলী ইউসুফ।

তিনি বলেন, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শুরু থেকে ব্যাপক তৎপরতা দেখালেও সাধারণ মানুষের মাঝে এখনো আশানুরূপ জনসচেতনতা তৈরি হয়নি। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়ে চলেছে। এক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন ভূমিকায় এগিয়ে আসা এখন সময়ের দাবি। একই সঙ্গে এবার সরকারকে কঠিন থেকে কঠিনতর ভূমিকায় এগিয়ে যেতে হবে।

ময়মনসিংহ নগরে ভিড় বাড়ছে।

সোমবার (৮ জুন) পর্যন্ত জেলায় মোট ৭১৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং এদের মধ্যে ৮ জন মৃত্যুবরণ করেছেন ও ২৩৪ জন সুস্থ হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ময়মনসিংহ সদর ও সিটি করপোরেশন এলাকাতেই সর্বোচ্চ সংখ্যক ৩৭৯ জন রয়েছেন।

এদিকে আক্রান্তের হার বাড়লেও মানুষের বাইরে বের হওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। বাণিজ্যিক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলোতেও মানুষের উপস্থিতি দেখা গেছে ব্যাপক। তবে সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এবং সবাই সামাজিক দূরত্ব মেনে কাজকর্ম করছে। এজন্য ব্যাংক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বাইরে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।

মাসকান্দা আন্তজেলা বাস টার্মিনাল এবং পাটগুদাম ব্রিজ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে যাত্রী উপস্থিতি কম দেখা গেছে। রেলস্টেশনে তিস্তা এক্সপ্রেস ও ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস যথাসময়ে চলাচল করেছে স্টেশন কর্তৃপক্ষের কড়া নজরদারির মধ্যেই।

নগরের গণপরিবহন ব্যবস্থা বলতে ইজিবাইক প্রধান বাহন। এসব যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশন ৫টি শর্ত আরোপ করেছে। ইজিবাইক চালকরা কর্তৃপক্ষের এই ৫ নির্দেশনা মেনেই সর্বোচ্চ ৪ জন যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাভাবিক কাজকর্ম করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে ময়মনসিংহ জেলা সিভিল সার্জন এ বি এম মসিউল আলম জানান, করোনা প্রতিরোধে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্য বিভাগ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে জেলাতে সংক্রমণের হার অনুযায়ী রেড, গ্রিন, ইয়েলো জোনে ভাগ করা হয়েছে। জেলার সর্বত্রই মাইকিং কার্যক্রম চলমান রাখা হয়েছে এবং করোনা আক্রান্ত রোগীদেরকে যথাযথভাবে তদারকি করা হচ্ছে।

ময়মনসিংহ জেলায় আক্রান্তদের মধ্যে ৪৩৩ জন হোম আইসোলেশনে, ৩৩ জন প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে ভর্তি রয়েছেন এবং ৮ জনকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান জানান, করোনা প্রতিরোধে জেলার ১৩ উপজেলাতেই ক্যাম্পেইন কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে। মানুষের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে পূর্বের ন্যায় প্রশাসনিক তৎপরতা এবং সচেতনতা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

   

পাবনায় ২৪২ মেট্রিকটন ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ২৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে চোরাইপথে আনা ২৪২ মেট্রিকটন ভারতীয় চিনিসহ ১২টি ট্রাক জব্দ করেছে পাবনা জেলা পুলিশ। এ সময় ট্রাকচালক ও হেলপারসহ ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র অবৈধভাবে আমদানিকৃত ভারতীয় চিনি দেশে এনে বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করছিল। এমন খবরের ভিত্তিতে মাঠে নামে পুলিশ। পরে কাজিরহাট ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তারা মালামালের বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এরপর এগুলো জব্ধ করা হয় এবং ২৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম আরও জানান, এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

;

জিআই স্বীকৃতি পেল নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা



শরীফ ইকবাল রাসেল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন) পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। এই স্বীকৃতি পাওয়ায় খুশি চাষিরা। এতে নরসিংদীর অবস্থানকে আরও উপরে নিয়ে গেছে বলে জানালেন জেলা প্রশাসক।

কোনো দেশের নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মাটি, পানি, আবহাওয়ার প্রেক্ষাপটে সেখানকার জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি কোনো একটি পণ্য উৎপাদনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলে সেটিকে সেই দেশের জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে জিআই এর স্বীকৃতি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এবার সেই জিআই পণ্যের তালিকায় নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা। গত ৮ ফেব্রুয়ারি শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর নরসিংদীর অমৃত সাগর কলার ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি প্রদান করে। জিআই সনদপত্রটি ১১ ফেব্রুয়ারি সরকার প্রধানের হাতে তুলে দেয়া হয়। এই স্বীকৃতিতে খুশি কলাচাষিরা।

নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্রে জানা যায়, নরসিংদীতে দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি থাকায় এখানে অমৃত সাগর কলার চাষাবাদ বেশি হয়। অমৃত সাগর কলা স্থানীয় বাজারের চাহিদা পুরণ করে আশপাশের জেলা ও রাজধানীতে সরবরাহ করা হয়।

শুধু তাই নয়, দেশের বাইরেও রফতানি হচ্ছে এই সাগর কলা। এরই প্রেক্ষিতে ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের সহযোগিতায় নরসিংদীর লটকন ও অমৃত সাগর কলাকে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই বাছাই শেষে সাগর কলাকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে কর্তৃপক্ষ।

নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম জানান, জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে অমৃত সাগর কলা দেশে ও দেশের বাইরে রফতানিতে ব্যাপক সাড়া ফেলবে।

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি বছর জেলায় ৫৮০ হেক্টর জমিতে অমৃত সাগর কলার চাষাবাদ করা হয়েছে। এই স্বীকৃতিতে আগামী বছর এর চাষাবাদ আরও বাড়বে বেলে আশাবাদ সচেতন মহলের।

;

প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে রাজবাড়ী আসছেন ব্যারিস্টার সুমন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে রাজবাড়ী আসবেন দেশের আলোড়ন সৃষ্টিকারী ব্যক্তিত্ব হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য, ক্রীড়া সংগঠক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সবকিছু ঠিক থাকলে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের বহরপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী বহরপুর রেলওয়ে মাঠে খেলবেন তিনি ও তার দল।

বালিয়াকান্দিতে খেলতে আসার বিষয়টি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন নিজেই তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটি বহরপুরের আয়োজনে এ প্রীতি ফুটবল ম্যাচে ব্যারিস্টার সুমন একাডেমি বনাম মাগুরা জেলা ফুটবল একাদশ অংশগ্রহণ করবে।

বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জনপ্রিয় মুখ হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় ঐতিহ্যবাহী বহরপুর রেলওয়ে মাঠে ফুটবল খেলতে আসবেন। খেলার মাঠটি প্রস্তুত করা হয়েছে। আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে।

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি.এম.আবুল কালাম আজাদ বলেন, বহরপুর রেলওয়ে মাঠে ব্যারিস্টার সুমন তার একাডেমির খেলোয়াড় নিয়ে ফুটবল খেলতে আসবেন। এ খেলায় হাজার হাজার দর্শক হবে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে। খেলার মাঠসহ আশপাশের এলাকা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাজী শহিদুল ইসলামের (সাহিদ) সভাপতিত্বে খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে রেলমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিমের।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল মোরশেদ আরুজ,বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল কালাম আজাদ,কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অলিউজ্জামান চৌধুরী টিটু,বালিয়াকান্দির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম,বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন, বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ হান্নানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

;

শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে হরিণ শিকারের চেষ্টা, যুবক আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
যুবক আটক

যুবক আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকারের ১৫০ ফুট ফাঁদসহ মো. জুয়েল নামের এক চোরা শিকারিকে আটক করেছে বনবিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ভোরে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগ শরণখোলা রেঞ্জের বগি স্টেশনের চরখালী টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন অভয়ারণ্য থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় অপর দুই শিকারি গহীন বনে পালিয়ে যায়।

আটক জুয়েল ঢাকার ডেমরা থানার মো. জালালের ছেলে। বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার তাফালবাড়ি এলাকায় তার শ্বশুর মো. মনো হাওলাদারের বাড়িতে এসে সুন্দরবনে হরিণ শিকার করতে গিয়ে আটক হয়েছেন জুয়েল।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চরখালী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে নিয়মিত টহলকালে বগি স্টেশনের চরখালী টহল ফাঁড়ির কাছে অভয়ারণ্য থেকে ফাঁদ পেতে অপেক্ষারত অবস্থায় জুয়েল নামে এক চোরা শিকারিকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার সাথে থাকা অপর দুই চোরা শিকারি গহীন বনে পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়াদের আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানায় বনবিভাগ।

এদিকে আটককৃতের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়েরের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

;