প্রস্তাবিত বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। কোভিড-১৯ এর কারণে জিডিপির এই প্রবৃদ্ধির কথা চিন্তা না করে জনমানুষের জীবন-জীবিকা নির্বাহের প্রতি গুরুত্ব দেয়ার আহবান জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ফলিসি ডায়লগ (সিপিডি)।
শুক্রবার (১২ জুন) প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট পরবর্তী ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এই তথ্য জানান।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, সিপিডি মনে করেন করোনার কারণে দারিদ্র সীমার হার বেড়ে ৩৫ শতাংশে চলে এসেছে। ফলে প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধির কথা চিন্তা না করে দারিদ্র ও বৈষম্য কিভাবে কমানো যায় সেই দিকে প্রাধান্য দেয়া উচিৎ।
এসময় সিপিডির বাজেট প্রতিক্রিয়ায় অংশ নেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা বলেন, বাজেটে বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ২৫ দশমিক ৩ শতাংশ। এখানে প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ এর কথা চিন্তার প্রতিফল হয়নি। কারণ এ জন্য সরকারকে ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ ১২৫ শতাংশ বাড়াতে হবে। এছাড়াও টাকার সঙ্গে ডলার মূল্য কিছুটা বাড়বে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে। তা নাও হতে পারে।
দায়-দেনা ও ঋণের অবস্থা এখনো স্বস্তিতে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নতুন করে যাতে ঋণ ও দায়-দেনা না বাড়ে সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। রাজস্ব আহরণ ও সরকারি ব্যয়ের সামঞ্জস্য রয়েছে। এখানে বাস্তবতা নিরিখে হয়নি। কারণ চলতি বছরের রাজস্ব আহরণ হবে ২ লাখ ৫২ হাজার ৮৫২কোটি টাকা। সেটা থেকে প্রস্তাবিত বাজেটে ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকার টার্গেট ধরা হয়েছে। এই উল্লফন কিভাবে হবে?