অন্যান্য দেশেরও উচিত রোহিঙ্গাদের  দায়িত্ব নেওয়া: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আবদুল মোমেন

পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আবদুল মোমেন

মিয়ানমারে নির্যাতিত হয়ে রোহিঙ্গারা গভীর সমুদ্রে আশ্রয় নিলেও কোন দেশ তাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসে না। অন্যান্য দেশেরও উচিত তাদের দায়িত্ব নেওয়া।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বৃহস্পতিবার (১১ জুন) অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও নারী বিষয়ক মন্ত্রী সেনেটর ম্যারিস পেইনের সঙ্গে ফোনালাপে এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে অস্ট্রেলিয়ার সহায়তা কামনা করেন।

তিনি উল্লেখ করেন, রোহিঙ্গারা নিজ ভূমি মিয়ানমারে ফিরে গেলেই কেবল তাদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হতে পারে। অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ফিরিয়ে নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন ড.  মোমেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের নাগরিক নয়। সম্পূর্ণ মানবিক কারণে বাংলাদেশ সাময়িকভাবে তাদের আশ্রয় দিয়েছে। মানবিক কারণে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে রাখা হয়েছে। সাইক্লোন আম্পানে সারাদেশে ব্যাপক ক্ষতি হলেও ভাসানচরে এর কোন প্রভাব পড়েনি। সেখানকার রোহিঙ্গারা কিছু অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারবে।

বাংলাদেশে বিনিয়োগের আকর্ষণীয় ও অনুকূল পরিবেশ উল্লেখ করে অস্ট্রেলিয়ার কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান জানান তিনি।

ড. মোমেন বলেন, এ অঞ্চলের যেকোন দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বিনিয়োগ লাভজনক। বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বিদ্যমান। অন্য দেশ থেকে কোন কোম্পানি এদেশে বিনিয়োগ স্থানান্তর করতে চাইলেও বাংলাদেশ স্বাগত জানাবে। তিনি বলেন, বৈশ্বিক সমস্যা করোনা মহামারির কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বাংলদেশ সরকার দেশে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে চায়। বাংলাদেশ ১০০টি অথনৈতিক অঞ্চল সৃষ্টি করছে যেখানে অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করলে তারা যেমন লাভবান হবে, বাংলাদেশিদেরও কর্মসংস্থান হবে। এছাড়া বাংলাদেশে ২৮টি হাইটেক পার্ক এবং  বিপুল সংখ্যক তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ জনগোষ্ঠী রয়েছে।

৪৮টি দেশের সংগঠন ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। পৃথিবীর তাপমাত্রা যাতে ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের বেশী বৃদ্ধি না পায় সে বিষয়ে এ ফোরামের উদ্যোগের বিষয়ে তিনি অস্ট্রেলিয়ার সহায়তা কামনা করেন।

ড. মোমেন উল্লেখ করেন, জাতিসংঘে কমনওয়েলথের কোন অফিস বা প্রতিনিধি না থাকায় জাতিসংঘের আলোচনায় এ সংস্থা সদস্য রাষ্ট্রেগুলোর স্বার্থ রক্ষায় যথাযথ ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। জাতিসংঘের আলোচনায় প্রতিনিধিত্ব থাকলে সংস্থা হিসেবে কমনওয়েলথের সক্ষমতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাবে।

এসময় ড. মোমেন করোনা মহামারি অবস্থায় অস্ট্রেলিয়ায় অধ্যয়নরত ছাত্রসহ সেদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সহযোগিতার জন্য অস্ট্রেলিয়ার সরকারকে ধন্যবাদ জানান।