গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, প্লাবিত হচ্ছে ঘরবাড়ি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, প্লাবিত হচ্ছে ঘরবাড়ি

গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, প্লাবিত হচ্ছে ঘরবাড়ি

গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের সহস্রাধিক ঘরবাড়ি ও ফলসি জমি প্লাবিত হচ্ছে।

রোববার (২৮ জুন) সকালে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোলরুম থেকে জানানো হয়, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়িঘাট পয়েন্টে ৫৫ সেন্টিমিটার ওপর এবং ঘাঘট নদীর পানি গাইবান্ধা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ৩৩ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া তিস্তা নদীর পানি রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে এবং করতোয়া নদের পানি গোবিন্দগঞ্জ কাটাখালি পয়েন্টে বাড়তে শুরু করেছে।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, জেলার সুন্দরগঞ্জ, সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার নদী বেষ্টিত এলাকার সহস্রাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে শত শত হেক্টর ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। গত কয়েক ধরে অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে এবং বাঁধ ভেঙে অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে অনত্র আশ্রয় নেওয়া শুরু করেছেন। তারা আত্মীয়-স্বজন, বাঁধ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিচ্ছে।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়ন এর বেলকার চরের কালেক মিয়া বলেন, বাড়িতে কোমর পানি পরিণত হয়েছে। ভেসে গেছে হাঁস-মুরগী ও অন্য সামগ্রী। বাধ্য হয়ে বেলকা ১নং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছি।

বিজ্ঞাপন

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বার্তা২৪.কমকে জানান, ভাঙন ঠেকাতে বিভিন্ন ধরনের কাজ করা হচ্ছে।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক আবদু মতিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, এরই মধ্যে নদী ভাঙন এলাকা ও পানিবন্দী এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহায়তা করা হবে।