সরকার তথাকথিত ভিআইপি কালচারে বিশ্বাসী নয়: কাদের
![আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2020/Jun/28/1593333442743.jpg)
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের অবস্থান স্পষ্ট জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, অপরাধী দলীয় পরিচয় কিংবা ক্ষমতাবান হলেও ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, শুধু স্বাস্থ্য খাতেই নয়, যে কোনো খাতের অনিয়ম, অন্যায়, দুর্নীতি রোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল।
রোববার (২৮ জুন) তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন। এসময় তিনি কতিপয় অভিযোগ উল্লেখ করে বলেন, অনেকেই অভিযোগ করছেন সরকারি হাসপাতালগুলোতে সমাজের উচ্চ শ্রেণি তথা ভিআইপিরা সেবা পাচ্ছেন, সাধারণ মানুষের কী অবস্থা।
কাদের বলেন, সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, বাছ-বিচার নয়, ধনী-গরিব নয়, বিত্তবান বিত্তহীন নয়, ভিআইপি ননভিআইপি নন। সকল রোগী সমান। আপনারা রোগী হিসেবে দেখবেন, কোনো ব্যবধান তৈরি করবেন না। শেখ হাসিনা সরকার তথাকথিত ভিআইপি কালচারে বিশ্বাসী নয়। সরকার এ সংকটে এমন চর্চাকে নিরুসাহিত করে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করোনার এই সংকটে দেশের কয়েকটি জেলায় বন্যা দেখা দেওয়ায় তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আহবান জানান।
হাসপাতাল সমূহের ব্যবস্থাপনা এবং সমন্বয় বৃদ্ধিতে স্বাস্থ্য বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন গবেষণা ও গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী করোনায় আক্রান্ত অনেক রোগী বাসাবাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন,তাদের সেবা ও প্রয়োজনীয় ডাক্তারি পরামর্শ পেতে টেলি-মেডিসিন সেবা ও হটলাইনে সেবার মান বাড়ানোর অনুরোধ করছি।
করোনার এমন সংক্রমণ কাছের মানুষ দূরে চলে যায়, মুহূর্তেই প্রিয়জন অচেনা হয়ে যায়। মা-বাবা কিংবা স্বামী-স্ত্রীকে হাসপাতালে রেখে চলে যাচ্ছে। আবার মৃত্যুর পর কেউ কাছে আসছে না, এমন করুনণ মর্মস্পর্শী বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, পুরোটা জীবন প্রিয়জনের জন্য করে শেষ বিদায় নিচ্ছেন প্রিয় মানুষের স্পর্শহীনতায়, মমতার বন্ধনহীন এসব দৃশ্য।
মন্ত্রী বলেন, রোগীর মৃত্যুর ৩ ঘণ্টা মৃতদেহ থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর সুযোগ নেই, এ রোগ অভিশাপ নয়, নিজেকে সুরক্ষিত রেখে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে দাফন-কাফন করতে পারে আপনজনেরা।
বর্তমানে ৬৬ টি ল্যাবে টেস্ট করোনা হচ্ছে, এ সুবিধা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতালসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের জনস্বার্থে পিসিআর ল্যাব স্থাপনে উদ্যোগ নেওয়ারও আহবান জানান মন্ত্রী। তিনি মনে করেন টেস্টিং সক্ষমতা ও ট্রেসিং বাড়ানো গেলে করোনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।