গাইবান্ধার সাড়ে ১২ হাজার মানুষ পানিবন্দি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কোমরপানিতে চলাচল করতে হচ্ছে মানুষকে

কোমরপানিতে চলাচল করতে হচ্ছে মানুষকে

গাইবান্ধার নদ-নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে পানিবন্দি রয়েছেন জেলার সুন্দরগঞ্জ, সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার তিন হাজার ২০২ পরিবারের ১২ হাজার ৮০৫ জন মানুষ।

রোববার (২৮ জুন) বিকেলে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র নদ ও ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণে জেলার সুন্দরগঞ্জ, সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। একই সঙ্গে শত শত হেক্টর ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে।

গত কয়েক দিন ধরে অব্যাহত পানি বৃদ্ধি এবং বাঁধ ভাঙনের ফলে অনেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেওয়া শুরু করেছেন। তারা আত্মীয়-স্বজন, বাঁধ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিচ্ছে। এতে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোলরুম থেকে জানানো হয়েছে, রোববার বিকেল ৩টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি ঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি ৪১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এছাড়া তিস্তা ও করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এ কে এম ইদ্রিস আলী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘এ পর্যন্ত ৪০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ২ লাখ টাকা ৪ উপজেলায় বিতরণের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। নতুন করে আরও ৬০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।’

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক আবদু মতিন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘এরই মধ্যে নদী ভাঙন এলাকা ও পানিবন্দি এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। পানিবন্দিদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা রয়েছে।’