জামালপুরে ৬৪০৭ হেক্টর জমির ফসল পানিতে ডুবে গেছে
জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার ৫টি উপজেলায় প্রায় ৬ হাজার ৪০৭ হেক্টর জমির ফসল পানিতে ডুবে গেছে।
পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর, আদ্রা, ঘোষেরপাড়া ও ঝাওগড়া ইউনিয়ন এবং মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিজুড়ী, গুনারীতলা, চরপাকেরদহ ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। সব মিলিয়ে জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, মেলান্দহ, সরিষাবাড়ী ও বকশীগঞ্জ উপজেলার ২০টি ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
সোমবার (২৯জুন) বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনার পানি ২২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বন্যার পানিতে জেলার ৫টি উপজেলার ৬ হাজার ৪০৭ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৫৯৩ হেক্টর জমির পাট, ১৭৭ দশমিক ৫ হেক্টর জমির আউশ ধান, ৪৭৮ দশমিক ৫ হেক্টর জমির সবজি, ১২৩ হেক্টর জমির আমন ধানের বীজতলা, ১১ হেক্টর জমির মরিচ, ১৪ হেক্টর জমির তিল, ২ হেক্টর জমির বাদাম, ৫ হেক্টর জমির ভুট্টা, ৩ হেক্টর জমির কলা রয়েছে।
ইসলামপুর উপজেলার কাশারীডোবা গ্রামের কৃষক আজিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘এ বছরের আগাম বন্যায় আমার ২২ বিঘা জমির পাটক্ষেত, ১ বিঘা জমির ধানক্ষেত, ১ বিঘা জমির বেগুন ক্ষেত, ১ বিঘা জমির সবজি ক্ষেতে পানিতে ডুবে গেছে। আমি পথে বসে গেছি।’
একই এলাকার ময়উদ্দিন বলেন, ‘আমার দেড় বিঘা জমির পটল ক্ষেত সম্পূর্ণ পানিতে ডুবে গেছে। কীভাবে এ ক্ষতি সামলে উঠব বুঝতে পারছি না।’
জামালপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, বন্যার কারণে কৃষকদের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনই বলা যাবে না। মূলত পানি নেমে গেলে বিষয়টি বোঝা যাবে।