ঠ্যায়ে মইরা যামু, ঋণের টাকা কি দিয়া দিমু?



জহির রায়হান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঝালকাঠির ভীমরুলি থেকে ফিরে
দুর্দশায় ঝালকাঠির পেয়ারা চাষিরা/ছবি: বার্তা২৪.কম

দুর্দশায় ঝালকাঠির পেয়ারা চাষিরা/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পাইকার না আসা ধরলে ঠ্যায়ে (একবারে) মইরা যামু। ঋণের টাকা কি দিয়া দিমু? পেয়ারা আর কয়দিন গাছে রাখমু। পাঁকলে আবার দাম কম। গাছ থেকে পাড়লে আবার দুই-তিনদিন রাখলে পঁচা যায়। নাই কোনো পেয়ারা মজুদ করার ঠান্ডা ঘর। তাই কম দামেই পেয়ারা বেঁচি এভাবেই বার্তা২৪.কমকে দুর্দশার কথা জানাচ্ছিলেন ভীমরুলি গ্রামের পরেশ নামে এক পেয়ারা চাষি।

ভাসমান পেয়ারা বিক্রির হাট

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রভাব পড়েছে বৃহত্তর দক্ষিণাঞ্চলের ঝালকাঠি জেলার ভীমরুলি খালে ভাসমান পেয়ারা বিক্রির হাটে। হাটে পেয়ারার ব্যাপক সরবরাহ থাকলেও পাইকার সংকটে বিপাকে পড়ে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পেয়ারা চাষিরা।

স্থানীয় কিছু পাইকারদের আনাগোনা থাকলেও দূরদূরান্ত থেকে পাইকার না আসায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় চাষি, কৃষি বিভাগ ও প্রশাসন।

স্থানীয় চাষি ও বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অনেক বছর ধরে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভীমরুলির খালে বসছে ভাসমান পেয়ারা হাট।

গাছ থেকে পেয়ারা সংগ্রহ করছেন চাষিরা

প্রতিবছর ঝালকাঠি সদর উপজেলার কৃত্তিপাশা, ভীমরুলি, শতদাসকাঠি, খাজুরা, মিরাকাঠি, ডুমুরিয়া, জগদিশপুর, খোদ্রপাড়া, পোষন্ডা, হিমানন্দকাঠি, বেতরা, কাপড়কাঠিসহ প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি এলাকার ৫০-৬০টি বাগানে শত শত হেক্টর জমিতে উৎপাদিত কয়েকশ টন পেয়ারা বিক্রি হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পেয়ারার মৌসুমে প্রতিদিন বাগান থেকে পেয়ারা পেড়ে ছোট ছোট নৌকায় করে এই ভাসমান হাটে বিক্রি করতে নিয়ে আসেন চাষিরা।

এখানকার সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুন্নত হওয়ায় খালে ছোট ও মাঝারি নৌকা আর ট্রলারে বসেই বিক্রি করছে পেয়ারা। পেয়ারার সরবরাহ তুলনায় ঢাকা-চট্টগ্রামসহ অন্যান্য এলাকা থেকে এখনও পাইকার না আসার কারণে পেয়ারা পঁচার শঙ্কায় আছেন এসব চাষিরা।

ন্যায্য মূল্য ছাড়াই পেয়ারা বিক্রি করছেন চাষিরা

স্থানীয় কয়েকজন পাইকারের কাছেই জিম্মি হয়ে ঋণের বোঝা মাথা নিয়ে ন্যায্য মূল্য ছাড়াই পেয়ারা বিক্রি করছেন চাষিরা। আরও জানা গেছে, গত বছর এ সময়ে পেয়ারা মণপ্রতি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে পাইকার সংকটে তা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকায়।

যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুন্নত থাকার কারণে শত শত নৌকা আর ট্রলারের পেয়ারা বাজারজাত করা হলেও সোমবার (১৩ জুলাই) মাত্র চারটি ট্রলার ৩/৪ স্থানীয় পাইকাররা ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা ধরে পেয়ারা ক্রয় করেন।

এছাড়াও দেখা গেছে, এই ভাসমান হাটে পেয়ারার পাশাপাশি হরেক রকমের কচুঁ, কুমড়া, কলা, শাক-সবজিসহ সুপারি, লেবু ও আমড়া পাইকার সংকটে কম দামে বিক্রি হচ্ছে।

নৌকায় পেয়ারা নিয়ে যাচ্ছে এক পেয়ারা চাষি

হিমানন্দকাঠির সুবেদ নামে এক পেয়ারা চাষি বার্তা২৪.কমকে জানান, করোনার কারণে অন্যান্য আয়-ইনকাম বন্ধ হয়ে গেছে। মনে করছিলাম পেয়ারা বিক্রি করে একটু ডানে (লাভে) থাকমু। কিন্তু পেয়ারা গাছ থেকে পাইড়া বেঁচতে আনলে দেখি পাইকার নাই। তিন-চার জন পাইকার যা কয় হেই দামেই বেঁচি।

ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রাসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো: ফজলুল হক বার্তা২৪.কমকে জানান, এ বছর ৮০০ হেক্টর জমিতে পেয়ারার আবাদ হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে কিন্তু করোনার কারণে দূরদূরান্ত থেকে পাইকার না আসার কারণে বিপাকে পড়েছে পেয়ারা চাষিরা।

এতে করে চাষিরা একদিকে পেয়ারা বিক্রির ন্যায্য মূল্য হারাচ্ছেন আরেক দিকে কোল্ড স্টোরেজ না থাকায় পেয়ারা পঁচে গিয়ে লোকসানের শিকার হচ্ছে। তবুও কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে পেয়ারা চাষিদের নিয়মিত খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

পাইকার শূন্য ভাসমান পেয়ারার হাট

ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো: জোহর আলী বার্তা২৪.কমকে জানান, করোনা পরিস্থিতিতে ভীমরুলি খালে ভাসমান পেয়ারা হাটে পাইকার সংকট দেখা দিয়েছে। এই সংকটময় পরিস্থিতির কিছুটা উত্তরণের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট সংযোগে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনলাইনের মাধ্যমে পেয়ারা বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে করে পেয়ারা চাষিরা তাদের ব্যাপক লোকসান থেকে কিছুটা হলেও রেহাই পাবে।

তিনি আরো জানান, স্থানীয় কৃষকরা এই করোনা পরিস্থিতিতে বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করে তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য প্রদর্শন করে সারাদেশে ইন্টারনেট ভিত্তিক বাজার ধরতে পারবেন এবং তাদের ন্যায্যমূল্য পাওয়াও সহজ হবে বলেও আশাবাদী এই জেলা প্রশাসক।

   

সাড়ে ৪ লাখ টাকার গাঁজাসহ কারবারী আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
সাড়ে ৪ লাখ টাকার গাঁজাসহ কারবারী আটক

সাড়ে ৪ লাখ টাকার গাঁজাসহ কারবারী আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা থেকে গাঁজা বিক্রি করতে এসে সাড়ে ৪ লাখ টাকার ৬ কেজি গাঁজাসহ আটক হয়েছে সোহেল নামে এক মাদক কারবারি।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমতলী উপজেলার সীমান্ত এলাকা শাখারিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে একটি ব্যাগের ভিতর থেকে ওই গাঁজাগুলো উদ্ধার করে জব্দ করে। ওই সময় তারা গাঁজা বহনকারী কারবারী সোহেলকে আটক করে জিজ্ঞাসাদের জন্য বরগুনা জেলা ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়।

আটককৃত মাদক কারবারি সোহেল কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার ধর্মপুর এলাকার বশিরুল্লাহর ছেলে। পেশায় সে একজন স্যানিটারী মিস্ত্রি। ভারত থেকে চোরাইপথে আসা গাঁজা আখাউড়া থেকে সংগ্রহ করে সড়ক পথে বরগুনার আমতলীতে বিক্রি করার উদ্দেশ্য নিয়ে আসার সময় পথিমধ্যে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি)'র অভিযানে ধরা পড়ে যায়।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ বশির আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমার নেতৃত্বে উপ- পরিদর্শক জ্ঞান কুমার দাস, মোঃ বশির আহমেদ, সহকারী পরিদর্শক রুবেল হাওলাদার, ডিবি সদস্য প্রিন্স সিমলাই, মাহমুদসহ গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম গভীর রাত থেকে আমতলীর সীমান্ত এলাকা শাখারিয়া বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান করি।

চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা কুয়াকাটাগামী হানিফ পরিবহনে তল্লাশি চালিয়ে ৬ কেজি গাঁজাসহ সোহেল নামে ওই মাদক কারবারীকে হাতেনাতে আটক করতে সক্ষম হই। আটক কারবারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিধি মোতাবেক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

;

রংপুরে ৩৫ কেজি গাঁজাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ী আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের পীরগাছায় ৩৫ কেজি গাঁজাসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পীরগাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার পূর্বদেবু গ্রামের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুজন ও শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একই বাড়ি থেকে অপর দুজনকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন উপজেলার পূর্বদেবু গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে সাব্বির আহমেদ জয় ওরফে আব্দুস সালাম (৪০), একই গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে শাহাজাহান মিয়া (৩৬), কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি উপজেলার বাসিন্দা সবুজ মিয়া (২৮) ও একরামুল হক (২৬)।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার পূর্বদেবু গ্রামের আব্দুস ছালামের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় তল্লাশি করে ৩৫ কেজি গাঁজাসহ আব্দুস ছালাম ও শাহাজাহান মিয়াকে আটক করা হয়। পরে শুক্রবার সকালে আব্দুস ছালামের বাড়িতে সেই গাঁজা কিনতে আসে ফুলবাড়ি থেকে সবুজ মিয়া ও একরামুল হক। খবর পেয়ে তাদেরকেও আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

পীরগাছা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বলেন, গাঁজাসহ দুজন ও পরবর্তীতে গাঁজা কিনতে আসা দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।

;

লালমনিরহাটে ৪০০ বোতল ফেনসিডিলসহ নারী কারবারি আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ৪০০ বোতল ফেনসিডিল ও চার বোতল ভারতীয় হুইস্কিসহ স্বরসতী রানী (৩৩) নামে এক নারী মাদকারবারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত স্বরসতী রানী কালীগঞ্জ উপজেলার ঘোঙ্গাগাছ এলাকার পলাতক মাদক ব্যবসায়ী পবিত্র রায়ের স্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাতে মাদক ব্যবসায়ী পবিত্র রায়ের বাড়িতে মাদকের বড় চালান ঢুকেছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই মফিজুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে এ সময় স্বরসতী রানীর সহযোগিতায় বাশের তৈরী মাচা হতে ৪০০ বোতল ফেনসিডিল ও ৪ বোতল হুইস্কি উদ্ধার করা হয়।

কালিগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমতিয়াজ কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বার্তা২৪.কমকে জানান, আটককৃত নারী মাদক কারবারীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

;

২৪ ঘণ্টায় ১৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৬ জনে। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৯৪ জনে অবস্থান করছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৫ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ২৯৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা হয় ৩৮৮ জনের নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৪ দশমিক ১২ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু-দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

;