স্বাস্থ্য সংকটরোধে ‘ড্যাটা বিপ্লব’ ভূমিকা রাখতে পারে

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

প্রমাণভিত্তিক ড্যাটা শুধু করোনাজনিত স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলার জন্যই নয় এটি দরিদ্র ও সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের সামাজিক সুরক্ষা, নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা এবং স্থানীয় ও প্রবাস ফেরত কর্মীদের জীবিকার সংস্থান নিশ্চিতের জন্যও প্রয়োজন।

'ড্যাটা বিপ্লবের মাধ্যমে কোভিড পরবর্তী পুনরুদ্ধার কার্যক্রম ত্বরান্বিতকরণ' শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সাইট ইভেন্টের প্যানেল আলোচনায় এসকল কথা উল্লেখ করেন আলোচকগণ।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৫ জুলাই) নিউইয়র্ক জাতিসংঘের স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।

কোভিড মোকাবিলা ও পুনরুদ্ধার কর্মসূচির কার্যকর ও সময়োপযোগী বাস্তবায়নে ড্যাটা বিপ্লবের উপর বিশেষ জোর দেন প্যানেলিস্টগণ। জীবন ও জীবিকার ভারসাম্যের জন্যে কীভাবে ড্যাটা ব্যবহার করা যেতে পারে সে সম্পর্কে কার্যকর পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সরকারি, বিষয় বিশেষজ্ঞ, একাডেমিয়া এবং বেসরকারি খাত থেকে নির্বাচিত প্যানেলিস্টদের নিয়ে জাতিসংঘের চলমান উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক ফোরাম উপলক্ষে উক্ত ভার্চুয়াল সাইট ইভেন্টের আয়োজন করে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও এটুআই এই আয়োজনটির বাস্তবায়ন করে। সোমালিয়া, জাতিসংঘের সংস্থা এবং ফিউচার অব ওয়ার্ক ল্যাব বাংলাদেশ ছিল ইভেন্টটির সহযোগী। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।

বিজ্ঞাপন

উদ্বোধনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, 'যেহেতু আমরা একটি মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করছি তাই বৈজ্ঞানিক প্রমাণপত্র ও তথ্যাদির গুরুত্ব আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন অনেক বেশি, তাই 'ড্যাটা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ' -এখন কী ঘটছে শুধু সে জন্যই নয়, বাস্তবভিত্তিক ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ এবং পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রেও অত্যাবশ্যক'

কোভিড-১৯ এর ফলে সারাবিশ্ব যেসকল বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে তা উল্লেখ করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জসমূহের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, 'অভিবাসী কর্মী প্রেরণকারী অন্যান্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশও আজ কোভিড মহামারিজনিত কারণে অভিবাসী কর্মীদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। একারণে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দেশের ন্যায় আমাদের অর্থনীতি বড় হুমকির মুখে পড়েছে। তেলের দাম হ্রাস ও কোভিড মহামারির দ্বৈত প্রভাবে অনেক কর্মী বেকার হয়ে পড়েছে। তাই ড্যাটা সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ ও এর কার্যকর ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনকারী এসকল প্রবাসী কর্মীগণের পুন:কর্মসংস্থান ব্যবস্থা করতে পারি; এবং তাদেরকে টেকসই উপায়ে পুনরায় কর্মে পুনর্বাসিত করতে সাহায্য করতে পারি'।

মহামারি মোকাবিলা এবং এর থেকে পুনরুদ্ধারে দক্ষিণের উন্নয়নশীল দেশসমূহ গৃহীত প্রচেষ্টায় জাতিসংঘের দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা বিষয়ক কার্যালয় (ইউএনওএসএসসি) যে ভূমিকা রাখছে তা উল্লেখ করেন ইউএনওএসএসসি এর এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রতিনিধি ড. ডেনিস নকালা।

কি-নোট বক্তব্যের পরেই অনুষ্ঠিত হয় সমৃদ্ধ প্যানেল আলোচনা। প্যানেলিস্টগণের মধ্যে সোমালিয়ার প্রতিনিধি আবদিরাহিম মুদে কোভিড পরবর্তী দক্ষতা উন্নয়ন নিশ্চিতে ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণসহ তার দেশের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। মহামারি পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে কাউকেই পিছনে ফেলে রাখা চলবে না মর্মে মন্তব্য করেন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির প্রফেসর আহমেদ মুশফিক মোবারক।

ইভেন্টটির অন্যান্য প্যানেলিস্টগণ হলেন ইউএনডিপির রবার্ট অপ, ইউএন ডেসার ভিনসিনজো অ্যাকুয়ারো, ইউএন এসক্যাপ এর মিজ জেম্মা ভ্যান হ্যালডিরেন, আইএলও এর নিয়াল ও হিগিনস্ এবং দ্য কমন্স প্রজেক্ট এর পল মেয়ের, হার্ভার্ড পাবলিক হেলথ প্রফেসর মিজ্ ক্যরোলিন বুকি।