জামালপুরে আবারও যমুনার পানি বাড়তে শুরু করেছে
জামালপুরে আবারও যমুনার পানি বাড়তে শুরু করেছে । পানি বৃদ্ধির ফলে তৃতীয় দফার বন্যার কবলে পড়েছে জামালপুরের বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ। দিশেহারা হয়ে পড়েছেন জেলার প্রায় ১০ লাখ মানুষ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৮৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ৩ সেন্টিামটার বেড়ে জামালপুর ফেরিঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বুধবার (২২ জুলাই) রাত ৯টার দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক (গেজ রিডার) আব্দুল মান্নান বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন।
তৃতীয় দফা বন্যায় জেলার ৭টি উপজেলার ৬৭৭টি গ্রামের দুই লাখ ৪৮ হাজার ৬৩৪টি পরিবারের প্রায় ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। টানা ১২ দিন থেকে যমুনার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পানিবন্দী নিম্ন আয়ের মানুষগুলো চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
একদিকে প্রাণঘাতী করোনার থাবা, অপরদিকে দীর্ঘস্থায়ী বন্যা, এ যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। অন্যান্য বছরে বন্যা দেখা দিলে অসহায় মানুষের পাশের দাঁড়িয়েছেন সমাজের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনসহ বিত্তবান মানুষ। কিন্তু এবারের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। কারণ করোনার প্রভাবে এবার বেসরকারি ত্রাণ তৎপরতার দৃশ্য তেমন চোখে পড়েনি। করোনার প্রভাবে এ বছর অনেকের আয় কমেছে, আবার অনেক বিত্তশালীরা করোনার ভয়ে ত্রাণ সহায়তা থেকে নিজেকে বিরত রেখেছেন।
এমন পরিস্থিতিতে শুধু সরকারি ত্রাণে বানভাসি মানুষের ভাগ্যে জুটছে দু এক বেলার খাবার।
জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো.নায়েব আলী জানান, দ্বিতীয় দফা বন্যায় জেলায় প্রায় ১০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তিনি বলেন, জেলায় বন্যাদুর্গতদের মাঝে ৫১০ মেট্রিক টন চাল, ২৩ লাখ টাকা, শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্য বাবদ চার লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
অপর দিকে জেলা মৎস কর্মকর্তা কায়সার মুহাম্মদ মঈনুল হাসান জানান, এবারের বন্যায় জেলার মৎসজীবীদের প্রায় দশ কোটি টাকার মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।