শুক্রবার প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ

  • News Creator
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান নিয়ে কক্ষপথের দিকে ছুটবে বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট।

বৃহস্পতিবার রাতে ফ্লোরিডা থেকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বিভিন্ন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে  বাংলায় ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানটি লেখা রয়েছে। এই স্লোগান নিয়েই কক্ষপথের দিকে ছুটবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট।”

উৎক্ষেপণের জন্য বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের প্রায় সব ধরণের পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়েছে জানিয়ে বিটিআরসি প্রধান বলেন, সব পরীক্ষার ফলাফল ইতিবাচক। তবে এসব ক্ষেত্রে আবহাওয়া ও কারিগরি বিষয়গুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ।

বিজ্ঞাপন

“বহু ঘটনা আছে, যেখানে কাউন্ট ডাউনের একেবারে শেষ পর্যায়ে গিয়েও উৎক্ষেপণ স্থগিত করতে হয়েছে।”

যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি মহাকাশ অনুসন্ধান ও প্রযুক্তি কোম্পানি ‘স্পেসএক্স’ ফ্লোরিডার স্থানীয় সময় ১০ মে বিকাল ৪টা ১২ মিনিট থেকে ৬টা ২২ মিনিটের মধ্যে (বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টা ১২ মিনিট থেকে ৪টা ২২ মিনিট) কেনেডি স্পেস সেন্টারের লঞ্চ প্যাড থেকে স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের সময় ঠিক করেছে বলে কেনেডি স্পেস সেন্টারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে নির্দিষ্ট সময়েই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কক্ষপথের দিকে রওনা হবে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের উৎক্ষেপণ উপলক্ষে তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম (সাবেক টেলিকম প্রতিমন্ত্রী), তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ৩০ সদস্যর প্রতিনিধি দল ফ্লোরিডাতে রয়েছেন।

তারানা হালিম জানান, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের জন্য প্রস্তুত; সব কিছু ঠিক থাকলে নির্দিষ্ট সময়েই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে বলে প্রতিনিধি দলকে জানানো হয়েছে।

স্পেসএক্স এবারই প্রথম উপগ্রহ উৎক্ষেপণে তাদের ফ্যালকন-৯ রকেটের ব্লক ৫ সংস্করণ ব্যবহার করতে যাচ্ছে। গত ৪ মে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারে নতুন এই রকেটের স্ট্যাটিক ফায়ার টেস্ট সম্পন্ন হয়।

তিন হাজার ৫০০ কেজি ওজনের জিওস্টেশনারি কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ফ্যালকন-৯ কক্ষপথের দিকে ছুটবে কেনেডি স্পেস সেন্টারের ঐতিহাসিক লঞ্চ কমপ্লেক্স ৩৯-এ থেকে, যেখান থেকে ১৯৬৯ সালে চন্দ্রাভিযানে রওনা হয়েছিল অ্যাপোলো-১১।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নির্মিত হয়েছে ফ্রান্সের তালিস এলিনিয়া স্পেস ফ্যাসিলিটিতে। নির্মাণ, পরীক্ষা, পর্যালোচনা ও হস্তান্তর শেষে বিশেষ কার্গো বিমানে করে সেটি কেইপ কেনাভেরালের লঞ্চ সাইটে পাঠানো হয়।

সরকারের আশা, বর্তমানে বিদেশি স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ যে ১৪ মিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়, এ উপগ্রহ উৎক্ষেপণের সেই অর্থ সাশ্রয় হবে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে, যার ২০টি বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে এবং বাকিগুলো ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে।