'সরকারি দলকে সর্বময় ক্ষমতা দিতে স্থানীয় সরকার আইনের প্রস্তাব'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
পুরনো ছবি

পুরনো ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবিত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান আইন-২০২০ সরকারি দলকে সর্বময় ক্ষমতা দিতে করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

রোববার (২ নভেম্বর) বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, আমরা জানি যে, এই নির্বাচন কমিশন কোনো কথাই শুনে না। তাদের যে দায়িত্ব সরকারের এজেন্ডাকে বাস্তবায়িত করা। সেই কাজই করে যাচ্ছে তাদের (নির্বাচন কমিশন) গঠনের পর থেকে।স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান নির্বাচনী আইনের তারা যে প্রস্তাব দিয়েছে- এটা অত্যন্ত একটা অসৎ উদ্দেশ্যেই তারা এই আইনের প্রস্তাব করেছেন। এর উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য একটাই যে, সরকারি দলকে সর্বময় ক্ষমতায় দিয়ে দেয়া এবং নির্বাচন কমিশনকে একটা ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করা। এই নির্বাচন কমিশন তো কোনো রকমের পরিবর্তন হয়নি। উপরন্তু তারা আইন করে বিভিন্নভাবে এই সরকারের যাদের কোনো ম্যান্ডেট নেই তাদের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য তারা করে যাচ্ছে।

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান নির্বাচন আইনের বিভিন্ন অসঙ্গতি তুলে ধরে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, নির্বাচনে কমিশনের প্রস্তাবিত আইনে অনেক মৌলিক বিধানই বদলিয়ে ফেলেছে। তারা যে নতুন আইনের প্রস্তাব করেছে সেই আইনের একটা বড় অংশ… ধারা ৬৬ থেকে আরম্ভ করে প্রায় ৮৪ পর্যন্ত -এর কোনোটাই স্থানীয় সরকারের প্রচলিত যেসব আইন রয়ে গেছে তার কোনটার মধ্যে নেই। এসব আছে বিধি মালার মধ্যে। কিন্তু প্রস্তাবে তো নির্বাচন কমিশন আগে বলে নাই যে বিধিমালা থেকে এনে নতুন আইন করা হবে। কিন্তু বাস্তবে তারা সেটা করেছে। অর্থাৎ তারা যেটা বলেছে তারা সেখান থেকে সরে গেছে।

তিনি বলেন, আলাদা আলাদা আইনসমূহকে একীভূত করে একক আইন প্রণয়ন করা হলে ওই একীভূত আইন থেকে পৃথক পৃথক স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জন্য সংশ্লিষ্ট বিধি-বিধান খুঁজে খুঁজে বের করে বুঝা বা আয়ত্তে আনা জটিল, কষ্টকর ও দুরূহ হয়ে পড়বে বিধায় কমিশনের এই উদ্যোগ অসঙ্গত ও পরিত্যাজ্য।

করোনার মধ্যে সোশ্যাল ডিসটেন্স বজায় রাখা দরকার, যখন সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ, যখন স্কুল কলেজ বন্ধ করে রাখা হয়েছে, যখন আমাদের ভার্চুয়াল মিটিং করা লাগে সেরকম সময়ে আপনি আমার দেশে সব মানুষ জড়িত কেউ ইউনিয়ন পরিষদে, কেউ পৌর সভায়, কেউ জেলা, উপজেলা, কেউ সিটি করপোরেশনে সম্পৃক্ত। যারা ভোটার ও প্রার্থী তাদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ না করে বা তাদের মতামত দেয়ার সময় বা সুযোগ না রেখে ওয়েব সাইটে দিয়ে এই করোনার মধ্যে নতুন একটা আইন করতে হবে- এটা অর্থ হয় না, এটা জরুরী না। এটা নিয়ে দাবি নাই, আন্দোলন সংগ্রাম নাই। যেসব নিয়ে দাবি আছে নির্বাচন সুষ্ঠু করেন, যেখানে কারচুপি হয় তা বন্ধ করেন, দিনের ভোট যেন রাত্রে না হয়, ভোট কেন্দ্রে যেন সন্ত্রাস না হয়, প্রচারণায় যে বাঁধা হয়-সেগুলো বন্ধ করেন সেদিকে নির্বাচন কমিশনের কোনো আগ্রহ নাই। যেটা নিয়ে কথা-বার্তা নেই তা নিয়ে তারা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

প্রস্তাবিত নতুন আইনের প্রস্তাবে রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার এর দীর্ঘদিনের পদবীগুলো বাংলা করণের প্রস্তাব, ফেরারি আসামীদের নির্বাচন করতে না দেয়া, প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগসমূহকে নতুন আইনে অন্তর্ভুক্ত না করা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক মনোনয়ন দেয়া, প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার পোলিং অফিসার নিয়োগের তালিকা বৈধ প্রার্থীদের দেয়ার ব্যবস্থা না রাখা, ভোট গণনার সময়ে প্রার্থীদের এজেন্টদের না রাখা ইত্যাদি ব্যাপারে দলের আপত্তি তুলে ধরেন নজরুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, আমরা দাবি করছি, পৃথক পৃথক আইন থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে একীভূত করে চলমান করোনা সংকটকালে প্রস্তাবিত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান নির্বাচনী আইন-২০২০ প্রণয়নের এই অপ্রয়োজনীয় ও অযৌক্তিক উদ্যোগ থেকে কমিশন বিরত থাকবে। এটা আমরা আশা করছি। এতোসব যুক্তিসঙ্গত কারণ অগ্রাহ্য করে যদি কমিশন একচেটিয়াভাবে প্রস্তাবিত নতুন আইন প্রণয়নে উদ্যোগ হয় তাহলে বিএনপি দেয়া আইনের অসঙ্গতিসমূহ দূরীকরণ ও সংগত দাবিগুলো পূরণ এবং আমাদের সংশোধনী প্রস্তাবসমূহ সংশ্লিষ্ট আইনে সন্নিবেশিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।অন্যথায় এককভাবে কোনো আইন প্রণয়ন করা হলে তা দেশবাসীর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।

   

দেশে সাংবিধানিক সরকারকে উচ্ছেদের চক্রান্ত আছে: ইনু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

এখনো দেশ চক্রান্তের ভিতর আছে এবং সাংবিধানিক সরকারকে উচ্ছেদের চক্রান্ত আছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে গণভবনে ১৪ দলীয় জোট নেতাদের বৈঠক শেষে বের হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

হাসানুল হক ইনু বলেন, মাঝখানে ১৪ দলের যাত্রাপথে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন কার্যক্রমে অনেক সমন্বয়হীনতা, দূরত্ব ও সমস্যা দেখা দিয়েছিল কিন্তু আজকে ১৪ দলের প্রাসঙ্গিকতা শেখ হাসিনা অনুভব করেন বলে জানিয়েছেন।

রাজনীতির প্রেক্ষাপটে ১৪ দলের প্রাসঙ্গিকতা কি সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই বিষয়গুলো আজকের বৈঠকে উল্লেখ করা হয়েছে বলেও জানান জাসদ সভাপতি।

রাজনৈতিক মোল্লারা ঘাড়ের ওপর নিশ্বাস ফেলছে, সাম্প্রদায়িকতা বিরাট সমস্যা দেখা দিয়েছে। অর্থনীতিতে লুটপাটতন্ত্র বখরাতন্ত্র এবং গোন্ডাবাজি শাসনের ঘাটতির সমস্যা দেখা দিয়েছে বলেও জানান হাসানুল হক ইনু।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আদর্শিক জোট ১৪ দলের সাথে জোট নেত্রী শেখ হাসিনার প্রথম বৈঠক বসে আজ গণভবনে। বৈঠকের শুরুতে জোটের নেতাদের স্বাধীনতার মূল্যবোধ এবং চেতনাকে অটুট রাখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, জাসদ একাংশের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারিসহ অন্যান্য শরিক জোটের নেতৃবৃন্দ।

;

‘উন্নয়ন হয়েছে ঠিক, কিন্তু একটা গোষ্ঠী সমগ্র অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশ উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে এতে কোন সন্দেহ নেই বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, কিন্তু ক্ষুদ্র একটা ধনিক গোষ্ঠী, সামরিক-বেসামরিক আমলা তারা এখন সমগ্র অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে গণভবনে ১৪ দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে বের হয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ১৪ দল আমরা এক সাথে আন্দোলন, নির্বাচন ও সরকার গঠন করেছি। ২০১৪ সাল পর্যন্ত কার্যকারভাবে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার থেকে শুরু করে সব কিছুতেই ছিলাম। ২০১৮ সালে এসে দেখলাম ১৪ দলের সরকার হয়ে গেলো আওয়ামী লীগের সরকার। তাহলে ১৪ দলের প্রাসঙ্গিকতা আর আওয়ামী লীগের কাছে নাই।

মেনন বলেন, আমাদের অভিজ্ঞতা হচ্ছে, এই সময়কালে রাজনৈতিকভাবে যখন সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ আসছে আমেরিকা ও মৌলবাদীদের পক্ষ থেকে সরকারের বিপক্ষে চাপ এসেছে আমরা ১৪ দল সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। এমনকি ১/১১ এর সময় যখন মাইনাস টু ফর্মুলা আসছে তখন কিন্তু আপনার দলে বিভ্রান্তি আসছে কিন্তু আমরা আপনার পাশে দাঁড়িয়েছি। আমরা বলেছি যে, আপনারাই এখন বলুন ১৪ দলের প্রাসঙ্গিকতা আছে কি নেই।

ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি বলেন, দেশে এখন উন্নয়ন হয়েছে, উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছি কোন সন্দেহ নেই কিন্তু ক্ষুদ্র একটা ধনিক গোষ্ঠী, সামরিক-বেসামরিক আমলা গোষ্ঠী তারা এখন সমগ্র অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে। আজকে অর্থপাচার নিয়ে যদি না বলি তাহলে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা যাবে না।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন এখন আমরা একটা উচ্চ বৈষম্যের দেশে পরিণত হয়েছি। এখন বৈষম্যের বিচারে ৪.৯৯ যেখানে আগে ২.২ পয়েন্ট ছিল। আরেক পয়েন্ট বাড়লেই আমরা উচ্চ বৈষম্যের দেশে চলে যাবো।

মেনন বলেন, হেফাজতের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি এখন দেখা যাচ্ছে হেফাজত আওয়ামী লীগের মধ্যে চলে আসছে, আমাদের শিক্ষাক্রম পরিবর্তন হচ্ছে। প্রাইমারি স্কুল থেকে ছেলেমেয়ে মাদরাসায় চলে যাচ্ছে।

মেনন আরও বলেন, ১৪ দল সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে লড়াই করছে। এখন ইনু সাহেব আগায়া আসছেন ঠিকই কিন্তু এদের মাথা থেকে লেনিনের ব্যাপারটা যায়নি।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, শেখ হাসিনা নিজেই আজকের বৈঠকে বঙ্গোপসাগরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘাঁটি গড়তে চাই বলে জানিয়েছেন। আজকে আমাদের রাষ্ট্র সম্পর্কিত বিষয়ে ও ভূখণ্ডে যাতে সমস্যা হয় তারা সেই চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা নিয়ন্ত্রণ চায় বাংলাদেশে, আমরা তাদের সেই প্রস্তাবে রাজি নই। এটা প্রধানমন্ত্রীর কথা আমাদের না।

মেনন আরও বলেন, ১৪ দলকে দলগতভাবে জায়গা না দিলে ঐক্যবদ্ধ থাকা সম্ভব না। এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করার কথাও বলেছেন জোট নেত্রী শেখ হাসিনা। বাইরের লোক মনে করে আমরা সরকারের সঙ্গে আছি ফলে আমাদের কথা সেভাবে গ্রহণযোগ্য হয় না। আমরা আমাদের মতো করে আমাদের জায়গা থেকে এই ইস্যুগুলো নিয়ে কথা বলতে চাই, এগিয়ে যেতে চাই তাহলে আমাদের ১৪ দলের ভারসাম্য জনগণের কাছে দৃশ্যম্যান হবে।

গত নির্বাচন সম্পর্কে আমরা স্পষ্ট বক্তব্য রেখেছি, ১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমাদের প্রার্থী দেওয়া হয়েছিল রাজশাহীতে কিন্তু সেখানে এবার আওয়ামী লীগ নৌকার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে লড়াই করলো।

তিনি আরও বলেন, হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতারা দাঁড়িয়ে তাকে হারানোর ব্যবস্থা করেছে, মাইজভান্ডারির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে ১৪ দলের নেতাদের যদি পাশে না নেন তাহলে আমাদের ঐক্যবদ্ধতা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। কিন্তু শেখ হাসিনা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন আমরা ঐক্যবদ্ধ ছিলাম এবং ঐক্যবদ্ধ থেকেই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।

;

আজকের পর ১৪ দলে আর দূরত্ব থাকবে না: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজকে সাড়ে তিন ঘণ্টা তাদের বক্তব্য শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যার যা বলার সবাই বিস্তারিত বলেছেন। এতে ১৪ দলের যে দূরত্বের কথাটা বলা হয় সেটা আর থাকবে না।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাতে গণভবনে ১৪ দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে বের হয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ১৪ দল নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রারম্ভিক বক্তব্যে সমসাময়িক বিষয়ক এবং অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির ব্যাপারে সবাই ঐক্যমত হয়েছেন। ১৪ দলের সবাই গাইডলাইন চেয়েছেন। তাদের (১৪ দল) নিজেদের দলগুলোকে আরও সংগঠিত করা, জনগণের কাছে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ১৪ দলকে এই মুহূর্তে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক মানবতাবোধকে এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

১৪ দলের সবাইকে নিজেদের দল গোছানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী গাইডলাইন দিয়েছেন জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের (১৪ দল) নিজেদের দলকে আরও সংগঠিত করার জন্য গাইডলাইন দিয়েছেন। ১৪ দলের নেতারা সমন্বিতভাবে আরও সুশৃঙ্খল ও সংগঠিত ঐক্য গড়ে তুলবেন এই ব্যাপারে অঙ্গীকার করেছেন।

;

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তালতলীতে বিএনপি নেতা বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
তালতলীতে বিএনপি নেতা বহিষ্কার

তালতলীতে বিএনপি নেতা বহিষ্কার

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনার তালতলীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ায় উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মিয়া মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাককে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (২২ মে) রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বহিষ্কৃত মিয়া মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক তালতলী উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান। আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।

বহিষ্কার করা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন তালতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে আপনাকে (মিয়া মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তা) নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হলো।

এ বিষয় মিয়া মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, দলীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটাকে আমি সাধুবাদ জানাই। আমি দলের নিবার্চন করি না, জনগণের নিবার্চন করি। তাই দল যেটা ভালো মনে করেছে সেটা করেছে।

এবিষয়ে বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেখেছি। দল যেটা ভালো মনে করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমারও সেটাকে সমর্থন করি। এর বাইরে আমাদের কোনো মন্তব্য নেই।

;