শান্ত ছাত্রলীগ, স্বস্তিতে আওয়ামী লীগ



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন ও সেক্রেটারী রব্বানি, ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন ও সেক্রেটারী রব্বানি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেপরোয়া আচরণের জন্য যে ছাত্রলীগকে নিয়ে দু:শ্চিন্তার অন্ত ছিলো না আওয়ামী লীগের, সেই ছাত্রলীগই এখন ‘স্বস্তি’ বয়ে আনছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে ‘শৃঙ্খলা ফিরে’ এসেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনটিতে।

সরকারের উন্নয়ন বার্তা নিয়ে তৃণমূলে পৌঁছানোর পাশাপাশি মানবিক আচরণের মধ্য দিয়ে জনগণের আস্থা অর্জনের দিকে মনোযোগ ছাত্রলীগের বর্তমান নেতৃত্বের। হারানো ইমেজ পুনরুদ্ধারে বর্তমান তাদের বেশ কিছু কর্মকাণ্ড বিভিন্ন মহলে প্রশংসাও কুড়িয়েছে। ছাত্রলীগ ‘শৃঙ্খলিত’ থাকায় আওয়ামী লীগ তথা সরকারের মধ্যেও স্বস্তি বিরাজ করছে।

 

বিগত এক দশকে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সেক্রেটারিদের কমিটি হওয়ার পরদিন থেকেই ঢাকায় বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে বসবাস করতে দেখা গেছে। সেখানে ব্যতিক্রম ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসিন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর এখনো হলের কক্ষেই থাকছেন।

শোভন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবেই হলে থাকছি। কেননা ছাত্রদের সংগঠনের নেতা হিসেবে যদি আমি ছাত্রদের সঙ্গে মিশি তবেই তারা আমাকে সম্মান করবে।’

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়ে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে মাঠে নেমেছেন গোলাম রব্বানি। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সবার আগে সংহতি জানিয়ে তিনি বিভিন্ন কলেজে ছুটে বেরিয়েছেন। সরকারের বার্তা তাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। আন্দোলনকে প্রশমিত করতে, বিএনপি-জামায়াতের পাতা ফাঁদে সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেন পা না দেয় সে জন্য ছাত্রলীগের বর্তমান নেতৃত্বের কৌশল পরবর্তীতে বিভিন্ন মহলে প্রশংসা কুড়ায়। দায়িত্ব পালনের অতীত অভিজ্ঞতা ও মানবিক গুণাবলির জন্য রব্বানিকে ছাত্রলীগের তৃণমূলের কর্মীরা ‘মানবতার ফেরিওয়লা’ বলেও ডাকে।

গোলাম রব্বানি বার্তা২৪কে বলেন, ‘নেতৃত্ব আমানতের মতো। দেশরত্নের দেওয়া আমানত রক্ষার চেষ্টা করব আমি। ছাত্রলীগের ইমেজ পুনরূদ্ধারে কাজ করে যাব।’

ছাত্রলীগের এক নম্বর ইউনিট হলো- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। বলা হয়ে থাকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শান্ত থাকলে বাংলাদেশ শান্ত থাকে। নির্বাচনের বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে শান্ত রাখার গুরু দায়িত্ব পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনের ওপর। তারা দু’জনেই আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। সৃজনশীল উপায়ে নিজেদের ‘ক্যারিশমা’ দেখানোর চেষ্টা করছেন তারা। ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল টিএসসিভিত্তিক প্রগতিশীল সংগঠনগুলোকে এক ব্যানারে আনতে তারা গঠন করেছে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ।’

এই ব্যানার থেকে সম্প্রতি ঢাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনকে স্বাগত জানাতে ৭ মার্চকে স্মরণ করতে ১৯৭১ ফুট দীর্ঘ ও ৭ ফুট চওড়া আলপনা আঁকা হয়েছিল। দৃষ্টিনন্দন সে আলপনা অনেকের নজর কাড়ে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যত্রতত্র ব্যানার ফেস্টুনের ব্যবহার, পড়ার পরিবেশ নষ্ট হয় এমন উচ্চ শব্দসম্পন্ন মাইকের ব্যবহার তারা নিষিদ্ধ করেছে। সম্প্রতি শুরু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। ভর্তি পরীক্ষায় আগত বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থীর সুবিধার্থে আবাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত, তথ্যকেন্দ্র স্থাপন, ফ্রি বাইক সার্ভিস, মেডিকেল টিম, সুপেয় পানির সরবরাহ নিশ্চিত করেছে। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাই স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা নিয়েছে, যা আগত নবীনদের মাঝে সংগঠনের ইতিবাচক ইমেজকেই বৃদ্ধি করেছে।

শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয় অন্যান্য ইউনিটেও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা শিক্ষর্থীবান্ধব নানা কর্মসূচি বাস্তাবায়ন করছে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দেশের প্রথম বোনস লাইব্রেরি স্থাপন করেছে। ১৫ সেট বোনস এবং এনাটমির প্রায় ১৩০টি বই নিয়ে যাত্রা শুরু করা ‘প্রফেসর ডাঃ মনসুর খলিল বোনস লাইব্রেরি’ চমেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। ময়মনসিংহের ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালেয়ে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আপেল মাহমুদ আপেলের উদ্যোগে স্থাপিত ‘জয় বাংলা’ ভাস্কর্য নজর কেড়েছে। সাম্প্রতিক বন্যা, ভূমিধ্বসসহ প্রাকৃতিক দুযোর্গে ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল দেখার মত।

সম্প্রতি মহাসড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিতে ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন স্থানে জেব্রা ক্রসিং একেঁছে, হেলমেট পরিধান করে মোটরসাইকেল চালানোর ক্যাম্পেইন শুরু করেছে। নিরক্ষরতা দূরীকরণে ‘স্বাক্ষরতা অভিযান’ শুরু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। অনলাইনে বিভিন্ন মহলের সরকারবিরোধী প্রোপাগান্ডার জবাব দিতে অনলাইনে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ছাত্রলীগ। ইতোমধ্যে সংগঠনের বেশ কিছু নেতা-কর্মী সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মশালায় যোগ দিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ‘বঙ্গবন্ধু সাইবার ব্রিগেড’ নামে একটি আইটি সেল গঠনের চিন্তাভাবনা চলছে।

গত দেড় মাস নেতিবাচক খবরের শিরোনামে ছাত্রলীগ না থাকায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মাঝেও স্বস্তি বিরাজ করছে। তারা চান ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের মধ্যদিয়ে ছাত্রলীগের ইমেজ পুনরুদ্ধারের এই যাত্রা অব্যাহত থাকুক। আওয়ামী লীগের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা আলাপকালে বার্তা২৪কে বলেন, দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা অনেক যাচাই-বাছাই করে এবার ছাত্রলীগের কমিটি করে দিয়েছেন। তাই তাদের কাছে সবার প্রত্যাশা অনেকে। এখন ছাত্রলীগ যেভাবে চলছে তাতে ইতিবাচক কিছু প্রত্যাশাই করা যায়।

তবে এই পথচলাতে শঙ্কার কথা জানিয়েছে ছাত্রলীগের কয়েকজন সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা। তারা বলেন, শোভন-রব্বানী কেবলমাত্র দায়িত্ব নিয়েছেন। কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ করাসহ যখন বিভিন্ন ইউনিট কমিটি গঠন করবে তখন তাদের মূল দক্ষতা কিংবা মুন্সীয়ানার পরিচয় পাওয়া যাবে। এখন কমিটির প্রত্যাশায় সবাই চুপচাপ আছে। কমিটি হওয়া শুরু করলেই গ্রুপিং, ঐক্যে ভাঙ্গন, সংঘর্ষ, ব্লেমগেম মোকাবেলার নানা চ্যালেঞ্জ তাদের সামনে আসবে।

উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের আড়াই মাস পর নানা নাটকীয়তা শেষে ৩১ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব নির্বাচন করেন। কেন্দ্রের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের কমিটিও ঘোষণা দেন তিনি। এর মধ্যদিয়ে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে থাকা কথিত ‘সিন্ডিকেট’ সংগঠনটির কর্তৃত্ব হারায়।

   

সরকারের ধারাবাহিকতায় দেশে এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের ধারাবাহিকতা এবং স্থায়িত্বতায় দেশে এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা একটা কথা কেউ বলি না, আজকের বাংলাদেশের এতো উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কেন? সরকারের ধারাবাহিকতা এবং স্থায়িত্বতার কারণে। এর কারণেই বাংলাদেশের এত উন্নয়ন ও অর্জন সম্ভব হয়েছে। এই কারণে বিশ্বের বিস্ময়ে রূপান্তরিত হতে পেরেছে বাংলাদেশ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতি আপনজন এই দেশের জনগণ। হতাশা কবলিত বাংলাদেশে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।

 সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করেছেন এটা সত্যি নয়: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, এটা সত্যি নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে তেজগাঁওয়ের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান পঁচাত্তরের পর আমাদের বিভিন্ন সামরিক বাহিনীর ১১শ' অফিসারকে নাস্তা খেতে খেতে ফাঁসি দিয়েছিলো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলেন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, এটা সত্যি নয়। ১১ হাজার স্বাধীনতা বিরোধী কারাগারে ছিলো, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে এদের মুক্তি দিয়েছিলো। যার মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিলো ৭১৩ জন। এদের মুক্তি দিয়েছিলো জিয়াউর রহমান। এই ইতিহাস ভুলে গেছেন? কথায় কথায় আজকে বলেন, কারাগার। আমি কি মিথ্যা বলেছি? জিয়াউর রহমান কি করেছিলো এর প্রমাণ আছে।

বিএনপি ২৮ অক্টোবর পালিয়ে গিয়ে এখন বেসামাল হয়ে এখন প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগকে আক্রমণ করছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, আমি তাদের বলতে চাই, মুক্তির কথা বলেন, লজ্জা করে না? জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগ সহ অন্যান্য দলের ৬২ হাজার নেতাকে জেলে রেখেছিলো। আপনাদের কতজন নেতা জেলে আছে? ৩ হাজার আমাদের নেতাকর্মীর ও সরকারি অফিসারদের গুম করেছিলেন জিয়াউর রহমান।

আমাদের নাকি প্রতিবেশী দেশ নিয়ন্ত্রণ করে, ফখরুল সাহেব শেখ হাসিনাকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। আমাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি জয় বাংলার চেতনা। দেশি বিদেশি কোন শক্তি নয়। আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে দেশের জনগণ, সংবিধান। এই সংবিধানের বাইরে আমরা যাবো না।

যত ষড়যন্ত্র করুক, বিদেশি শক্তির নামে হুমকি ধমকি দিতে পারেন। তিনি কোন বিদেশি শক্তির পরোয়া করেন না, শুধু বাংলাদেশের জনগণকে পরোয়া করেন।

শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের পূর্ব পৃথিবীর সূর্য, আশার বাতিঘর, স্বপ্নের ঠিকানা শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের গত ৪৪ বছরে সবচেয়ে সাহসী রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। গত ৪৪ বছরের সবচেয়ে বিচক্ষণ, সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক, সবচেয়ে জনপ্রিয়, সবচেয়ে সফল কূটনীতিক এর নাম শেখ হাসিনা।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;

‘শেখ হাসিনা মৃত্যুকে পরোয়া না করে প্রত্যয়ী হয়ে ফিরে এসেছেন’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

  • Font increase
  • Font Decrease

শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তাকে বারবার হত্যা চেষ্টার পরও তিনি দিশেহারা হননি। এ দেশের সাধারণ জনগণের পক্ষে তিনি সবসময় ছিলেন আপোষহীন। শেখ হাসিনা বাংলার মৃত্যুকে বেছে নিয়েছেন। কখনো মৃত্যুর ভয়ে লড়াই-সংগ্রাম থেকে পিছপা হননি। বরং আরও প্রত্যয়ী হয়ে বাংলার মানুষের কাছে ফিরে এসেছেন।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে তেজগাঁওয়ের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভার বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব উন্নয়ন দেখে বিএনপি এখন দিশেহারা। আর কিছু পরিত্যক্ত রাজনীতিবিদ আছেন, আজকে যারা নানা কথা বলেন। আমি না, অনেকে বলেন এগুলা খেকশিয়ালের গর্জন। গণতন্ত্রকে বিএনপি বাধাগ্রস্ত করতে চায় বলে সব নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজকে তারা কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না এমনকি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করছে না। যে অংশগ্রহণ করছে তাকেই বহিষ্কার করছে।

শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতায় পরিণত হয়েছেন মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি বিশ্ব নেতৃত্বের সমীহ অর্জন করেছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সহ বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধ বিগ্রহ হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে তিনি নিপীড়িত মানুষের কন্ঠস্বরে পরিণত হয়েছেন।

আওয়ামী লীগের কঠিন সময়ে, নিভু নিভু অবস্থায় এই দলের দায়িত্ব শেখ হাসিনা নিয়েছেন মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে তিনি সভাপতি হবার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি যেনো না আসতে পারেন সেদিন জিয়াউর রহমান অনেক ষড়যন্ত্র করেছিলেন। যেনো লোক সমাগম কম হয় সেজন্যও প্রতিরোধ করেছিলেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;

‘বঙ্গবন্ধু পোয়েট অব পলিটিক্স আর শেখ হাসিনা ম্যাজিক অব পলিটিক্স’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

'বঙ্গবন্ধু পোয়েট অব পলিটিক্স আর শেখ হাসিনা ম্যাজিক অব পলিটিক্স' বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে তেজগাঁওয়ের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

কাদের বলেন, বাংলাদেশের গত ৪৪ বছরের ইতিহাসে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর থেকে এই দেশের যে পরিবর্তন হয়েছে, এই পরিবর্তনের রূপান্তরের রূপকার হচ্ছেন শেখ হাসিনা। তিনি বদলে যাওয়া বাংলাদেশের সাহসী পরিবর্তনের রূপকার। বঙ্গবন্ধু পোয়েট অব পলিটিক্স আর শেখ হাসিনা ম্যাজিক অব পলিটিক্স।

সারা বিশ্বের বিস্ময় উন্নয়ন আর অর্জন যা শেখ হাসিনা করেছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, তার প্রত্যাবর্তন দিবসকে আমি বলবো মুক্তিযুদ্ধের হারিয়ে যাওয়া মূল্যবোধের প্রত্যাবর্তন। আদর্শের প্রত্যাবর্তন। আমাদের গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন। তিনি সংগ্রাম করে গণতন্ত্রকে শৃঙ্খল মুক্ত করেছেন।

নির্মলেন্দু গুণের কবিতা পঁচাত্তরের পরে সবচেয়ে বড় ভাষণ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সে কবিতা আমাদের চেতনাকে জাগ্রত করেছিলো। সেই আতঙ্কগ্রস্থ পরিবেশে আমাদের সাহস জুগিয়েছিলো, উদ্বেলিত করেছিলো

আমরা কেন আমাদের নিজেদের শত্রু হই। আপন ঘরে যারা শত্রু, তাদের শত্রুতা করার জন্য বাইরের শত্রুর দরকার হয় না। আজকে শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে শিক্ষা নিতে হবে। তার সততা, সাহস থেকে। সাহস আর সততায় বঙ্গবন্ধুর মতই শেখ হাসিনা।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;