ঐক্যফ্রন্টের মুখে হাসি নেই



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঐক্যফ্রন্টের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ, ছবি: সংগৃহীত

ঐক্যফ্রন্টের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নানা জল্পনা-কল্পনা ও নাটকীয়তা শেষে ৭ দফা দাবি ও ১১টা লক্ষ্য নিয়ে নিয়ে ক্ষমতাসীন সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানানে আত্নপ্রকাশ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। প্রবীণ আইনজীবী ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্ট আত্মপ্রকাশ করলে সেভাবে যাত্রা শুরু করতে পারেনি। উল্টো ফ্রন্ট নেতারা নানা বিতর্কিত বক্তব্য ও মামলা-মোকদ্দামায় জেরবার।

এরই মাঝে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বুধবার (২৪ অক্টোবর) সিলেটের রেজিস্ট্রি মাঠে দুপুর ২টায় সমাবেশ করতে যাচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সিলেটের সমাবেশকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সেখানকার রাজনীতি। সিলেটে ঐক্যফ্রন্টের অনেক নেতা বাধার মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। অন্যদিকে পুলিশও বেশ কঠোর অবস্থানে।

জাতীয় প্রেসক্লাবে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে গত ১৩ অক্টোবর ঐক্যফ্রন্ট আত্নপ্রকাশ করে। এর চারদিন আগে ৯ অক্টোবর বেসরকারি এক টেলিভিশন চ্যানেলে সেনাবাহিনী প্রধানকে নিয়ে অসত্য তথ্য দিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তার মন্তব্যের পর বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সেনাসদর থেকে ১০ অক্টোবর এক বিবৃতিতে জাফরুল্লাহর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে সেনাবাহিনীর প্রধান সম্পর্কে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্য ‘অসৎ ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত’উল্লেখ করে শুক্রবার (১২ অক্টোবর) রাতে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্যান্টনমেন্ট থানায় জিডি করেন সেনা সদরে দায়িত্বরত মেজর এম রকিবুল আলম। চাপের মুখে ১৩ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে সেনাপ্রধানের কাছে দু:খ প্রকাশ করেন তিনি। কিন্তু সেদিনও নিজের বক্তব্যের সংশোধন এনে আবারো সেনাপ্রধান সম্পর্কে ভুল তথ্য দেন তিনি। যাতে আবারো তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরপর ১৫ অক্টোবর আবারো তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আইএসপিআর থেকে প্রতিবাদ দেওয়া হয়। ওই দিন রাতেই ক্যান্টনমেন্ট থানায় একজন সেনা কর্মকর্তার করা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হিসেবে গ্রহণ করে তদন্তভার গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়। পরদিন ১৬ অক্টোবর ডা. জাফরুল্লাহর বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় চাঁদাবাজি ও জমি দখলের মামলা করেন জনৈক মোহাম্মদ আলী। ২০ অক্টোবর আশুলিয়া থানায় তার বিরুদ্ধে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে আরেকটি মামলা করেন হাসান ইমাম।

সমালোচনা ও মামলায় জাফরুল্লাহ চুপসে যান। কিন্তু তাতের শিক্ষা নেননি ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। বরং নতুন বির্তকের সৃষ্টি করেন ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন।

১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে বেসরকারি এক টেলিভিশনের টক শোতে লাইভে যুক্ত ছিলেন মইনুল হোসেন। এ সময় টকশোতে উপস্থিত সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি প্রশ্ন তাকে প্রশ্ন করেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আলোচনা চলছে, আপনি সদ্য গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করছেন কি না?’ মইনুল হোসেন এ প্রশ্নের জবাব দেওয়ার এক পর্যায়ে মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’বলে মন্তব্য করেন। লাইভ টকশোতে তার এমন মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। পরদিন ১৭ অক্টোবর মইনুল হোসেন মাসুদা ভাট্টিকে ফোন করে মন্তব্যের জন্য দু:খ প্রকাশ করেন ও টকশোর উপস্থাপকের কাছেও একটা চিঠি লেখেন। তারপর মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তৃতা-বিবৃতি দেয় বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন। শুধু তাই নয় দেশের বিভিন্ন স্থানে মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হতে থাকে। ২১ অক্টোবর ঢাকায় মাসুদা ভাট্টি নিজে মানহানির একটি মামলা করেন। একই দিন জামালপুর, কুমিল্লা ও কুড়িগ্রামে আরও তিনটি মানহানির মামলা হয়। এ ছাড়া সোমবার (২২ অক্টোবর) ভোলা, রংপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনটি মামলা হয়। অন্য মামলাগুলোতে আগাম জামিন নিলেও রংপুরের মামলায় ওইদিন রাতেই ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে মইনুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে ওইদিন বিকেলে মইনুল হোসেনকে তিরস্কার করে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে নারী সমাজকে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গ্রেপ্তার হওয়া মইনুল এখন কারাগারে আছেন।

একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্যে দেশব্যাপী সমালোচনা ও মামলা-মোকদ্দমায় ঐক্যফ্রন্টের দুই শীর্ষ নেতা জড়িত হওয়ায় এখন মুখে হাসি নেই নেতাদের মুখে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মইনুল হোসেনের মত ‘ক্ষমতাশালী’ব্যক্তি কারাগারে যাওয়ায় উল্টো দুশ্চিন্তা ভর করেছে কর্মীদের মধ্যে। সেই সঙ্গে ‘বিএনপি থেকে তারেক রহমানের নেতৃত্ব সরিয়ে দেওয়ার জন্য ড. কামাল হোসেনকে নিয়ে আসা হয়েছে’ব্যারিস্টার মইনুলের এমন মন্তব্যের অডিও রেকর্ড ফাঁস হওয়ায় বিএনপিতে দেখা দিয়েছে অস্বস্তি। এসব কারণে উদ্বিগ্ন শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

বিষয়টি নিয়ে এক বিবৃতিতে ঐক্যফোরামের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সব রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছে। যা প্রধানমন্ত্রীর চিন্তার অনুকূল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপে আমরা উদ্বিগ্ন। রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন অজুহাতে হয়রানি ও গ্রেপ্তার অনাকাঙ্ক্ষিত। এতে সুষ্ঠু রাজনীতির পরিবেশ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা আছে।

   

'বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনে এই সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে এসব কথা বলেন তিনি।

সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১০ বিলিয়নের নিচে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বনিম্ন। এখন বলা হয় ৩ মাসের আমাদানি করার মতো অর্থ থাকলেই নাকি যথেষ্ট। কিন্তু আমরা যতটুকু জানি আমদানি ব্যয় আগের তুলনায় অনেক কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন ৭/৮ মিলিয়নের জায়গায় ৪/৫ মিলিয়নে নেমে এসেছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অনেক বড় বড় কথা বলেন, তাকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিলো জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে আসেন। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে এসে পৌঁছালে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের ও পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

;

দেশের মানুষ বর্তমান সরকারের ওপর বিরক্ত: চুন্নু



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টি (জাপা) মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে। দেশের মানুষ বর্তমান সরকারের ওপর বিরক্ত।

শনিবার (১৮ মে) জাপার বনানী কার্যালয়ে জাতীয় পেশাজীবী পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি’র ওপর মানুষ আস্থা রাখতে পারছে না। কারণ, আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপি সফল হতে পারছে না। এই দুটি দলের বিকল্প হিসেবে সাধারণ মানুষ জাতীয় পার্টিকে বেছে নিতে চায়। আগামী দিনে জাতীয় পার্টির উজ্জল ভবিষ্যত আছে। তাই, জাতীয় পার্টিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।

পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান আকাশের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন সদস্য সচিব ডাঃ রাকিব। পেশাজীবী পরিষদের লেহাজ উদ্দিন, সাংবাদিক নিশাত শাহরিয়ার, অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম, মোঃ নুরুজ্জামান, সোয়াইব ইফতেখার, ডাঃ মোঃ আজীজ বক্তব্য রাখেন।

উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মোঃ খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ সেলিম, যুগ্ম দফতর সম্পাদক সমরেশ মন্ডল মানিক, কেন্দ্রীয় সদস্য শেখ মোঃ আবু ওয়াহাব।

;

সরকার বয়কটে ইসরায়েল-ভারতের পণ্য বয়কট হবে: আলাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ‘ইসরায়েল ও ভারতের পণ্য’ মন্তব‌্য করে বিএনপি'র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মুয়াজ্জিন হোসেন আলাল বলেছেন, এই সরকারকে যদি বয়কট করা যায়, তাহলে ইসরায়েল ও ভারতের পণ্যকে বয়কট করা হবে। তাই, এই আওয়ামী লীগ সরকারকে বয়কট করাই হচ্ছে, এখন সবচাইতে বড় কাজ।

শনিবার (১৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বাংলাদেশ সিভিল রাইটস সোসাইটি’-এর উদ্যোগে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে এক নাগরিক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আলাল বলেন, ‘দ্য হিন্দুস্থান টাইমস’-এ একটি খবর দেখলাম, ভারত থেকে ইসরায়েলকে দেওয়া অস্ত্র বহর ইউরোপের একটি দেশ স্পেন তাদের বন্দরে রাখার অনুমতি দেয়নি। তারা ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে সেই জাহাজকে।

একই সঙ্গে ইউরোপের অন্যান্য দেশকেও স্পেন বলেছে, ইসরায়েলকে সমরাস্ত্র দেওয়া বন্ধ করতে হবে এবং তারা নিজেরাও বন্ধ করেছে। অথচ আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ যেখানে লাখ লাখ মানুষ রক্ত দিয়ে একটি মানচিত্র অর্জন করেছে, সেখানে ইসরায়েলের থাবা প্রায় বসেছে। তা না হলে রাতের বেলায় গোপনে ইসরায়েল সংস্থার বিমান কীভা‌বে অবতরণ করে! ভারত থেকে ইসরায়েলকে অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে, সমর্থন করা হচ্ছে। স্পেনের মতো একটি দেশ এর প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু আমরা প্রতিবাদ করছি না!

তিনি বলেন, ভারত এত বড় আমাদের প্রতিবেশী একটি রাষ্ট্র অথচ ধীরে ধীরে বাংলাদেশের জনগণের মন থেকে তারা উঠে গেছে। ফেলানি তো কোনো মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিল না অথচ তার লাশ কাঁটাতারে ঝুলেছে। তাকে কেন কাঁটাতারে ঝুলতে হয়েছিল! প্রতিদিন ‘গরু পাচারকারী’ আখ্যা দিয়ে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, যেটা বিশ্বের অন্যান্য দেশের সীমান্তে হয় কি না আমাদের জানা নেই, একই অবস্থা আজ ইসরায়েল করছে ফিলিস্তিনিদের ওপর!

যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, মিয়ানমারের গণহত্যার বিপক্ষে আমাদের পক্ষে গাম্বিয়ার মতো দেশ আন্তর্জাতিক আদালতে বাদী হতে পারে, তাহলে আমরা কেন আজ ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে বাদী হতে পারবো না! আজ এ সরকার ভারতকে তোষামোদ করে নিজে ক্ষমতায় থাকার জন্য বিশ্বের সব মানবতাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিচ্ছে। সুতরাং, আমরা মনে করি, ইসরায়েল ও ভারতের পণ্য হচ্ছে, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার। এই সরকারকে যদি বয়কট করা যায়, তাহলে ইসরায়েলকে পূর্ণ বয়কট করা হবে; ভারতীয় পণ্যকেও বয়কট করা হবে। এই আওয়ামী লীগ সরকারকে বয়কট করাই হচ্ছে, এখন সবচাইতে বড় কাজ।

এ সময় সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

;

সরকারের ধারাবাহিকতায় দেশে এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের ধারাবাহিকতা এবং স্থায়িত্বতায় দেশে এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা একটা কথা কেউ বলি না, আজকের বাংলাদেশের এতো উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কেন? সরকারের ধারাবাহিকতা এবং স্থায়িত্বতার কারণে। এর কারণেই বাংলাদেশের এত উন্নয়ন ও অর্জন সম্ভব হয়েছে। এই কারণে বিশ্বের বিস্ময়ে রূপান্তরিত হতে পেরেছে বাংলাদেশ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতি আপনজন এই দেশের জনগণ। হতাশা কবলিত বাংলাদেশে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।

 সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;