পদযাত্রার আড়ালে বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাসের প্রস্তুতি নিচ্ছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি পদযাত্রার আড়ালে সহিংসতা ও অগ্নিসন্ত্রাসের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বিএনপি গুলশানে গুজবের কারখানা চালু করেছে। এখান থেকে সারাদেশে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, অসাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে গুজব ছড়াচ্ছে। অনলাইনে আজগুবি মিথ্যা কথা বলছে। এই গুজবের কারখানা বন্ধ করতে হবে।

শুক্রবার (১৯ মে) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এ শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিদেশিদের কাছে নালিশ করছে, লবিং করছে, টাকা ছড়াচ্ছে শেখ হাসিনাকে হটিয়ে দিবে - এটাই একমাত্র ষড়যন্ত্রের মূল কথা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপিই জনগণের রোষানলে পড়েছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে যারা পদযাত্রা করছে তাদের বিরুদ্ধে রোষানল করছে জনগণ।

দেশের মানুষ শেখ হাসিনার সাথে আছে। জনগণ শেখ হাসিনার উন্নয়ন দেখে মুগ্ধ বলে দাবি করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জিনিসপত্রের সাময়িক দাম বৃদ্ধির বিষয়টি শেখ হাসিনা জানেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, সারাবিশ্বে মুদ্রাস্ফীতি। পাকিস্তানে ৩৩ শতাংশ, আর্জেন্টিনায় ১০০ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি। আর বাংলাদেশে ৯ এর নিচে ধরে রাখতে পেরেছেন শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বিদেশে নালিশ করতে যাননি। দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য গেছেন। বিদেশ থেকে যথাযথ সহযোগিতার আশ্বাসও পেয়েছেন বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব, যতই লাফালাফি করেন, আপনাদের আন্দোলনের দিন শেষ। মানুষ ছাড়া আন্দোলন হয় না। মানুষ বুঝে গেছে মাজাভাঙা দল দিয়ে আন্দোলন হবে না। বিএনপি আন্দোলনের দল নয়- এটা সারাদেশে প্রমাণ হয়ে গেছে। আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনেও ব্যর্থ হবে এজন্য তারা এখন ষড়যন্ত্র করছে।

তিনি আরও বলেন, সংবিধানই বলে দিবে কিভাবে নির্বাচন হবে। বিদেশি বন্ধুদের বলব, বিএনপি যতই নালিশ করুক নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু, পক্ষপাতমুক্ত ও ঐতিহাসিক। এদেশ নিয়ে আপনাদের মাথা ঘামানোর দরকার নেই।

ফখরুল সাহেব আওয়ামী লীগকে অবৈধ দল, অনির্বাচিত সরকার বলে। আসলে বিএনপি অবৈধ দল। ৯ বছরে ফখরুল সম্মেলন ছাড়া মহাসচিব। তাদের দলের ভেতরই গণতন্ত্র নেই, দেশে গণতন্ত্র আনবে কিভাবে?

আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে বিজয়ী হবে আশাবাদ ব্যক্ত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা সত্যের প্রশ্নে আপোষ করেন না।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম, ডাক্তার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডাক্তার দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আফজাল হোসেন সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

   

আন্দোলনের মাধ্যমেই গণবিরোধী শক্তিকে পরাজিত করতে হবে : দুদু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

গণবিরোধী শক্তিকে পরাজিত করতে হলে আমাদের নিজেদেরকেই আন্দোলন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

বুধবার (২২ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত ধারাবাহিক প্রহসনের নির্বাচন ও বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ লেবার পার্টি। আলোচনা সভায় শামসুজ্জামান দুদু বলেন, অন্য কোনো দেশ আমাদের আন্দোলন করে দিয়ে যাবে এটা বিশ্বাস করার কনো কারণ নেই। গণবিরোধী শক্তিকে পরাজিত করতে হলে আমাদের নিজেদেরকেই আন্দোলন করতে হবে। বড়-ছোট সকল দলকে নিজ নিজ জায়গা থেকে আন্দোলন করতে হবে। দেশকে বাঁচাতে হবে।

বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান আরও বলেন, দেশে পরিপূর্ণভাবে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করে রাজনীতিকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য যে দেশ স্বাধীন হয়েছে সে দেশে এখন আর গণতন্ত্র নেই। এই সরকার দেশের সকল প্রতিষ্ঠানকে একটি দলের আওতায় নিয়ে এসেছে।

এসময় আলোচনা সভায় গণফোরামের মহাসচিব অ্যাড. সুব্রত চৌধুরী বলেন, একটা দানবীয় শক্তি রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে আছে। এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। সামনের কর্মসূচিগুলোতে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে। বাংলাদেশ ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছে। অরাজকতার বিরুদ্ধে বিপ্লব করে দেশকে বাঁচাতে হবে। আমরা আবার রাজপথ কাঁপাবো। সরকারের পতন ঘটাবো।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, শেখ মুজিবের আমলে দেশ যেমন ছিল আজকে তার কন্যার হাত ধরে দেশ সেদিকে যাচ্ছে। গত ১৬ বছরে আ. লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন জনগণ তার পছন্দের ব্যক্তিকে ভোট দিতে পারেনি। বিরোধী দলের কৌশল, দূরদর্শিতার অভাবে আ. লীগ এখনো ক্ষমতায় বসে আছে। বাংলাদেশ আরেকটা ফিলিস্তিন হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। আমেরিকার আশায় আন্দোলন করলে হবে না। আমাদের নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য নিজেদেরকে আন্দোলন করতে হবে।

বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশিদ হাবিব, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, ইসলামি জোটের প্রেসিডেন্ট মো.শওকত আমিন প্রমুখ।

;

আমরা গণতন্ত্রকামী মানুষ, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আমরা গণতন্ত্রকামী মানুষ, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি'র সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী। 

বুধবার (২২ মে) পল্টনে জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ফোরামের শান্তি শোভাযাত্রা শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, সত্যের পথে গৌতম বুদ্ধের আত্মনিবেদন স্মরণ করে স্বৈরাচার সরকার পতনে প্রত্যয় দীপ্ত হতে হবে। 

সরকারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, গৌতম বুদ্ধের যে বানী 'আত্মদীপ হও'- সেই অন্তরের আলোতেই আমরা চলি এবং চলতে চাই। এই চলায় কারও বাধা দেওয়ার কথা নয়। কিন্তু সরকার আজ আমাদের সমাবেশ করার অধিকার কেড়ে নিয়েছেন, মানুষের চলাচলের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন।

রিজভী বলেন, আগে জমিদাররা রাজনীতি করলে জমিদারী শেষ হয়ে যেত কিন্তু শেখ হাসিনা সরকার এখন দেশে এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছেন যে, ছাত্রলীগ করলে ২ হাজার কোটি টাকা পাচার করা যায়, যুবলীগ করলে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হওয়া যায়। আর এদিকে আমাদের কিভাবে চলতে হবে সে নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। সভা-সমাবেশ করতে গেলেও পুলিশের অনুমতি নিতে হয়। এই হচ্ছে বর্তমান অবস্থা।

গৌতম বুদ্ধের সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরে রিজভী আরও বলেন, গৌতম বুদ্ধের বাণী সর্বজনীন। কোন নির্দিষ্ট ধর্মের গণ্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। প্রতিটি দেশের সরকার যদি গৌতম বুদ্ধের বাণী অনুযায়ী মেনে চলত তাহলে কোনো ধরনের হানাহানি, হিংসা বিদ্বেষ, রাহাজানি থাকত না।

জাতীয়তাবাদী বুদ্ধ ফোরামের শান্তি শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী এবং সব বুদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বুদ্ধ পূর্ণিমার শুভেচ্ছা জানিয়ে রিজভী তার বক্তব্য শেষ করেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ ধর্ম সম্পাদক অমলেন্দু দাশ অপু, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ছাত্র যুবফ্রন্ট সভাপতি জয়দেব রায়, সদস্য সচিব প্রার্থ প্রতীম বড়ুয়া অপু প্রমুখ।

;

সরকার অসাধু কালোবাজারি সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি: ইরান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সরকার চরম ব্যর্থ বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, সরকার অসাধু কালোবাজারি ও মুনাফাখোর সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।

বুধবার (২২ মে) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বাংলাদেশ লেবার পার্টি ঢাকা মহানগর আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. ইরান বলেন, সরকার দলীয় লুটেরা সিন্ডিকেট চক্র দফায় দফায় মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনগণ চোখে সরষে ফুল দেখছে। চাল-ডাল-তেল-চিনিসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির অবস্থা শোচনীয়। গাড়িভাড়া, বাড়িভাড়া বৃদ্ধির কারণে মানুষের জীবন হাঁসফাঁস করছে। সরকার দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থপাচারে সফল হলেও দেশের জনগণের দুর্ভোগ, দুর্দশা নিয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় সরকারের কাছে জনগণের স্বার্থ উপেক্ষিত বলে মন্তব্য করে ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, সরকার ১০ টাকায় চাল, বিনামূল্যে সার এবং ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ক্ষমতা দখল করে সব ওয়াদা বেমালুম ভুলে গেছে। জনদুর্ভোগ সাধারণ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তকে পঙ্গু করে দিয়েছে। সরকারের এমপি-মন্ত্রী, আমলা ও দলীয় নেতাকর্মীরা দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থপাচার করে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস্তুপে পরিণত করেছে। জনগণ আওয়ামী দুঃশাসন ও লুটপাট থেকে বাঁচতে চায়।

মহানগর লেবার পার্টির সভাপতি এস এম ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদ হোসেনের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব আবদুর রহমান খোকন, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, মুফতি তরিকুল ইসলাম সাদী, মোহাম্মদ রুম্মান সিকদার, অর্থ সম্পাদক রাসেল সিকদার লিটন, মহিলা সম্পাদিকা নাসিমা নাজনিন সরকার, প্রচার সম্পাদক মনির হোসেন, ছাত্রমিশন সভাপতি সৈয়দ মো. মিলন ও প্রচার সম্পাদক হাফিজুর রহমান প্রমুখ।

;

‘অভিমান কাটাতে’ ১৪-দলের সঙ্গে বসছেন প্রধানমন্ত্রী



রুহুল আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক রাজনীতি প্রতিষ্ঠাকল্পে ২০০৫ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠন হয় ১৪-দলীয় জোট। তবে টানা ক্ষমতায় থাকার ফলে জোট-শরিকদের অবহেলা ও অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ নেতাদের অনেকের। সে ‘অভিমান কাটাতে’ বৈঠক ডেকেছেন জোটনেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আগামী বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে হবে এ বৈঠক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৪-দলের সমন্বয়ক-মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু।

১৪-দলীয় জোটের কোন বৈঠক না হওয়া ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরিকদের পরাজিত হওয়ার ফলে চরম ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দেয় দলগুলোর নেতাদের মধ্যে। তবে সে ক্ষোভ ও হতাশা কাটাতে জোটপ্রধান শেখ হাসিনার সঙ্গে বার বার দেখা করার চেষ্টা করে শরিকরা। অবশেষে সে সাক্ষাৎ পেয়ে সবার দৃষ্টি এখন প্রধানমন্ত্রীর দিকে।

বৈঠক বিষয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বার্তা২৪.কমকে বলেন, আগামী ২৩ মে প্রধানমন্ত্রী আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমরা সেখানে যাবো, সেখানে জোট নেত্রী কী বলেন, কী প্রস্তাব দেন সেটা আমরা শুনবো। পরবর্তীতে আমরা দলগতভাবে সিদ্ধান্ত নেবো।

বৈঠকের বিষয়ে জোট নেতারা প্রকাশ্যে কিছু বলতে না চাইলেও একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, জাতীয় নির্বাচনের পরে যেহেতু এটাই প্রথম বৈঠক তাই সেখানে আলোচনা করা হতে পারে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে জোটকে অবমূল্যায়ন করা বিষয়েও হতে পারে আলোচনা। আলোচনা হতে পারে রাজনীতির মাঠে জোটকে সক্রিয় করার প্রসঙ্গেও।

জানা যায়, গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে শরিকদের ভোটে ফলাফল বিপর্যয়ে চরম ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দেয়। যেখানে তিনটি দলকে মাত্র ৬টি আসনে ছাড় দেয় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। যার ৪টিতেই পরাজিত হন আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে। বাকি দুটি আসনে স্বল্প ভোটে জয়ী হন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য এ কে এম রেজাউল করিম।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধরাশায়ী হওয়ার পর আশা ছিলো সংরক্ষিত আসন ও মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া নিয়ে। সে আশাও পূরণ হয়নি জোট নেতাদের। সংরক্ষিত আসনে একটি আসন পেলেও মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি কেউ।

এর আগে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে আসন সমঝোতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ প্রত্যাশা করেছিলেন শরিকরা। তবে সাক্ষাৎ করতে পারেননি তারা। পরে দ্বাদশ সংসদে পরাজিত হওয়ার পর আবারও সাক্ষাৎ প্রত্যাশা করে আসছিলেন শরিক দলের নেতারা। অবশেষে সাক্ষাৎ পেয়ে জোট নেত্রীর নির্দেশনার অপেক্ষায় তারা।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী ও ১২-দলীয় জোটনেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে শরিকদের এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রতি দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে। সেই সাথে ১৪-দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, দলের উপদেষ্টামণ্ডলী ও সভাপতিমণ্ডলীর কয়েকজন সদস্যকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

বৈঠকে জোটনেত্রীর সঙ্গে কী বিষয়ে আলোচনা করবেন জানতে চাইলে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী বার্তা২৪.কমকে বলেন, সামনে ১৪-দল কীভাবে এগিয়ে যাবে, বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের আলোচনা হবে। এছাড়াও বৈঠকে আমাদের জোটনেত্রী কী প্রস্তাব দেন, কী বলেন তার ওপর ভিত্তি করে আমরা কথা বলব।

;