সরকারের সুর নেমে এসেছে: ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের জন্য ঘোষিত মার্কিন ভিসা নীতির কারণে আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সরকারের সুর নেমে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (২৯ মে) এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, বিএনপি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর চায়।

মার্কিন ভিসা নীতির কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা (আ.লীগ) ভিন্ন মোড়কে আবারও একদলীয় বাকশাল শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। কিন্তু মানুষ ভাবে এক, আর হয় আরেক।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য মাত্র কয়েকদিন আগে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা খুব উত্তেজনায় কাঁপছিলেন। কিন্তু এখন তাদের উত্তেজনা কমতে শুরু করেছে। তাদের সুর নেমে এসেছে। তারা এখন বলছে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে, কারণ তারা অশান্তি চায় না।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ইন্সটিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-এ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি।

এর আগে রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার আর কোনো অস্থিরতা ও সংঘাত চায় না; বরং জনগণের জীবনমান উন্নত করতে চায়।

ফখরুল বলেন, সরকার বিরোধী দলের বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে সহিংসতার উসকানি দিচ্ছে। তবে আমরা (বিএনপি) তাদের কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছি না।

তিনি বলেন, তাদের দল দীর্ঘদিন ধরে যে আন্দোলন করে আসছে তা চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেছে। আগামী নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে বলে দলের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন এই বিএনপি নেতা।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সংসদ ভেঙে দিতে হবে।

তিনি বলেন, আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে, কারণ দেশের জনগণ আপনাকে ক্ষমতায় রেখে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে মনে করে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।

ফখরুল আরও বলেন, আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায় যে দলীয় সরকারের অধীনে; বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কখনই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।

ফখরুল বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর চাই। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা সেই ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করতে চাই যেখানে জনগণ তাদের ভোট দিতে পারবে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে হঠাৎ করে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কে ফখরুল বলেন, এটা আশ্চর্যজনক। আমেরিকা থেকে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির পিছনে কী জাদু আছে? লোকে বলছে চোরেরা সেই টাকা ফেরত আনছে, যেগুলো তারা চুরি করে আমেরিকা পাচার করেছিল।

   

খালেদা জিয়াকে বিদেশ না পাঠালে গণভবন ঘেরাওয়ের ঘোষণা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে না পাঠালে গণভবন ঘেরাও করার হুমকি দিয়েছে রংপুর জেলা ও মহানগর বিএনপি। 

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় রংপুর মহানগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে এই হুমকি দেন তারা।

এ সময় বক্তারা বলেন, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠাতে হবে। সরকারকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে গনভবন ঘেরাও করা হবে। 

মহানগর আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, জেলা আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, মহানগর সদস্য সচিব সম্পাদক মাহফুজ উন নবী ডন, জেলা সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকুসহ বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। 

এর আগে বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসেন। সমাবেশ ও মিছিলের কারণে প্রায় দেড়কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজটের তৈরি হয়।

 

;

কারও নিষেধাজ্ঞা পরোয়া করি না: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ওবায়দুল কাদের

ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি ও নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশ চলবে সংবিধান অনুযায়ী। কোনো দেশের নিষেধাজ্ঞা মানি না। ৭১ সালে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আমাদের হারাতে পারেনি, আজও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে শেখ হাসিনাকে থামানো যাবে না। আমরা কারও নিষেধাজ্ঞা পরোয়া করি না।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কেরানীগঞ্জে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা কেউ শোনে না। ভেনিজুয়েলা, গ্যাবন, সুদান কেউ শোনেনি। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাও প্রথম সারির মোড়ল অনেক দেশ মানে না। নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আমরা পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দেব। আস্তে আস্তে অন্ধকার কেটে যাবে, কুয়াশা কেটে যাবে। 

কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ কারও কাছে মাথা নত করবে না। বিএনপি কীভাবে ঢাকা দখল করে তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে আওয়ামী লীগ। লাল সবুজের পতাকা নিয়ে আওয়ামী লীগ সারা দেশ দখল করবে।

তিনি বলেন, আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দেয়, আর নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখায় বিএনপি। কি আশ্চর্য! মনে হয় আমেরিকা বিএনপিকে ভয় দেখানোর এজেন্ট দিয়েছে। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের ক্যাপ্টেন (শেখ হাসিনা) আমেরিকায় আছেন, বাংলাদেশে আসলে খেলা হবে। মির্জা ফখরুল ইসলামের চোখে কত কান্না। সামনে আরও কান্না আছে। মির্জা আব্বাসসহ কিছু মানুষ চাঁদ রাতের স্বপ্ন দেখে। আপনাদের স্বপ্ন বেলুনের মতো চুপসে যাবে।

হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো কর্মীর গায়ে আঘাত করলে পাল্টা আঘাত করা হবে। কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না। এবার ফাইনাল খেলা হবে। কেরানীগঞ্জের মানুষ সংগ্রাম করতে জানে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়ার আমলে ঘনঘন লোডশেডিং হতো। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য ৪৮ ঘণ্টা আল্টিমেটাম দিয়েছে বিএনপি। কিন্তু ৪৮ মিনিটও দাঁড়াতে পারেনি ফখরুল ইসলাম আলমগীররা। খালেদা জিয়ার অসুস্থতার চেয়ে রাজনীতি করছে বেশি।

বিএনপির উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, খেলা হবে জোরদারভাবে। ফাইনাল খেলার জন্যে রেডি হয়ে যান। নভেম্বর প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা হবে। 

ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ এমপির সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান তরুনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আযম, বিদুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এমপি, কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি সাকুর হোসেন, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ম ই মামুন, হাজি ইকবাল হোসেন প্রমুখ।  

;

ভূ-রাজনীতিতে বিএনপি ছাগলের তিন নম্বর ছানা: তথ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভূ-রাজনীতিতে বিএনপি ছাগলের তিন নম্বর ছানা: তথ্যমন্ত্রী

ভূ-রাজনীতিতে বিএনপি ছাগলের তিন নম্বর ছানা: তথ্যমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'ভূ-রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বিএনপি ছাগলের তিন নম্বর ছানা।'

একইসাথে তিনি বলেন, 'দেশের গণমাধ্যমকর্মীরা মনে করে, গণমাধ্যমের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি প্রয়োগ স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপের শামিল।'

মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহী শহরের পাঠানপাড়ায় বাংলাদেশ আওয়ামী যুব লীগের রাজশাহী মহানগর ও জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সম্মানিত অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির উদ্দেশে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'আপনারা ভাবছেন এভাবে লাফালাফি করে আপনারা ক্ষমতায় যেতে পারবেন! আজকে ভূ-রাজনীতিতে বিএনপি হচ্ছে ছাগলের তিন নম্বর ছানা। যারা বাতাস দিয়ে আপনাদেরকে লাফাতে দিচ্ছে তারা আপনাদের দুধ দেবে না। ছাগলের তিন নম্বর ছানা যেমন দুধ পায় না আপনারাও পাবেন না। সুতরাং এতো লাফালাফি করে লাভ নেই।'

'আগামী মাসে রাজনীতির ফাইনাল খেলায় আমরা আওয়ামী লীগ যাবো না, যুবলীগকে পাঠাবো' উল্লেখ করে হাছান বলেন, 'আমরা আমাদের ফার্স্ট টিম পাঠাবো না, সেকেন্ড টিম পাঠাবো। প্রয়োজনে মহিলা আওয়ামী লীগকেও পাঠাবো। বিএনপিকে বলবো, উনাদের সাথে আগে খেলেন। তারপর প্রয়োজনে আওয়ামী লীগ আপনাদের সাথে খেলবে।'

সতর্কবাণী দিয়ে তিনি বলেন, 'তবে বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো, ফাইনাল খেলার আগে আপনাদের খেলোয়াড়েরা দলে থাকে কি না, না কি দল বদল করে ফেলে, সেটি একটু খেয়াল রাখবেন। ফাইনাল খেলার আগেই যদি আপনাদের খেলোয়াড়েরা দল বদল করে ফেলে তাহলে ফাইনাল খেলতে পারবেন না।'

রাজশাহী অঞ্চল বিএনপি আমলে সন্ত্রাসের জনপদে রূপান্তরিত হয়েছিলো উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান বলেন, 'এখানকার বাংলা ভাই, শায়খ আব্দুর রহমান পুরো দেশকে সন্ত্রাসের অভয়রাণ্যে রূপান্তরিত করেছিলো। ওরা বলে, বিএনপি-তারেক রহমান আবার আসবে। আর এলে তিনি কি করবেন, আবার হাওয়া ভবন, খোয়াব ভবন বানাবেন। আবার একযোগে ৫শ’ জায়গায় নয়, ৫ হাজার জায়গায় বোমা ফুটবে। আর সারাদেশে বাংলা ভাই সৃষ্টি হবে। বাংলাদেশ পাকিস্তান, আফগানিস্তানের পর্যায়ে যাবে। আমরা সেটি হতে দিতে পারি না।'

;

'যেখানে বাধা, সেখানেই প্রতিরোধ করা হবে'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
আঘাত আসলে পাল্টা আঘাত করতে হবে

আঘাত আসলে পাল্টা আঘাত করতে হবে

  • Font increase
  • Font Decrease

শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেব না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।

তিনি বলেন, তারা (সরকার) আবারো বিগত নির্বাচনের মত আরেকটি নির্বাচনের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। কিন্তু শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেব না। আগামী নির্বাচন হতে হবে নিরপক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। আগামী ৫ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ রোডমার্চ কর্মসূচিতে সরকার যদি বাধা দেয় তাহলে যেখানে বাধা, সেখানেই প্রতিরোধ করা হবে। আঘাত আসলে পাল্টা আঘাত করতে হবে।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে আগামী ২ অক্টোবর ঢাকায় কৃষক দলের মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কৃষক দলের প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক এড. রবিউল হাসান পলাশ ও মহানগর কৃষক দলের আহবায়ক মোঃ আলমগীরের পরিচালনায় প্রস্তুতি সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান। 

এসময় মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, বিএনপি'র প্রতিটি কর্মসূচিতে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হচ্ছে। জনগণ যেভাবে রাস্তায় নেমেছে এই সরকারকে বিদায় নিতেই হবে। আর যারা ভোট চুরি, গুম, খুন ও মিথ্যা মামলার সাথে জড়িত ছিল জনগণ তাদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। এ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত জনগণ প্রয়োজনে দিনের পর দিন রাজপথে বসে থাকবে। তাই বর্তমান অবৈধ সরকারের মন্ত্রীরা এখন ভয়ের মধ্যে আছে। কখন না জানি কী হয়ে যায়। সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা আবোল তাবোল কথা বলছে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কথা বললে লুটপাটে ব্যস্ত আওয়ামী সরকার সংবিধানের দোহায় দিচ্ছে। 

তিনি বলেন, ইতিপূর্বে বিএনপি ও জিয়া পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু কর্তৃত্ববাদী সরকার এতে কোনো কর্ণপাত করেনি। এমনকি খালেদা জিয়ার পরিবারের লিখিত আবেদনেরও কোনো গুরুত্ব দেয়া হয়নি। প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে আইনের অপব্যাখ্যা দিয়ে বারবার তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। সরকারের নিষ্ঠুরতার শিকার হয়ে বয়স্ক এই নারী উন্নত চিকিৎসার অভাবে আজ মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ এক সময় অনেক লম্বা লম্বা কথা বলত। কিন্তু এখন তাদের সুর নরম হয়ে এসেছে। কয়েকদিন আগেও প্রধানমন্ত্রী বলেছিল আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে আমেরিকায় যাব না। কিন্তু তিনি এখন আমেরিকায় গিয়ে বসে আছেন। আমেরিকায় গিয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, আমার ছেলের টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে তো কি হয়েছে? কিন্তু এখন সে টাকা উদ্ধার করার জন্য তদবির করছেন। কিন্তু কোনো তদবিরে কাজ হবে না। বাংলাদেশের জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, এ সরকারকে তারা আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। ৯৪ সালে আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে ১৭৩ দিন হরতাল করে দেশে অগ্নি সন্ত্রাস করেছিল। আর এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বললে তাদের গায়ে চুলকানি আসে। এখন শেখ হাসিনার যেনতেন প্রকারে আরেকটি নির্বাচন করে ৫ বারের প্রধানমন্ত্রী হবার খায়েশ জেগেছে। কিন্তু দেশের জনগণ সেটা হতে দিবে না। 

সভাপতির বক্তব্যে শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, আওয়ামী লীগের এখন শেষ সময়। তাদের পৃথিবীর ছোট হয়ে এসেছে। তারা লাগাতর অন্যায় অত্যাচারের একটা হিমালয় পাহাড় তৈরি করেছে। লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। শত শত নেতাকর্মীদের গুম করেছে। এসবের বিচার হবে। সময় কিন্তু এসে গেছে। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে লাল কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে। আওয়ামী লীগের দলীয় ক্যাডাররা এখন শেখ হাসিনাকে বুদ্ধি দিচ্ছে, আমরা বিএনপিকে ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করে দেব। আপনি শুধু বিদেশীদের সামলান। তাই শেখ হাসিনা এখন শুধু বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। হাতে পায়ে ধরে আরেক বার ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছে। কিন্তু কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। 

 

;