আমরা আর বেলতলায় যাব না: মির্জা ফখরুল
নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা আর বেলতলায় যাবে না
তিনি বলেন, মানুষ আজ ভোট দিতে যায় না। আপনারা ২০১৪ সালে ভোট দিয়েছেন, ২০১৮ সালে দিয়েছেন? কেউ দিতে পারেননি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এবার নির্বাচনের আগে মানুষকে বলছেন, দেখো আমরা কত ভালো হয়ে গেছি। তারা নির্বাচনের আগে একটু সহানুভূতি দেখাচ্ছেন। এ যেন ‘ভূতের মুখে রাম রাম’। মানুষ হাসবে না কাঁদবে। ন্যাড়া কি একবার বেলতলায় গেলে পরে আর যায় না, কারণ গেলে তার মাথা ফাটবে। আমরা কি বারবার বেলতলায় যাব। সুতরাং আমরা এ অবস্থায় আর বেলতলায় যাব না। ওরা আমাদের বেলতলায় নিয়ে যেতে চায়।
রোববার (১৬ জুলাই) চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিকদলের মেহনতী শ্রমিক জনতার মহাসমাবেশে প্রধান অথিতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম একটি ঐতিহাসিক স্থান এখান থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করে জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়েছেন। এখানে তিনি জীবনের শেষ সময় অতিবাহিত করেছেন, প্রীতিলতার এই চট্টগ্রামের মানুষ অবৈধ লুটেরা সরকারকে কি বার্তা দিতে চায় তা সারা বিশ্বে পৌঁছে দিতে হবে।
তিনি বলেন, বন্দুক দিয়ে, হুমকি দিয়ে ভয় দেখিয়ে আর কাজ হবে না। অনেক অপরাধ করেছেন, জুডেশিয়াল কিলিং করেছেন, ১ লাখ ২৪ হাজার মামলা দিয়ে ৪০ লাখ নেতাকর্মীকে আসামি করেছেন। কেউ ক্ষমতায় চিরস্থায়ী থাকতে পারেনি। নমরুদ, ফেরাউন এমনকি এরশাদ স্বৈরাচারী কায়দায় ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকতে ব্যর্থ হয়েছেন। আপনিও (শেখ হাসিনা) পারবেন না। ক্ষমতার এ মসনদ কারো জন্য পার্মান্টেট নয় মানে মানে সরে পড়েন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে একটি বকধার্মিক দল। বক যেমন পুকুুর জলশয়ের ধ্বারে এক পায়ে বসে থাকে মাছ ধরার জন্য, তারাও (আওয়ামী লীগ) সুযোগের অপেক্ষায় বসে থাকে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। তারা এখন বলে বেড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের অধীনে নাকি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সবাই যেন নির্বাচনে অংশ নেয়। আসলে আওয়ামী লীগের চরিত্রই ভালো না। আর নির্বাচন কমিশন হচ্ছে একটা ‘ঠুটো জগন্নাথ’, তাদের কোন ক্ষমতা নেই। আওয়ামী লীগ যা বলে তা বাস্তবায়ন করে।
শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আমাদের বলে তাদের অধীনে নাকি ভোট দিতে হবে। ২০২১ সালে শেখ হাসিনা আমাদের ডেকে বলেন নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, সবাই ভোট করতে পারবেন। সবাইকে বলেন ভোট করতে, আমি কোনও বাধা দেবো না। আমরা ভাবলাম, বোধ হয় শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। আগের রাতে ভোট হয়ে গেলো। এখন আবার বলছে আমরা সুন্দর ভোট করবো। আমাদের অধীনেই ভোট হবে। ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন হবে। তাদের কী আবদার!
আগের বার তারা ইলেকশনের আগে জনগণকে বলেছিল নির্বচিত হলে ঘরে ঘরে চাকরি দেবে, ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে। চাকরিতো কেউ পায়নি বরং ঘরে ঘরে বেকার বেড়েছে, চাউলের কেজি ৯০ টাকা হয়েছে। এ সরকার যতদিন থাকবে মানুষের দুর্ভোগ তত বাড়বে। তাই ভালো ভালোই পদত্যাগ করে মানুষকে মুক্তি দিন, না হয় জনগণ তাদের হারানো ভোটাধিকার আদায় করে নিতে বাধ্য হবে।