‘হিরো আলমের ওপর হামলা গণতন্ত্রের নামে আ. লীগের তামাশা’
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলাকে গণতন্ত্রের নামে তামাশা বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এতে প্রমাণিত হয়েছে আওয়ামী লীগ কীভাবে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, হামলার ঘটনা আবারও প্রমাণ করেছে যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না।’
সোমবার (১৭ জুলাই) খুলনা ডাকবাংলা চত্বরে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত তারুণ্যের খুলনা বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কতটা দেউলিয়া হয়ে গেছে তা ভাবাই যায় না। তাই অরাজনৈতিক হিরো আলমকেও ভয় পায়।
ফখরুল বলেন, ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকলেও ভোটের সময় আলম একটি ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিলেন। তখন আওয়ামী লীগের কুখ্যাত ক্যাডাররা তাকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, নির্দয়ভাবে মারধর করে ভোটকেন্দ্রের বাইরের রাস্তায় ফেলে দেয়।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, হিরো আলমের মতো একজন অরাজনৈতিক প্রার্থীকে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের মারধরের পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, বাংলাদেশে তারা কী মজার দৃশ্য তৈরি করেছে! এই সরকার গনতন্ত্রের নামে ও নির্বাচনের নামে তামাশা করছে। তারা (আ.লীগ নেতা) আবার বলবে যে গণতন্ত্র তাদের হাতে সবচেয়ে নিরাপদ এবং তারা অতীতে ভালো নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছিল।
ফখরুল বলেন, মোহাম্মদ আলী আরাফাত একজন অধ্যাপক, ড. (পিএইচডি) এবং একটি থিঙ্ক-ট্যাঙ্কের প্রধান। সেখানে আওয়ামী লীগের হাইভোল্টেজ প্রার্থী ছিলেন তিনি, যদিও সেখানে কোনো শক্তিশালী রাজনৈতিক প্রার্থী ছিল না।
তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন এবং বাংলাদেশের মানুষ তাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটু ভিন্নভাবে চেনেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনের ঘটনার পরও আওয়ামী লীগ বলবে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য হবে। তিনি বলেন, আমাদের বক্তব্য সোজা বর্তমান সরকারের আমলে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।
ফখরুল আরও বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না বলে ফের পুনর্গঠন করতে হবে। হিরো আলমের মতো প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে তারা।