২৮ অক্টোবরের মধ্যে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে: গণতন্ত্র মঞ্চ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

২৮ অক্টোবরের মধ্যে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে: গণতন্ত্র মঞ্চ

২৮ অক্টোবরের মধ্যে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে: গণতন্ত্র মঞ্চ

যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশ করবে বিরোধী দলগুলো। এই সময়ের আগে সরকারকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। তা না হলে জনগণ ২৮ তারিখের পর সরকারকে গলায় গামছা বেঁধে নামাবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, অন্তবর্তী সরকারের অধীনে নির্বাচন ও সংবিধান সংস্কারের মাধ্যমে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের এক দফা দাবিতে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়েজিত গণসমাবেশে জোটের শীর্ষ নেতারা এই আহ্বান জানান।

বিজ্ঞাপন

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উনি নাকি বিরোধী দলকে রাস্তা দখল করতে দেবেন না। পিপিলীকার পাখা গজায় মরিবার তরে। ওদের আবার পাখা গজিয়েছে। গত ১৫ বছরের শাসনে এই সরকার দেশটাকে জাহান্নাম বানিয়েছে। ওদের কাছে যদিও বেহেস্ত মনে হয়। হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করল তো তাদের কাছে বেহেস্তই মনে হবে। আর আমাদের পেটে দোজখের আগুন জ্বলে। এই সরকারকে এমনভাবে ডুবিয়ে দিতে হবে, যাতে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। এরা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। দুনিয়ার সবাই এটা বলছে। সবাই আমাদের পক্ষে আমরা এই আন্দোলনে জিতবো।

সভাপতির বক্তব্যে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, দুর্গাপূজায় যদি কোনো অঘটন ঘটে এর দায় দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। আপনারা (সরকার) মনস্থির করেন, কীভাবে পদত্যাগ করে অন্তবর্তীকালীন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। আগামী ২৮ অক্টোবর বিরোধী দলগুলোর মহাসমাবেশ আছে। এর আগেই মনস্থির করেন- তা না হলে ৯০ এর গণঅভ্যূত্থানের মতো জনগণ আপনাদের গলায় গামছা বেঁধে ক্ষমতা থেকে নামাবে। আরেকটি শাপলা চত্বর করতে গেলে জনগণ সেটি প্রতিহত করবে। জনগণ আর ভয় পায় না। তাই জনগণের দাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ করুন।

বিজ্ঞাপন

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আমরা রাজপথে যখন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি, তখন সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, ২০১৩ সালে যেভাবে হেফাজতের আন্দোলনে অ্যাকশনে গিয়েছেন, সেভাবে বর্তমানে চলমান বিরোধী দলের আন্দোলনেও যাবেন। এ সমস্ত হুমকি দিয়ে বিরোধী দলের আন্দোলনকে প্রতিহত করা যাবে না। মানুষ রাজপথে নেমে এসেছে, আপনাদের পাল্টা ধাওয়া দেওয়া শুরু করেছে। তারা লুটের টাকা রক্ষা করার জন্য পাহারা বসাতে চায়। কোনো পাহারা দিয়ে সরকারকে রক্ষা করা যাবে না। দেশে দুর্ভিক্ষ শুরু হওয়ার আগে এই সরকারকে বিদায় দিতে হবে। আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের মতো অবস্থা বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে। এই যুদ্ধ গণতন্ত্রের, ভোটাধিকারের। যারা এই যুদ্ধে অংশ নেবে না, তারা পরবর্তীতে আফসোস করবে। এই যুদ্ধে বিজয় অর্জন করতে না পারলে ভোটাধিকার ফিরে আসবে না।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব বলেন, এদেশের মানুষ অনেকদিন ভোট দিতে পারে না। নিজেদের অধিকারের কথা বলতে পারেনা। জাতীয় সংসদের কতজন সংসদ সদস্য ভোটে নির্বাচিত? আজ রাষ্ট্রপতি চিকিৎসার জন্য বিদেশ যান। অথচ সাবেক প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারেন না। এই বৈষম্য কেন? আমাদের এক দফা এক দাবি এই সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন। আমরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবো।

গণসমাবেশ শেষে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।