বিএনপি’র অবরোধের আওতায় যা থাকছে
প্রায় আট বছর পর আবারও অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। রোববার (২৯ অক্টোবর) এক অনলাইন প্রেস ব্রিফিংয়ে তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ। বিএনপি’র এই অবরোধ কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়েছে সমমনা দলগুলোও।
ঘোষিত এই অবরোধ কর্মসূচি কেমন হবে সেই ধারণা দিয়ে রিজভী বলেন, ‘অবরোধ পালিত হবে সারাদেশে সর্বাত্মকভাবে। এর আওতায় থাকবে রেলপথ, রাজপথ এবং নৌপথ।’ গণমাধ্যমকে তিনি জানান, ‘অবরোধ বলতে তারা সারা বাংলাদেশে সব ধরণের চলাচল বন্ধ করাকেই বুঝিয়েছেন। এমনকি শহরের ভেতরেও সব ধরণের চলাচল বন্ধ থাকবে।”
তবে দলের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, মূলত: যোগাযোগ ব্যবস্থাটাই থাকবে অবরোধের আওতায়। অফিস, আদালত, দোকানপাট এর আওতায় নেই।
অবরোধের ঘোষণায় রিজভী আহমেদ বলেন, ‘দেশে চলমান বিচারহীনতা, সীমাহীন দুর্নীতি, অপশাসন, অনাচার-অর্থপাচার ও সিন্ডিকেটবাজির ফলে দ্রব্যমূল্যের অব্যাহত ঊর্ধ্বগতিতে বিপর্যস্ত জনগণের জীবন-জীবিকা রক্ষার স্বার্থে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আয়োজিত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে হামলা-নেতাকর্মীদের হত্যা, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি, হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং এক দফা দাবি লক্ষ্যে আগামী ৩১শে অক্টোবর, ১লা ও ২রা নভেম্বর ২০২৩ দেশব্যাপি সর্বাত্মক কর্মসূচি পালন করা হবে।’
সুনির্দিষ্ট জরুরি যানবাহন চলাচল নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে কিনা জানতে চাইলে সোমবার সকালে (৩০ অক্টোবর ২০২৩) বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এটা তো বলার অপেক্ষাই রাখে না। অ্যাম্বুলেন্স, গণমাধ্যমের গাড়ি- এসব আওতামুক্ত থাকবে।’
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করার পর ২০১৫ সালে ওই নির্বাচনের ১ম বর্ষপূর্তিতে টানা তিন মাস হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি৷ একটানা হরতাল-অবরোধ চলতে থাকলে এক পর্যায়ে এই কর্মসূচি কার্যকারিতা হারিয়ে ফেললে এপ্রিলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এ কর্মসূচি স্থগিত করেন। এর পর দীর্ঘদিন পর রোববার ফের অবরোধের মতো কর্মসূচি ঘোষণা করল দলটি।