রওশন এরশাদের বাসায় রুদ্ধদ্বার সভা



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘনিষ্ঠ সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ এমপি। যে কোনো পরিস্থিতিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে আবারও দৃঢ় মতামত ব্যক্ত করেছেন।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রওশন এরশাদের গুলশানের বাসায় অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় শুরু হয়ে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলা বৈঠকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে মতামত দিয়েছেন উপস্থিত নেতারা। এতে অবশ্য রওশন এরশাদের অনুসারী নেতারাই শুধু অংশ নিয়েছিলেন।

বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, রওশন এরশাদ নেতাদের জানিয়েছেন শিগগিরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে। তারপর পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার থেকেই গুঞ্জন চলছে রওশন এরশাদ ও জিএম কাদের যে কোনো সময় যৌথভাবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সেখানেই হয়ত দেবর-ভাবির মধ্যে একটি সমঝোতা আসতে পারে। বিশেষ করে আসন ভাগাভাগি ও মনোনয়ন প্রশ্নে একটি সিদ্ধান্ত আসবে।

বৈঠকে অংশ নেওয়া নেতার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, রওশন এরশাদ খুবই আত্মবিশ্বাসী অবস্থানে রয়েছেন। তিনি মনে করছেন, জিএম কাদেরসহ সকলেই নির্বাচনে আসবে। এর মধ্যে সংশয় দেখছেন না তিনি।

বৈঠকে জাতীয় পার্টির কিছু নেতার বক্তব্য তুলে ধরেন দু’একজন নেতা। তারা বলেন, আপনাকে (রওশন এরশাদ) নিয়ে অনেক আপত্তিকর কথা বলেছে। তাদের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। জবাবে রওশন এরশাদ বলেন, এসব বিষয় ধরলে চলবে না, তারাও আমাদের পার্টির নেতা। সবাইকে নিয়েই রাজনীতি করতে হবে।

বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ম্যাডাম (রওশন এরশাদ) বলেছেন, যে কোনো পরিস্থিতি হোক জাতীয় পার্টি নির্বাচনে থাকবে। আমাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি নেওয়া এবং প্রার্থীদের নিজ নিজ আসনে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন।

কখন থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম ছাড়া হবে। এমন প্রশ্নের জবাবে গোলাম মসীহ্ বলেন, আমরা পার্টির চেয়ারম্যানের বিষয়টি এখনও পরিষ্কার না। তার অবস্থান দেখে সিদ্ধান্ত নিতে চাই। তবে তিনি না এলেও রওশন এরশাদের নেতৃত্বে আমরা নির্বাচনে থাকছি।

বৈঠকে অংশ নেওয়া জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সবাইকে নিয়েই নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী রয়েছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা।

পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ নির্বাচনে এক পা দিয়ে রাখলেও। পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এখনও নির্বাচন প্রশ্নে কোনো মতামত দেন নি। তিনি নির্বাচন প্রশ্নে ভেবে চিন্তে পা ফেলতে চান। সময়ক্ষেপণ করে দেখতে চান অন্যকিছু ঘটে কিনা। বিশেষ করে আমেরিকার দৌড় ঝাপের দিকেও নজর রাখছে দলটি। অনেকেই ২০১৪ সালের নির্বাচনের আলামত দেখতে পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

২০১৪ সালে নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিল করার পর হঠাৎ করেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করে রওশনের নেতৃত্বে ৮৭ জন প্রার্থী নির্বাচনে থেকে যান। একাধিক প্রেসিডিয়াম সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছিলেন বিশাল ক্ষমতা ও ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তিনি নেতাদের নির্বাচনে যাওয়া ঠেকাতে পারেন নি, জিএম কাদের সে তুলনায় কিছুই না। অনেক নেতাই চান যে কোনোভাবে এমপি নির্বাচিত হতে।

সর্বশেষ ১৪ নভেম্বর জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় জিএম কাদের বলেন, ”আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে যাবে কি না তা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে নানাভাবে দুর্বল করার চেষ্টা করেছে। যখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিতে যাই, তখনই পিছুটান আসে। কিন্তু সরকার দল ভাঙতে পারছে না। আমার অনুরোধ, যে সিদ্ধান্ত নেব, সবাই সে সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন। হয়ত সবার মতামতের প্রতিফলন নাও হতে পারে। রাজনীতিতে আবেগের মূল্য দিলে পথভ্রষ্ট হতে হবে, বাস্তবতাকে মূল্য দিতে হবে।’’

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ১৬ নভেম্বর বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, ‘‘আমরা এখন পর্যন্ত নির্বাচন প্রশ্নে কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারি নি। আরও তিন-চার দিন পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নিতে চাই। আমরা মনে করছি আলাপ আলোচনার মাধ্যমে একটি নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হবে।’’

   

স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে আওয়ামী লীগের সৃষ্টি: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন, অঙ্গীকার ও শপথ সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সৃষ্টি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (২৩ জুন) আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ এই দেশের বৃহত্তম ও প্রাচীনতম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। আমরা এক কথায় বলতে পারি, সংগ্রাম, সাফল্য ও সংস্কৃতির বর্ণিল প্রতিবাসের নাম আওয়ামী লীগ। দুটি পর্বে আমাদের এই সংগ্রাম, আন্দোলন, অর্জন উন্নয়নকে যদি ভাগ করি একটি অংশে স্বাধীনতা। স্বাধীনতার অবিসংবাদিত নেতা কেন্দ্রাতীত শক্তি হচ্ছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পলাশীতে যে সূর্য অস্তমিত হয়েছিলো ১৯৪৯ সালে সে সূর্য আবার উদিত হয়েছিলো। উদিত হয়েছিলো স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন, অঙ্গীকার ও শপথকে সামনে রেখে।

তিনি বলেন, জনগণের কণ্ঠে প্রতিধ্বনিত হয়ে প্রতিরোধের দাবানল ছড়িয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনার নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আমরা মৃত্যুর মিছিলে দাঁড়িয়ে জীবনের জয়গান গাই। আমরা ধ্বংসস্তুপের উপর দাঁড়িয়ে সৃষ্টির পতাকা উড়ায়।

সেতুমন্ত্রী বলেন, সংগ্রাম, আন্দোলন মুক্তি সব কিছুর কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার হাতেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এর পর একাত্তরের ৭ মার্চ যা বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ স্বাধীনতা বিজয়ী আমরা হয়েছি কিন্তু আমাদের মুক্তির স্বপ্ন তখনো বাস্তবায়িত হয়নি। বঙ্গবন্ধুর হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তির যে সংগ্রাম তা ব্যহত হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে জিয়াউর রহমান নিঃশেষ করে দিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ, স্বাধীনতার আদর্শ সব কিছুই আঘাতে আঘাতে জর্জরিত। ঐতিহাসিক ৭ জুন ছিলো না, ৭ মার্চ ছিলো না। বঙ্গবন্ধু ছিলেন নিষিদ্ধ। জয়বাংলা ছিলো নিষিদ্ধ। তখন মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি ঘুরে বেড়াতো বুক ফুলিয়ে জিয়াউর রহমানের আশ্রয় ও প্রশ্রয়ে। কারাগারে চার নেতার হত্যাকাণ্ডের মাস্টার মাইন্ড ছিলেন জিয়াউর রহমান।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়ার পরে এরশাদ, এরশাদের পর বেগম খালেদা জিয়া একুশ বছর ধরে আমরা অন্ধকারে ছিলাম। একুশ বছর ধরে আমাদের গণতন্ত্র ছিলো নির্বাসনে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিলো। বিজয় ও স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বিজয়ের নায়ক, স্বাধীনতার স্থপিতকে বাদ দিয়ে উদযাপন করা হতো।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার ছয় বছর পর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অন্ধকারে আশার আলো হয়ে এসেছিলো। শেখ হাসিনা বাংলাদেশে এসেছিলেন বলেই গণতন্ত্র শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছে। তিনি এসেছিলেন বলেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পুনরুত্থান হয়েছে। গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন ঘটেছে। তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ছিলো স্বাধীনতার আদর্শের প্রত্যাবর্তন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অর্জন বাংলাদেশের জন্য সারা পৃথিবীতে এক গৌরবোজ্জল অধ্যায় রচনা করেছেন। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে বিশ্বব্যাংককে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন আমরাও পারি। আমাদের সামর্থ্যের প্রতিক, আমাদের সক্ষমতার প্রতিক এই পদ্মা সেতু নিজের টাকায় করেছেন।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকায় মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, পায়রা সমুদ্রবন্দর, মাতারবারি গভীর সমুদ্র বন্দর, স্যাটেলাইট, ৬৮ বছরের সীমান্ত সমস্যা, সীট মহল সমস্যার সমাধান এসব অর্জন বঙ্গবন্ধুর কন্যার।

আওয়ামী লীগের ৭৫ বছরে অর্জন কি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের অর্জনের কথা আমরা বলবো না। ৭৫ বছরে আমাদের অঙ্গীকার হচ্ছে, আমরা আমাদের রক্তের মূল্যে অর্জিত বিজয়কে সুসংহত করবো। আমাদের চলার পথে প্রধান বাধা বিএনপি, মুক্তিযুদ্ধের নামে এরা ভাওতাবাজি করে। আমাদের সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী শক্তি আমাদের অভিন্ন শত্রু। এই অভিন্ন শত্রু বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। আমাদের আজকে শপথ এই অভিন্ন শক্তিকে পরাজিত করতে হবে। পরাভূত করতে হবে। আমাদের বিজয়কে আমরা সুসংহত করবো। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার অভিমুখে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণ করবো।

প্রধানমন্ত্রীর দিল্লির সফর নিয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী যা নিয়ে এসেছেন সেটা নিয়ে এখনো বিশ্লেষণ হয়নি। প্রধানমন্ত্রী দিল্লি গিয়ে গঙ্গার পানির কথা ভুলে যাননি। বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণে এখানে যা বলার দরকার কোনো কিছু বলতে সংকোচ করেননি। ভুলে যাননি।

;

আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (২৩ জুন) সকাল সাতটায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে এ শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় প্রথমে প্রধানমন্ত্রী ও পরে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা।

এর আগে আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তীতে সূর্যোদয়ের সময় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

সকাল সাড়ে ১০টায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধিদল শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করবে।

প্রতিনিধিদলের সদস্যরা হলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক বেগম শামসুন্নাহার, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।

এছাড়াও ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে। এরপর দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। এ সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন। এ সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, আমন্ত্রিত অতিথিসহ দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা অংশ নেবেন।

;

সংগ্রাম, সাফল্য আর অর্জনে আওয়ামী লীগের ৭৫ বছর



রুহুল আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বিজাতি তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে ১৯৪৮ সালে দেশ ভাগ হয়ে গঠন হয় পাকিস্তান। নতুন দেশে একক আধিপত্ত্ব মুসলিম লীগের। তবে সেখানে উপেক্ষিত ছিলেন সোহরাওয়ার্দী-আবুল হাশেম নেতৃত্বাধীন বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের অনুসারী প্রোগ্রেসিভ (উদারপন্থী) নেতারা। অন্যদিকে এক উপনির্বাচনে মুসলিম লীগ প্রার্থীকে হারিয়েও মওলানা ভাসানী এবং শামসুল হকের ফলাফল অবৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। পরে এই দুই দলের মিলনেই গঠন হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ এর।

মুসলিম লীগের এই উপেক্ষিত নেতারা ও মওলানা ভাসানী এবং শামসুল হকের নেতৃত্বে আরেকটি দল তখন নতুন দল গঠনের পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী মওলানা ভাসানী কে সভাপতি আর ইয়ার মোহাম্মদ খান কে সাধারণ সম্পাদক করে একটি সভা ডাকার প্রস্তুতি কমিটি করা হয়। তারা একটি সভা ডাকেন কিন্তু সভা করার জন্য কোনো অডিটরিয়াম পাচ্ছিলেন না।

পরে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন কে এম দাস লেনের কাজী হুমায়ুন রশীদ তার মালিকানাধীন রোজ গার্ডেনে সভা করার আহবান জানান। সেদিন বিকালে আড়াইশো-তিনশো লোকের উপস্থিতিতে নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। সেখানে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী দলের নাম প্রস্তাব করেন। সেই প্রস্তাব অনুযায়ী দলের নামকরণ করা হয় 'পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ'। পুরো পাকিস্তানের ক্ষেত্রে নাম রাখা হয় 'নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ'।

সেখানে সে নতুন দলের জন্য ৪০ জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়। সে প্রথম কমিটির সভাপতি হন মওলানা ভাসানী। সহ-সভাপতি হন আতাউর রহমান খান, আলী আমজাদ খান, আহমেদ আলী খান, শাখাওয়াত হোসেন ও আবদুস সালাম খান।

সাধারণ সম্পাদক হন শামসুল হক। ট্রেজারার হন ইয়ার মোহাম্মদ খান, যার মালিকানাধীন রোজ গার্ডেনে প্রথম সভার আয়োজন হয়। তখন শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারে আটক থাকলেও তাকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

অপরদিকে ‘নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ এর সভাপতি করা হয় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী -কে।

সেদিন শুরু হওয়া সে দলটি নানা সংকটাকীকির্ণ পথ চলতে চলতে আজ ৭৫ বছরে পা রেখেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধসহ গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক নানা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে দলটি। সাম্প্রদায়িকতা থেকে বের হয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯৫৫ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিলে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়।

দেশের অন্যতম পুরনো, অসাম্প্রদায়িক, সর্ববৃহৎ ও বাঙালির জাতীয় মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। সেই আওয়ামী লীগের হাত ধরেই শুরু হয় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার প্রথম কাজ। যার নেতৃত্ব দেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালের নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ তথা সশস্ত্র জনযুদ্ধের মাধ্যমে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন সবখানেই যে দলটি নেতৃত্ব দিয়েছে সেটি আওয়ামী লীগ। এছাড়াও ১৯৫৪ সালের আইয়ুবের সামরিক শাসন-বিরোধী আন্দোলন, ’৬৪-এর দাঙ্গার পর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা, ’৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন ও ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান সবখানেই ছিলো দলটির একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ। যার নেতৃত্ব দেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ধাক্কা খায় আওয়ামী লীগ। তবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে তা কাটিয়ে উঠে দীর্ঘ একুশ বছর লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৯৬ সালে আবারও ক্ষমতায় আসে দলটি। যার নেতৃত্বে ছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরবর্তীতে ২০০১ সালের নির্বাচনে হেরে গেলেও বিএনপি-জামাত জোট সরকারের অপশাসন, দমন পীড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং অগণতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ ‘দিন বদলের সনদ’ঘোষণা দিয়ে ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটে পুনরায় বিজয় অর্জন করে এবং সেই থেকে টানা ৪ বার নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করে।

গত ১৫ বছরে দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন সাধন করে একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত উন্নয়নের সুফল প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছে। এছাড়াও জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচারের রায় কার্যকর করা, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা এবং রায়ও কার্যকর করা, সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ করার মত বিভিন্ন সফল উদ্যোগ নেয় দলটি।

এসব কিছুই করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর গত ৪ দশকেরও বেশি সময় ধরে সফলভাবে এই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। তার নেতৃত্বেই দলের নেতাকর্মীরা পেয়েছেন উৎসাহ-উদ্দীপনা। সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ হয়েছে সমৃদ্ধ। স্বৈরতন্ত্রের চৌহদ্দি পেরিয়ে গণতন্ত্রের স্বাদ পেয়েছে বাংলার জনগণ। কালের বিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের পথ পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বাপ্নিক অভিযাত্রী বাংলাদেশ।

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। তার দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের ফলে অনেক ত্যাগ আর রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতি ফিরে পেয়েছে ‘ভাত ও ভোটের অধিকার। শুরু হয় গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা। সুশাসন, স্থিতিশীল অর্থনীতি, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, উন্নয়নে গতিশীলতা, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষার প্রসার, স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণ, কর্মসংস্থান, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, খাদ্য নিরাপত্তা, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে করেছেন যুগান্তকারী উন্নয়ন। বিশ্বের বুকে একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ।

আওয়ামী লীগ তার জন্মলগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত জনগণকে তার শক্তির উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সংগঠনের শক্তির উৎস করেছে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের। তাই আওয়ামী লীগের ইতিহাস, বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ্বল অর্জন ও সংগ্রামের ইতিহাস।

আওয়ামী লীগের ২৩ জুন ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী (প্লাটিনাম জয়ন্তী) উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে ১০ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। যারমধ্যে রয়েছে, রোববার (২৩ জুন) সূর্য উদয় ক্ষণে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন।

সকাল ৭ টায় ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বরস্থ ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। সকাল সাড়ে ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সমাধিতে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের একটি প্রতিনিধি দল শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন: সভাপতিম-লীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ এমপি, সভাপতিম-লীর সদস্য শাজাহান খান এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী এমপি, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক বেগম শামসুন্নাহার এমপি, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা এমপি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।

এদিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে। এরপর দুপুর ২ টা ৩০মিনিটে আলোচনা সভা ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করনে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস-ঐতিহ্য নিয়ে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন উপযোগী কর্মসূচির মাধ্যমে জাঁকজমকপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করার জন্য আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের জেলা/মহানগর, উপজেলা/থানা, পৌর/ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড শাখাসহ সকল স্তরের নেতা-কর্মী সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

;

দেশব্যাপী সিপিবির বিক্ষোভ ২৬ জুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে আগামী ২৬ জুন বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। শনিবার (২২ জুন) সিপিবির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহীন রহমান ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

দুঃশাসন হটাও, ব্যবস্থা বদলাও, দুর্নীতি-লুটপাটের শেকড় উপড়ে ফেলো, পাচারের টাকা ফেরত আনো, খেলাপি ঋণ উদ্ধার করো, বামপন্থার পথ ধরো, দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও– এসব দাবিতে কর্মসূচিটি পালন করা হবে।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে ওই দিন বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে সমাবেশ হবে।

বিবৃতিতেদ, উল্লিখিত দাবি এবং স্থানীয় মেহনতি মানুষের বাঁচার দাবিতে দেশের সব জেলা-উপজেলায় বিক্ষোভ সংগঠিত করার জন্য দলের সংশ্লিষ্ট সব শাখার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

;