দেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ: এস এম কামাল



রুহুল আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

২৩ জুন রোববার আওয়ামী লীগ তার ৭৫ বছর পূর্তি প্লাটিনাম জুবিলি উদযাপন করবে। এই ৭৫ বছরে দলটি তার মূল লক্ষ্যে কতটা অটুট আছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থেকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যন্ত কতটা পরিবর্তন হয়েছে, দলটির ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জই-বা কী, এমন নানান বিষয় নিয়ে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে একান্তে কথা বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বার্তা২৪.কমের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট রুহুল আমিন।

সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, বাংলাদেশ, আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ও অভিন্ন। তাই, আওয়ামী লীগের যে স্বপ্ন নিয়ে প্রতিষ্ঠা, সে স্বপ্ন পূরণে এখনো কাজ করে যাচ্ছে দলটি। সেখান থেকে এক বিন্দুও সরেনি। এখন সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক টালমাটাল অবস্থায় বাংলাদেশ পড়লেও তা কাটিয়ে উঠতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছে।

বার্তা২৪.কম: আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য হিসেবে দলটির ৭৫ বছরে এসে আপনার অনুভূতি কী?

এস এম কামাল হোসেন: বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগে ৭৫ বছর বয়সে এসে আমি একজন সংসদ সদস্য হয়েছি, এটা আমার বড় প্রাপ্তি। বাংলাদেশের যা অর্জন, তা হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। সে দলের একজন কর্মী হিসেবে কাজ করার যোগ্যতা অর্জন করেছি, সে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে কাজ করতে পারছি, এটা একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমার কাছে বিশাল পাওনা।

আমি এই কারণে মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি। আমি বঙ্গবন্ধু কন্যার কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি আমাকে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক করেছেন এবং মহান সংসদে একজন সংসদ সদস্য হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।

পাকিস্তান হওয়ারি আগেই বঙ্গবন্ধু ভেবেছিলেন পাকিস্তান এই বাঙালির কোনো স্বার্থ সংরক্ষণ করবে না। পরবর্তীতে সেটা প্রমাণিত হয়েছে। পাকিস্তানের দুঃশাসন, নির্যাতন, তাদের উপনিবেশ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। মানুষ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে তাদের অকুণ্ঠ সমর্থন ব্যক্ত করেছে।

বার্তা২৪.কম: যে আদর্শ নিয়ে দলটির পথ চলা ৭৫ বছর বয়সে এসে সেই আদর্শ কতটা দলটির মধ্যে আছে?

এস এম কামাল হোসেন: আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল একটি অসাম্প্রদায়িক একটি স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য, একটি স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য।
একটি স্বাধীনতার জন্য মানুষ স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারেনি।

বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের মাধ্যমে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন। বঙ্গবন্ধুহীন বাংলাদেশের আবার আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে, বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, বঙ্গবন্ধু উপন্যাস শেখ হাসিনা সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কণ্টকাকীর্ণ পথ অতিক্রম করে, সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে সে লক্ষ্যের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।

বার্তা২৪.কম: আওয়ামী লীগের ৭৫ বছর বয়সে সবচেয়ে বড় অর্জন কী?

এস এম কামাল হোসেন: আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অর্জন স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠা করা। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখন বাংলাদেশ একটি ‘উন্নয়নশীল দেশ’, ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্টবাংলাদেশ’ নির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছে, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে চেষ্টা করে যাচ্ছে। এগুলো আওয়ামী লীগের অর্জন।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আজকে পদ্মাসেতু হয়েছে। পদ্মানদীর উপর দিয়ে আজকের ট্রেন চলছে, যা মানুষ কখনো আগে ভাবেননি। কর্ণফুলী টানেল হয়েছে। সমুদ্র বিজয় হয়েছে। সীমান্ত চুক্তি হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর যারা ২৮ বছর ক্ষমতায় ছিল তারা কেউ সীমান্ত চুক্তি করেনি। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে আজকের সীমান্ত চুক্তি হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি করেছেন। আজকে দেশ স্যাটেলাইটের যুগে প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশের যা কিছু অর্জন, তা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। আওয়ামী লীগের অর্জন, শেখ হাসিনার অর্জন, বঙ্গবন্ধুর অর্জন অভিন্ন!

বার্তা২৪.কম: বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগে কোনো পার্থক্য দেখেন কি না!

এস এম কামাল হোসেন: আমি বিন্দুমাত্র কোনো পার্থক্য দেখি না। আওয়ামী লীগের যে নীতি-আদর্শ, তা থেকে এক চুল পরিমাণও বঙ্গবন্ধু কন্যা সরে আসেননি। দলের নেতাকর্মীদের কারণেই বিতর্কিত হতে পারে কিন্তু আওয়ামী লীগের যে লক্ষ্য অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি, মানুষের অন্য, বস্ত্র, বাসস্থান, লেখাপড়া, চিকিৎসা সে লক্ষ্য থেকে আওয়ামী লীগ এক চুলও সরে আসেনি।

অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের যে লক্ষ্য, সাম্প্রদায়িকতামুক্ত বাংলাদেশ, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, সাম্যের বাংলাদেশ সেখান থেকে এক বিন্দুও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরে যাননি।

বার্তা২৪.কম: ৭৫ বছরের আওয়ামী লীগের সামনে কী কী চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে আপনি মনে করেন?

এস এম কামাল হোসেন: বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে, সে সংকটের বাইরে কিন্তু বাংলাদেশও নয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াটা হচ্ছে, আমাদের চ্যালেঞ্জ! আমাদের জন্য উচিত, বঙ্গবন্ধু কন্যার চোখের ভাষা বুঝে তিনি যা চান, সেভাবে নিজেদের তৈরি করা। সন্ত্রাস, মাদকমুক্ত, জঙ্গিবাদমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ার দেখছেন তিনি। আমাদের জন্য উচিত হচ্ছে, তা বাস্তবায়নে নিজেদের প্রস্তুত করা।

বার্তা২৪.কম: অনেকেই বলে থাকেন, আওয়ামী লীগে নেতা আছেন, কর্মী নেই। এই বিষয়টাকে আপনি কীভাবে দেখছেন?

এস এম কামাল হোসেন: এটা বলার জন্য বলা। আওয়ামী লীগ কর্মীনির্ভরশীল দল। আওয়ামী লীগ তৃণমূল কর্মীদের দল। আওয়ামী লীগ জনগণের দল। শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন, জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা ছাড়া ক্ষমতায় থাকা যায় না। সে কারণে জনগণের জবাবদিহিতায় বিশ্বাস করেন। সেটা বিশ্বাস করেন বলেই আজকে শেখ হাসিনা বয়স্ক ভাতা দিচ্ছেন। বিধবা ভাতা দিচ্ছেন। যাদের ঘর নেই, তাদের ঘর দিচ্ছেন, জমি দিচ্ছেন। শেখ হাসিনা যা স্বপ্ন দেখেন, আওয়ামী লীগের নীতি-আদর্শের ভিত্তিতে স্বপ্ন দেখেন।

আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালের ইস্তেহার দিয়েছে। ২০১৮ সালের ইস্তেহার দিয়েছে। ২০২৪ সালেও ইস্তেহার দিয়েছেন। ২১০০ সাল বদ্বীপ পরিকল্পনা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা হবে তাই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য। আমাদের ঘোষণাপত্রে যা যা আছে, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সেটা বাস্তবায়ন করার জন্য আজকে কাজ করছেন।

বার্তা২৪.কম: দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে জনগণের মাঝে জনপ্রিয়তা কমে। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ টানা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। তাহলে এখন জনপ্রিয়তা বেড়েছে না কি কমেছে?

এস এম কামাল হোসেন: আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কমেনি। শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা কমেনি। আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা এক ও অভিন্ন। শেখ হাসিনার জনপ্রিয় বৃদ্ধি পাওয়া মানে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়া। কোথাও কোথাও ব্যক্তিগত কারণে আওয়ামী লীগ বিতর্কিত হতে পারে। ক্ষোভ-বিক্ষোভ হতে পারে ওই ব্যক্তির প্রতি কিন্তু তৃণমূল নেতাকর্মীদের শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস আছে। সাধারণ মানুষেরও আস্থা ও বিশ্বাস আছে।

বার্তা২৪.কম: তৃণমূলে অনেক ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক শক্তি পারিবারিক হয়ে গেছে। এটা ৭৫ বছরের আওয়ামী লীগের জন্য কতটা যুক্তিসঙ্গত?

এস এম কামাল হোসেন: ব্যক্তির আচরণ, ব্যক্তির বিনয়ের ওপর ভিত্তি করে তৃণমূলের কর্মীরা অনেক ক্ষেত্রে রাজনীতি করেন। সেখানে দেখতে হবে, ব্যক্তির আচরণটা কী! ব্যক্তির কারণে কি দল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নাকি ব্যক্তির কারণে নেতাকর্মীরা শান্তি পাচ্ছেন। ব্যক্তির কারণে দলে কর্মীর সংখ্যা বাড়ছে।

এখানে দুটোই আছে। কারো কারো কারণে দল শক্তিশালী হচ্ছে আবার কারো কারো কারণে দল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটা হচ্ছে, এটা আমি অস্বীকার করি না।

দলের ৭৫ বছর বয়সে আমার অনুরোধ হচ্ছে, এখানে আমরা কেউ অপরিহার্য না। এখানে একজনই অপরিহার্য। দেশের জন্য শেখ হাসিনা, দলের জন্যও শেখ হাসিনা! প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ২৪ ঘণ্টা মানুষের জন্য পরিশ্রম করছেন, আমাদের কাজ হচ্ছে, সেটা মানুষের কাছে বলা। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে যে কাজ করছেন তিনি, সেখানে আমাদের সহযোগিতা করা উচিত।

দুর্নীতি বন্ধে ব্যবস্থা নিলে শেখ হাসিনা মাহাথিরকে ছাড়িয়ে যাবেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাংক লুট, বিদেশে অর্থপাচার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, যদি এই অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় তবে শেখ হাসিনা মালেশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদকেও ছাড়িয়ে যাবেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেট অধিবেশনে সাধারণ আলোচনায় তিনি এই মন্তব্য করেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে প্রশ্ন উত্থাপন করে সরকার দলীয় এই সংসদ সদস্য বলেন, দুর্নীতি না করলে ওই বেনজির, ছাগল কাণ্ডের অফিসাররা কেন আইনকে ভয় পান। দেশ থেকে কেন পালিয়ে যান? তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

সাম্প্রতিক বিভিন্ন দুর্নীতির খবর গণমাধ্যমে প্রকাশকে ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ইদানিং যে সমস্ত ঘটনাগুলো ঘটছে আমি বিশ্বাস করি এগুলো ষড়যন্ত্রের অংশ। জাতীয় ও আন্তজার্তিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে হঠাৎ করে কিছু দুর্নীতিবাজ, সাবেক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কিছু কিছু প্রচার-প্রপাগান্ডা হচ্ছে, আমার কেন, সকল মানুষের কাছে এটা সন্দেহ হয়।

পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও কাস্টমস কর্মকর্তা মতিউর রহমানের প্রসঙ্গ টেনে কামরুল ইসলাম বলেছেন, যদিও জাতীয় ও আন্তজার্তিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এই সমস্ত দুর্নীতির কথা হঠাৎ করে উঠে আসছে। তারপরও এ কথা স্বীকার করতেই হবে, যাদের বিরুদ্ধে আজকে অভিযোগ, তারা কেন আইনকে ভয় পায়? আইনকে ভয় পেয়ে বিদেশে কেন চলে যায়? আজ বেনজীর সাহেব, ছাগলকাণ্ডের কর্মকর্তারা কেন আইনকে ভয় পায়? আইনকে ভয় পায় বলে মনে হচ্ছে তারা দুর্নীতিগ্রস্ত। তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেগুলো সত্য। এটা ষড়যন্ত্রের অংশ। কিন্তু তারপরও তাদের ভূমিকায় এগুলো সত্য বলে প্রতীয়মান হয়।

সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী টানা চতুর্থবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। আমি বিশ্বাস করি তিনি মালেশিয়ার মাহাথির মোহাম্মদকেও ছাড়িয়ে যাবেন। যদি দুর্নীতি, ট্যাক্স লুটেরা ও অপকর্ম যারা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। বিশ্বাস করি আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আবার সরকার গঠন করতে পারবেন।

তিনি বলেন, এখনই সময় এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার। আমরা রাজনীতি যারা করি, আমাদের লজ্জা হয়, এই সমস্ত লোকদের ব্যাংক লুটেরা বা যারা এসব কাজ করছে তাদের দেখে।

এমপি কামরুল ইসলাম বলেন, আবারও বলতে চাই, বিশ্বের অন্যতম সৎ রাষ্ট্র নায়ক আমাদের প্রধানমন্ত্রী। আমাদের দেশে ব্যাংক লুটেরা, অর্থ পাচারকারীরা এবং এই সমস্ত দুর্নীতিবাজরা আমাদের গায়ে চুনকালী মাখাতে পারে না। তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই যেমনি ভাবে ক্যাসিনো কাণ্ডের বিচার হয়েছিল, তেমনি ভাবে তাদের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, আজকে যখন আমাদরে প্রধানমন্ত্রী অন্যতম একজন সৎ ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বিশ্বের সৎ ব্যক্তিদের তালিকায় ১০ জনের মধ্যে তার নাম অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। সেখানে দুর্নীতি যারা করে তাদেরকে কোন ভাবে টলারেন্স করতে পারেন না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে, অতীতে বিএনপি কোন সময় তার দুর্নীতিবাজ নেতাকর্মীদের শায়েস্তা করতে পারেনি, আইনের আওতায় আনতে পারেনি। কিন্তু আওয়ামী লীগ প্রমাণ করে দিয়েছে, বিভিন্ন সময় আমাদের মন্ত্রী, এমপিদের পর্যন্ত বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। আপনাদের নিশ্চয়ই স্মরণ আছে, কিছু দিন আগে ক্যাসিনো কাণ্ডে আমাদরে অনেকেই গ্রেফতার হয়েছেন, বিচারের আওতায় তাদেরকে আনা হয়েছে।

অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের যে নীতি এটা স্বীকার করতেই হবে, ‘দুর্নীতির বিষয়ে আমাদের জিরো টলারেন্স’ নীতি। আামাদের নেতাকর্মীদের কোন ভাবেই আমরা দুর্নীতিতে ছাড় দিচ্ছি না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

দুর্নীতি বিরোধী অভিযান জোরদারের আহ্বান জানিয়ে সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অনেক আইন আছে। কিন্তু আইনের দৃশ্যমান বাস্তবায়ন নেই। দুর্নীতিকে বরদাস্ত করলে চলবে না। জনগণ দুর্নীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

সংসদ সদস্য আরমা দত্ত বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে আসছেন লৌহ মানবির মতো। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি কাজ করছেন। কিন্তু কিছু সুযোগ সন্ধানী ব্যক্তি দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করছেন। তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সেই ঘোষণা এখনো আমার কানে বাজে, আমার কৃষক দুর্নীতি করে না, আমার মজদুর করে না। দুর্নীতি করে শিক্ষিত সমাজ। বঙ্গবন্ধু কন্যার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স কার্যকর হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

প্রস্তাবিত বাজেটকে ইতিবাচক উল্লখে করে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মো. হুছামুদ্দীন চৌধুরী বলেন, যারা বাজেট বাস্তবায়ন করবেন, তাদেরকে দুর্নীতিমুক্ত রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। এনবিআর, দুদক-এধরণের প্রতিষ্ঠানগুলোকে আস্থাশীল ও স্বচ্ছ না করতে পারলে অগ্রসর হওয়া যাবে না। সরিষার মধ্যে যদি ভুত এসে যায়, তাহলে ভুত তাড়াবেন কি করে? তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে কলো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে। নিশ্চয়ই এর পিছনে কোন যৌক্তিক কারণ আছে। তবে এর মাধ্যমে যেন দুর্নীতি উৎসাহিত না হয়, সে বিষয়ে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে।

স্বতন্ত্র সংসদ সসদস্য আখতারুজ্জামান বলেন, মূল্যস্ফীতি কমাতে হবে। অর্থমন্ত্রী এ জন্য পরিকল্পনা নিয়েছেন। কিন্তু অর্থমন্ত্রী যে মডেল নিয়েছেন একই মডেল যুক্তরাষ্ট্র অনুসরণ করে পাঁচ বছরেও সফল হয়নি। তিনি অর্থমন্ত্রীকে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর সঙ্গে আবার সবার আহ্বান জানান।

;

বিচারব্যবস্থা রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে: আমীর খসরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন আমীর খসরু

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন আমীর খসরু

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বিচারব্যবস্থা রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) চট্টগ্রাম মহানগর আদালতে ছয়টি মামলার হাজিরা শেষে আদালত থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই অভিযোগ করেন।

কয়টা মামলায় হাজিরা আর কী হলো? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মামলা কয়টা ভুলে গেছি, কোনো হিসাব নাই। মামলারও হিসাব নাই, হাজিরারও হিসাব নাই। সুতরাং কয়টা আমি নিজেও জানি না।

এ সময় তিনি পাশে থাকার নেতাকর্মীদেরকে থেকে জিজ্ঞেস করেন বলেন, বেশি না আজকে ৬টা মামলায়।

আমীর খসরু বলেন, একটা দেশের বিচার ব্যবস্থা রাজনৈতিক অস্ত্রে পরিণত হয়েছে, তার পরিণতি ভোগ করছি আমরা। যারা ভিন্ন পথ ও ভিন্ন মত পোষণ করে, তাদেরকে এই পরিণতি ভোগ করতে হচ্ছে। এটায় ফলাফল আর তো কিছু না।

মামলা নিষ্পত্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কোনটা দ্রুত আর কোনটা ধীরে যাবে এসব কাদের হাতে হাতে সেটা আপনারা তো জানেন। বিচার ব্যবস্থা আজকে কারা নিয়ন্ত্রণ করছে! এটা তো রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। সুতরাং যারা ব্যবহার করছে তারাই তো জানে কোনটা ধীরে করবে আর কোনটা ত্বরান্বিত করবে। বিচারব্যবস্থা হিসেবে যে একটা পদ্ধতি থাকে সেগুলা বাংলাদেশে নাই।

সব নেতাকর্মী তো একের পর এক মামলায় হাজিরা দিচ্ছে, এতে আপনাদের হতাশা ধরছে কিনা? এমন প্রশ্নে বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, কোনো হতাশা নেই। বাংলাদেশের মানুষ এখন এইভাবে সাফার করতে করতে, এটা শুধু আমাদের নেতা কর্মী বলে নয়। যারা ভিন্ন মত, ভিন্ন দল পোষণ করে সকলে আজ একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। সুতরাং এটাকে নিয়েই চলতে হচ্ছে, দেশ ও নাগরিকদের চলতে হচ্ছে। যারা সরকারের সাথে একমত নেই, তাদেরকেও চলতে হচ্ছে। দেখা যাক এটা কতটুকু যায়, আমরা অপেক্ষা করি!

;

ক্ষমতায় থেকেও জিয়া হত্যার বিচার করতে পারেনি বিএনপি: হানিফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
আ. লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ/ছবি: বার্তা২৪.কম

আ. লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে হত্যার স্বীকার হতে হয়েছিল, এটা সাধারণ মৃত্যু ছিল না। জিয়াউর রহমান মারা যাওয়ার সময়ে বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল। দুইবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকেও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের হত্যার বিচার করতে পারেননি তারা। এখন বিএনপির নেতারা বলছেন তাকে পরিকল্পতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘জেলা রিপোর্ট প্রকাশনা’ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের তিনি এসব কথা বলেন।

জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থেকেও কেন তার স্বামীর হত্যার বিচার করতে পারেননি এটা আমার প্রশ্ন। বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন, সুস্থ হয়ে আবারও তাকে রাজনীতির মাঠে ফিরে আসার আহবান জানান হানিফ।

হানিফ ভারত প্রসঙ্গে বলেন, ভারতকে কী বেশি দেওয়া হয়েছে, সেটা বিএনপি ক্যাটাগরি ঠিক করে স্পষ্টভাবে যদি বলত তাহলে তা বোঝা সহজ হতো। কিন্তু বিএনপি মিথ্যা রাজনীতি ও স্ট্যান্ডবাজি করে টিকে থাকতে চায়। বিএনপিকে এসব অযৌক্তিক কথাবার্তা না বলার আহবান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজা, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা সহ সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা অসম্ভব: কামরুল ইসলাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
এডভোকেট কামরুল ইসলাম/ছবি: বার্তা২৪.কম

এডভোকেট কামরুল ইসলাম/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব না; অসম্ভব। মুক্ত করার একমাত্র পথই হচ্ছে আইনি লড়াই। যে পথে তারা হাঁটে না।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন ) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের ৪র্থ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর একাডেমি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়ার মামলার রায় হয়েছে কত সালে, কিন্তু এখনো তারা (বিএনপি) মুক্তির আন্দোলন করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারে নাই। এটা হচ্ছে তাদের একটা ভেলকিবাজি, মিথ্যা, ধোঁকা। তারা খালেদা জিয়াকে জেলখানায় রেখে তারেক রহমানকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা কর‍তে চায়। খালেদা জিয়াকে তারা মুক্ত করতে চায় না। মুক্তি সম্ভব একমাত্র আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে। কিন্তু তারা আদালতে যায় না।

আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব না মন্তব্য করে তিনি বলেন, আজকে তিনি (খালেদা জিয়া) প্রধানমন্ত্রীর বদান্যতায় বাসায় বসবাস করছেন মুক্ত মানুষ হিসেবে। চিকিৎসা পাচ্ছেন, নেতাকর্মীরা দেখা করতে পারছেন। সবই করতে পারছেন। কিন্তু তারা (বিএনপি) খালেদা জিয়াকে আবার রাজনীতিতে আনবে, মুক্ত মানুষ হিসেবে রাজনীতিতে আনবে তার জন্য কোনো আইনি লড়াই তারা করে না, করার মতো কোনো মানসিকতাও তাদের নাই। কারণ তারা চায় তারেককে রাজনীতিতে স্ট্যাব্লিজড করতে। এই কারণেই তারা খালেদা জিয়ার আসল মুক্তি চায় না। এখনো তারা বলে যে আন্দোলন করবে। আন্দোলন করে তারা কী করবে ? কোন লাভ নাই। আইনি লড়াই ছাড়া খালেদা জিয়ার মুক্তি কোনো অবস্থাতেই সম্ভব না। আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব না; অসম্ভব। মুক্ত করার একমাত্র পথই হচ্ছে আইনি লড়াই। যে পথে তারা হাঁটে না।

তিনি বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে ক্ষমতায় যাবো এই নিশ্চয়তা পেলে নির্বাচনে যাবো আর এই নিশ্চয়তা না পেলে নির্বাচনে যাবো না, এটা কোনো গণতান্ত্রিক দলের চরিত্র হতে পারে না। বিএনপির সেই চরিত্র, তাই তারা নির্বাচনে আসে না। বারবার নির্বাচনে আসে না আর আমাদের অপবাদ দেয়। কিন্তু আমরাতো চাই বিএনপি নির্বাচনে আসুক সংসদে শক্তিশালী অপজিশন গঠন করুক। কিংবা সরকার গঠন করুক, নির্বাচনের মাধ্যমে যাই হোক হবে। এটাইতো নিয়ম; কিন্তু তারা আসে না। তারা আন্দোলন করে, কিন্তু সফল হয়েছে তা বলা যাবে না। তারা আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করে, জ্বালাও পোড়াও করে। এটা কোনো আন্দোলন হতে পারে না। আমরাও তো আন্দোলন করেছি। কিন্তু তাদের মতো জ্বালাও পোড়াও করিনি।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু অনেকে ষড়যন্ত্র করছে, মিথ্যা গুজব রটাচ্ছে। বলছে যে, আমাদের অর্থনীতির অবস্থা খারাপ। অর্থনৈতিক অবস্থা ভেঙে পড়েছে। কিন্তু আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা কিন্তু এখনো ভালো আছে। আমরা ভালো আছি। করোনা, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের পরও প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখেছে।

মোহাম্মদ নাসিমের স্মৃতিচারণ করে কামরুল ইসলাম বলেন, নাসিম ভাই যে একজন বড় মাপের নেতা কিন্তু র্কর্মীদের সাথে তার ভাবসাবে সেটা বোঝা যায় না। আর আমাদের সাথে সম্পর্কতো ছিল অন্যরকম। একজন কর্মীবান্ধব নেতা ছিলেন মোহাম্মদ নাসিম। তাকে যখন ১৪ দলের দ্বায়িত্ব দেয়া হলো তিনি তখন ১৪ দলকে সক্রিয় করে তুলেছেন। ১/১১ এর সময় তাকে আটক করা হয়েছিল। তাকে অনেক নির্যাতনও করা হয়েছিল, কিন্তু নেত্রীর বিপক্ষে একটা কথাও বের করতে পারেনি। এই হচ্ছে মোহাম্মদ নাসিম।

বাবার স্মৃতিচারণ করে মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তানভীর শাকিল জয় বলেন, চার বছর হয়ে গিয়েছেন আব্বা নেই, কিন্তু তার এলাকার মানুষ এখনো ভাবে যে আব্বা বেঁচে আছেন। আব্বাই এখনো তাদের নেতা। এটাই কিন্তু পাওয়া। আব্বার সাথে নেতাকর্মীদের খুব ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। তিনি সবসময় নেতাকর্মীদের সাথে কানেক্টেড থাকতেন। আমরা শুক্রবার আসলে দেখেছি আব্বা অস্থির হয়ে থাকতেন তার কর্মীদের সাথে দেখা করতে কথা বলতে। তখন যদি কেউ না আসতে পারতেন আব্বা তাকে ফোন দিয়ে খোঁজ খবর নিতেন। এই যে নেতাকর্মীদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এটাই আব্বার থেকে শিক্ষনীয়।

বঙ্গবন্ধু একাডেমীর সভাপতি শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজির সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি স্পীকার শামসুল হক টুকু, আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম প্রমুখ।

;