এক আসনে নৌকার মাঝি হতে চান ২৮ জন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শহর ও গ্রাম মিলিয়েই চট্টগ্রাম-৮ আসন। বোয়ালখালী উপজেলার বড় অংশের পাশাপাশি নগরীর কয়েকটি ওয়ার্ডও পড়েছে এই আসনে। কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়কে যুক্ত করা এই আসনে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে নেতাদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিযোগিতা দেখা গেছে। সবমিলিয়ে এই আসনে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন ২৮জন। যেটি চট্টগ্রামের ১৬ আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

কয়েকমাস আগে উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদে যাওয়া নোমান আল মাহমুদের ওপর ভরসা রাখবে, নাকি নতুন কাউকে আওয়ামী লীগ এই আসনে মনোনয়ন দেবে,সেটি নিয়ে এলাকার মানুষদের মধ্যে চলছে নানা জল্পনাকল্পনা।

আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, চট্টগ্রাম-৮ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য নোমান আল মাহমুদকে মনোনয়ন দৌড়ে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন হেভিওয়েট প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আরশেদুল আলম বাচ্চু, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামসহ ২৭ জন। আছেন সিটি করপোরেশনের একাধিক কাউন্সিলরও। তবে নোমান আল মাহমুদের মূল প্রতিযোগিতাটা হবে আরশেদুল আলম বাচ্চু ও আবদুচ ছালামের সঙ্গে। বাচ্চু গত কয়েক বছর ধরে নানা সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নিজের শক্ত একটা অবস্থান তৈরি করেছেন।

চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের আঁতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত ওমরগণি এম.ই.এস. কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক এই জিএস ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীদের কাছেও ব্যাপক জনপ্রিয়। বিভিন্ন দুর্যোগ আর আন্দোলনে সবসময় নিজের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে তিনি সোচ্চার ছিলেন। এ কারণে তাঁর নামও এবার বেশ জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে। অন্যদিকে নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম ২০০৯ সালের ২৩ এপ্রিল সিডিএ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান। ছয় দফায় টানা ১০ বছর তিনি সেই পদে ছিলেন। এরপর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র পদেও দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন তিনি। পাশাপাশি কয়েকমাস আগে হওয়া চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনেও তিনি দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন।

অবশ্য এবারও মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী নোমান আল মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে তৃণমূলের একজন কর্মী হিসেবে উপনির্ববাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে বেছে নিয়েছিলেন। এই অল্প সময়ে আমি চেষ্টা করেছি এলাকার উন্নয়নে সম্পৃক্ত থেকে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। সফলভাবে কাজগুলো শেষ করেছি। সেজন্য এবারও দলীয় মনোনয়ন পাব বলে আশাবাদী।

অন্যদিকে মানুষের পাশে আরও বেশি করে সম্পৃক্ত থাকতেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান বলে জানিয়েছেন আরশেদুল আলম বাচ্চু। তরুণ এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘রাজনীতি করি মানুষের কল্যাণে। আর মানুষের অধিকার, সুখ দুঃখের কথা তুলে ধরার সর্বোত্তম স্থান পবিত্র সংসদ। রাজনৈতিক জীবনের শুরুতেই শপথ নিয়েছিলাম আজীবন মানুষের পাশে থাকব। সেই দায়িত্বটা আরও বড় পরিসরে পালনের ব্রত নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহী হয়েছি। বাকি সিদ্ধান্ত জননেত্রী শেখ হাসিনার।’

এই আসনে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্যরা হলেন মোহাম্মদ বেলাল হোসেন, কাউন্সিলর মোহাম্মদ মোবারক আলী, মোহাম্মদ দিদারুল আলম, কাজী শারমিন সুমি, এস এম নুরুল ইসলাম, এস এম কফিল উদ্দিন, বিজয় কুমার চৌধুরী, এটি এম আলী রিয়াজ খান, জিনাত শাহেনা চৌধুরী, মোহাম্মদ ইমরান, জাবেদুল আলম মাসুদ, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ খুরশেদ আলম, মোহাম্মদ মনসুর আলম, মো. আব্দুল কাদের, কফিল উদ্দিন খান, শেখ আমেনা খাতুন, এম এ সুফিয়ান সিকদার, আশেক রসুল খান, মো. নুরুল আনোয়ার, মোহাম্মদ আবু তাহের,দিদারুল আলম, মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং সেলিনা খান।

অন্য আসনগুলোতেও দারুণ লড়াই:

চট্টগ্রামে ১৬ টি আসনের বিপরীতে ২১৯ জন ২৩২ টি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন৷ এতে আসন প্রতি ফরম বিক্রি হয়েছে ১৪ টির বেশি। এর মাধ্যমে দলটির আয় হয়েছে ১ কোটি ১৬ লাখ টাকা। যা মনোনয়ন পত্র বিক্রি করে দলটির মোট আয়ের প্রায় ৭ শতাংশ। এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে ৬৬১টি মনোনয়নপত্র কম বিক্রি হলেও চট্টগ্রামে বেড়েছে এই সংখ্যা। গতবার মনোনয়ন পত্র বিক্রি হয়েছিল ২২৫ টি। সে তুলনায় এবার চট্টগ্রামে ৭টি মনোনয়নপত্র বেশি বিক্রি হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলায় সবচেয়ে কম ২ টি মনোনয়ন বিক্রি হয়েছে চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে। এই আসনে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। এছাড়া মোহাম্মদ ওসমান গনি চৌধুরী নামের আরও একজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তবে এলাকার মানুষ জানিয়েছেন, এই আসনে হাছান মাহমুদ অপ্রতিদ্বন্দ্বী, তিনি এবারও মনোনয়ন পাবেন।

চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই), চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) এবং চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে কিছুটা কম মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন গত সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও তিনি এবার নির্বাচন করছেন না। তাঁর ছেলে মাহবুব উর রহমান রুহেল মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। একই আসনে বহু বছর ধরে নিজের একটা শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট। তিনিও দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন এ কে এম বেলায়েত হোসেন, মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন এবং মোহাম্মদ মোস্তফা।

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে বর্তমান এমপি ফজলে করিম চৌধুরীসহ মনোনয়ন কিনেছেন ৯ জন। এই আসনে মনোনয়ন দৌড়ে ফজলে করিম চৌধুরীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দাঁড়িয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা দেবাশীষ পালিত। এর বাইরেও এই আসনে মনোনয়ন দৌড়ে আছেন মোহাম্মদ আবুল কালাম, ইমরানুল কবীর, মোহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী, আলহাজ্ব মো. সালামত আলী এবং বকতিয়ার উদ্দিন খান।

চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে অনেকটা নির্ভার বর্তমান ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। এই নেতার পাশাপাশি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন শাহজাদা মহিউদ্দিন এবং সমিরন নাথ।

চট্টগ্রামের ১৬ আসনে দলীয় মনোনয়নের দৌড়ে সবচেয়ে বেশি হেভিওয়েট প্রার্থী চট্টগ্রাম-৯ (বাকলিয়া-কোতোয়ালী), চট্টগ্রাম-১০ (খুলশী, পাহাড়তলী) ও চট্টগ্রাম-১১ (পতেঙ্গা-বন্দর) আসনে। এই তিন আসনের তিনটিতেই মনোনয়ন চান নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ. জ. ম. নাছির উদ্দিন। চট্টগ্রাম-১০ ও চট্টগ্রাম-১১ আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন সাবেক নগর প্রশাসক ও চট্টগ্রামে ১৪ দলের সমন্বায়ক খোরশেদ আলম চৌধুরী সুজন।

এই তিন আসনের মধ্যে চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে মনোনয়ন চান এই আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তাঁর পাশাপাশি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, চট্টগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর ও নগর আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ইফতেখার সাইমুনও নৌকার মাঝি হতে চান এই আসন থেকে৷ এছাড়াও এই আসন থেকে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন মোহাম্মদ দিদারুল আলম, মোহাম্মদ শহীদ উল আলম, মোহাম্মদ ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী, শফিক আদনান, মোহাম্মদ সফর আলী, মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান, আমিনুল হক, শাহজাদা মোহাম্মদ ফজল মুকিম নীল, মোহাম্মদ রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, মশিউর রহমান চৌধুরী, মুহাম্মদ জালাল উদ্দিন এবং মুজিবুর রহমান।

চট্টগ্রাম-১০ আসনে নাছির-সুজন ছাড়াও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান ১৭ জন। চট্টগ্রাম-১১ আসনে নাছির-সুজনের পাশাপাশি মনোনয়নপত্র নিয়েছেন তিনবারের সংসদ সদস্য এম এ লতিফসহ ২৭ জন। চট্টগ্রাম-৮ আসনের পর সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন বিক্রি হয়েছে এই আসনে। বন্দরের কারণে বাণিজ্যিকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে আরও যারা নৌকার মাঝি হতে চান তারা হলেন, দেবাশীষ পাল, নজরুল ইসলাম বাহাদুর, রেখা আলম চৌধুরী, মোহাম্মদ জাবেদ ইকবাল, সৌগাতুল আনোয়ার খান, মোহাম্মদ এনামুল হক, মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মোহাম্মদ সফর আলী, জিয়াউল হক সুমন, মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান, মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, নওশেদ সরোয়ার, সালেহ আহমদ চৌধুরী, আকবর হোসেন, এম এনামুল হক চৌধুরী, মশিউর রহমান চৌধুরী, ইকবাল আলী, মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ, ইমরান ফাহিম নূর, সায়রা বানু, হাজী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, মোহাম্মদ ইলিয়াস, মহম্মদ আমিনুল হক এবং মুজাফফর আহম্মদ।

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনটিতে বহুদিন ধরে আওয়ামী লীগ জোটের শরিক দল তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী জয়ী হয়েছেন। এবার আওয়ামী লীগের নেতারা আসনটি নিজেদের করে নিতে চান। এই আসনে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, সংরক্ষিত আসনের নারী সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনিসহ আরও ১৯ জন নেতা দলীয় মনোনয়ন চান।

চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) আসন থেকে ১২ জন মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করলেও মনোনয়ন দৌড়ে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমান মিতা৷ অন্যান্য যারা এই আসেন থেকে নৌকার মাঝি হতে চান তারা হলেন মহিউদ্দিন আহমেদ, এ কে এম বেলায়েত হোসেন, মানিক মিয়া তালুকদার, মোহাম্মদ জাফরুল্লাহ, মোহাম্মদ রাজিবুল আহসান, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, ইউসুফ আলী জীবন, রফিকুল ইসলাম, রুমানা নাসরিন, সরোয়ার হাসান জামিল এবং মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন চৌধুরী।

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড- ও চসিকের ৯-১০ নং ওয়ার্ড) আসনেও মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ দিদারুল আলম। তিনি এবারও মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। তাঁর পাশাপাশি এই আসনে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন আরও ১১জন।

চট্টগ্রাম-২ আসনের মত দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনটি মহাজোটের শরীক দলের দখলে। এই আসন থেকে এবার নৌকার প্রার্থী হতে চান ১৩ জন। এই আসনে মনোনয়ন দৌড়ে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম ও নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুলকে নৌকার অন্যতম দাবিদার হিসেবে বিবেচনা করা হলেও আসনটি এবার মহাজোটের শরিক দলের হাতে যাবে বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনটি হুইফ শামসুল হক চৌধুরীর আসন হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তবে এবার শামসুল হক চৌধুরীর সামনে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। এছাড়া আরও ১২জন এই আসনে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন।

চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম চৌধুরীর পাশাপাশি নৌকার মনোনয়নপত্র নিয়েছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানসহ ১৭ জন। এবার এই আসনে অনেকে মফিজুর রহমানের সম্ভাবনাও দেখছেন।

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসন থেকে ফের মনোনয়ন নিয়েছেন দুই বারের সংসদ সদস্য আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী। তবে ভিন্ন ঘরনা থেকে আসা নদভীকে এবার আর ছাড় দিতে রাজি নয় আওয়ামী লীগের নেতারা। এই আসনে নৌকার হাল ধরতে চান আরও অন্তত ১৩ জন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম।

চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসন নিয়েও নানা জল্পনাকল্পনা চলছে এবার। এবার নৌকার মাঝি হতে হলে ব্যাপক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে। এই আসনে মনোনয়ন দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে আছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুজিবুর রহমান। এছাড়া আরও ১৩ জন নেতা এই আসনে দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন।

তবে আলোচনা চললেও কারা এই ১৬ আসনে মনোনয়ন পাবেন সেটি অবশ্য নির্ভর করছে মনোনয়ন বোর্ডের ওপর। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে নির্বাচন কমিশনে। সেজন্য কয়েকদিনের মধ্যেই জানা যাবে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে নৌকার মাঝি হচ্ছেন কারা?

   

দেশের মানুষ বর্তমান সরকারের ওপর বিরক্ত: চুন্নু



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টি (জাপা) মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে। দেশের মানুষ বর্তমান সরকারের ওপর বিরক্ত।

শনিবার (১৮ মে) জাপার বনানী কার্যালয়ে জাতীয় পেশাজীবী পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি’র ওপর মানুষ আস্থা রাখতে পারছে না। কারণ, আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপি সফল হতে পারছে না। এই দুটি দলের বিকল্প হিসেবে সাধারণ মানুষ জাতীয় পার্টিকে বেছে নিতে চায়। আগামী দিনে জাতীয় পার্টির উজ্জল ভবিষ্যত আছে। তাই, জাতীয় পার্টিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।

পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান আকাশের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন সদস্য সচিব ডাঃ রাকিব। পেশাজীবী পরিষদের লেহাজ উদ্দিন, সাংবাদিক নিশাত শাহরিয়ার, অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম, মোঃ নুরুজ্জামান, সোয়াইব ইফতেখার, ডাঃ মোঃ আজীজ বক্তব্য রাখেন।

উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মোঃ খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ সেলিম, যুগ্ম দফতর সম্পাদক সমরেশ মন্ডল মানিক, কেন্দ্রীয় সদস্য শেখ মোঃ আবু ওয়াহাব।

;

সরকার বয়কটে ইসরায়েল-ভারতের পণ্য বয়কট হবে: আলাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ‘ইসরায়েল ও ভারতের পণ্য’ মন্তব‌্য করে বিএনপি'র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মুয়াজ্জিন হোসেন আলাল বলেছেন, এই সরকারকে যদি বয়কট করা যায়, তাহলে ইসরায়েল ও ভারতের পণ্যকে বয়কট করা হবে। তাই, এই আওয়ামী লীগ সরকারকে বয়কট করাই হচ্ছে, এখন সবচাইতে বড় কাজ।

শনিবার (১৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বাংলাদেশ সিভিল রাইটস সোসাইটি’-এর উদ্যোগে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে এক নাগরিক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আলাল বলেন, ‘দ্য হিন্দুস্থান টাইমস’-এ একটি খবর দেখলাম, ভারত থেকে ইসরায়েলকে দেওয়া অস্ত্র বহর ইউরোপের একটি দেশ স্পেন তাদের বন্দরে রাখার অনুমতি দেয়নি। তারা ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে সেই জাহাজকে।

একই সঙ্গে ইউরোপের অন্যান্য দেশকেও স্পেন বলেছে, ইসরায়েলকে সমরাস্ত্র দেওয়া বন্ধ করতে হবে এবং তারা নিজেরাও বন্ধ করেছে। অথচ আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ যেখানে লাখ লাখ মানুষ রক্ত দিয়ে একটি মানচিত্র অর্জন করেছে, সেখানে ইসরায়েলের থাবা প্রায় বসেছে। তা না হলে রাতের বেলায় গোপনে ইসরায়েল সংস্থার বিমান কীভা‌বে অবতরণ করে! ভারত থেকে ইসরায়েলকে অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে, সমর্থন করা হচ্ছে। স্পেনের মতো একটি দেশ এর প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু আমরা প্রতিবাদ করছি না!

তিনি বলেন, ভারত এত বড় আমাদের প্রতিবেশী একটি রাষ্ট্র অথচ ধীরে ধীরে বাংলাদেশের জনগণের মন থেকে তারা উঠে গেছে। ফেলানি তো কোনো মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিল না অথচ তার লাশ কাঁটাতারে ঝুলেছে। তাকে কেন কাঁটাতারে ঝুলতে হয়েছিল! প্রতিদিন ‘গরু পাচারকারী’ আখ্যা দিয়ে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, যেটা বিশ্বের অন্যান্য দেশের সীমান্তে হয় কি না আমাদের জানা নেই, একই অবস্থা আজ ইসরায়েল করছে ফিলিস্তিনিদের ওপর!

যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, মিয়ানমারের গণহত্যার বিপক্ষে আমাদের পক্ষে গাম্বিয়ার মতো দেশ আন্তর্জাতিক আদালতে বাদী হতে পারে, তাহলে আমরা কেন আজ ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে বাদী হতে পারবো না! আজ এ সরকার ভারতকে তোষামোদ করে নিজে ক্ষমতায় থাকার জন্য বিশ্বের সব মানবতাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিচ্ছে। সুতরাং, আমরা মনে করি, ইসরায়েল ও ভারতের পণ্য হচ্ছে, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার। এই সরকারকে যদি বয়কট করা যায়, তাহলে ইসরায়েলকে পূর্ণ বয়কট করা হবে; ভারতীয় পণ্যকেও বয়কট করা হবে। এই আওয়ামী লীগ সরকারকে বয়কট করাই হচ্ছে, এখন সবচাইতে বড় কাজ।

এ সময় সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

;

সরকারের ধারাবাহিকতায় দেশে এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের ধারাবাহিকতা এবং স্থায়িত্বতায় দেশে এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা একটা কথা কেউ বলি না, আজকের বাংলাদেশের এতো উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কেন? সরকারের ধারাবাহিকতা এবং স্থায়িত্বতার কারণে। এর কারণেই বাংলাদেশের এত উন্নয়ন ও অর্জন সম্ভব হয়েছে। এই কারণে বিশ্বের বিস্ময়ে রূপান্তরিত হতে পেরেছে বাংলাদেশ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতি আপনজন এই দেশের জনগণ। হতাশা কবলিত বাংলাদেশে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।

 সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করেছেন এটা সত্যি নয়: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, এটা সত্যি নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে তেজগাঁওয়ের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান পঁচাত্তরের পর আমাদের বিভিন্ন সামরিক বাহিনীর ১১শ' অফিসারকে নাস্তা খেতে খেতে ফাঁসি দিয়েছিলো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলেন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, এটা সত্যি নয়। ১১ হাজার স্বাধীনতা বিরোধী কারাগারে ছিলো, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে এদের মুক্তি দিয়েছিলো। যার মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিলো ৭১৩ জন। এদের মুক্তি দিয়েছিলো জিয়াউর রহমান। এই ইতিহাস ভুলে গেছেন? কথায় কথায় আজকে বলেন, কারাগার। আমি কি মিথ্যা বলেছি? জিয়াউর রহমান কি করেছিলো এর প্রমাণ আছে।

বিএনপি ২৮ অক্টোবর পালিয়ে গিয়ে এখন বেসামাল হয়ে এখন প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগকে আক্রমণ করছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, আমি তাদের বলতে চাই, মুক্তির কথা বলেন, লজ্জা করে না? জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগ সহ অন্যান্য দলের ৬২ হাজার নেতাকে জেলে রেখেছিলো। আপনাদের কতজন নেতা জেলে আছে? ৩ হাজার আমাদের নেতাকর্মীর ও সরকারি অফিসারদের গুম করেছিলেন জিয়াউর রহমান।

আমাদের নাকি প্রতিবেশী দেশ নিয়ন্ত্রণ করে, ফখরুল সাহেব শেখ হাসিনাকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। আমাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি জয় বাংলার চেতনা। দেশি বিদেশি কোন শক্তি নয়। আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে দেশের জনগণ, সংবিধান। এই সংবিধানের বাইরে আমরা যাবো না।

যত ষড়যন্ত্র করুক, বিদেশি শক্তির নামে হুমকি ধমকি দিতে পারেন। তিনি কোন বিদেশি শক্তির পরোয়া করেন না, শুধু বাংলাদেশের জনগণকে পরোয়া করেন।

শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের পূর্ব পৃথিবীর সূর্য, আশার বাতিঘর, স্বপ্নের ঠিকানা শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের গত ৪৪ বছরে সবচেয়ে সাহসী রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। গত ৪৪ বছরের সবচেয়ে বিচক্ষণ, সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক, সবচেয়ে জনপ্রিয়, সবচেয়ে সফল কূটনীতিক এর নাম শেখ হাসিনা।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;