আ.লীগের দ্বিতীয় দুর্গ থেকে মন্ত্রীসভায় কারা আসছেন?



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সৈয়দ আশরাফ, নূর মোহাম্মদ, নাজমুল হাসান পাপন, রেজওয়ান আহাম্মেদ তৌফিক, ছবি: সংগৃহীত

সৈয়দ আশরাফ, নূর মোহাম্মদ, নাজমুল হাসান পাপন, রেজওয়ান আহাম্মেদ তৌফিক, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গোপালগঞ্জের পর আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় দুর্গ নামে পরিচিত কিশোরগঞ্জে নিরঙ্কুশ বিজয় পেয়েছে শেখ হাসিনার প্রার্থীরা। জেলার ৬টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে আওয়ামী লীগ এবং একটিতে মহাজোটের পক্ষে জাতীয় পার্টির প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। আসনটি আওয়ামী লীগ ছেড়ে না দিলে দলীয় প্রার্থীই নিশ্চিত বিজয় লাভ করতেন। এদের মধ্য কে কে মন্ত্রী হবেন, তা নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা।

শেখ হাসিনার আহ্বানে নির্বাচনের মাঠে অনুপস্থিত, বিদেশের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসুস্থ সৈয়দ আশরাফকে বিজয়ী করেছেন কিশোরগঞ্জবাসী। দলে সদ্য যোগ দেওয়া সাবেক সচিব ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক নূর মোহাম্মদ বিপুল বিজয় পেয়েছেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের পুত্র নাজমুল হাসান পাপন এবং বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পুত্র প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মেদ তৌফিক নিজ নিজ আসনে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছেন। জেলা আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থীদের ভিড়ে অপেক্ষাকৃত লো-প্রোফাইলের মো. আফজাল হোসেনও জয়ী হয়েছেন।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে সব সময়ই কিশোরগঞ্জ থেকে একাধিক জনকে মন্ত্রীসভায় অন্তর্ভুক্ত করার একটি দলীয় রেওয়াজ বঙ্গবন্ধুর আমল থেকেই চলছে। দলীয় সমর্থন, বিশ্বস্ততা, দক্ষতা, নিষ্ঠা ও আনুগত্যের কারণে কিশোরগঞ্জের নেতাদের উল্লেখযোগ্য অংশ গ্রহণ আওয়ামী লীগের মন্ত্রীত্বে ও সংগঠনে সব সময়ই বহাল থেকেছে।

অতীতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও জিল্লুর রহমান মন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি, আসাদুজ্জামান খান আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলনেতা, মনোরঞ্জন ধর মন্ত্রী হয়েছেন। এবারেও মো. আবদুল হামিদ স্পিকার থেকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবং জাতীয় পার্টির মজিবুল হক চুন্নু মন্ত্রী হয়েছেন।

সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনের পর শুধু কিশোরগঞ্জবাসীই নয়, দেশের সবাই মন্ত্রীসভায় এ জেলার প্রতিনিধিত্ব সম্পর্কে জানতে আগ্রহ ভরে অপেক্ষা করছেন। সবারই জিজ্ঞাসা, কে হবেন আ.লীগের দ্বিতীয় দুর্গের নতুন সেনাপতি? বিশেষ করে, সিনিয়র নেতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মারাত্মক অসুস্থতার পর থেকে সৃষ্ট শূন্যতার কারণে এ প্রশ্নটি রাজনীতিতে প্রবলভাবে আলোচিত হতে থাকে। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর জেলার রাজনীতিতে কে তাঁর উত্তরসুরী হয়ে জাতীয় রাজনীতিতে দায়িত্ব পালন করবেন, তা জানতে জনমনে আগ্রহের শেষ নেই।

কিশোরগঞ্জ থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের মধ্যে নবাগত নূর মোহাম্মদ আছেন আলোচনার শীর্ষে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একাধিক রাষ্ট্রীয় ও সরকারি দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে পালন করার অভিজ্ঞতার কারণে তাঁকে ঘিরে এলাকাবাসীর মধ্যে প্রবল আশার সঞ্চার হয়েছে। দলে ও রাজনীতিতে নবাগত হয়েও স্বল্প সময়ের মধ্যে নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ করার মাধ্যমে তিনি যেভাবে বিপুল জনরায় অর্জন করেছেন, তা তাঁর উজ্জ্বল রাজনৈতিক সম্ভাবনার ইঙ্গিতবহ। নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক যোগ্যতার কারণে তিনি মন্ত্রীসভায় অন্তর্ভুক্ত হলে সফলভাবে সরকারি ও দলীয় কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন বলে সকলেই আশাবাদী।

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের পুত্র নাজমুল হাসান পাপন বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের নেতৃত্বে ব্যস্ত থাকার কারণে মন্ত্রীত্বের বিষয়ে অগ্রহী হন নি। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের ক্রিকেটের চলমান উত্থানধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থে তাঁকে মন্ত্রীসভায় না এনে ক্রিকেটের শীর্ষ পদে রাখা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তিনিও স্থানীয় রাজনীতি সম্পূর্ণভাবে স্থানীয় নেতৃত্বের হাতে ছেড়ে দিয়ে ক্রিকেটের উন্নয়নে অধিক মনোযোগ ও সময় দিতে পছন্দ করেন।

তরুণ ও উদীয়মান নেতা, বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের জেষ্ঠ্যপুত্র ও তাঁর ছেড়ে দেওয়া নির্বাচনী আসনের রাজনৈতিক উত্তরাধিকার প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মেদ তৌফিক একটানা তিনবার সংসদ সদস্য হয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন। হ্যাট্রিক বিজয়ের কারণে পুরো জেলার আগ্রহ তাঁকে ঘিরে। বিভিন্ন সংসদীয় কমিটি ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে পালনের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি দুর্গম হাওরের অবকাঠামোগত উন্নয়নে দৃষ্টান্তমূলক অবদান রেখেছেন তিনি। স্বচ্ছ, বিনয়ী ও নিষ্কলুষ ব্যক্তিত্বের কারণে তিনি জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য। তাঁর এলাকায় দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের কোনো ঘটনাও তিনি ঘটতে দেন নি। তদুপরি কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বিগত কাউন্সিলে দলের সাধারণ সম্পাদক পদে তাঁর পক্ষে বিপুল সমর্থন পরিলক্ষিত হয়। তাঁকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রিয় উপ-কমিটিতেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মন্ত্রীসভায় অন্তর্ভুক্ত করে ভবিষ্যত নেতৃত্বের জন্য তাঁকে প্রস্তুত করার সুযোগ দেওয়া দরকার বলে কিশোরগঞ্জবাসী প্রত্যাশা করেন।

নির্বাচন-পরবর্তী রাজনৈতিক বাস্তবতায় মূলত এই তিনজনকে ঘিরেই কিশোরগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের কাঠামোটি আবর্তিত হচ্ছে। জেলা ও জাতীয় রাজনীতিতে এরাই দলের সেতুবন্ধ হয়ে কাজ করছেন।

বিশেষত শারীরিক অসুস্থতার কারণে সিনিয়র নেতা সৈয়দ আশরাফের পক্ষে পূর্ণ শক্তিতে রাজনীতি ও মন্ত্রীত্বে কাজ করার বিষয়টি বেশ দুরূহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া আওয়ামী লীগের অনেক প্রার্থীকে বাদ দিয়ে জাতীয় পার্টির মজিবুল হক চুন্নুকে মনোনয়ন দেওয়ার পর তাঁকে আবার মন্ত্রী করার বিষয়টি স্থানীয় আওয়ামী লীগের ক্ষোভ ও হতাশাকে আরো বাড়াবে।

ফলে আওয়ামী লীগের নতুন মন্ত্রীসভায় কিশোরগঞ্জ থেকে নতুন মুখের অন্তর্ভুক্তি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তাছাড়া কিশোরগঞ্জ জেলার রাজনীতি সামাল দেওয়ার জন্য রাজনীতির ময়দানেও আওয়ামী লীগের নতুন সেনাপতির আবির্ভাব ঘটতে পারে।

   

দেশের মানুষ বর্তমান সরকারের ওপর বিরক্ত: চুন্নু



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টি (জাপা) মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে। দেশের মানুষ বর্তমান সরকারের ওপর বিরক্ত।

শনিবার (১৮ মে) জাপার বনানী কার্যালয়ে জাতীয় পেশাজীবী পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি’র ওপর মানুষ আস্থা রাখতে পারছে না। কারণ, আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপি সফল হতে পারছে না। এই দুটি দলের বিকল্প হিসেবে সাধারণ মানুষ জাতীয় পার্টিকে বেছে নিতে চায়। আগামী দিনে জাতীয় পার্টির উজ্জল ভবিষ্যত আছে। তাই, জাতীয় পার্টিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।

পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান আকাশের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন সদস্য সচিব ডাঃ রাকিব। পেশাজীবী পরিষদের লেহাজ উদ্দিন, সাংবাদিক নিশাত শাহরিয়ার, অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম, মোঃ নুরুজ্জামান, সোয়াইব ইফতেখার, ডাঃ মোঃ আজীজ বক্তব্য রাখেন।

উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মোঃ খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ সেলিম, যুগ্ম দফতর সম্পাদক সমরেশ মন্ডল মানিক, কেন্দ্রীয় সদস্য শেখ মোঃ আবু ওয়াহাব।

;

সরকার বয়কটে ইসরায়েল-ভারতের পণ্য বয়কট হবে: আলাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ‘ইসরায়েল ও ভারতের পণ্য’ মন্তব‌্য করে বিএনপি'র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মুয়াজ্জিন হোসেন আলাল বলেছেন, এই সরকারকে যদি বয়কট করা যায়, তাহলে ইসরায়েল ও ভারতের পণ্যকে বয়কট করা হবে। তাই, এই আওয়ামী লীগ সরকারকে বয়কট করাই হচ্ছে, এখন সবচাইতে বড় কাজ।

শনিবার (১৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বাংলাদেশ সিভিল রাইটস সোসাইটি’-এর উদ্যোগে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে এক নাগরিক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আলাল বলেন, ‘দ্য হিন্দুস্থান টাইমস’-এ একটি খবর দেখলাম, ভারত থেকে ইসরায়েলকে দেওয়া অস্ত্র বহর ইউরোপের একটি দেশ স্পেন তাদের বন্দরে রাখার অনুমতি দেয়নি। তারা ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে সেই জাহাজকে।

একই সঙ্গে ইউরোপের অন্যান্য দেশকেও স্পেন বলেছে, ইসরায়েলকে সমরাস্ত্র দেওয়া বন্ধ করতে হবে এবং তারা নিজেরাও বন্ধ করেছে। অথচ আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ যেখানে লাখ লাখ মানুষ রক্ত দিয়ে একটি মানচিত্র অর্জন করেছে, সেখানে ইসরায়েলের থাবা প্রায় বসেছে। তা না হলে রাতের বেলায় গোপনে ইসরায়েল সংস্থার বিমান কীভা‌বে অবতরণ করে! ভারত থেকে ইসরায়েলকে অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে, সমর্থন করা হচ্ছে। স্পেনের মতো একটি দেশ এর প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু আমরা প্রতিবাদ করছি না!

তিনি বলেন, ভারত এত বড় আমাদের প্রতিবেশী একটি রাষ্ট্র অথচ ধীরে ধীরে বাংলাদেশের জনগণের মন থেকে তারা উঠে গেছে। ফেলানি তো কোনো মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিল না অথচ তার লাশ কাঁটাতারে ঝুলেছে। তাকে কেন কাঁটাতারে ঝুলতে হয়েছিল! প্রতিদিন ‘গরু পাচারকারী’ আখ্যা দিয়ে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, যেটা বিশ্বের অন্যান্য দেশের সীমান্তে হয় কি না আমাদের জানা নেই, একই অবস্থা আজ ইসরায়েল করছে ফিলিস্তিনিদের ওপর!

যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, মিয়ানমারের গণহত্যার বিপক্ষে আমাদের পক্ষে গাম্বিয়ার মতো দেশ আন্তর্জাতিক আদালতে বাদী হতে পারে, তাহলে আমরা কেন আজ ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে বাদী হতে পারবো না! আজ এ সরকার ভারতকে তোষামোদ করে নিজে ক্ষমতায় থাকার জন্য বিশ্বের সব মানবতাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিচ্ছে। সুতরাং, আমরা মনে করি, ইসরায়েল ও ভারতের পণ্য হচ্ছে, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার। এই সরকারকে যদি বয়কট করা যায়, তাহলে ইসরায়েলকে পূর্ণ বয়কট করা হবে; ভারতীয় পণ্যকেও বয়কট করা হবে। এই আওয়ামী লীগ সরকারকে বয়কট করাই হচ্ছে, এখন সবচাইতে বড় কাজ।

এ সময় সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

;

সরকারের ধারাবাহিকতায় দেশে এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের ধারাবাহিকতা এবং স্থায়িত্বতায় দেশে এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা একটা কথা কেউ বলি না, আজকের বাংলাদেশের এতো উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কেন? সরকারের ধারাবাহিকতা এবং স্থায়িত্বতার কারণে। এর কারণেই বাংলাদেশের এত উন্নয়ন ও অর্জন সম্ভব হয়েছে। এই কারণে বিশ্বের বিস্ময়ে রূপান্তরিত হতে পেরেছে বাংলাদেশ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতি আপনজন এই দেশের জনগণ। হতাশা কবলিত বাংলাদেশে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।

 সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করেছেন এটা সত্যি নয়: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, এটা সত্যি নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে তেজগাঁওয়ের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান পঁচাত্তরের পর আমাদের বিভিন্ন সামরিক বাহিনীর ১১শ' অফিসারকে নাস্তা খেতে খেতে ফাঁসি দিয়েছিলো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলেন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, এটা সত্যি নয়। ১১ হাজার স্বাধীনতা বিরোধী কারাগারে ছিলো, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে এদের মুক্তি দিয়েছিলো। যার মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিলো ৭১৩ জন। এদের মুক্তি দিয়েছিলো জিয়াউর রহমান। এই ইতিহাস ভুলে গেছেন? কথায় কথায় আজকে বলেন, কারাগার। আমি কি মিথ্যা বলেছি? জিয়াউর রহমান কি করেছিলো এর প্রমাণ আছে।

বিএনপি ২৮ অক্টোবর পালিয়ে গিয়ে এখন বেসামাল হয়ে এখন প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগকে আক্রমণ করছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, আমি তাদের বলতে চাই, মুক্তির কথা বলেন, লজ্জা করে না? জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগ সহ অন্যান্য দলের ৬২ হাজার নেতাকে জেলে রেখেছিলো। আপনাদের কতজন নেতা জেলে আছে? ৩ হাজার আমাদের নেতাকর্মীর ও সরকারি অফিসারদের গুম করেছিলেন জিয়াউর রহমান।

আমাদের নাকি প্রতিবেশী দেশ নিয়ন্ত্রণ করে, ফখরুল সাহেব শেখ হাসিনাকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। আমাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি জয় বাংলার চেতনা। দেশি বিদেশি কোন শক্তি নয়। আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে দেশের জনগণ, সংবিধান। এই সংবিধানের বাইরে আমরা যাবো না।

যত ষড়যন্ত্র করুক, বিদেশি শক্তির নামে হুমকি ধমকি দিতে পারেন। তিনি কোন বিদেশি শক্তির পরোয়া করেন না, শুধু বাংলাদেশের জনগণকে পরোয়া করেন।

শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের পূর্ব পৃথিবীর সূর্য, আশার বাতিঘর, স্বপ্নের ঠিকানা শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের গত ৪৪ বছরে সবচেয়ে সাহসী রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। গত ৪৪ বছরের সবচেয়ে বিচক্ষণ, সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক, সবচেয়ে জনপ্রিয়, সবচেয়ে সফল কূটনীতিক এর নাম শেখ হাসিনা।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;