খেজুর আমদানিতে শুল্ক বাড়িয়ে, ব্যাংকে ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার: রিজভী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পবিত্র রমজান মাসের খেজুর আমদানির জন্য ভতুর্কি দূরে থাক, উল্টো খেজুরকে বিলাসী পণ্য উল্লেখ করে খেজুর আমদানির ওপর শুল্ক আরও বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। খেজুরের ওপর ভর্তুকি না দিলেও ‘ডামি সরকার’ শত শত কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে সোনালী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংককে। তারা ব্যাংক থেকে বিভিন্ন প্রজেক্টের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। ব্যাংকগুলোকে দেউলিয়া বানিয়ে দিয়েছে।

বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংক হেলথ ইনডেক্স অ্যান্ড হিট ম্যাপ’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুসারে ৯টি ব্যাংকে জ্বলছে লাল বাতি, আরও ১২টির অবস্থা খুব খারাপ। সব মিলিয়ে ৩৮টি ব্যাংকে দুর্বল ব্যাংক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ফলে ‘ডামি সরকার’ এইসব ব্যাংকগুলোকে টিকিয়ে রাখার জন্য শত শত কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। ঋণ খেলাপি, লুটেরা, টাকা পাচারকারীদের বাঁচিয়ে রাখতে ভর্তুকি দিলেও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ইফতার করার জন্য খেজুর আমদানির ওপর ভর্তুকি দিচ্ছেন না। খেজুর আমদানির ওপর ভর্তুকি না দিয়ে উল্টো বেশি করে শুল্ক আরোপ কোনো সাধারণ অপরাধ নয়, রীতিমতো মহাপাপ।

রিজভী বলেন, সরকার নিম্নমানের পচা খেজুরের দাম নির্ধারণ করে দিয়ে রোজাদারদের উপহাস করেছে। রমজান মাসে ইফতারের সময় খেজুর খাওয়ায় ধর্মীয় অনুভূতি কাজ করে। অথচ ডামি সরকারের একজন ডামি মন্ত্রী ইফতার নিয়ে কতই না উপদেশ দিচ্ছেন জনগণকে।

বিজ্ঞাপন

রমজান মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ। দেশে ৯০ ভাগের বেশি মুসলমান। সুতরাং, আমরা দেখে আসছি, রমজান মাসজুড়ে সাধারণত সারা দেশের সব স্কুল কলেজ কিংবা মাদ্রাসা— সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকত। অথচ, এবার ব্যতিক্রম। সরকার রমজানের অর্ধেক মাস দেশের সব স্কুল কলেজ মাদ্রাসা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। বিষয়টি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত।

তিনি বলেন, বিশ্বের প্রতি মুসলমানের কাছেই রমজান মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস। পবিত্র রমজান মাসে মানুষ একটু শান্তি এবং স্বস্তিকর পরিবেশে রোজা রাখবে, সেহরি করবে, ইফতার করবে, ইবাদত বন্দেগি করবে, প্রত্যেকটি মানুষেরই এমন আশা—আকাঙ্ক্ষা। কিন্তু গণবিরোধী অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় থাকলে মানুষের আশা—আকাঙ্ক্ষা গভীর হতাশায় নিমজ্জিত থাকবে— এটাই স্বাভাবিক। যারা দেড় দশক ধরে বিনা ভোটের ডামি সরকার হয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে রেখেছে তাদের প্রথম এবং প্রধান শত্রু হচ্ছে গণতন্ত্রকামী জনগণ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. আব্দুল কুদ্দুস, আব্দুস সালাম, বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদল নেতা ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল প্রমুখ।