নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে বিএনপির আবেদন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে আবেদন করেছে বিএনপি।

বুধবার (২৬ জুন) বেইলি রোড ডিএমপি কার্যালয়ে অনুমতির আবেদন পত্র জমা দিয়ে আসেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।

বিএনপির পক্ষ থেকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, আগামী শনিবার দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির উদ্যোগে সমাবেশ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এই সমাবেশের বিষয়ে আপনার অনুমতি, মাইক ব্যবহার ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।

এ বিষয়ে টুকু গণমাধ্যমকে বলেন, দেশনেত্রীর মুক্তির দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আগামী শনিবার সমাবেশের কর্মসূচি রয়েছে। এই বিষয়ে আমরা চিঠি দিয়ে ডিএমপিকে অবহিত করে এসেছি।

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বুধবার ৩ দিনের সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

কর্মসূচিগুলো হলো : খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আগামী ২৯ জুন বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ১ জুলাই সারা দেশের মহানগরগুলোতে এবং ৩ জুলাই জেলা সদরগুলোতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নিয়ে কৌশলী আওয়ামী লীগ!



রুহুল আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলীয় প্রতীক

ছবি: সংগৃহীত, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দলীয় প্রতীক

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রায় ৬ মাস পর আবারও রাজপথ দখলে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।

বিএনপি তার চেয়ারপারসনের মুক্তি ও সরকারের দুর্নীতিকে সামনে রেখে সমাবেশের ডাক দিচ্ছে। বিপরীতে আওয়ামী লীগ বলছে, ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বছরব্যাপী অনুষ্ঠান করবে তারাও।

দুই প্রধান বিরোধীদলের কর্মসূচির উদ্দেশ্য ভিন্ন হলেও মিলে যাচ্ছে দিন, তারিখ ও সময়। তবে এনিয়ে কৌশলী আওয়ামী লীগ। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির অপবাদ ঘোচাতে তাই বছরব্যাপী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের ঘোষণা আগেই দিয়ে রেখেছে দলটি।

দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিএনপিকে শূন্য রাজপথ ছেড়ে দিতে নারাজ হাইকমান্ড। সে কারণে বিএনপির সরকারবিরোধী কর্মসূচিকে চ্যালেঞ্জ করে রাজপথে থাকবে আওয়ামী লীগও। তবে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির ‘তকমা’ যেন না লাগে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকবে এবার।

পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির বিষয়টি মানতে নারাজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মসূচিকে অনেক ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় পাল্টাপাল্টি উল্লেখ করায় এর কড়া সমালোচনাও করেন তিনি।

২৯ জুন (শনিবার) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম বছরব্যাপী উদযাপন করবো। সেখানে খবর হয়, আমরা নাকি পাল্টাপাল্টি করছি! গতকাল আমরা সাইকেল র‌্যালি করেছি; বিএনপির কি কিছু ছিল! তাহলে কেন এই অপবাদ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দিচ্ছেন'!

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, ছবি- সংগৃহীত


এসময় তিনি অগ্রিম সমাবেশেরও ঘোষণা দিয়ে রাখেন। ওবায়দুল কাদের বলেন বলেন, ‘আমরা সারাবছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করবো। আমাদের কেন্দ্র থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত এই কর্মসূচি উদযাপন করা হবে। আগস্ট মাসের পরে জেলা পর্যায়ে সমাবেশ হবে। সে সমাবেশে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখবেন’।

এর আগে, সর্বশেষ চলতি বছরের মহান মে দিবসে রাজধানীতে পাল্টাপাল্টি সমাবেশ করে দুই দল। ওইদিন বিএনপি তার সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ব্যানারে সমাবেশ করে। অপরদিকে, আওয়ামী লীগও তার সহযোগী সংগঠন জাতীয় শ্রমিক লীগের ব্যানারে সমাবেশ করে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ২৭ জানুয়ারি বিএনপির কালো পতাকা মিছিল করে। এরপর এটাই ছিল দলটির বড় কোনো কর্মসূচি।

এরও আগে ২০২২ সালের জুলাই মাস থেকে বিএনপি তার মিত্রদের সঙ্গে যুগপৎভাবে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করে। তখন থেকে সরকারি দল আওয়ামী লীগও রাজপথ দখলে রাখার ঘোষণা দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে আসছিল। সে সময় বিএনপি ও তার মিত্রদের সরকার পতনের ‘এক দফা’ আন্দোলনের বিপরীতে আওয়ামী লীগ ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ সমাবেশ করে।

বিএনপির বিপরীতে দেওয়া আওয়ামী লীগের কর্মসূচি নিয়ে তখন ব্যাপক সমালোচনা হয়। বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিয়ে আওয়ামী লীগ সহিংসতাকে উস্কে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন কেউ কেউ। এত সমালোচনার পরেও রাজপথ ছাড়েনি আওয়ামী লীগ। বরং বিএনপির প্রতিটি কর্মসূচির বিপরীতে আওয়ামী লীগও তার কর্মসূচি অব্যাহত রাখে।

২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশের ডাক দিলে আওয়ামী লীগও বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়। সেদিন বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে ব্যাপক নাশকতা-সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও হয়। সহিংসতায় মারা যান একজন পুলিশ কনস্টেবলও। এমন চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে পণ্ড হয়ে যায় বিএনপির মহাসমাবেশ।

এরপর থেকে নির্বাচন পর্যন্ত কয়েক দফা হরতাল-অবরোধের ডাক দিলেও মাঠে নামতে পারেনি বিএনপি। ব্যাপক ধরপাকড়, মামলা ও নেতাকর্মী গ্রেফতারের কারণে বিপর্যস্ত ছিল দলটি। ফলে, কোনো বাধা ছাড়াই হয়ে যায় নির্বাচন। টানা চতুর্থ বারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।

তবে সে অবস্থা থেকে আবারও রাজপথে আন্দোলন জোরালো করতে চায় বিএনপি। বিপরীতে শূন্য রাজপথ ছেড়ে না দিয়ে মাঠে থাকতে চায় আওয়ামী লীগও। তবে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির তকমা ঘোচাতে এবার কৌশলী আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, নির্বাচন ও আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপি ও তার মিত্ররা। এখন নির্বাচিত সরকার ও দেশকে অস্থিতিশীল করতে নতুন করে মাঠে নামতে চায় দলটি। সে কারণে বিএনপির সহিংসতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি দলের নেতাকর্মীরাও মাঠে থাকবেন।

আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড থেকে এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগসহ সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের দেওয়া হয়েছে কড়া নির্দেশনা। দলের যে কোনো কর্মসূচিতে ব্যাপক জনসমাগম নিশ্চিত করতে সবাইকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

এছাড়াও দলের ঢাকা মহানগরীর এমপি ও অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদেরও দলের কর্মসূচিতে সর্বাত্মক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পাল্টাপাল্টি সমাবেশ নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ থেকে আমরা আগেই বছরব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। ঐতিহ্যবাহী সাফল্য ও গৌরব গাথার দল আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সর্ববৃহৎ এই দলটি তার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বছরব্যাপী উৎসব উদযাপন করছে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ছবি- সংগৃহীত


নাছিম বলেন, এখন আকস্মিকভাবে বিএনপির সঙ্গে যদি কোনো কর্মসূচি একই দিনে হয়ে যায়, তাহলে কি শুধু পাল্টাপাল্টি হবে! এটা তো এমন কোনো সমাবেশ ডাকা হয়নি যে, বিএনপি ডেকেছে বলে আমরা ডেকেছি।

বিএনপি-জামাতের কোনো সেমিনার হল বা আলোচনার অডিটরিয়ামে গিয়ে কোনো সভা ডেকেছি, এমন তো না। এরকম ঢাকা শহরে একাধিক দলের একাধিক সভা অতীতেও হয়েছে। তাতে কোনো সংঘাত বা উচ্ছৃঙ্খলা, মারামারি-খুনোখুনি এমন কিছু হয়নি।

বিএনপির সভা থেকে আওয়ামী লীগের সভা অনেক দূরে উল্লেখ করে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, এটা নিয়ে অহেতুক দ্বন্দ্ব বা সংঘাত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। একটি নির্বাচন হয়েছে, নির্বাচিত সরকার দেশ পরিচালনা করছে, ছয় মাসও হয়নি। এখন এই সরকারকে উৎখাতের কথা যারা বলে, তারা ব্যর্থ! সে ব্যর্থতার দায় অন্যভাবে আওয়ামী লীগকে দেওয়ার জন্য বিএনপি কৌশল নিচ্ছে। এই কৌশলকে আমরা পাত্তা দেই না।

;

নোয়াখালীতে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমাবেশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীতে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমাবেশ হয়েছে।

বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনের সড়কে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসির সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহাজান।

এ সময় তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে, তার পতন অনিবার্য। কারণ তার পতন আর খালেদা জিয়ার মুক্তি একই সুতোয় গাতা। জনগণ জেগে উঠতে শুরু করেছে, মানুষ যখন জেগে উঠবে তখন আপনার রাজনীতির মৃত্যু হবে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুর রহমান, যুবদলের সভাপতি মনজুরুল আজিম সুমন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন খান সহ স্বেচ্ছাসেবকদল, ছাত্রদল এবং বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা অনতিবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

;

বিএনপিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না: গয়েশ্বর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না বলে মন্তব্য করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা মামলা হামলায় কখনো কাবু হয় না। কারণ বিএনপি জনগণের দল, এই দল দেশ ও জনগণের কথা বলে। এই দলের নাম নিশানা মুছে ফেলা সম্ভব না।

বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে যশোর টাউন হল মাঠে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে দলের পূর্ব-ঘোষণা অনুযায়ী এই সমাবেশের আয়োজন করে জেলা বিএনপি।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের একটি ধর্ম আছে, কিন্তু শেখ হাসিনার কোন ধর্ম নেই। বাংলাদেশ মাফিয়ারা আজ পার্লামেন্টে, সেখানে কোন রাজনীতিবিদ নেই। আছে চোর, ডাকাত মাফিয়া চক্র। এই মাফিয়া কিভাবে সৃষ্টি হলো? কারা মাফিয়াদের সৃষ্টি করলো? এই মাফিয়া শুধু সাধারণ জায়গা না, প্রশাসনের মধ্যে মাফিয়া আছে। বেনজীর কত বড় মাফিয়া হলে চাকরি জীবনে শত শত না হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছে? দেশে বেনজীর, আজিজ, মতিউর ঘরে ঘরে হাজার হাজার তৈরি হচ্ছে।

দেশের সাধারণ মানুষ বাঁচবে কিভাবে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, যারা কর্ম করে খায়, তাদের কর্মসংস্থান কোথায়? তাদের আয় বাড়ছে? তারা তো সরকারি চাকরি করে না। সরকারি চাকরিজীবীদের আয় বাড়ছে। সরকারি চাকরিজীবীরা জনগণের সেবক। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় তাদের বেতন ভাতা হয়। কিন্তু আজ চাকরিজীবী দেশের মালিক, আর জনগণ সবচেয়ে অসহায়।

সীমান্তে হত্যা প্রসঙ্গে বিএনপির এই জেষ্ঠ নেতা বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়ে অস্ত্র কেনা হয়। সেই অস্ত্র দিয়ে যদি নিজের দেশকে রক্ষা করতে না পারি, তাহলে টাকা দিয়ে অস্ত্র কিনবো কেন? কি কারণে আজ মিয়ানমার লাফালাফি করছে? কই শহীদ জিয়াউর রহমান কিংবা খালেদা জিয়ার সময়তো লাফালাফি করতে পারেনি।

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকনের পরিচালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, সদস্য অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাবিরা নাজমুল মুন্নী, আবুল হোসেন আজাদ, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য অ্যাড. মো. ইসহকসহ প্রমুখ।

;

‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে খালেদা জিয়ার মুক্তি জরুরি’



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, আমাদের সাংবিধানিক অধিকার, আইনের অধিকার, মৌলিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার ও ভোটের অধিকার ফেরত আনতে হলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়াই গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বেশি লড়াই করেছেন। গণতন্ত্রের অধিকার আদায়ের সঙ্গে খালেদা জিয়ার মুক্তি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমাদের এতদিনের সংগ্রামে আমি ব্যর্থতা দেখছি না। এজন্য হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই।

বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের পুরাতন গোহাটা এলাকায় বশির ভিলা প্রাঙ্গণে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুল আউয়াল মিন্টু এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আহ্বানে দেশের লোক ভোট দিতে যায়নি। কোথাও গরু, কোথাও ছাগল, আবার কোথাও কুকুর দেখা গেছে। অতএব অবৈধ সরকারের ভোটার হচ্ছে গরু-ছাগল ও কুকুর। দেশের কোন ভদ্র লোক কোনদিন অবৈধ রাজনৈতিক দলকে ভোট দেবে না। জনগণ আওয়ামী লীগকে নির্বাসিত করেছে। যেদিন এ সরকারের পতন হবে- সেইদিন আওয়ামী লীগের কোন লোককে খুঁজে পাওয়া যাবে না।

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির সহ-সাংগঠনকি সম্পাদক হারুনুর রশিদ ভিপি হারুন।

জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক হাছিবুর রহমানের সঞ্চালনায় এসময় জেলা বিএনপির সদস্য নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, হাফিজুর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মাঈন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন, জেলা যুবদলের সভাপতি রেজাউল করিম লিটন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ, জেলা কৃষকদলের সভাপতি মাহবুব আলম মামুন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুনসহ জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

;