আ.লীগকে ভারতের সেবা দাস বানানোর চক্রান্ত চলছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আ. লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের/ছবি: বার্তা২৪.কম

আ. লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ ভারতের বন্ধু বলে সেবা দাস বানানোর চক্রান্ত চলছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সাইকেল র‍্যালিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, পিতার হাতে স্বাধীনতা, কন্যার হাতে মুক্তি। বিদেশে আমাদের প্রভু নেই, আপনাদের প্রভু আছে। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে। ভারত আমাদের ৭১ এর পরীক্ষিত বন্ধু। বঙ্গবন্ধু কন্যা যা করে বাংলাদেশের স্বার্থে করে। স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা কোনো বন্ধুত্বে আবদ্ধ হয় না।

এই দেশের উন্নয়ন অর্জন আওয়ামী লীগের হাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তি পেয়েছে। তরুণ সমাজ বেকার, তরুণদের কর্মসংস্থান এর যে অঙ্গীকার তা আমরা পূরণ করবো। আলোর পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে আওয়ামী লীগ।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত এই সাইকেল র‍্যালীতে সভাপতিত্ব করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

কানেকটিভিটির নামে ভারতকে ‘করিডর’ দেয়া হয়েছে: ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

  • Font increase
  • Font Decrease

কানেকটিভিটির নামে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের এক অংশ থেকে আরেক অংশ পর্যন্ত রেল যোগাযোগের নামে করিডোর দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এতে দেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে।

রোববার (৩০ জুন) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, আমাদের নিশ্চয়ই ১৯৭২ সালে ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত ২৫ বছরের গোলামি চুক্তির কথা স্মরণ আছে। ৫২ বছর পর সে ধারাবাহিকতায় গত ২২ জুন ভারতের সঙ্গে সমঝোতার আড়ালে যেসব চুক্তি করা হলো, তা বাংলাদেশকে আজীবনের জন্য ভারতের গোলামে পরিণত করবে। এর ফলে বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে দীর্ঘ মেয়াদে ভারতের গোলামি চুক্তির যে গভীর ফাঁদ তৈরির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে, এধরনের জাতীয় স্বার্থ বিরোধী চুক্তি জনগণ মেনে নেবে না।

চুক্তি-স্মারকের মাধ্যমে দেশের প্রতিরক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টিকে ভারতের জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার অংশে পরিণত করা হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, যা খুবই বিপজ্জনক এবং দেশের স্বাধীনতার প্রতি হুমকি। এটি শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও জোট নিরপেক্ষ নীতির পরিপন্থি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ভারত সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারত যদি আমাদের তিস্তা প্রজেক্টটা করে দেয়, তাহলে আমাদের সব সমস্যাই তো সমাধান হয়ে গেল। শেখ হাসিনা ভারতের সঙ্গে সাধারণ কূটনৈতিক দরকষাকষির ন্যূনতম ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন।

তিনি বলেন, একদিকে ভারত থেকে তিস্তার পানি আদায়ে ব্যর্থতা, অপরদিকে অসহায় মানুষের সাথে এ নিয়ে তামাশা— এটি জাতির জন্য নিতান্তই দুঃখজনক। শেখ হাসিনা তিস্তা পানি বণ্টন চুক্তিকে পুরোপুরি অবজ্ঞা করেছেন। তিস্তা চুক্তি তাদের এজেন্ডাতেই স্থান পায়নি। অনেকে মনে করেন, পানি মানুষের জীবন-জীবিকা ও জলবায়ুর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এবং পানি নিয়ে ভবিষ্যতে বিভিন্ন দেশের মধ্যে যুদ্ধ পর্যন্ত গড়াতে পারে।

বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতীয় রেল ট্রানজিটের ফলে বাংলাদেশের জনগণ উপকৃত হবে— প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, বিশেষজ্ঞরা রেল করিডোরের ফলে বাংলাদেশের লাভ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। এ ট্রেন বাংলাদেশের কোনো মানুষ ব্যবহার করতে পারবে না। একতরফাভাবে ভারতকে করিডোর সুবিধা দেওয়ার জন্য এ চুক্তি করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশের কোনো লাভ হবে না।

;

রাজধানীর পর বিভাগীয় শহরে সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকায় সমাবেশের পর এবার বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করবে বিএনপি। দলটির চেয়ার পার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সোমবার (০১ জুলাই) দেশের ৮ বিভাগে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে বুধবার (২৬ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগরের উত্তর ও দক্ষিণের বিএনপির নেতা-কর্মীরা সমাবেশ করবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেলে দলটির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ ঘোষণা দেন তিনি। সে অনুযায়ী ২৯ জুন নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যাযালয়ের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ইতিমধ্যে বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে প্রস্তুতি নিয়েছে বিভাগীয় শহরের নেতা কর্মীরা। সমাবেশ উপলক্ষে প্রস্তুত করা হচ্ছে মঞ্চ। স্থানীয় পর্যায়ে সক্রিয় হচ্ছেন নেতাকর্মী।

রংপুর ও চট্টগ্রাম এর প্রতিনিধিদের দেওয়া তথ্য মতে, চট্রগ্রাম নগরীর নছিমন ভবনের সামনের সড়কে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে মহানগর বিএনপি। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরি। সেখানে চট্রগ্রাম জেলার উপজেলাগুলো থেকে বিপুল নেতা-কর্মী সমাগমের প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি নেতা কর্মীরা।

চট্রগ্রাম মহানগর বিএনপির দফতর সম্পাদক ইদ্রিস আলী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আগামীকাল সমাবেশের সকল প্রস্তুতি শেষ। পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। থানা ও উপজেলাগুলো থেকে নেতাকর্মীরা আসবে। আশাকরি ব্যাপক নেতা-কর্মী আসবে কালকের সমাবেশে।

এছাড়া একই দিনে রংপুর মহানগরে বিকেল ৩টায় বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বিএনপি। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। সেখানেও বেশ নেতা-কর্মীর সমাগম করতে চায় রংপুর মহানগরের নেতা কর্মীরা।

এদিকে সিলেট, বরিশাল ও খুলনা বিভাগেও চলছে সমাবেশের ব্যাপক প্রস্তুতি। নেতা-কর্মীরা বলছে দীর্ঘদিন পর সমাবেশের কারণে তারা বেশ উচ্ছ্বসিত। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ পালনে পুলিশের অনুমতি চেয়েছে বিভাগ গুলোর নেতাকর্মীরা।

;

বৃক্ষ, মানুষ ও পরিবেশের অকৃত্রিম বন্ধু: সমীর চন্দ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ।

কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ।

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ বলেছেন, বৃক্ষ পরিবেশের অকৃত্রিম বন্ধু। বৈশ্বিক জলবায়ূর প্রভাবে যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখান থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হচ্ছে গাছ রোপণ। তাই বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং ঝড়-বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে নিজেদের বাঁচার জন্য আমাদের ব্যাপকভাবে বৃক্ষ রোপণ করতে হবে।

রোববার (৩০ জুন) সকালে মানিকগঞ্জের বেউথা নদীরপাড় ও রাস্তার পাড়ে এক হাজার বৃক্ষরোপণ করা হয়। বৃক্ষরোপণ শেষে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে (বিজয় মেলার মাঠ) এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি মানিকগঞ্জের বেউথা নদীপার ও রাস্তাপারে এক সঙ্গে এক হাজার বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে।

কৃষক লীগের দফতর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. গোলাম মহিউদ্দিন।

উদ্বোধকের বক্তব্যে কৃষক লীগের সভাপতি বলেন, এক গাছ যেমন মানুষকে তার ফল দেয়, ফুল দিয়ে সবিত করে এবং বৃদ্ধ বয়সে তার কাঠ মানুষের জন্য মূল্যবান। গাছ মানুষকে পুষ্টি দেয়, মানুষকে খাদ্য দেয়। গাছ মানুষকে জীবন বাঁচানোর জন্য অক্সিজেন দেয়। বৈশ্বিক জলবায়ূর প্রভাবে যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখান থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হচ্ছে গাছ রোপণ। তাই বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং ঝড়, বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়ের হাত থেকে নিজের বাঁচার জন্য ব্যাপকভাবে শেখ হাসিনার ঘোষিত কর্মসূচি বৃক্ষ রোপণ করার মধ্য দিয়ে পালন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের জুলাই মাস থেকে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেছিলেন। তার ধারাবাহিকতায় তার যোগ্য উত্তরাধিকার গর্বের প্রধানমন্ত্রী কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা ১৯৮৪ সাল থেকে বাংলাদেশ কৃষক লীগকে সাথে নিয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেছিলেন। গত ১৫ জুন কৃষক লীগের আয়োজনে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী। এসময় কৃষক লীগসহ আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে বৃক্ষরোপণের নিদের্শ দিয়েছেন। তার নিদের্শনার ধারাবাহিকতা কৃষক লীগ ৫২ লক্ষ গাছ লাগানোর অংশ হিসেবে আজ মানিকগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা এক হাজার বৃক্ষরোপণ করেছে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, "আপনারা প্রত্যকে তিন মাসে ৫২টি গাছ রোপণ করে কৃষক লীগের ৫২ লক্ষ গাছ রোপণের পরিকল্পনার অঙ্গীকার পূরণ করবেন।"

জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক মো. সমাপ্ত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

সংগঠনের সদস্য সচিব প্রভাষক বুলবুল আহমেদ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহ-সভাপতি আকবর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ড. হাবিবুর রহমান মোল্লা, মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. গোলাম মহিউদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু সুবেদ কুমার সাহা প্রমুখ।

;

খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করছে বিএনপি: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে বলে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (৩০ জুন) আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন। বিবৃতিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি এবং তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করারও অভিযোগ তুলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপির বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচি জনগণ বার বার প্রত্যাখ্যান করেছে এবং বিএনপি আজ একটি ব্যর্থ রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। এখন তাদের তথাকথিত আন্দোলনের বিষয় দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত অসুস্থ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়া একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হওয়ার পরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে নিজ বাসায় থেকে দেশের সর্বাধুনিক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছেন। সেখানে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ফৌজদারী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তির মুক্তভাবে এভাবে চিকিৎসাসেবা গ্রহণের কোনো নজির নেই। কিন্তু বিএনপি গত কয়েক বছর ধরে আইনগত পদ্ধতি ব্যতি রেখে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করছে। এমনকী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে গুজব ছড়িয়ে জনগণকে উসকানি দিচ্ছে এবং আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে জনগণের কাছ থেকে করুণা আদায়ের চেষ্টা চালাচ্ছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী আইনের দৃষ্টিতে সকলেই সমান। খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামী। সংবিধান ও আইনগত প্রক্রিয়ার বাইরে একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামীর মুক্তি দাবি ধৃষ্টতা ছাড়া কিছু নয়। আইনগত প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে কোনো সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির দেশ ত্যাগ করার কোনো বিধান নেই।

সেতুমন্ত্রী বলেন, মানবিক কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাহী ক্ষমতা ব্যবহার করে সাজা স্থগিত করে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসাগ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছেন। বিএনপি এ বিষয়ে আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, উচ্চ-আদালতে না গিয়ে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। ঐতিহ্যগতভাবে বিএনপি কখনো আইনের শাসনে বিশ্বাস করে না এবং চিরাচরিতভাবে আইন, বিচারব্যবস্থা, সংবিধান ও গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে সংবিধান ও আইনের শাসন বজায় রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কোনো প্রকার বেআইনি, অযাচিত ও অযৌক্তিক দাবি কোনো গণতান্ত্রিক সরকার মানতে পারে না। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অতীতের মতো আন্দোলনের নামে যে কোনো সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করবে।

;