১৫ আগস্ট খেলাফত মজলিসের গণমিছিল

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের বৈঠক

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের বৈঠক

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফ বলেছেন, দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার পদত্যাগে দেশের মানুষ জালেমের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের মানুষ বিজয় অর্জন করেছে। এ বিজয়কে নস্যাৎ করতে একটি গোষ্ঠী দেশের সম্পদ লুট-পাট করছে ও বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস করছে। দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এ ষড়যন্ত্রের মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে হবে।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের জরুরি বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

বৈঠকে আগামী ১৫ আগস্ট বাদ জোহর ঢাকার বায়তুল মোকারম উত্তর গেট থেকে নৈরাজ্যবাদ বিরোধী গণমিছিল ও ১৬ আগস্ট দেশব্যাপী সমাবেশ ও মিছিল করার কর্মসূচি দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য নানামুখী অপতৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। দেশের ছাত্র জনতার প্রাণ ও রক্তের বিনিময় যে বিজয় অর্জন হয়েছে সে বিজয় যাতে কোনোভাবে কেউ বিনষ্ট না করতে পারে সেজন্য দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে।

বিজ্ঞাপন

ছাত্র জনতার খুন ও রক্তপাতের সাথে যারা জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান মাওলানা ইউসুফ আশরাফ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যাতে বিনষ্ট না হয় এজন্য দেশের মানুষ ভিন্ন ধর্মালম্বীদের উপসনালয় ও ঘর বাড়ি পাহারা দিয়েছে। কিন্ত একটি গোষ্ঠী সংখ্যালঘু লোকদের দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। দেশের মানুষকে এতো বোকা ভাবা ঠিক নয়। দেশের মানুষ তাদের ষড়যন্ত্র বুঝে ফেলেছে। সুতরাং ষড়যন্ত্র বন্ধ করুণ। না হয় জনগণ কোনোভাবেই ছাড় দিবে না।

পুরানা পল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকের পরিচালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর মাওলানা রেজাউল করিম জালালী, মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী, মুফতি সাঈদ নুর, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা কোরবান আলী কাসেমী, মাওলানা আব্দুল আজীজ, মুফতি শরাফত হোসাইন, মাওলানা মহবুবুল হক, মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, অফিস ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, সাংগঠনিক সম্পদক মাওলানা মুহাম্মদ ফয়সাল, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, মাওলানা আবু সাঈদ নোমান, মুফতি ওজায়ের আমীন, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা সামিউর রহমান মুসা, কেন্দ্রীয় বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা নিয়ামতুল্লাহ, কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা হারুনুর রশীদ ভূইয়া, সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা শরীফ হোসাইন, সহ-বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য মাওলানা জসিম উদ্দীন, মাওলানা রুহুল আমীন খান, মাওলানা মুহসিন উদ্দীন বেলালী, মাওলানা হেদায়াতুল্লাহ হাদী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মুফতি নুর মোহাম্মদ আজিজী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ছানাউল্লাহ আমিনী, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মুফতি হাবীবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আনোয়ার হোসাইন রাজী প্রমুখ।