‘ভারতে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা চুপচাপ বসে নেই’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি- বার্তা২৪.কম

ছবি- বার্তা২৪.কম

ভারতের স্বৈরাচার শেখ হাসিনা চুপচাপ বসে নেই, বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) তারা সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়া প্রজন্ম দল আয়োজিত আর্থিক সহায়তা প্রদান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব বলেন।

বিজ্ঞাপন

বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির নেতা বলেন, স্বাধীনতা পেলেও আন্দোলন আমাদের চলমান রয়েছে। কারণ এখনো স্বৈরাচারের দোসররা চুপচাপ বসে নেই। তারা বিভিন্ন জায়গায় উস্কানি দিয়ে বিশৃঙ্খলা এবং ঘেরাও করার চেষ্টা করছে। ভারত কোনো আগাম সতর্কবার্তা ছাড়াই ফারাক্কা বাঁধ খুলে দিয়ে উত্তরাঞ্চলকে বন্যা ভাসিয়ে দিয়েছে। প্রতিবেশী দেশ বিভিন্নভাবে তাদের ষড়যন্ত্র চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছে। এজন্য বিভেদ নয়, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

সেলিনা রহমান বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে বাংলাদেশের ছাত্র জনত ও রাজনীতিবিদ সহ সবাই মাঠে নেমেছিল। কারন স্বৈরাচার সরকারকে পতন ঘটাতে হবে। গত ১৫ বছর জনগণ কথা বলতে পারেনি। তরুণ প্রজন্ম ভোটার হয়েছে কিন্তু ভোট দিতে পারেনি। বারবার বিনা ভোটে ক্ষমতায় এসে অবৈধ সরকার জনগণের পেটের ওপর লাথি মেরেছে। অত্যাচার নির্যাতন করে ক্ষমতায় টিকে ছিল। ছাত্র জনতাকে নির্মম ভবে হত্যা করেছিল শুধুমাত্র ক্ষমতা ধরে রাখতে। হত্যার পর লাশ আগুন পুড়িয়ে দিয়েছে। অনেক শিশু তার বাবাকে হারিয়েছেন। তারা কিভাবে বাঁচবেন? গত ১৭ বছর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে বিএনপির অনেক নেতা কর্মী জীবন দিয়েছে। বহু ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তাগেরকে স্যালুট ও নিহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলে বিএনপি নেতা কর্মীদেরকে সর্বপ্রথমে গ্রেফতার-নির্যাতন করা হয়েছে। তাদের ওপর কারাগারে অমানবিক অত্যাচার-নির্যাতন করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গত ১৭ বছর সরাসরি সরকার রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করে একের পর এক অপকর্ম করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়নের নামে বিদেশে টাকা পাচার করেছে। ব্যাংকগুলোতে লুটপাট চালিছে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য যত বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে সেলিমা রহমান বলেন, খুনীদের ভারতে যেতে কারা সহায়তা করছে। তাদের খুজে বের করুন।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, বিএনপির ৩১ দফা রুপরেখায় রাষ্ট্র সংস্কারে সব প্রস্তাব রয়েছে। এ রূপরেখা থেকে দেড় বছর আগেই দেওয়া হয়েছিল। প্রস্তাবে ছিল একজন দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট গঠন এবং জনগণের ভোটে সংসদ নির্বাচিত হবেন। আগামীতে জাতীয় সরকারের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব আশ্বাস দিয়ে তিনি আরো বলেন, আমাদের লক্ষ্য একটাই ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। জনগত অধিকার নিশ্চিত করার জন্য দরকার একটা নির্বাচিত সরকার। যারা জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করবে। বিএনপি কিন্তু একবারও বলেনি তাদের ক্ষমতায় আনতে হবে। এখন স্লোগান নয়, রাষ্ট্রের গঠনমুলক কাজ করতে হবে। তারেক রহমানকে দেশে ফিরেয়ে এনে সুন্দর ও ভবিষ্যতে বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।

সেলিমা রহমান অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে মারার জন্য কারাগারে স্লো পয়জন করা হয়েছিল। আজকে তিনি এতটাই অসুস্থ যে তাকে আড়াই ঘণ্টা বিমান করে বিদেশে পাঠানোর উপায় নাই। তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছে ডাক্তারা। তিনি জীবন-মৃত্যুর সাথে লড়াই করলেও সরকারের সঙ্গে আপোষ করেননি। আপোষ করলে অনেক আগেই প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন।