আওয়ামী লীগকে প্রশ্রয় না দেয়ার জন্য বিএনপি নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য হাফেজ মো. আজিজুল হক।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে জাতীয়তাবাদী জিয়া সৈনিক দল গৌরীপুর উপজেলার শাখার আয়োজনে উপজেলার কলতাপাড়া বাজারে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি। 

হাফেজ মো. আজিজুল হক বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে প্রশ্রয় দেবেন না। আওয়ামী লীগকে চিহ্নিত করে রাখেন। সময় শেষ হয় নাই। যারা এই বিগত ১৬ বছর অস্ত্রবাজী করছে, চাঁদাবাজি করেছে, তাদের জন্য এখানে আমাদের এই গৌরীপুরে আপনারা জানেন যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে। যাদের কাছে অস্ত্র ছিল অলরেডি তাদের বাড়িতে হানা শুরু হয়েছে। যারা ইয়াবা বেচতো তাদেরকেও ধরবে। আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশ কারো ওপর জুলুম করবেন না। কারো ওপর অত্যাচার করবেন না। আইন আছে আইনের হাতে সোপর্দ করবেন।

দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে হাফেজ মো. আজিজুল হক বলেন, যখন আমরা বিরোধী দলে ছিলাম। যখন লিফলেট দিতে যাই লোক পাই না। এখন সবাই নেমে পড়ে বলে- আমি আমি, আমি বিএনপি। আগে কোথায় ছিলেন বিএনপি? এখন বিএনপির অভাব নেই।

আলোচনা সভার প্রধান বক্তা জাতীয়তাবাদী জিয়া সৈনিক দলের আহ্বায়ক মো. এনামুল হক মোল্লা বলেন, ‘সন্ত্রাস, নৈরাজ্যকারী, লুটপাটকারী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে দেশনায়ক তারেক রহমান প্রশ্রয় দেন না। ইতিমধ্যে দেখেছেন যারা সত্যিকার অর্থে দোষী, তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আগামী দিনে আরো একটি যুদ্ধ আছে। সেই যুদ্ধ হচ্ছে নির্বাচনী যুদ্ধ, ভোট ও ব্যালটের যুদ্ধ। সেই যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য জাতীয়তাবাদী জিয়ার সৈনিক দলকে অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করতে হবে’।

জিয়া সৈনিক দল ময়মনসিংহ জেলা শাখার সদস্য সচিব আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আবু হাসনাত এবং শওকত আলীর মন্ডল সুমনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য এসএম দুলাল, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এমএ হান্নান, উপজেলা স্বেচ্ছোসেবক দলের সদস্য সচিব আব্দুল কাদির, গৌরীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক একেএম আব্দুল্লাহ প্রমুখ

আলোচনা সভা শেষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়।

সদ্য অনুমোদিত সিলেট জেলা যুবদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নেতাকর্মীরা ঝাড়ু মিছিল করেছেন।

অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মোমিনকে সভাপতি ও মোহাম্মদ মকসুদ আহমদকে সাধারণ সম্পাদক এবং মাসরুর রাসেলকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ২৯১ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয়তাবাদী যুবদল সিলেট জেলা শাখার পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় যুবদল।

এই কমিটি প্রত্যাখ্যান করে সিলেটে ঝাড়ু মিছিল করেছে যুবদলের বড় একটা অংশের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলের দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নেতারাকর্মীরা মিছিল বের করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।

এ সময় নেতাকর্মীদের হাতে ঝাড়ু নিয়ে কমিটির বিরোধী স্লোগান দিতে দেখা যায়।

নেতাকর্মীদের অভিযোগ, কমিটিতে দলের ত্যাগী নেতা কর্মীদের মূল্যায়ন করা হয়নি। এছাড়া কমিটিতে সিনিয়র-জুনিয়র সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। তৃতীয় শক্তি দলের ভিতরে সুযোগ নিবে। তাই এই কমিটি প্রত্যাখ্যান করেছেন তারা।

এর আগে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হয়।

খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানান দলটির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রহুল কবীর রিজভী।

রহুল কবীর রিজভী জানান, খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির বিলুপ্ত করা হয়েছে। সেই অল্প কয়েকদিনের মধ্য নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জেলে রাখার উদ্দেশ্যে মামলা দেয়া হয়েছিল মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সারাবিশ্ব যেখানে নোবেলবিজয়ী মানুষকে পুরস্কার দিয়েছে। সেখানে স্বৈরাচার হাসিনা তাকে সম্মান না দিয়ে জেলে রাখার পাঁয়তারা করেছে। তাকে সুদখোর বলে আখ্যায়িত করেছে। কারণ তিনি এ দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ ডাকবাংলো মাঠে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত জনসভায় এসব বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের সাথে গাদ্দারি করেছে, বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে। সাধারণ মানুষদের গুম, খুন করে তারা সীমালঙ্ঘন করেছে। তারা শান্তিতে নেই, ঘুমাতে পারে না। আমরা ঠিকই ঘুমাতে পারছি।

অন্তর্বর্তীন সরকার জঞ্জাল পরিষ্কার করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, নতুন একটি সূর্যোদয়ের মাধ্যমে একটি স্বপ্ন তৈরী হয়েছে। এটি হল গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। বিদেশে লুটের টাকা ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশে ব্যাংক খেকো ও ঘুষ গ্রহণ কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সুন্দর একটি মাঠ তৈরী করতে হবে। তখন কাদের সাহেবকে বলব আসেন খেলা হবে।

এসময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদসহ জেলা-উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।