আওয়ামী লীগের সম্মেলন

তৃণমূলে সফরের ৮ টিম প্রস্তুত



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,ঢাকা, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন চলতি বছরের অক্টোবরে। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নিদের্শনা ও ইচ্ছা অনুসারে যথাসময়ে জাতীয় সম্মেলন আয়োজন করতে চায় আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড।

তাই সম্মেলনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দলের সাংগঠনিক ব্যস্ততা শুরু হতে যাচ্ছে। চলতি মাসেই তৃণমূল সফরে বের হবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এ উপলক্ষে রোববার আট বিভাগের জন্য আটটি সাংগঠনিক টিমের খসড়া তৈরি করেছে দলের সম্পাদকমণ্ডলী। কেন্দ্রীয় নেতারা এই আটটিমে ভাগ হয়ে তৃণমূল সফরে বের হবেন।

আগামি শুক্রবার (৫ এপ্রিল) কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে তা চূড়ান্ত হওয়ার পরপরই মাঠে নেমে পড়বেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা।

সাংগঠনিক সফরের ব্যাপারে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আটটি টিমের খসড়া তৈরি করেছি। কার্যনির্বাহী সভায় খসড়া তালিকা অনুমোদন হলে তৃণমূলে সাংগঠনিক সফর শুরু করবো।’

আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়েরর নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কোনো কারণে অক্টোবরে সম্মেলন করতে না পারলে, সম্মেলনের তারিখ পিছিয়ে সর্বোচ্চ নভেম্বর পর্যন্ত যেতে পারে। এর মধ্যে মে মাসে পবিত্র রমজান, এরপর ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা ও পবিত্র হজ। আর এর মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে শেষ ধাপের উপজেলা নির্বাচন।

তারপর শোকাবহ আগস্ট। রোজা ও আগস্টে পুরো দুই মাস আওয়ামী লীগ কোনো সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পালন করবে না। সম্মেলনের সম্ভাব্য তারিখ অক্টোবরের আগে সব মিলিয়ে সময় পাওয়া যাবে তিন মাস। তাই ওয়ার্ড থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দলকে সম্মেলনের জন্য প্রস্তুত করতে তাড়াতাড়ি সাংগঠনিক সফরে নামা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

নেতারা বলছেন, আগামী বছর জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও পরের বছর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের প্রস্তুতি হিসেবে তাড়াতাড়ি দলীয় সম্মেলন করা ঐতিহাসিক ও সাংগঠনিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সীমিত সময়ে সারাদেশে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা, পৌরসভা, জেলা সম্মেলন করা আদৌ কতটুকু সম্ভব; সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে।

তারা বলছেন, কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে এমন কিছু জেলায় সম্মেলন হতে পারে। অনেক জেলায় বর্ধিত সভা করে প্রেস রিলিজে কমিটি হতে পারে। একই বর্ধিত সভায় কাউন্সিলর তালিকাও হালনাগাদ হবে। এসব সভায় জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের জন্য তৃণমূলে কমিটি গঠন ও কর্মপরিকল্পনা অবহিত করা হবে।

সাংগঠনিক প্রস্তুতির ব্যাপারে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মহাবুব-উল আলম হানিফ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আগামী শুক্রবার দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক আছে। সেখানে সফরের বিভিন্ন দিক চূড়ান্ত হওয়ার পরপরই সিদ্ধান্ত হবে।’

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক টিম: আটটি বিভাগে সাংগঠনিক সফরের জন্য আটটি টিম গঠন করা হয়েছে। এগুলো খসড়া আকারে সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে প্রস্তুত করা হয়েছে, যা দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে চূড়ান্ত হবে। দলের যুগ্ম ও সাংগঠনিক সম্পাদকরা এসব টিমের সমন্বয় করবেন। 

সূত্র জানায়, খসড়া টিমে ঢাকা বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মোজাফফর হোসেন পল্টু, কাজী জাফর উল্লাহ, মুকুল বোস, সাহারা খাতুন, আবদুল মান্নান খান, ডা. দীপু মনি, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, হাবিবুর রহমান সিরাজ, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, আখতারুজ্জামান, ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, মৃণাল কান্তি দাস, কামরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দেলোয়ার হোসেন, আনোয়ার হোসেন, ইকবাল হোসেন অপু, সিমিন হোসেন রিমি ও এবিএম রিয়াজুল কবির কাওছার।

চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ইঞ্জি. মোশাররফ হোসেন, আবদুল মতিন খসরু, মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, ড. হাছান মাহমুদ, একেএম এনামুল হক শামীম, ফরিদুন্নাহার লাইলী, সুজিত রায় নন্দী, ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, আমিনুল ইসলাম, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া. দীপংকর তালুকদার, র আ ম ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, হারুনুর রশীদ ও অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু।

রাজশাহী বিভাগে মোহাম্মদ নাসিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, নুরুল ইসলাম ঠান্ডু ও মেরিনা জাহান। 

রংপুর বিভাগে রমেশ চন্দ্র সেন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, বিএম মোজাম্মেল হক, টিপু মুন্সী ও এইচএন আশিকুর রহমান।

সিলেট বিভাগে আবুল মাল আবদুল মুহিত, নুরুল ইসলাম নাহিদ, মাহবুব-উল আলম হানিফ, আহমদ হোসেন, বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান ও অধ্যাপক রফিকুর রহমান। এ বিভাগে উপদেষ্টা পরিষদের আরও দুয়েকজন নেতা যুক্ত হবেন।

খুলনা বিভাগে পীষুষ কান্তি ভট্টাচার্য্য, আবদুর রহমান, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, এসএম কামাল হোসেন ও অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন, পারভীন জামান কল্পনা। 

ময়মনসিংহ বিভাগে আমির হোসেন আমু, ড. মো. আবদুর রাজ্জাক, ডা. দীপু মনি, মো. মিজবাহউদ্দিন সিরাজ, অসীম কুমার উকিল, মো. আবদুছ ছাত্তার ও উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং।

বরিশাল বিভাগে তোফায়েল আহমেদ, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, আবদুর রহমান, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ড. শাম্মী আহমেদ ও অ্যাডভোকেট শ. ম. রেজাউল করিম। 

এর বাইরে ঢাকা মহানগর উত্তরে সম্মেলন প্রস্তুতিতে কাজ করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) ফারুক খান, দক্ষিণে কাজ করবেন ড. আবদুর রাজ্জাক। আর এর মধ্যে দলের অসুস্থ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে এলে শারীরিক সক্ষমতার ভিত্তিতে মাঠ পর্যায়ের সাংগঠনিক কাজের তদারকি করবেন। তার অবর্তমানে কাজ চালিয়ে যাবেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।

   

দেশের মানুষ বর্তমান সরকারের ওপর বিরক্ত: চুন্নু



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টি (জাপা) মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে। দেশের মানুষ বর্তমান সরকারের ওপর বিরক্ত।

শনিবার (১৮ মে) জাপার বনানী কার্যালয়ে জাতীয় পেশাজীবী পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি’র ওপর মানুষ আস্থা রাখতে পারছে না। কারণ, আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপি সফল হতে পারছে না। এই দুটি দলের বিকল্প হিসেবে সাধারণ মানুষ জাতীয় পার্টিকে বেছে নিতে চায়। আগামী দিনে জাতীয় পার্টির উজ্জল ভবিষ্যত আছে। তাই, জাতীয় পার্টিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।

পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান আকাশের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন সদস্য সচিব ডাঃ রাকিব। পেশাজীবী পরিষদের লেহাজ উদ্দিন, সাংবাদিক নিশাত শাহরিয়ার, অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম, মোঃ নুরুজ্জামান, সোয়াইব ইফতেখার, ডাঃ মোঃ আজীজ বক্তব্য রাখেন।

উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মোঃ খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ সেলিম, যুগ্ম দফতর সম্পাদক সমরেশ মন্ডল মানিক, কেন্দ্রীয় সদস্য শেখ মোঃ আবু ওয়াহাব।

;

সরকার বয়কটে ইসরায়েল-ভারতের পণ্য বয়কট হবে: আলাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ‘ইসরায়েল ও ভারতের পণ্য’ মন্তব‌্য করে বিএনপি'র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মুয়াজ্জিন হোসেন আলাল বলেছেন, এই সরকারকে যদি বয়কট করা যায়, তাহলে ইসরায়েল ও ভারতের পণ্যকে বয়কট করা হবে। তাই, এই আওয়ামী লীগ সরকারকে বয়কট করাই হচ্ছে, এখন সবচাইতে বড় কাজ।

শনিবার (১৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বাংলাদেশ সিভিল রাইটস সোসাইটি’-এর উদ্যোগে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে এক নাগরিক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আলাল বলেন, ‘দ্য হিন্দুস্থান টাইমস’-এ একটি খবর দেখলাম, ভারত থেকে ইসরায়েলকে দেওয়া অস্ত্র বহর ইউরোপের একটি দেশ স্পেন তাদের বন্দরে রাখার অনুমতি দেয়নি। তারা ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে সেই জাহাজকে।

একই সঙ্গে ইউরোপের অন্যান্য দেশকেও স্পেন বলেছে, ইসরায়েলকে সমরাস্ত্র দেওয়া বন্ধ করতে হবে এবং তারা নিজেরাও বন্ধ করেছে। অথচ আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ যেখানে লাখ লাখ মানুষ রক্ত দিয়ে একটি মানচিত্র অর্জন করেছে, সেখানে ইসরায়েলের থাবা প্রায় বসেছে। তা না হলে রাতের বেলায় গোপনে ইসরায়েল সংস্থার বিমান কীভা‌বে অবতরণ করে! ভারত থেকে ইসরায়েলকে অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে, সমর্থন করা হচ্ছে। স্পেনের মতো একটি দেশ এর প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু আমরা প্রতিবাদ করছি না!

তিনি বলেন, ভারত এত বড় আমাদের প্রতিবেশী একটি রাষ্ট্র অথচ ধীরে ধীরে বাংলাদেশের জনগণের মন থেকে তারা উঠে গেছে। ফেলানি তো কোনো মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিল না অথচ তার লাশ কাঁটাতারে ঝুলেছে। তাকে কেন কাঁটাতারে ঝুলতে হয়েছিল! প্রতিদিন ‘গরু পাচারকারী’ আখ্যা দিয়ে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, যেটা বিশ্বের অন্যান্য দেশের সীমান্তে হয় কি না আমাদের জানা নেই, একই অবস্থা আজ ইসরায়েল করছে ফিলিস্তিনিদের ওপর!

যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, মিয়ানমারের গণহত্যার বিপক্ষে আমাদের পক্ষে গাম্বিয়ার মতো দেশ আন্তর্জাতিক আদালতে বাদী হতে পারে, তাহলে আমরা কেন আজ ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে বাদী হতে পারবো না! আজ এ সরকার ভারতকে তোষামোদ করে নিজে ক্ষমতায় থাকার জন্য বিশ্বের সব মানবতাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিচ্ছে। সুতরাং, আমরা মনে করি, ইসরায়েল ও ভারতের পণ্য হচ্ছে, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার। এই সরকারকে যদি বয়কট করা যায়, তাহলে ইসরায়েলকে পূর্ণ বয়কট করা হবে; ভারতীয় পণ্যকেও বয়কট করা হবে। এই আওয়ামী লীগ সরকারকে বয়কট করাই হচ্ছে, এখন সবচাইতে বড় কাজ।

এ সময় সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

;

সরকারের ধারাবাহিকতায় দেশে এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের ধারাবাহিকতা এবং স্থায়িত্বতায় দেশে এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা একটা কথা কেউ বলি না, আজকের বাংলাদেশের এতো উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কেন? সরকারের ধারাবাহিকতা এবং স্থায়িত্বতার কারণে। এর কারণেই বাংলাদেশের এত উন্নয়ন ও অর্জন সম্ভব হয়েছে। এই কারণে বিশ্বের বিস্ময়ে রূপান্তরিত হতে পেরেছে বাংলাদেশ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতি আপনজন এই দেশের জনগণ। হতাশা কবলিত বাংলাদেশে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।

 সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করেছেন এটা সত্যি নয়: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, এটা সত্যি নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে তেজগাঁওয়ের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান পঁচাত্তরের পর আমাদের বিভিন্ন সামরিক বাহিনীর ১১শ' অফিসারকে নাস্তা খেতে খেতে ফাঁসি দিয়েছিলো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলেন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, এটা সত্যি নয়। ১১ হাজার স্বাধীনতা বিরোধী কারাগারে ছিলো, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে এদের মুক্তি দিয়েছিলো। যার মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিলো ৭১৩ জন। এদের মুক্তি দিয়েছিলো জিয়াউর রহমান। এই ইতিহাস ভুলে গেছেন? কথায় কথায় আজকে বলেন, কারাগার। আমি কি মিথ্যা বলেছি? জিয়াউর রহমান কি করেছিলো এর প্রমাণ আছে।

বিএনপি ২৮ অক্টোবর পালিয়ে গিয়ে এখন বেসামাল হয়ে এখন প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগকে আক্রমণ করছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, আমি তাদের বলতে চাই, মুক্তির কথা বলেন, লজ্জা করে না? জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগ সহ অন্যান্য দলের ৬২ হাজার নেতাকে জেলে রেখেছিলো। আপনাদের কতজন নেতা জেলে আছে? ৩ হাজার আমাদের নেতাকর্মীর ও সরকারি অফিসারদের গুম করেছিলেন জিয়াউর রহমান।

আমাদের নাকি প্রতিবেশী দেশ নিয়ন্ত্রণ করে, ফখরুল সাহেব শেখ হাসিনাকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। আমাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি জয় বাংলার চেতনা। দেশি বিদেশি কোন শক্তি নয়। আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে দেশের জনগণ, সংবিধান। এই সংবিধানের বাইরে আমরা যাবো না।

যত ষড়যন্ত্র করুক, বিদেশি শক্তির নামে হুমকি ধমকি দিতে পারেন। তিনি কোন বিদেশি শক্তির পরোয়া করেন না, শুধু বাংলাদেশের জনগণকে পরোয়া করেন।

শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের পূর্ব পৃথিবীর সূর্য, আশার বাতিঘর, স্বপ্নের ঠিকানা শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের গত ৪৪ বছরে সবচেয়ে সাহসী রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। গত ৪৪ বছরের সবচেয়ে বিচক্ষণ, সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক, সবচেয়ে জনপ্রিয়, সবচেয়ে সফল কূটনীতিক এর নাম শেখ হাসিনা।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;