খালেদা জিয়ার মুক্তি

আবেদন না করলে প্যারোল বিবেচনার সুযোগ নেই: তথ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, ছবি: সংগৃহীত

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আবেদন না করলে তার প্যারোলে মুক্তির বিষয়টি বিবেচনার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আছেন। তিনি আবেদন করলেই শুধু সেটি বিবেচনা করার সুযোগ আছে। তিনি নিজে যদি না চান, তার আগে তাকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনারই কোনো সুযোগ নেই। আর তাকে সরকার প্যারোলে মুক্তি দেওয়ার কোনো চিন্তা-ভাবনা করছে, এমনও নয়।’

রোববার (৭ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন- পিকেএসএফ আয়োজিত যুব সম্মেলন ২০১৯ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্য অবান্তর ও অমূলক। কারণ এখানে বেগম জিয়ার মতামতের বিষয় নেই, তিনি আবেদন করলেই শুধু তা বিবেচনার সুযোগ থাকে। আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে চাই, মির্জা ফখরুল ইসলাম, রুহুল কবির রিজভী, খন্দকার মোশাররফসহ তাদের অনেক নেতারা যেভাবে কথা বলছেন, মনে হয় তারা এক এক জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। যিনি রোগী তিনি বলছেন আগের চেয়ে অনেক ভালো অনুভব করছেন, তার চিকিৎসা ভালো হচ্ছে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/07/1554649991160.jpg

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল বাংলাদেশে বিশেষায়িত হাসপাতাল উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদককে (ওবায়দুল কাদের) স্কয়ার হাসপাতাল অতিক্রম করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে বিশ্বমানের যে চিকিৎসা রয়েছে, সেটি সিঙ্গাপুর এবং ভারত থেকে আসা বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররাও বলেছেন।’

পিকেএসএফ -এর সভাপতি অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল করিম এবং উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক-২ ড. জসীম উদ্দিন বক্তব্য দেন।

   

বিএনপি-জামায়াত ফিলিস্তিনের পক্ষে একটা কথাও বলেনি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিএনপি-জামায়াত ফিলিস্তিনের পক্ষে একটা কথাও বলেনি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বিএনপি-জামায়াত ফিলিস্তিনের পক্ষে একটা কথাও বলেনি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, মায়াকান্না করা বিএনপি ও জামায়াত ফিলিস্তিনের পক্ষে একটা কথাও বলেনি। এই দলগুলো কীভাবে, মানুষের পক্ষে কাজ করবে। কথায় কথায়, সরকার নামানোর বক্তব্য। জামায়াতে ইসলামী, কাপুরুষ দল। এরা কোন অধিকারে ইসলামের কথা বলে।

শুক্রবার (২৪ মে) দুপুরে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে বিশ্ব শান্তি-ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে শান্তি আনতে হলে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ফিলিস্তিনিদের অধিকার আনতে হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদলতের চিফ প্রসিকিউটর নেতানিয়াহুকে গ্রেফতারের দাবি তুলেছে, তার প্রতি বাংলাদেশের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। অপর পক্ষে, জামায়াত শিবিরের মুখোশ ধারীদের জনগণের চিনে রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, এক দিকে অস্ত্র, অন্য দিকে খাবার ফেলছে, একই দেশ গুলো। এখন, পৃথিবীর বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিক্ষোভ হচ্ছে। অনেক দেশ ফিলিস্তিনের পক্ষে ভোট দিচ্ছে। কোনো কিছুই গোপন রাখা যাচ্ছে না। প্রকাশিত হয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক অস্তিত্বের প্রয়োজনে নেতানিয়াহু যুদ্ধ বিলম্বিত করছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের স্পষ্ট অবস্থান, আমরা ফিলিস্তিনের পক্ষে। বাংলাদেশ আগেও সাহায্য সহযোগিতা করেছে। পুনরায় সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। সাউথ আফ্রিকার পিটিশনের পক্ষে, বাংলাদেশ মতামত দিচ্ছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক দুলাল উপস্থিত ছিলেন। এসময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপকমিটির সদস্য লায়ন মশিউর আহম্মেদের সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা কর্মী ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

;

সরকার বড় বিপদে আছে : দুদু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

শেখ হাসিনা সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, 'সরকার বড় বিপদে আছে। ডাইরেক্টলি (সরাসরি) না হলেও ইন্ডাইরেক্টলি আপনি (সরকার) সাবেক সেনাপ্রধান এম এ আজিজ ও সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদের দুর্নীতির অংশীদার।'

শুক্রবার (২৪ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরামের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিতে এক প্রতিবাদ অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

দুদু বলেন, 'আমি জানি আপনি অস্থিরতার মধ্যে আছেন। এক সময়ের আপনার সেনাপ্রধান এম এ আজিজ বর্তমানে স্বপরিবারে নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হয়েছে। ডাইরেক্টলি না হলেও ইন্ডাইরেক্টলি আপনি তার (সেনাপ্রধান এম এ আজিজ) অংশীদার। তার মাধ্যমে '১৮ সালে আপনি নদী পার হয়েছিলেন। আপনার একসময়ের পুলিশ প্রধান বেনজির আহমেদের সম্পদ এবং ব্যাংক জব্দ করার জন্য বলেছে কোর্ট। সে শুধু আপনার সমর্থকই ছিলেন না। আপনি তার ঘাড়ে চেপে পুলিশের সমর্থনে সরকার গঠন করেছেন।'

তিনি বলেন, আজকে আপনি বাংলাদেশের রাস্তা-ঘাট, বন্দর পার্শ্ববর্তী দেশকে দিয়ে দিয়েছেন। আপনি নিজেও স্বীকার করেছেন ভারতকে আপনি এমন কিছু দিয়েছেন যেটি ভারত কখনোই ভুলতে পারবে না। সাদা চামড়া বলতে আপনি কাদেরকে বুঝিয়েছেন? যে আপনার কাছে দাবি করেছে যে সাদা চামড়ারা নতুন রাষ্ট্র বানাতে চাচ্ছে এই কথাটি আপনাকে পরিষ্কার করতে হবে। কারণ এই কথার মধ্যে আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন আছে। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব থাকবে কিনা সেটা দেখা দিয়েছে।'

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, 'গতকাল বর্তমান এই দখলদার প্রধানমন্ত্রী সাদা চামড়া প্রসঙ্গে যে কথা বলেছেন সেটি অত্যন্ত মারাত্মক। আজকে প্রধানমন্ত্রীকে জাতির সামনে এই কথাকে স্পষ্ট করে বিবৃতি দেওয়ার জন্য দাবি জানাচ্ছি। সাদা চামড়া বলতে আপনি (শেখ হাসিনা) কাদেরকে বুঝিয়েছেন।'

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'আনার স্বর্ণ চোরাচালানসহ অনেক অবৈধ কাজের সাথে জড়িত ছিল। এইসব দুর্নীতিগ্রস্ত সেনাপ্রধান আজিজ ও পুলিশ প্রধান বেনজির আহমেদ এবং দুশ্চরিত্র লম্পটরা যদি জাতীয় সংসদের সদস্য হয় আর সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী যদি আপনি হন, আপনার দল হয় তাহলে আর কি বাকি থাকতে পারে।'

৭ জানুয়ারি আপনি একটি নির্বাচন দেখিয়ে ক্ষমতায় আসার তিনমাসের অবস্থায় আপনি অস্থির হয়ে গেছেন। বাকি সময় এখনো পড়ে আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপির এ নেতা বলেন, 'এ দেশে বেগম খালেদা জিয়াকে যারা মিথ্যা মামলায় তথাকথিত বিচারের নামে ছয়টি বছর জেলখানায় বন্দি রেখেছে তাদের আগামী দিনে জনতার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। তাদেরকে এদেশের ব্যাংকগুলো লোপাট করে নেওয়ার প্রশ্নে দুর্নীতির করাল গ্রাসে দেশটাকে ধ্বংস করার জন্যে তাদেরকে একদিন বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।'

কৃষকদলের সাবেক আহ্বায়ক বলেন, 'চারিদিকের যে পরিস্থিতি এখন সরকারের অস্তিত্ব নিয়ে টান পড়েছে। সরকার থাকবে কিনা, কবে যাবে, কত তারিখে পদত্যাগ করবে এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এরপরেও আমি শেখ হাসিনাকে বলবো, আপনি পদত্যাগ করে বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ রক্ষা করার জন্য জনগনের ক্ষমতা জনগনের হাতে দিয়ে দেন। তাহলে হয়তো রেহাই পেলে পেতেও পারেন। অন্যথায় যদি আন্দোলনের মাধ্যমে আপনার পতন হয় তাহলে সে পরিস্থিতি আপনি সামাল দিতে পারবেন না।'

অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকা সকলের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, 'দেশকে রক্ষা করার জন্য হলেও আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে আসতে হবে। রাস্তায় নেমে আসা ছাড়া যে সমস্যার মধ্যে বাংলাদেশ পড়েছে তা থেকে বেরিয়ে আসার দ্বিতীয় কোন পথ নেই। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।'

গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ্ প্রিন্স, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, ওলামা দলের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাওলানা আবুল হোসেন, তাঁতি দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।

;

নেতানিয়াহুর গ্রেফতারি পরোয়ানায় সমর্থন জানাবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গণহত্যা এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্ভাব্য গ্রেফতারি পরোয়ানার মুখে আছেন। তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে বাংলাদেশ সমর্থন দেবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার (২৪ মে) দুপুরে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ‘বিশ্বশান্তি ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি স্বীকৃতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে ফিলিস্তিনে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। ফিলিস্তিনি শিশুরা ঢিল ছুড়লে ইসরাইলি বাহিনী অন্যদিকে নির্বিচারে গুলি করে। কিছু দেশ একদিকে ইসরাইলকে অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে অন্যদিকে আবার ফিলিস্তিনিদের খাবার দিয়ে সহযোগিতা করে। এমন নীতি আমার বোধগম্য নয়।’

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনিকে স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব উঠলে অনেক দেশ ভ্যাটো দেয় উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কীভাবে ছাত্রদের পিটিয়েছে, তা কিন্তু গোপন থাকেনি। কোনও কিছুই গোপন থাকে না। নেতানিয়াহু এখন মানবাধিকারের শত্রু হিসেবে পরিণত হয়েছে। এখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কথাও শোনেন না।’

‘শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সবসময় সোচ্চার। আমাদের দেশ সাহায্য পাঠিয়েছে। আরও সাহায্য পাঠাবে, যোগ করেন মন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যারা ইসলামের জন্য মায়াকান্না করে, সেই বিএনপি ও জামায়াত ফিলিস্তিনিদের পক্ষে একটি কথাও বলে না। তারা কীভাবে দেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষা করবে? যেখানে বিশ্বের সব মানুষ যে বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার, সেখানে বিএনপি কী করে ফিলিস্তিনির পক্ষে কথা না বলে থাকে?’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তিনি সকালে এক কথা বলেন আর বিকেলে আরেক কথা বলেন। জামায়াত বলে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করবে। কিন্তু তারা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে একটি কথাও বলে। কারণ, তারা কাপুরুষ।’

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিমকে (চরমোনাই পীর) ইঙ্গিত করে মন্ত্রী বলেন, ‘একজন পীর সাহেব আছেন, যিনি মাঝে মাঝে বায়তুল মোকাররমের সামনে সমাবেশ-মিছিল করেন। কিন্তু একটি মিছিলও তারা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে করেন না। তবে কর্মসূচি করেছে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ এবং এর ভাতৃপ্রমিত দল।’

ক্ষমতার মোহে যারা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে একটি কথাও বলে নাই, তারা ইসরাইলের দোসর এবং নেতানিয়াহুর সহযোগীতে পরিণত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন হাছান মাহমুদ।

;

বিএনপি পথ হারিয়ে বেসামাল বক্তব্য দিচ্ছে : কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি পথ হারিয়ে দিশেহারা পথিকের মত বেসামাল বক্তব্য দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (২৪ মে) সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা জনগণের প্রতিনিধি। জনগণের ইচ্ছায় আমরা দেশ শাসন করছি। বিএনপি পথ হারিয়ে দিশেহারা পথিকের মত বেসামাল বক্তব্য দিচ্ছে। তাদের শক্তি কমে এসেছে ক্রমান্বয়ে নেতিবাচক রাজনীতির জন্য।

এই সরকারের আমলে কোন নিরীহ লোক হয়রানি, জেল জুলুমের শিকার হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন আপনাদের দল প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশকে হত্যা করেছে, সাংবাদিকদের উপর আক্রমণ করেছে, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা করেছে, পুলিশ হাসপাতালে হামলা করেছেন। এইসব অপরাধের সাথে যারা জড়িত তারা তো অপরাধী। তাদেরকে বিএনপি হিসেবে আটক করা হয়নি, আটক করা হয়েছে খুন, আগুন সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে।

বিএনপি মহাসচিবের সমালোচনা করে কাদের বলেন, কয়দিন আগে চাপাইনবাবগঞ্জে একজন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আটকের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরে জানা গেলো তিনি অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অথচ ফখরুল সাহেব তার পক্ষে এক বিরাট বিবৃতি দিয়ে বসলেন। খুনি, সন্ত্রাস ও অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সাথে বিএনপি ক্ষমতায় থাকার যে প্র‍্যাক্টিস (চর্চা) তারা এখনো তা করে যাচ্ছে। এখানে কোন ছাড় নেই।

পৃথিবীতে এই বছর ৬৪টি দেশে নির্বাচন হচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তার মধ্যে যুক্তরাজ্যও আছে। তাদের নির্বাচন জুলাইয়ের ৪ তারিখ। আফ্রিকার অনেক দেশে ইতিমধ্যে নির্বাচন হয়ে গেছে। অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ভোটার টার্নআউট আমি বলবো সন্তোষজনক। বিএনপির ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিবিসি বলেছলো ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। এটা নির্বাচন কমিশন থেকে ২১ শতাংশ দেখিয়েছে। এবার তার ডাবল। এটা কে কোন দৃষ্টিকোণ থেকে বলবেন কম!

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, উপজেলা নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন থেকে সিইসি বলেছেন ভোট পড়েছে ৩৬ শতাংশ -এর বেশি। আর এবার দ্বিতীয় ধাপে পড়েছে ৩৭ শতাংশের বেশি। তার মানে এই বার এক শতাংশ বেশি।

বিশিষ্ট সাহিত্যিক শরৎচন্দ্রের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, শরৎচন্দ্রের কথা, মানুষের শক্তি যখন কমে আসে তখন তার মুখে বিষ উগ্র হয়ে নেমে আসে। বিএনপির মুখের বিষ এতই উগ্র, ফেসবুকের যে অপপ্রচার, টিকটকে আমাদের যে নোংরাভাবে আক্রমণ করে এটা কি সম্ভব কোন গণতান্ত্রিক দেশে? প্রধানমন্ত্রী কে যেভাবে আক্রমণ করে! এসব করার পরেও বলে সরকার জুলুম করছে, নির্যাতন করছে। এমন কোন বাজে কথা নেই, তাদের নেতারা প্রতিদিন উচ্চারণ করে না। সেটার জন্য তো কারো গলা টিপে ধরা হয়নি। কাজেই এসব অবান্তর বক্তব্যের কোন মূল্য নেই।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতা অর্জন করেছে, ক্ষমতা দখল করেনি মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, এটা হলো ক্ষমতা অর্জন, আর বিএনপি বলছে ক্ষমতা দখল। জনগণের ভোটে আমরা ক্ষমতা অর্জন করেছি, এটা আমাদের এচিভমেন্ট। এটা আমাদের অর্জন, ক্ষমতা দখল নয়। মনে হয় যেনো বন্দুকে নল উচিয়ে তাদের নেতা যেভাবে ক্ষমতা দখল করেছে, নির্বাচন করে যেনো আমরা ক্ষমতা সেভাবেই দখল করেছি। সারা দুনিয়া জানে। যে কারণে নির্বাচনের আগে দুনিয়ার অনেকেই সমালোচনা করেছে কিন্তু নির্বাচনের পরে! বাইডেনের চিঠিটা আমরা তাদের পড়তে বলবো। যে কারণেই হউক, তিনিও এক সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।

এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;