সরকার বড় বিপদে আছে : দুদু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

শেখ হাসিনা সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, 'সরকার বড় বিপদে আছে। ডাইরেক্টলি (সরাসরি) না হলেও ইন্ডাইরেক্টলি আপনি (সরকার) সাবেক সেনাপ্রধান এম এ আজিজ ও সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদের দুর্নীতির অংশীদার।'

শুক্রবার (২৪ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ফোরামের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিতে এক প্রতিবাদ অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

দুদু বলেন, 'আমি জানি আপনি অস্থিরতার মধ্যে আছেন। এক সময়ের আপনার সেনাপ্রধান এম এ আজিজ বর্তমানে স্বপরিবারে নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হয়েছে। ডাইরেক্টলি না হলেও ইন্ডাইরেক্টলি আপনি তার (সেনাপ্রধান এম এ আজিজ) অংশীদার। তার মাধ্যমে '১৮ সালে আপনি নদী পার হয়েছিলেন। আপনার একসময়ের পুলিশ প্রধান বেনজির আহমেদের সম্পদ এবং ব্যাংক জব্দ করার জন্য বলেছে কোর্ট। সে শুধু আপনার সমর্থকই ছিলেন না। আপনি তার ঘাড়ে চেপে পুলিশের সমর্থনে সরকার গঠন করেছেন।'

তিনি বলেন, আজকে আপনি বাংলাদেশের রাস্তা-ঘাট, বন্দর পার্শ্ববর্তী দেশকে দিয়ে দিয়েছেন। আপনি নিজেও স্বীকার করেছেন ভারতকে আপনি এমন কিছু দিয়েছেন যেটি ভারত কখনোই ভুলতে পারবে না। সাদা চামড়া বলতে আপনি কাদেরকে বুঝিয়েছেন? যে আপনার কাছে দাবি করেছে যে সাদা চামড়ারা নতুন রাষ্ট্র বানাতে চাচ্ছে এই কথাটি আপনাকে পরিষ্কার করতে হবে। কারণ এই কথার মধ্যে আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন আছে। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব থাকবে কিনা সেটা দেখা দিয়েছে।'

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, 'গতকাল বর্তমান এই দখলদার প্রধানমন্ত্রী সাদা চামড়া প্রসঙ্গে যে কথা বলেছেন সেটি অত্যন্ত মারাত্মক। আজকে প্রধানমন্ত্রীকে জাতির সামনে এই কথাকে স্পষ্ট করে বিবৃতি দেওয়ার জন্য দাবি জানাচ্ছি। সাদা চামড়া বলতে আপনি (শেখ হাসিনা) কাদেরকে বুঝিয়েছেন।'

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'আনার স্বর্ণ চোরাচালানসহ অনেক অবৈধ কাজের সাথে জড়িত ছিল। এইসব দুর্নীতিগ্রস্ত সেনাপ্রধান আজিজ ও পুলিশ প্রধান বেনজির আহমেদ এবং দুশ্চরিত্র লম্পটরা যদি জাতীয় সংসদের সদস্য হয় আর সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী যদি আপনি হন, আপনার দল হয় তাহলে আর কি বাকি থাকতে পারে।'

৭ জানুয়ারি আপনি একটি নির্বাচন দেখিয়ে ক্ষমতায় আসার তিনমাসের অবস্থায় আপনি অস্থির হয়ে গেছেন। বাকি সময় এখনো পড়ে আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপির এ নেতা বলেন, 'এ দেশে বেগম খালেদা জিয়াকে যারা মিথ্যা মামলায় তথাকথিত বিচারের নামে ছয়টি বছর জেলখানায় বন্দি রেখেছে তাদের আগামী দিনে জনতার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। তাদেরকে এদেশের ব্যাংকগুলো লোপাট করে নেওয়ার প্রশ্নে দুর্নীতির করাল গ্রাসে দেশটাকে ধ্বংস করার জন্যে তাদেরকে একদিন বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।'

কৃষকদলের সাবেক আহ্বায়ক বলেন, 'চারিদিকের যে পরিস্থিতি এখন সরকারের অস্তিত্ব নিয়ে টান পড়েছে। সরকার থাকবে কিনা, কবে যাবে, কত তারিখে পদত্যাগ করবে এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এরপরেও আমি শেখ হাসিনাকে বলবো, আপনি পদত্যাগ করে বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ রক্ষা করার জন্য জনগনের ক্ষমতা জনগনের হাতে দিয়ে দেন। তাহলে হয়তো রেহাই পেলে পেতেও পারেন। অন্যথায় যদি আন্দোলনের মাধ্যমে আপনার পতন হয় তাহলে সে পরিস্থিতি আপনি সামাল দিতে পারবেন না।'

অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকা সকলের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, 'দেশকে রক্ষা করার জন্য হলেও আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে আসতে হবে। রাস্তায় নেমে আসা ছাড়া যে সমস্যার মধ্যে বাংলাদেশ পড়েছে তা থেকে বেরিয়ে আসার দ্বিতীয় কোন পথ নেই। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।'

গণতন্ত্র ফোরামের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সালেহ্ প্রিন্স, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, ওলামা দলের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাওলানা আবুল হোসেন, তাঁতি দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।

   

মাদক কারবারের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার শিবগঞ্জে মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জরিপ ফকির নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। বহিস্কৃত জরিপ ফকির পিরব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ।

রোববার (১৬ জুন) শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শাহাব উদ্দিন শিবলী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয় জরিপ ফকিরের বিরুদ্ধে মাদক কারবারী ও দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ড পরিচালনার সুষ্পষ্ট অভিযোগ থাকায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

জরিপ ফকিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তার পক্ষে কাজ না করে অন্য প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমি কখনও মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না।

;

ছাত্রদলের ২৬০ সদস্যের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে সভাপতি এবং নাছির উদ্দীন নাছিরকে সাধারণ সম্পাদক করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের ২৬০ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করা হয়।

শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ছাত্রদলের কমিটিতে রয়েছেন যারা-

সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহইয়া। সহ-সভাপতি- জহরি রায়হান আহমদে, এবিএম ইজাজুল কবির রুয়েল, মন্জুরুল আলম রিয়াদ, রিয়াদ উর রহমান, খোরশেদ আলম সোহেল, শাকির আহমেদ, এমএম মুসা, এইচএম আবু জাফর, শাফি ইসলাম, সোহেল রানা, শাহজাহান শাওন, তৌহদিুর রহমান আউয়াল, আরফিুল ইসলাম আরিফ, সজীব মজুমদার, হাসান আল আরিফ, নাজমুল হক, লটিন এআর খান, মশিউর রহমান মামুন, শ্রী মিঠুন কুমার দাশ, আবু সুফিয়ান, শফিকুল ইসলাম, আশিকুর রহমান, মো. নিজাম উদ্দীন, রেহেনা আক্তার শিরিন, আনোয়ার পারভেজ, ইব্রাহিম খলিল ফিরোজ, সাইদ আহমেদ, হাবিবুল বাশার,, হাফিজুর রহমান সোহান, মো: জুয়েল মৃধা, মাকসুদুর রহমান সুমিত, জকির উদ্দীন আবির, মো: কাজী জিয়া উদ্দীন বাসেত, হাসিবুল ইসলাম সজিব, রেজোয়ানুল হক সবুজ, মোহাম্মদ হাফিজুল্লাহ হীরা, মো, অলিউজ্জামান সোহেল, আপেল মাহমুদ, মো. মাসুদ রানা রিয়াজ, মো. জহরিুল ইসলাম ও দিপু পাটোয়ারী।

ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়োগ পেয়েছেন শ্যামল মালুম। এছাড়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়োগ ১১০ জনকে নিয়োগ দিয়েছে বিএনপি। সহ-সাধারণ সম্পাদক পাদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৫৩ জনকে। এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি পদে দেওয়া হয়েছে।

;

সরকারের ব্যর্থতার জন্যই সেন্টমার্টিনের দুরাবস্থা: ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের দাসসুলভ আচরণ ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণেই দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে দুরাবস্থা চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মিয়ানমার সেন্টমার্টিন দ্বীপ দখলের চেষ্টা করছে বলে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সেন্টমার্টিনে চরম খাদ্য সংকট চলছে। মিয়ানমার গুলি চালাচ্ছে, কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না অথচ সরকার এ বিষয়ে একেবারে চুপ।

শনিবার (১৫ জুন) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া বর্তমান সরকার দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে না অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই বলে মানুষ আজ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত।

এ সময় দেশ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

সম্প্রতি সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফ রুটে চলাচলকারী একাধিক ট্রলার লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলি চালানো হয়। নাফ নদীর মোহনায় এই ঘটনাগুলো ঘটে। এরপর থেকে সেন্টমার্টিনের পথে নৌযান চলাচল করছে না বললেই চলে।

;

আক্রান্ত হলে ছেড়ে দেব না: সেন্টমার্টিন নিয়ে ওবায়দুল কাদের 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সেন্টমার্টিন সীমান্তের উত্তেজনা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আমরা আক্রান্ত হলে ছেড়ে দেব না। আমরা আক্রমণ করব না। আমাদের প্রস্তুতি আছে।' 

শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতি ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, 'দুঃখজনক। জাতিসংঘ এখন নখদন্তহীন। তাদের কথা ইসরায়েল শোনে না। বড় বড় দেশগুলো শোনে না।' 

ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আমাদের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের অভ্যন্তরে কিছু সংঘর্ষ হচ্ছে। ৫৪টা কমিটি রয়েছে। এদের সাথে কারো মিল নেই। রাখাইন- আরাকান বিদ্রোহীরা প্রকাশে বিদ্রোহ করে যাচ্ছে। ওদের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের জন্য আমরা যদি সাফার করি, সেটাও তো অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।' 

'বর্তমান সরকারের মিলিটারি গভর্নমেন্ট। তাদের সাথে আমাদের কোনো বৈরিতা নেই। আলাপ আলোচনার দরজা এখনো খোলা আছে। আমরা কথা বলতে পারি। যতক্ষণ কথা বলা যাবে, আলাপ আলোচনা করা যাবে, উই আর নট এ মুভ ডাউন, এমন পর্যায় না হলে আমরা আলাপ আলোচনা মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করছি এবং করে যাবো।'

সেন্টমার্টিন বেদখল হয়ে গেলে বাংলাদেশ কোন প্রক্রিয়া সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে? এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'আমরা আক্রান্ত হলে সেই আক্রমণের জবাব দেব। আমরা আমাদেরকে এত খাটো করে দেখি কেন? আমরাও প্রস্তুত। আমরা আক্রমণ করব না। কিন্তু আক্রমণ হলে কি আমরা ছেড়ে দেবো? তখন তো আমাদের ডিপেন্ড করতে হবে।'

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, 'সরকার পরিবর্তনের জন্য গণঅভ্যত্থান বা নির্বাচন করতে হবে। আমাদের দেশের সরকার পরিবর্তনের মাধ্যমটা নির্বাচন। জনগণের ভোটে সরকার পরিবর্তিত হয়। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হয়ে গেছে। এখন প্রসঙ্গ হল গণঅভ্যুত্থান। তারা তো বলে কয়েকদিনের মধ্যেই সরকারের পতন ঘটবে। এটা হাস্যকর। তাদের নেতা কর্মীদের তো এখন আন্দোলন করছেন না। তাদের পার্টির নেতাকর্মীদের আন্দোলনের মানসিকতা নেই। জনগণ যে আন্দোলনের সম্পৃক্ত থাকবে না, সেটা কোনদিন গণঅভ্যুত্থান হতে পারে না। এদেশের '৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, এরপর কোন গণঅভ্যুত্থান হয়নি। '৯০ এর আন্দোলনকে আমি গণআন্দোলন বলব।  এরশাদ সরকারের যে আন্দোলনের মুখের পদত্যাগ করতে হয়। স্বৈরাচার পতন দিবস ৬ ডিসেম্বর আমরা পালন করে থাকি।' 

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা পুনর্বাসনে এদেশ প্রশংসিত হলেও বিশ্ব সংকটের কারণে রোহিঙ্গাদের বিষয়টি এদেশের জন্য বাড়তি চাপ। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে সরকার। 

পশুবাহী গাড়ি ও সড়কের পাশে পশুর হাটের কারণে সড়কে কিছুটা চাপ ও যানজট আছে তবে ভোগান্তি বিহীন ঈদ যাত্রায় মাঠে আছে সরকার। 

বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও মুদ্রাস্ফীতির কারণে দেশে সংকট আছে তবুও অনেক দেশের তুলনায় ভালো আছে বাংলাদেশ। 

এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;