অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আ’লীগের কড়া নির্দেশনা



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: প্রায় এক দশক ধরে দেশের শাসন ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। রাজনীতিতেও এককভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত। একটানা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় দুধের মাছির মতো দলটিতে ভিড়েছেন অনেকেই। এমনকি যারা এক সময় অন্য আদর্শের রাজনীতি করতেন, তারাও আজ আওয়ামী লীগ করতে চান। দলের নেতাকর্মীরা যাকে বলছেন ‘অনুপ্রবেশ’। এই অনুপ্রবেশ নিয়ে শঙ্কিত সরকারি দল, বিশেষ করে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

এ অবস্থায়, আগামীতে কেন্দ্রের অনুমোদন ছাড়া অন্য দল থেকে কাউকে দলে ভেড়ানো হবে না বলে তৃণমূলে চিঠি দিয়েছে দলের হাইকমান্ড। একইসাথে জানানো হয়েছে, অনুপ্রবেশকারী এবং যারা অনুপ্রবশের সুযোগ করে দিয়েছেন, তাদের চিহ্নিত করা হবে। এছাড়া, সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযানে যেন বিতর্কিত কেউ দলে ঢুকতে না পারে, সে ব্যাপারেও তৃণমূলের নেতৃত্বকে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।

দলীয় নেতাকর্মীদের হাতে পরিচয়পত্র তুলে দেওয়ারও চিন্তাভাবনা করছেন ক্ষমতাসীন দলের নীতি নির্ধারকরা।

সম্প্রতি বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছে বিএনপি-জামায়াতের অনেক নেতাকর্মী। দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা, মামলা-হামলার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া, ব্যবসা বাণিজ্যর নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ নানা কারণে সরকারি দলে যোগ দিচ্ছেন তারা। তাদের এই যোগদানকে প্রথমে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও এবার বিপরীতমুখী অবস্থান নিয়েছে সরকারি দল আওয়ামী লীগ। বিএনপি-জামায়াতের হাজার হাজার নেতাকর্মীদের আওয়মাী লীগে যোগ দেওয়াকে গভীর ষড়যন্ত্র হিসাবে দেখছে দলটি।

এসব অনুপ্রবেশ নিয়ে ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগের তৃণূমূলের নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, আওয়ামী লীগের ইমেজ ক্ষুন্ন করছেন অনুপ্রবেশকারীরাই। এদের কিছু আসে স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশে, আবার কেউ কেউ আসে নিজের দোষ ঢাকতে এবং শাস্তি থেকে বাঁচতে। দলীয় কোন্দলের মূল কারণও এসব অনুপ্রবেশকারী। ত্যাগী ও দীর্ঘ সময় দলকে সেবা দেওয়া নেতাদের বঞ্চিত করে অনুপ্রবেশকারীদের দলীয় পদ দেওয়ায় অনেক স্থানেই ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

রাজধানীর ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি লাভলু মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যবাহী ও বড় একটি দল। টানা তৃতীয়বারের মতো সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা পরিচালনা করে আসছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুদ্ধাপরাধী ও জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলায় জড়িত বড় বড় রাঘব বোয়ালদের ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে বিচারের আওতায় এনেছেন তিনি। এ কারণে অপরাধী-নাশকতা মামলার আসামিসহ অনেকেই আওয়ামী লীগে যোগ দিচ্ছে, নিজেরা বাঁচতে চাচ্ছে। অথচ আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড সতর্ক থাকলে অনুপ্রবেশকারীদের দ্রুত খুঁজে বের করা সম্ভব।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৩ সালের শেষ দিকে বিএনপি-জামায়াত থেকে ব্যাপক সংখ্যক নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দিতে শুরু করে। ২০১৭ পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে। বিএনপি-জামায়াতের এসব নেতাকর্মী আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায় থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতাদের হাত ধরে আওয়ামী লীগে ভেড়েন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্থানীয় সাংসদদের হাত ধরে ক্ষমতাসীন দলে যোগ দেন তারা। বিষয়টি দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গোচরে এলে ২০১৫ সালের ৮ নভেম্বরে এক সাংবাদ সম্মেলনে, বিএনপি-জামায়াত থেকে কাউকে দলে নিতে নিষেধ করে দেন তিনি। তারপরও থেমে থাকেনি বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের আওয়ামী লীগে যোগদান।

গত ১০ বছরে ভোলায় ছাত্রদল-যুবদলের এক হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। এছাড়া, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির শতাধিক, নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও বরগুনায় দুই শতাধিক করে, সিলেটে তিন শতাধিক, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় দুই হাজারের বেশি, খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় দুই হাজারের অধিক, সাভারের আশুলিয়ায় ৩৪, মাদারীপুরের শিবচরে পাঁচ শতাধিক, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার আমলসার ইউনিয়নে তিন শতাধিক, কুমিল্লা (উত্তর) জেলার দাউদকান্দি উপজেলার পৌর বিএনপি সভাপতি, মেয়র ও চার চেয়ারম্যানসহ কয়েকশ' নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পড়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিএনপি-জামায়াতের হাজার হাজার নেতাকর্মী আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগদান করেছে। তবে এরা প্রকৃতপক্ষে সরকারের হয়ে কাজ করছে না। নিজেদের 'এজেন্ডা' বাস্তবায়ন করতে সরকারি দলে খুঁটি গাড়ছেন। সরকারবিরোধী আন্দোলনে মামলা-হামলা ও গ্রেফতার এড়াতে এসব নেতাকর্মী দল ত্যাগ করে সরকারি দলে ভিড় করছেন।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে আঁতাত করে নিজেদের পিঠ বাঁচিয়ে চলছেন সুবিধাভোগী বিএনপি-জামায়াতের এসব নেতাকর্মী। অথচ বিগত আন্দোলনগুলোর চিত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী এসব নেতাকর্মীই এতদিন বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনে বিভিন্ন নাশকতা চালিয়ে আসছিল। তার শত শত প্রমাণও রয়েছে তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছে।

সরকারি দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিযোগ, যে ব্যক্তি ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তাকে মূল্যায়ন না করে অনেক সময়েই তিন চার বছর আগে অনুপ্রবেশকারীকে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এভাবে দু’একজন এমপি, মন্ত্রীও হয়ে গেছে! এ নিয়ে দলের মধ্যে বিভক্তি ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পিযুষ কান্তি ভট্টাচার্য বার্তা২৪.কমকে বলেন, অনুপ্রবেশ ঠেকতে অবশ্যই আমাদের চিন্তাভাবনা আছে। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা সুস্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। সেগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করা হবে। কাউকে দলে নেওয়ার বিষয়ে তার সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজ নেওয়া এবং কেন্দ্রকে জানানোর বাধ্যবাধকতা দিয়ে তৃণমূলে চিঠি দেওয়া হবে। দলের সব পর্যায়ের নেতাদের নতুন সদস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে যাতে কোনো অনুপ্রবেশকারী ঢুকতে না পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, বিএনপি-জামায়াত রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগে বিএনপি-জামায়াতের অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে তৃণমূলে নির্দেশনা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

   

সরকারের ধারাবাহিকতায় দেশে এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের ধারাবাহিকতা এবং স্থায়িত্বতায় দেশে এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা একটা কথা কেউ বলি না, আজকের বাংলাদেশের এতো উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কেন? সরকারের ধারাবাহিকতা এবং স্থায়িত্বতার কারণে। এর কারণেই বাংলাদেশের এত উন্নয়ন ও অর্জন সম্ভব হয়েছে। এই কারণে বিশ্বের বিস্ময়ে রূপান্তরিত হতে পেরেছে বাংলাদেশ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতি আপনজন এই দেশের জনগণ। হতাশা কবলিত বাংলাদেশে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।

 সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করেছেন এটা সত্যি নয়: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, এটা সত্যি নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে তেজগাঁওয়ের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান পঁচাত্তরের পর আমাদের বিভিন্ন সামরিক বাহিনীর ১১শ' অফিসারকে নাস্তা খেতে খেতে ফাঁসি দিয়েছিলো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলেন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, এটা সত্যি নয়। ১১ হাজার স্বাধীনতা বিরোধী কারাগারে ছিলো, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে এদের মুক্তি দিয়েছিলো। যার মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিলো ৭১৩ জন। এদের মুক্তি দিয়েছিলো জিয়াউর রহমান। এই ইতিহাস ভুলে গেছেন? কথায় কথায় আজকে বলেন, কারাগার। আমি কি মিথ্যা বলেছি? জিয়াউর রহমান কি করেছিলো এর প্রমাণ আছে।

বিএনপি ২৮ অক্টোবর পালিয়ে গিয়ে এখন বেসামাল হয়ে এখন প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগকে আক্রমণ করছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, আমি তাদের বলতে চাই, মুক্তির কথা বলেন, লজ্জা করে না? জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগ সহ অন্যান্য দলের ৬২ হাজার নেতাকে জেলে রেখেছিলো। আপনাদের কতজন নেতা জেলে আছে? ৩ হাজার আমাদের নেতাকর্মীর ও সরকারি অফিসারদের গুম করেছিলেন জিয়াউর রহমান।

আমাদের নাকি প্রতিবেশী দেশ নিয়ন্ত্রণ করে, ফখরুল সাহেব শেখ হাসিনাকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। আমাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি জয় বাংলার চেতনা। দেশি বিদেশি কোন শক্তি নয়। আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে দেশের জনগণ, সংবিধান। এই সংবিধানের বাইরে আমরা যাবো না।

যত ষড়যন্ত্র করুক, বিদেশি শক্তির নামে হুমকি ধমকি দিতে পারেন। তিনি কোন বিদেশি শক্তির পরোয়া করেন না, শুধু বাংলাদেশের জনগণকে পরোয়া করেন।

শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের পূর্ব পৃথিবীর সূর্য, আশার বাতিঘর, স্বপ্নের ঠিকানা শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের গত ৪৪ বছরে সবচেয়ে সাহসী রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। গত ৪৪ বছরের সবচেয়ে বিচক্ষণ, সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক, সবচেয়ে জনপ্রিয়, সবচেয়ে সফল কূটনীতিক এর নাম শেখ হাসিনা।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;

‘শেখ হাসিনা মৃত্যুকে পরোয়া না করে প্রত্যয়ী হয়ে ফিরে এসেছেন’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

  • Font increase
  • Font Decrease

শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তাকে বারবার হত্যা চেষ্টার পরও তিনি দিশেহারা হননি। এ দেশের সাধারণ জনগণের পক্ষে তিনি সবসময় ছিলেন আপোষহীন। শেখ হাসিনা বাংলার মৃত্যুকে বেছে নিয়েছেন। কখনো মৃত্যুর ভয়ে লড়াই-সংগ্রাম থেকে পিছপা হননি। বরং আরও প্রত্যয়ী হয়ে বাংলার মানুষের কাছে ফিরে এসেছেন।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে তেজগাঁওয়ের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভার বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব উন্নয়ন দেখে বিএনপি এখন দিশেহারা। আর কিছু পরিত্যক্ত রাজনীতিবিদ আছেন, আজকে যারা নানা কথা বলেন। আমি না, অনেকে বলেন এগুলা খেকশিয়ালের গর্জন। গণতন্ত্রকে বিএনপি বাধাগ্রস্ত করতে চায় বলে সব নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজকে তারা কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না এমনকি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করছে না। যে অংশগ্রহণ করছে তাকেই বহিষ্কার করছে।

শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতায় পরিণত হয়েছেন মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি বিশ্ব নেতৃত্বের সমীহ অর্জন করেছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সহ বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধ বিগ্রহ হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে তিনি নিপীড়িত মানুষের কন্ঠস্বরে পরিণত হয়েছেন।

আওয়ামী লীগের কঠিন সময়ে, নিভু নিভু অবস্থায় এই দলের দায়িত্ব শেখ হাসিনা নিয়েছেন মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে তিনি সভাপতি হবার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি যেনো না আসতে পারেন সেদিন জিয়াউর রহমান অনেক ষড়যন্ত্র করেছিলেন। যেনো লোক সমাগম কম হয় সেজন্যও প্রতিরোধ করেছিলেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;

‘বঙ্গবন্ধু পোয়েট অব পলিটিক্স আর শেখ হাসিনা ম্যাজিক অব পলিটিক্স’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

'বঙ্গবন্ধু পোয়েট অব পলিটিক্স আর শেখ হাসিনা ম্যাজিক অব পলিটিক্স' বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে তেজগাঁওয়ের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

কাদের বলেন, বাংলাদেশের গত ৪৪ বছরের ইতিহাসে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর থেকে এই দেশের যে পরিবর্তন হয়েছে, এই পরিবর্তনের রূপান্তরের রূপকার হচ্ছেন শেখ হাসিনা। তিনি বদলে যাওয়া বাংলাদেশের সাহসী পরিবর্তনের রূপকার। বঙ্গবন্ধু পোয়েট অব পলিটিক্স আর শেখ হাসিনা ম্যাজিক অব পলিটিক্স।

সারা বিশ্বের বিস্ময় উন্নয়ন আর অর্জন যা শেখ হাসিনা করেছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, তার প্রত্যাবর্তন দিবসকে আমি বলবো মুক্তিযুদ্ধের হারিয়ে যাওয়া মূল্যবোধের প্রত্যাবর্তন। আদর্শের প্রত্যাবর্তন। আমাদের গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন। তিনি সংগ্রাম করে গণতন্ত্রকে শৃঙ্খল মুক্ত করেছেন।

নির্মলেন্দু গুণের কবিতা পঁচাত্তরের পরে সবচেয়ে বড় ভাষণ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সে কবিতা আমাদের চেতনাকে জাগ্রত করেছিলো। সেই আতঙ্কগ্রস্থ পরিবেশে আমাদের সাহস জুগিয়েছিলো, উদ্বেলিত করেছিলো

আমরা কেন আমাদের নিজেদের শত্রু হই। আপন ঘরে যারা শত্রু, তাদের শত্রুতা করার জন্য বাইরের শত্রুর দরকার হয় না। আজকে শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে শিক্ষা নিতে হবে। তার সততা, সাহস থেকে। সাহস আর সততায় বঙ্গবন্ধুর মতই শেখ হাসিনা।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;