জাপার পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে গেছে!



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
এরশাদ-রওশন-জিএম কাদের/ছবি: সংগৃহীত

এরশাদ-রওশন-জিএম কাদের/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: জিএম কাদের পুনর্বহাল হওয়ার পর জাতীয় পার্টির (জাপা) পরিস্থিতি নাকি অনেকটাই বদলে যাচ্ছে। অনেক সিনিয়র নেতাই এখন জিএম কাদেরের প্রতি সমর্থন জানান দিচ্ছেন।

কেউ ফোনে যোগাযোগ করছেন, আবার কেউ কেউ জিএম কাদেরের উত্তরার বাসায় হাজির হয়ে নিজেদের সমর্থন জানান দিচ্ছেন। জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব হাসিবুর রহমান জয় এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, জিএম কাদের কো-চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পদ ফিরে পাওয়ার পর পরিস্থিতি অনেক বদলে গেছে। সিনিয়র নেতারা অনেকেই এখন তাকে সমর্থন দিচ্ছেন। আবার জিএম কাদের নিজেও অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। আমরা মনে করছি, জাতীয় পার্টি জিএম কাদেরের পেছনেই ঐক্যবদ্ধ থাকবে। এতোদিন যারা অন্যগ্রুপে ছিলেন তারাও এখন কাদের ভাইয়ের পেছনে আসতে শুরু করেছেন।

স্বপদে বহাল হওয়ার পর জিএম কাদেরও এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। বলেছিলেন, সব বড় দলে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকে। আমাদের দলেও রয়েছে। তবে এর শিকড় খুব গভীরে নয়। ক্ষমতা পেলে এসব গ্রুপিং ধীরে ধীরে কমে যাবে।

মধ্যম সারির নেতারা বলেন, জিএম কাদের পুনর্বহাল হওয়ার পর থেকে এখনও পর‌্যন্ত পার্টির কোনো বড় কর্মসূচি দেখা যায়নি। হলে হয়তো অনুমান করা যেতো কি হতে যাচ্ছে। বিশেষ করে সিনিয়র নেতাদের অবস্থান পরিষ্কার হতো।

তবে কাদের বিরোধী বলে পরিচিতরা এরশাদের এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে মনে করছেন না। তারা আবার পরিবর্তনের আশা করছেন। তারা মনে করছেন, দলকে ঐক্যবদ্ধ করার ক্ষেত্রে জিএম কাদেরের সফল হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এক রংপুরকে দিয়ে দল চলবে না। সে কারণে দায়িত্ব পেলেও খুব একটা সুবিধা করতে পারবেন না। যে কারণে জিএম কাদেরকে আবার সরিয়ে দেবেন এরশাদ।

কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ১১ এপ্রিল গিয়েছিলাম স্যারের (এরশাদ) সঙ্গে দেখা করতে। দুপুরে প্রায় ৪০ মিনিট কথা হয়। সে সময় জিএম কাদের সম্পর্কে হতাশা ব্যক্ত করেছেন স্যার। স্যার বললেন, কাদেরকে দায়িত্ব দিলাম, যাতে সে সবাইকে নিয়ে কাজ করে। কিন্তু দলের মধ্যে গ্রুপিং তৈরি করছে। আমার মনে হচ্ছে না ও দল চালাতে পারবে।

তিনি আরো বলেন, স্যার বললেন, সবাই দল থেকে বেনিফিট নিয়েছে। সবাই এমপি হতে চায়, কিন্তু আমার মামলার বিষয়ে কেউ কথা বলে না। তোমরা কাদেরকে দেখো, কাদের যেনো সবার সঙ্গে ভালোভাবে চলে। সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে। দলটা চালাতে হলে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন হবে।

অসুস্থ এরশাদ এমন হতাশার কথা আরও দু’একজনের কাছেও নাকি ব্যক্ত করেছেন। সে কারণে পরিস্থিতি পুরোপুরি জিএম কাদেরের অনুকূলে এমনটা মানতে নারাজ অনেকেই। তারা মনে করছেন, সংখ্যাধিক্য এমপি এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য রওশন এরশাদের পক্ষে একাট্টা। তাদের কারণে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিশেষ ক্ষমতাও অসহায় হয়ে পড়তে পারে।

পার্লামেন্টারি পার্টি বিগড়ে গেলে অনেক কিছু বদলে যেতে পারে। যেমনটি হয়েছিল বিগত সংসদে, তখন এরশাদ নিজে বিরোধীদলীয় নেতা হতে চাইলেও রওশন বেকে বসায় পুরো সময় জুড়ে বিরোধীদলীয় নেতার চেয়ারে থাকেন রওশন।

আবার জাতীয় পার্টির অস্তিত্বের প্রতীক লাঙ্গলও কিন্তু রওশনের দিকে ঝুঁকে থাকবে। কারণ, সপ্তম সংসদে যখন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে টান দেন। তখন বিষয়টি আদালত পর‌্যন্ত গড়ায়। তখন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ কারাবন্দি থাকায় মামলায় স্বাক্ষর করেছিলেন রওশন এরশাদ। রওশন পক্ষকেই লাঙ্গল প্রতীক দেন আদালত। এ কারণে অনেকে মনে করেন রওশনের নামেই লাঙ্গল প্রতীক বরাদ্দ রয়েছে।

পরিস্থিতি যাই থাকুক দুই পক্ষই মনে করছেন, শেষ সময়ে তারাই বিজয়ী হবেন। একপক্ষের শক্তি তৃণমূল। আরেক পক্ষের শক্তি সিনিয়র প্রভাবশালী নেতারা। কিন্তু একটি ছাড়া যে অপরটি অচল তারা কেউই অন্তরে লালন করছেন বলে দৃশ্যপটে অনুমিত হয় না। সিনিয়র নেতারা অনেকটা নিরব ভূমিকা পালন করলেও তাদের অনুসারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব।

বিশেষ করে জিএম কাদেরের আশপাশে থাকা কিছু তৃতীয় সারির নেতার কর্মকাণ্ডে সিনিয়র নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন অনেকে। জিএম কাদেরকে যখন পুনর্বহাল করা হয়, তখন তার ব্যক্তিগত সহকারী আবু তৈয়ব ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন, যারা আন্দোলন করে সফল হলেন, তাদের অভিনন্দন। যারা এ বিজয়ে কষ্ট পেলেন তাদের জন্য শুভ কামনা রইল।

একজন বেতনভোগী স্টাফের এমন খোঁচা দেওয়া স্ট্যাটাস কেউই স্বাভাবিকভাবে দেখছেন না।

এমন অনেকে স্ট্যাটাস দিয়ে সিনিয়র নেতাদের বিষদগার করছেন, যাদের না আছে পোস্ট না আছে পদবি। তাদের এসব বিভ্রান্তিকর পোস্টের দায়ও গিয়ে পড়ছে জিএম কাদেরের ঘাড়ে। অনেকে মনে করছেন জিএম কাদেরের আশকারা পেয়ে তারা এমন কাজ করছেন।

উদারপন্থী নেতারা মনে করেন, এতে পার্টিতে বিভেদ বাড়তে পারে। কাদের ভাইয়ের এমন বিতর্ক এড়ানো উচিত। যেভাবেই হোক তিনি ফিরে এসেছেন। এতে তার প্রাথমিক বিজয় হয়েছে। এখন বিভেদ না বাড়িয়ে সবাইকে নিয়ে পথ চলতে হবে তাকে। না হলে এখন রক্ষা হলেও এরশাদের অবর্তমানে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখা কঠিন হবে।

   

দেশের মানুষ বর্তমান সরকারের ওপর বিরক্ত: চুন্নু



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টি (জাপা) মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে। দেশের মানুষ বর্তমান সরকারের ওপর বিরক্ত।

শনিবার (১৮ মে) জাপার বনানী কার্যালয়ে জাতীয় পেশাজীবী পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি’র ওপর মানুষ আস্থা রাখতে পারছে না। কারণ, আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপি সফল হতে পারছে না। এই দুটি দলের বিকল্প হিসেবে সাধারণ মানুষ জাতীয় পার্টিকে বেছে নিতে চায়। আগামী দিনে জাতীয় পার্টির উজ্জল ভবিষ্যত আছে। তাই, জাতীয় পার্টিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।

পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান আকাশের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন সদস্য সচিব ডাঃ রাকিব। পেশাজীবী পরিষদের লেহাজ উদ্দিন, সাংবাদিক নিশাত শাহরিয়ার, অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম, মোঃ নুরুজ্জামান, সোয়াইব ইফতেখার, ডাঃ মোঃ আজীজ বক্তব্য রাখেন।

উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মোঃ খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ সেলিম, যুগ্ম দফতর সম্পাদক সমরেশ মন্ডল মানিক, কেন্দ্রীয় সদস্য শেখ মোঃ আবু ওয়াহাব।

;

সরকার বয়কটে ইসরায়েল-ভারতের পণ্য বয়কট হবে: আলাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ‘ইসরায়েল ও ভারতের পণ্য’ মন্তব‌্য করে বিএনপি'র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মুয়াজ্জিন হোসেন আলাল বলেছেন, এই সরকারকে যদি বয়কট করা যায়, তাহলে ইসরায়েল ও ভারতের পণ্যকে বয়কট করা হবে। তাই, এই আওয়ামী লীগ সরকারকে বয়কট করাই হচ্ছে, এখন সবচাইতে বড় কাজ।

শনিবার (১৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বাংলাদেশ সিভিল রাইটস সোসাইটি’-এর উদ্যোগে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে এক নাগরিক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আলাল বলেন, ‘দ্য হিন্দুস্থান টাইমস’-এ একটি খবর দেখলাম, ভারত থেকে ইসরায়েলকে দেওয়া অস্ত্র বহর ইউরোপের একটি দেশ স্পেন তাদের বন্দরে রাখার অনুমতি দেয়নি। তারা ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে সেই জাহাজকে।

একই সঙ্গে ইউরোপের অন্যান্য দেশকেও স্পেন বলেছে, ইসরায়েলকে সমরাস্ত্র দেওয়া বন্ধ করতে হবে এবং তারা নিজেরাও বন্ধ করেছে। অথচ আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ যেখানে লাখ লাখ মানুষ রক্ত দিয়ে একটি মানচিত্র অর্জন করেছে, সেখানে ইসরায়েলের থাবা প্রায় বসেছে। তা না হলে রাতের বেলায় গোপনে ইসরায়েল সংস্থার বিমান কীভা‌বে অবতরণ করে! ভারত থেকে ইসরায়েলকে অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে, সমর্থন করা হচ্ছে। স্পেনের মতো একটি দেশ এর প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু আমরা প্রতিবাদ করছি না!

তিনি বলেন, ভারত এত বড় আমাদের প্রতিবেশী একটি রাষ্ট্র অথচ ধীরে ধীরে বাংলাদেশের জনগণের মন থেকে তারা উঠে গেছে। ফেলানি তো কোনো মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিল না অথচ তার লাশ কাঁটাতারে ঝুলেছে। তাকে কেন কাঁটাতারে ঝুলতে হয়েছিল! প্রতিদিন ‘গরু পাচারকারী’ আখ্যা দিয়ে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, যেটা বিশ্বের অন্যান্য দেশের সীমান্তে হয় কি না আমাদের জানা নেই, একই অবস্থা আজ ইসরায়েল করছে ফিলিস্তিনিদের ওপর!

যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, মিয়ানমারের গণহত্যার বিপক্ষে আমাদের পক্ষে গাম্বিয়ার মতো দেশ আন্তর্জাতিক আদালতে বাদী হতে পারে, তাহলে আমরা কেন আজ ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে বাদী হতে পারবো না! আজ এ সরকার ভারতকে তোষামোদ করে নিজে ক্ষমতায় থাকার জন্য বিশ্বের সব মানবতাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিচ্ছে। সুতরাং, আমরা মনে করি, ইসরায়েল ও ভারতের পণ্য হচ্ছে, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার। এই সরকারকে যদি বয়কট করা যায়, তাহলে ইসরায়েলকে পূর্ণ বয়কট করা হবে; ভারতীয় পণ্যকেও বয়কট করা হবে। এই আওয়ামী লীগ সরকারকে বয়কট করাই হচ্ছে, এখন সবচাইতে বড় কাজ।

এ সময় সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

;

সরকারের ধারাবাহিকতায় দেশে এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের ধারাবাহিকতা এবং স্থায়িত্বতায় দেশে এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা একটা কথা কেউ বলি না, আজকের বাংলাদেশের এতো উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কেন? সরকারের ধারাবাহিকতা এবং স্থায়িত্বতার কারণে। এর কারণেই বাংলাদেশের এত উন্নয়ন ও অর্জন সম্ভব হয়েছে। এই কারণে বিশ্বের বিস্ময়ে রূপান্তরিত হতে পেরেছে বাংলাদেশ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতি আপনজন এই দেশের জনগণ। হতাশা কবলিত বাংলাদেশে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।

 সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করেছেন এটা সত্যি নয়: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, এটা সত্যি নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে তেজগাঁওয়ের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান পঁচাত্তরের পর আমাদের বিভিন্ন সামরিক বাহিনীর ১১শ' অফিসারকে নাস্তা খেতে খেতে ফাঁসি দিয়েছিলো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলেন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, এটা সত্যি নয়। ১১ হাজার স্বাধীনতা বিরোধী কারাগারে ছিলো, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে এদের মুক্তি দিয়েছিলো। যার মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিলো ৭১৩ জন। এদের মুক্তি দিয়েছিলো জিয়াউর রহমান। এই ইতিহাস ভুলে গেছেন? কথায় কথায় আজকে বলেন, কারাগার। আমি কি মিথ্যা বলেছি? জিয়াউর রহমান কি করেছিলো এর প্রমাণ আছে।

বিএনপি ২৮ অক্টোবর পালিয়ে গিয়ে এখন বেসামাল হয়ে এখন প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগকে আক্রমণ করছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, আমি তাদের বলতে চাই, মুক্তির কথা বলেন, লজ্জা করে না? জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগ সহ অন্যান্য দলের ৬২ হাজার নেতাকে জেলে রেখেছিলো। আপনাদের কতজন নেতা জেলে আছে? ৩ হাজার আমাদের নেতাকর্মীর ও সরকারি অফিসারদের গুম করেছিলেন জিয়াউর রহমান।

আমাদের নাকি প্রতিবেশী দেশ নিয়ন্ত্রণ করে, ফখরুল সাহেব শেখ হাসিনাকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। আমাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি জয় বাংলার চেতনা। দেশি বিদেশি কোন শক্তি নয়। আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে দেশের জনগণ, সংবিধান। এই সংবিধানের বাইরে আমরা যাবো না।

যত ষড়যন্ত্র করুক, বিদেশি শক্তির নামে হুমকি ধমকি দিতে পারেন। তিনি কোন বিদেশি শক্তির পরোয়া করেন না, শুধু বাংলাদেশের জনগণকে পরোয়া করেন।

শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের পূর্ব পৃথিবীর সূর্য, আশার বাতিঘর, স্বপ্নের ঠিকানা শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের গত ৪৪ বছরে সবচেয়ে সাহসী রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। গত ৪৪ বছরের সবচেয়ে বিচক্ষণ, সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক, সবচেয়ে জনপ্রিয়, সবচেয়ে সফল কূটনীতিক এর নাম শেখ হাসিনা।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;