আশ্বাস দিলেন জ্যেষ্ঠ নেতারা, ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের আন্দোলন স্থগিত



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা, ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের চার জ্যেষ্ঠ নেতার আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেছেন ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত ও কাঙ্ক্ষিত পদ না পাওয়া বিদ্রোহীরা।

রোববার (১৯ মে) রাতে আওয়ামী লীগের চার জ্যেষ্ঠ নেতার সঙ্গে কয়েক ঘণ্টার বৈঠক শেষে তারা অবস্থান কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন।

ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের চার জ্যেষ্ঠ নেতার সঙ্গে দেখা করতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে যান পদবঞ্চিত অংশের আটজনের একটি প্রতিনিধি দল।

আওয়ামী লীগের ওই চার নেতা হলেন- দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও বিএম মোজাম্মেল হক৷

খুব শিগগিরই আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পদবঞ্চিতদের সাক্ষাৎ করিয়ে দেওয়া হবে, পদবঞ্চিতদের ওপর মধুর ক্যানটিনে গত সোমবারের হামলার ঘটনা এবং টিএসসিতে গত শনিবারের হামলার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হবে, অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে বিতর্কিতদের পদগুলোকে শূন্য ঘোষণা করে যোগ্যতার ভিত্তিতে সেসব পদে পদবঞ্চিতদের দিয়ে পূরণের আশ্বাস দেন এ চার নেতা।

কয়েক ঘণ্টার বৈঠক শেষে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও পদবঞ্চিতদের প্রতিনিধিরা রাত পৌনে ১টার দিকে রাজু ভাস্কর্যে আসেন। তাদের সঙ্গে জ্যেষ্ঠ নেতাদের পক্ষ থেকে রাজু ভাস্কর্যে যান আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার৷

এ সময় ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন পদবঞ্চিতদের উদ্দেশে বলেন, 'পদের লোভ না করে দল ও দেশের জন্য কাজ করতে হবে। ছাত্রলীগ কোনো স্থায়ী জিনিস না, একটা চলমান প্রক্রিয়া৷' এছাড়াও নেতাকর্মীদের কাদা ছোড়াছুড়ি না করার আহ্বান জানান তিনি।

তাদের নিজেদেরও কিছু ভুল ছিল, উল্লেখ করে শোভন বলেন, 'বিতর্কিত ১৭টা পদ আপাতত শূন্য হওয়ার পথে। যাদের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী, মাদক, বিবাহ ও চাকরির বিষয় নাই, কিন্তু সে প্রমাণ করতে পেরেছে, তার বয়স ত্রিশোর্ধ্ব নয়। এ রকম দুই-একটি ঘটনা ঘটলে তা আমাদের দ্বারা না, নেত্রীর মাধ্যমেই আসবে।' 

সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, 'আপা আমাদের সবাইকে এক ছাতার নিচে দেখতে চান। দ্বিধাবিভক্ত কারও সঙ্গে কথা বলবেন না তিনি। আপা বলেছেন, আগে একই টেবিলে বসে দেখাও ছাত্রলীগ একটা পরিবার, আমরা একটা ঐক্যবদ্ধ পরিবার ধারণ করছি, তারপর তিনি আমাদের সাথে কথা বলবেন।'

ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া অংশের নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠনের বিগত কমিটির প্রচার সম্পাদক সাঈফ বাবু জানান, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে তারা আশ্বস্ত হয়েছেন। তাই তারা তাদের আন্দোলন এখানেই স্থগিত করছেন।

   

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করেছেন এটা সত্যি নয়: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, এটা সত্যি নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে তেজগাঁওয়ের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান পঁচাত্তরের পর আমাদের বিভিন্ন সামরিক বাহিনীর ১১শ' অফিসারকে নাস্তা খেতে খেতে ফাঁসি দিয়েছিলো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলেন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, এটা সত্যি নয়। ১১ হাজার স্বাধীনতা বিরোধী কারাগারে ছিলো, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে এদের মুক্তি দিয়েছিলো। যার মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিলো ৭১৩ জন। এদের মুক্তি দিয়েছিলো জিয়াউর রহমান। এই ইতিহাস ভুলে গেছেন? কথায় কথায় আজকে বলেন, কারাগার। আমি কি মিথ্যা বলেছি? জিয়াউর রহমান কি করেছিলো এর প্রমাণ আছে।

বিএনপি ২৮ অক্টোবর পালিয়ে গিয়ে এখন বেসামাল হয়ে এখন প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগকে আক্রমণ করছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, আমি তাদের বলতে চাই, মুক্তির কথা বলেন, লজ্জা করে না? জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগ সহ অন্যান্য দলের ৬২ হাজার নেতাকে জেলে রেখেছিলো। আপনাদের কতজন নেতা জেলে আছে? ৩ হাজার আমাদের নেতাকর্মীর ও সরকারি অফিসারদের গুম করেছিলেন জিয়াউর রহমান।

আমাদের নাকি প্রতিবেশী দেশ নিয়ন্ত্রণ করে, ফখরুল সাহেব শেখ হাসিনাকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। আমাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি জয় বাংলার চেতনা। দেশি বিদেশি কোন শক্তি নয়। আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে দেশের জনগণ, সংবিধান। এই সংবিধানের বাইরে আমরা যাবো না।

যত ষড়যন্ত্র করুক, বিদেশি শক্তির নামে হুমকি ধমকি দিতে পারেন। তিনি কোন বিদেশি শক্তির পরোয়া করেন না, শুধু বাংলাদেশের জনগণকে পরোয়া করেন।

শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের পূর্ব পৃথিবীর সূর্য, আশার বাতিঘর, স্বপ্নের ঠিকানা শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের গত ৪৪ বছরে সবচেয়ে সাহসী রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। গত ৪৪ বছরের সবচেয়ে বিচক্ষণ, সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক, সবচেয়ে জনপ্রিয়, সবচেয়ে সফল কূটনীতিক এর নাম শেখ হাসিনা।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;

‘শেখ হাসিনা মৃত্যুকে পরোয়া না করে প্রত্যয়ী হয়ে ফিরে এসেছেন’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

  • Font increase
  • Font Decrease

শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তাকে বারবার হত্যা চেষ্টার পরও তিনি দিশেহারা হননি। এ দেশের সাধারণ জনগণের পক্ষে তিনি সবসময় ছিলেন আপোষহীন। শেখ হাসিনা বাংলার মৃত্যুকে বেছে নিয়েছেন। কখনো মৃত্যুর ভয়ে লড়াই-সংগ্রাম থেকে পিছপা হননি। বরং আরও প্রত্যয়ী হয়ে বাংলার মানুষের কাছে ফিরে এসেছেন।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে তেজগাঁওয়ের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভার বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব উন্নয়ন দেখে বিএনপি এখন দিশেহারা। আর কিছু পরিত্যক্ত রাজনীতিবিদ আছেন, আজকে যারা নানা কথা বলেন। আমি না, অনেকে বলেন এগুলা খেকশিয়ালের গর্জন। গণতন্ত্রকে বিএনপি বাধাগ্রস্ত করতে চায় বলে সব নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজকে তারা কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না এমনকি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করছে না। যে অংশগ্রহণ করছে তাকেই বহিষ্কার করছে।

শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতায় পরিণত হয়েছেন মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি বিশ্ব নেতৃত্বের সমীহ অর্জন করেছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সহ বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধ বিগ্রহ হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে তিনি নিপীড়িত মানুষের কন্ঠস্বরে পরিণত হয়েছেন।

আওয়ামী লীগের কঠিন সময়ে, নিভু নিভু অবস্থায় এই দলের দায়িত্ব শেখ হাসিনা নিয়েছেন মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে তিনি সভাপতি হবার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি যেনো না আসতে পারেন সেদিন জিয়াউর রহমান অনেক ষড়যন্ত্র করেছিলেন। যেনো লোক সমাগম কম হয় সেজন্যও প্রতিরোধ করেছিলেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;

‘বঙ্গবন্ধু পোয়েট অব পলিটিক্স আর শেখ হাসিনা ম্যাজিক অব পলিটিক্স’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

'বঙ্গবন্ধু পোয়েট অব পলিটিক্স আর শেখ হাসিনা ম্যাজিক অব পলিটিক্স' বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে তেজগাঁওয়ের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

কাদের বলেন, বাংলাদেশের গত ৪৪ বছরের ইতিহাসে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর থেকে এই দেশের যে পরিবর্তন হয়েছে, এই পরিবর্তনের রূপান্তরের রূপকার হচ্ছেন শেখ হাসিনা। তিনি বদলে যাওয়া বাংলাদেশের সাহসী পরিবর্তনের রূপকার। বঙ্গবন্ধু পোয়েট অব পলিটিক্স আর শেখ হাসিনা ম্যাজিক অব পলিটিক্স।

সারা বিশ্বের বিস্ময় উন্নয়ন আর অর্জন যা শেখ হাসিনা করেছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, তার প্রত্যাবর্তন দিবসকে আমি বলবো মুক্তিযুদ্ধের হারিয়ে যাওয়া মূল্যবোধের প্রত্যাবর্তন। আদর্শের প্রত্যাবর্তন। আমাদের গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন। তিনি সংগ্রাম করে গণতন্ত্রকে শৃঙ্খল মুক্ত করেছেন।

নির্মলেন্দু গুণের কবিতা পঁচাত্তরের পরে সবচেয়ে বড় ভাষণ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সে কবিতা আমাদের চেতনাকে জাগ্রত করেছিলো। সেই আতঙ্কগ্রস্থ পরিবেশে আমাদের সাহস জুগিয়েছিলো, উদ্বেলিত করেছিলো

আমরা কেন আমাদের নিজেদের শত্রু হই। আপন ঘরে যারা শত্রু, তাদের শত্রুতা করার জন্য বাইরের শত্রুর দরকার হয় না। আজকে শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে শিক্ষা নিতে হবে। তার সততা, সাহস থেকে। সাহস আর সততায় বঙ্গবন্ধুর মতই শেখ হাসিনা।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;

১৭ মে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার দিন: নাছিম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেছেন, 'এই দিবসটি একটি ঐতিহাসিক দিন। বাঙালি জাতির উন্নয়ন অগ্রগতি, গণতান্ত্রিক অধিকার, রাজাকার, খুনি মোস্তাকদের হাত থেকে দেশকে ফিরিয়ে আনার দিন।'

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে তেজগাঁওয়ের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভার বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর সকল ষড়যন্ত্র থেকে ফিরিয়ে আনার দিবস এটি। আমরা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে এগিয়ে নিয়ে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছি। জাতীর পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি।'

এই চলার পথ এতো সহজ নয়, সাবলীল নয় উল্লেখ করে নাছিম বলেন, 'অনেক তিক্ততার ইতিহাস আছে, জীবন গড়ার ইতিহাস আছে। যারা তার সাথে থাকার কথা ছিলো তাদের পাওয়া যায়নি। বঙ্গবন্ধু কন্যাকে রেখে ভিন্ন দল করার চেষ্টা করেছিলো। আমরা দেখেছি, কেউ কেউ খুনি মোস্তাককে বলেছে, আপনি আওয়ামী লীগ করেন, আমরাও করি। যদি খুনি মোস্তাক বেঁচে থাকতো তাহলে দেখা যেতো তারা সেই খুনি মোস্তাকের অন্য আওয়ামী লীগ করছে।'

আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ আজ শেখ হাসিনার সাথে একাত্ব হয়ে শেখ হাসিনার স্বপ্ন পূরণে তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আগামীর পথগুলো যত সহজ করে দেখেন, আমিও দেখি। তবে সেটা তখনই সম্ভব হবে, আমরা যদি সকল ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে গিয়ে যদি তাদের স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করতে পারি।'

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, 'মির্জা ফখরুলরা এখনো স্বপ্ন দেখছে, মিথ্যাচার করছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র লিপ্ত আছে। তবে আমরা বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় শেখ হাসিনার সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো এটা হউক আজকের দিনের আমাদের অঙ্গীকার।'

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি বলেছেন, 'বঙ্গবন্ধু কন্যা ছয় বছর দুঃসহ নির্বাসন জীবন শেষে ফিরে এলেন তবে ফিরে এলেন মৃত্যু ঝুঁকি মাথায় নিয়ে। বলা হয়েছিলো দেশে আসলে হত্যা করা হবে। সে মৃত্যু ঝুঁকি তুচ্ছ জ্ঞান করে তিনি ফিরে আসেন। যখন ফিরে এলেন, কেউ নেই, কিচ্ছু নেই। তখন পিতার অসমাপ্ত কাজ কে সমাপ্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন। শেখ হাসিনা ফিরে এসেছিলেন বলেই আমরা নতুন করে স্বপ্ন দেখেছি, তার নেতৃত্বে আন্দোলন করে গণতন্ত্রকে ফিরে আনতে পেরেছি।'

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;