টিপু তুমি কার, রাঙ্গায় হাহাকার!



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
কাদের ও রওশনের ডাকা দুই সাংবাদিক সম্মেলনেই উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

কাদের ও রওশনের ডাকা দুই সাংবাদিক সম্মেলনেই উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রওশন এরশাদের বাসায় সাংবাদিক সম্মেলন করে রওশনকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়। ঘণ্টা দু'য়েক পরে বনানী চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি জিএম কাদের- নিজেকে পার্টির গঠনতান্ত্রিক চেয়ারম্যান দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে জিএম কাদের তার পক্ষে গঠনতন্ত্রের নানা ধারা উপ-ধারার ব্যাখ্যা দেন। এরশাদ জীবদ্দশায় তাকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করে গেছেন, সেটাও জানিয়ে দেন। দু'টি সাংবাদিক সম্মেলনেই দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর অবস্থান লক্ষণীয়। দুই গ্রুপই অনেক শোডাউন করে নিজেদের অবস্থান জানান দেয়।

তবে ব্যতিক্রম দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও লঞ্চ মালিক সমিতির নেতা গোলাম কিবরিয়া টিপু। দু'টি সাংবাদিক সম্মেলনেই তাকে প্রথম সারিতে দেখা গেছে।

এ প্রসঙ্গে গোলাম কিবরিয়া টিপু বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'দলটা যাতে না ভাঙে আমি আসলে সেই চেষ্টা করছি।'

তবে আরেকটি লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে- পার্টির মহাসচিবের অনুপস্থিতি। দুই সাংবাদিক সম্মেলনের কোনোটিতেই মসিউর রহমান রাঙ্গাকে দেখা যায়নি।

রওশন পন্থিরা দাবি করেছেন- রাঙ্গা তাদের সঙ্গে আছেন, ফোনে সম্মতি দিয়েছেন। আবার জিএম কাদেরও জানিয়েছেন- মহাসচিব তার সঙ্গেই আছেন।

রওশন-কাদের ইস্যুতে সিনিয়র নেতারাও বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। রওশনের পাশে ছয়জন সংসদ সদস্যসহ ১১ জন প্রেসিডিয়াম সদস্যকে দেখা যায়। আবার কাদেরের সাংবাদিক সম্মেলনেও ছয়জন সংসদ সদস্যসহ ১২ জনের মতো প্রেসিডিয়াম সদস্যকে দেখা গেছে।

আরও পড়ুন: রওশন নিজের মুখে কিছু বলেননি: জিএম কাদের

রওশনের বাসার সামনে তার নামে স্লোগান দেওয়া হয়। 'রওশন তুমি এগিয়ে চলো আমরা আছি তোমার সাথে, পল্লী মাতা এগিয়ে চলো আমরা আছি তোমার সাথে'। আবার বনানীতে স্লোগান ওঠে- 'জিএম কাদের এগিয়ে চলো আমরা আছি তোমার সাথে। আনিসের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে…..দালাল তোরা নামিস না হাড়-মাংস রাখব না….'।

এরশাদের জীবদ্দশায় জাতীয় পার্টি তিন দফায় ভেঙেছে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর দুই মাস পূর্ণ হওয়ার পূর্বেই আরেকবার ভাঙনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে দলটি। অতীতে যেভাবে ভেঙেছে এবারও অনেকটা তেমন পরিস্থিতি। প্রয়াত কাজী জাফর আহমদের হাত ধরেই সর্বশেষ ভাঙনের শিকার হয়েছে। ওই সময়ে এরশাদ জাফরকে বহিষ্কার করলে, কাজী জাফরও পাল্টা বহিষ্কার করেন এরশাদকে। এভাবে জন্ম নেয় জাতীয় পার্টি (জাফর)।

এবারের প্রেক্ষাপট কিছুটা ভিন্ন। এবার কেউ কাউকে বহিষ্কার করেননি। দু'পক্ষই নিজেকে চেয়ারম্যান দাবি করছেন, একে অপরকে কো-চেয়ারম্যান বলছেন। জিএম কাদের বলেছেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবেন। তাহলে কী সেই আগের পথেই হাঁটতে যাচ্ছে জাপা?

আরও পড়ুন: ‘বাহ্যিকভাবে রওশনকে কেউ চেয়ারম্যান ঘোষণা করতে পারে না’

প্রথম দফায় জাতীয় পার্টি ভাঙনের কবলে পড়ে মিজানুর রহমান চৌধুরী ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বে। দ্বিতীয় দফায় ভাঙনের শিকার হয় নাজিউর রহমান ও কাজী ফিরোজ রশীদের নেতৃত্বে। তখন এরশাদের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে পৃথক জাতীয় পার্টি গঠন করে বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়। ফিরোজ রশীদ অনেক পরে এরশাদের জাতীয় পার্টিতে ফিরে আসেন। এখন তিনি জিএম কাদেরের পেছনে একাট্টা আছেন বলে ধারণা করা হয়।

জিএম কাদের পার্লামেন্টারি পার্টির চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য স্পিকারকে চিঠি দেওয়ার পর থেকেই ভাঙন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। জিএম কাদেরের চিঠি ইগনোর করার জন্য রওশনের পক্ষ থেকে পাল্টা চিঠি দেওয়া হয়। রওশনের চিঠিতে বলা হয়েছে, সংসদ সদস্যরা তাকে নেতার কাজ চালিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছেন। আবার জিএম কাদের বলেছেন, বেশিরভাগ এমপি তাকে নেতা হওয়ার জন্য সমর্থন দিয়েছেন।

এর আগে এরশাদের মৃত্যুর পর জিএম কাদেরকে যখন পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয় তখন প্রতিক্রিয়া দেখায় রওশন। রওশন পন্থিরা জিএম কাদেরকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলে মনে করেন। তারা কাদেরকে চেয়ারম্যান হিসেবে স্বীকৃতি দেন না।

এখন দু'টি বিষয় সামনে চলে এসেছে। একটি হচ্ছে- ৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সংসদ অধিবেশনে পার্লামেন্টারি পার্টির চেয়ারম্যান তথা বিরোধী দলীয় নেতার আসনে কে বসবেন। একই সময়ের মধ্যে রংপুর-৩ (সদর) উপ-নির্বাচনে কোন গ্রুপ প্রার্থী মনোনয়ন দেবেন। এক গ্রুপ কাউকে মনোনয়ন দিলে অন্য গ্রুপ সেটাকে কীভাবে নেবেন?

আরও পড়ুন: 'রওশন এরশাদ আজ থেকে জাপার চেয়ারম্যান'

আরও পড়ুন: জিএম কাদেরকে ঠেকাতে স্পিকারকে রওশনের চিঠি

   

দেশের মানুষ বর্তমান সরকারের ওপর বিরক্ত: চুন্নু



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টি (জাপা) মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে। দেশের মানুষ বর্তমান সরকারের ওপর বিরক্ত।

শনিবার (১৮ মে) জাপার বনানী কার্যালয়ে জাতীয় পেশাজীবী পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি’র ওপর মানুষ আস্থা রাখতে পারছে না। কারণ, আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপি সফল হতে পারছে না। এই দুটি দলের বিকল্প হিসেবে সাধারণ মানুষ জাতীয় পার্টিকে বেছে নিতে চায়। আগামী দিনে জাতীয় পার্টির উজ্জল ভবিষ্যত আছে। তাই, জাতীয় পার্টিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।

পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান আকাশের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন সদস্য সচিব ডাঃ রাকিব। পেশাজীবী পরিষদের লেহাজ উদ্দিন, সাংবাদিক নিশাত শাহরিয়ার, অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম, মোঃ নুরুজ্জামান, সোয়াইব ইফতেখার, ডাঃ মোঃ আজীজ বক্তব্য রাখেন।

উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মোঃ খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ সেলিম, যুগ্ম দফতর সম্পাদক সমরেশ মন্ডল মানিক, কেন্দ্রীয় সদস্য শেখ মোঃ আবু ওয়াহাব।

;

সরকার বয়কটে ইসরায়েল-ভারতের পণ্য বয়কট হবে: আলাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ‘ইসরায়েল ও ভারতের পণ্য’ মন্তব‌্য করে বিএনপি'র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মুয়াজ্জিন হোসেন আলাল বলেছেন, এই সরকারকে যদি বয়কট করা যায়, তাহলে ইসরায়েল ও ভারতের পণ্যকে বয়কট করা হবে। তাই, এই আওয়ামী লীগ সরকারকে বয়কট করাই হচ্ছে, এখন সবচাইতে বড় কাজ।

শনিবার (১৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বাংলাদেশ সিভিল রাইটস সোসাইটি’-এর উদ্যোগে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে এক নাগরিক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আলাল বলেন, ‘দ্য হিন্দুস্থান টাইমস’-এ একটি খবর দেখলাম, ভারত থেকে ইসরায়েলকে দেওয়া অস্ত্র বহর ইউরোপের একটি দেশ স্পেন তাদের বন্দরে রাখার অনুমতি দেয়নি। তারা ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে সেই জাহাজকে।

একই সঙ্গে ইউরোপের অন্যান্য দেশকেও স্পেন বলেছে, ইসরায়েলকে সমরাস্ত্র দেওয়া বন্ধ করতে হবে এবং তারা নিজেরাও বন্ধ করেছে। অথচ আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ যেখানে লাখ লাখ মানুষ রক্ত দিয়ে একটি মানচিত্র অর্জন করেছে, সেখানে ইসরায়েলের থাবা প্রায় বসেছে। তা না হলে রাতের বেলায় গোপনে ইসরায়েল সংস্থার বিমান কীভা‌বে অবতরণ করে! ভারত থেকে ইসরায়েলকে অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে, সমর্থন করা হচ্ছে। স্পেনের মতো একটি দেশ এর প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু আমরা প্রতিবাদ করছি না!

তিনি বলেন, ভারত এত বড় আমাদের প্রতিবেশী একটি রাষ্ট্র অথচ ধীরে ধীরে বাংলাদেশের জনগণের মন থেকে তারা উঠে গেছে। ফেলানি তো কোনো মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিল না অথচ তার লাশ কাঁটাতারে ঝুলেছে। তাকে কেন কাঁটাতারে ঝুলতে হয়েছিল! প্রতিদিন ‘গরু পাচারকারী’ আখ্যা দিয়ে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, যেটা বিশ্বের অন্যান্য দেশের সীমান্তে হয় কি না আমাদের জানা নেই, একই অবস্থা আজ ইসরায়েল করছে ফিলিস্তিনিদের ওপর!

যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, মিয়ানমারের গণহত্যার বিপক্ষে আমাদের পক্ষে গাম্বিয়ার মতো দেশ আন্তর্জাতিক আদালতে বাদী হতে পারে, তাহলে আমরা কেন আজ ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে বাদী হতে পারবো না! আজ এ সরকার ভারতকে তোষামোদ করে নিজে ক্ষমতায় থাকার জন্য বিশ্বের সব মানবতাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিচ্ছে। সুতরাং, আমরা মনে করি, ইসরায়েল ও ভারতের পণ্য হচ্ছে, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার। এই সরকারকে যদি বয়কট করা যায়, তাহলে ইসরায়েলকে পূর্ণ বয়কট করা হবে; ভারতীয় পণ্যকেও বয়কট করা হবে। এই আওয়ামী লীগ সরকারকে বয়কট করাই হচ্ছে, এখন সবচাইতে বড় কাজ।

এ সময় সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

;

সরকারের ধারাবাহিকতায় দেশে এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের ধারাবাহিকতা এবং স্থায়িত্বতায় দেশে এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা একটা কথা কেউ বলি না, আজকের বাংলাদেশের এতো উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কেন? সরকারের ধারাবাহিকতা এবং স্থায়িত্বতার কারণে। এর কারণেই বাংলাদেশের এত উন্নয়ন ও অর্জন সম্ভব হয়েছে। এই কারণে বিশ্বের বিস্ময়ে রূপান্তরিত হতে পেরেছে বাংলাদেশ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতি আপনজন এই দেশের জনগণ। হতাশা কবলিত বাংলাদেশে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।

 সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করেছেন এটা সত্যি নয়: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, এটা সত্যি নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে তেজগাঁওয়ের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান পঁচাত্তরের পর আমাদের বিভিন্ন সামরিক বাহিনীর ১১শ' অফিসারকে নাস্তা খেতে খেতে ফাঁসি দিয়েছিলো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলেন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, এটা সত্যি নয়। ১১ হাজার স্বাধীনতা বিরোধী কারাগারে ছিলো, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে এদের মুক্তি দিয়েছিলো। যার মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিলো ৭১৩ জন। এদের মুক্তি দিয়েছিলো জিয়াউর রহমান। এই ইতিহাস ভুলে গেছেন? কথায় কথায় আজকে বলেন, কারাগার। আমি কি মিথ্যা বলেছি? জিয়াউর রহমান কি করেছিলো এর প্রমাণ আছে।

বিএনপি ২৮ অক্টোবর পালিয়ে গিয়ে এখন বেসামাল হয়ে এখন প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগকে আক্রমণ করছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, আমি তাদের বলতে চাই, মুক্তির কথা বলেন, লজ্জা করে না? জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগ সহ অন্যান্য দলের ৬২ হাজার নেতাকে জেলে রেখেছিলো। আপনাদের কতজন নেতা জেলে আছে? ৩ হাজার আমাদের নেতাকর্মীর ও সরকারি অফিসারদের গুম করেছিলেন জিয়াউর রহমান।

আমাদের নাকি প্রতিবেশী দেশ নিয়ন্ত্রণ করে, ফখরুল সাহেব শেখ হাসিনাকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। আমাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি জয় বাংলার চেতনা। দেশি বিদেশি কোন শক্তি নয়। আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে দেশের জনগণ, সংবিধান। এই সংবিধানের বাইরে আমরা যাবো না।

যত ষড়যন্ত্র করুক, বিদেশি শক্তির নামে হুমকি ধমকি দিতে পারেন। তিনি কোন বিদেশি শক্তির পরোয়া করেন না, শুধু বাংলাদেশের জনগণকে পরোয়া করেন।

শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের পূর্ব পৃথিবীর সূর্য, আশার বাতিঘর, স্বপ্নের ঠিকানা শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের গত ৪৪ বছরে সবচেয়ে সাহসী রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। গত ৪৪ বছরের সবচেয়ে বিচক্ষণ, সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক, সবচেয়ে জনপ্রিয়, সবচেয়ে সফল কূটনীতিক এর নাম শেখ হাসিনা।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;