বিদিশা সরে গেলেই বদলে যাবেন এরিক!



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
এরিক (বাঁয়ে) ও বিদিশা, ছবি: সংগৃহীত

এরিক (বাঁয়ে) ও বিদিশা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শেখানো বক্তব্য আওড়াচ্ছেন এরিক এরশাদ। মা বিদিশা কাছ থেকে সরে গেলেই সব উল্টে যাবে বলে মনে করছেন তার ব্যক্তিগত স্টাফ ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্টের সদস্যরা।

তারা দাবি করেছেন, এরিকের সঙ্গে বিদিশা আঠার মতো লেগে আছেন। জনি নামে তার একজন সহকারী আছেন, যিনি সার্বক্ষণিক আঠার মতো লেগে আছেন এরিকের সঙ্গে। এমনকি টয়লেটে গেলেও দরজার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকছেন। বাসার ভেতরে ব্যক্তিগত স্টাফদের সঙ্গে কথাবার্তাও নজরদারি করা হচ্ছে। কারো সঙ্গে কোনো কথা বলতে গেলেই জনি গিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন। যাতে অন্য কারো কথায় বদলে যেতে না পারেন এরিক।

এরিকের খাবার দাবার কমিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন স্টাফরা। একজন ট্রাস্টি জানিয়েছেন, এরশাদের মৃত্যুর পর বাসার খরচ আরও বেড়ে গেছে। যখন যা প্রয়োজন হচ্ছে, সবই সরবরাহ করা হচ্ছে। এরিক এখন নিজেও অনেক সময় সুপারশপে যাচ্ছেন পছন্দের খাবার কিনতে। তার হোটেলে খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে। এ জন্য গুলশান ক্লাব, বনানী-১২ নম্বর রোডে প্যান টাও রেস্টুরেন্টসহ বেশ কিছু হোটেল রয়েছে, যেখানে মাস শেষে বিল পেমেন্ট দেওয়া হয়।

গত জুলাই-আগস্ট মাসে গুলশান ক্লাবের বিল বাবদ ৫৪ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। অন্যদিকে সেবাযত্নেরও কোনো ঘাটতি হওয়ার সুযোগ দেখছেন না তারা। ২০০৫ সালে বিদিশার সঙ্গে এরশাদের ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর থেকে শিশু এরিককে যারা এতোদিন লালন পালন করেছেন, তারা সবাই এখনও রয়েছেন। এরশাদের মৃত্যুর পর এখনও কোনো স্টাফ কমানো হয়নি।

প্রেসিডেন্ট পার্কে এখন এরিকের দু’জন সহকারী (মতিয়ার ও ওসমান), বিপ্লব ও ডিউক নামে দু’জন বাবুর্চি, নিপা ও রুবি নামে দু’জন বুয়া, তিনজন ড্রাইভার (আব্দুল আউয়াল, এমএ মান্নান ও আব্দুল আজিজ) এবং কেয়ারটেকার আব্দুল ওয়াহাব দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষিত এসব স্টাফ। প্রয়াত এরশাদ অনেক জনসভায় বলেছিলেন, আমি এরিককে সময় দিতে পারি না। রাজনৈতিক কারণে অনেক সময় বাসার বাইরে থাকি। স্টাফরাই এরিকের দেখভাল করেন। সেই বিশ্বস্ত সব স্টাফ এখনও বিদ্যমান।

হাউজ টিউটরকে মাসে ৪০ হাজার, মিউজিক টিচারকে ৩৫ হাজার টাকা, বাজার খরচ বাবদ দেড় থেকে দুই লাখ টাকা সরবরাহ করা হচ্ছে যথারীতি। পাঁচটি গাড়ি ঘুরে ফিরে ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। যাতে ব্যাটারি বসে না যায়।

ওই ট্রাস্টি জানান, মঙ্গলবারও বাসার খরচের জন্য ৫০ হাজার টাকা পাঠানো হয়েছে। মূলত এরিক চিকিৎসকের পরামর্শে কিছুটা ডায়েট কন্ট্রোল করছেন। ওজন বেড়ে গেলে তার শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। আগে তার ওজন ছিল ৮৪ কেজি। এখন কমিয়ে ৬৯ কেজিতে আনতে সক্ষম হয়েছেন।

বিদিশা বাসায় আসার সপ্তাহ দু’য়েক আগে জাতীয় পার্টির বনানী অফিসে এসেছিলেন এরিক। তখন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্টের ট্রাস্টি মেজর (অব.) খালেদ আক্তারের কক্ষে প্রবেশ করেন। তাকে দেখে একজন জাপা নেতা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছিলেন, আরে তুমি দেখি অনেক স্লিম হয়ে গেছ, আমিতো ওজন কমাতে পারছি না। তখন এরিক জবাব দিয়েছিলেন, আমি ১৩ কেজি ওজন কমিয়েছি। ওজন কমানোর একমাত্র ওষুধ হচ্ছে জিহ্বা। যদি জিহ্বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, তাহলেই সম্ভব। আমি জিহ্বাকে না বলে দিয়েছি। রাতে একটি রুটি ও ছোট্ট এক টুকরো মাছ, এর বেশি খাচ্ছি না।

এরিকের যেমন দ্রুত ওজন বেড়ে যায়। তেমনি দ্রুত কমাতেও পারেন। গত রমজানে ৩০ কেজি ওজন কমিয়েছিলেন। চিকিৎসকও নাকি তখন বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন।

প্রেসিডেন্ট পার্কের জায়গাটি ছিল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের। তিনি ডেভেলপার দিয়ে বাড়ি নির্মাণ করিয়েছিলেন। নিচতলায় পার্কিং, উপরে রয়েছে পাঁচটি ফ্লোর। তার মধ্যে পঞ্চম তলায় পুরো ৭২০০ বর্গফুটে থাকতেন এরশাদ। নিজের ভাগে পাওয়া একটি ফ্ল্যাট লিখে দিয়েছেন বিদিশাকে। অন্য ফ্ল্যাটগুলো বিক্রি করে দিয়েছেন এরশাদ নিজেই। বিদিশাও তার ফ্ল্যাটটি বিক্রি করে দিয়েছেন।

জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে ট্রাস্টি জাহাঙ্গীর আলমের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানিয়েছেন, সব কিছু চলছে ট্রাস্টের অধীনে। প্রেসিডেন্ট পার্কও ট্রাস্টের অধীনে। আগের সব ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। এখানে তাকে (জিএম কাদের) টেনে আনাটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

ছেলে এরিককে দেখার কথা বলে গত ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় বিদিশা এসে বাসায় ঢুকে পড়েছেন। আর বের হচ্ছেন না, বুধবার পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করছেন। নিজেদের অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। জীবন গেলেও তাকে সন্তানের কাছ থেকে আলাদা করা যাবে না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন।

এতে অস্বস্তিতে আছেন এরশাদ পরিবারের সদস্যরা। না পারছেন তাকে বের করে দিতে, আবার না পারছেন মেনে নিতে। আপাতদৃষ্টিতে ছেলে এরিকের কাছে আসতে মাকে বাধা দেওয়াটা অনেকটা অমানবিক মনে করা হচ্ছে। আবার এরশাদ যাকে বাসা থেকে বের করে দিয়েছেন, তার অবস্থানও ভালোভাবে দেখছেন না পরিবারের লোকজন। আবার বিদিশা বাসায় ঢুকেই ক্ষান্ত হননি, তার নিজের কিছু লোকজনকেও বাসায় ঢোকানোর চেষ্টা করছেন। এটাতে সন্দেহ আরও বেড়েছে।

অন্যদিকে নিজের ও মায়ের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করেছেন এরিক। এ প্রসঙ্গে জাপা নেতাদের বক্তব্য হচ্ছে, এরিক অটিস্টিক (প্রতিবন্ধী)। তাকে ফুঁসলিয়ে কাজটি করা হয়ে থাকতে পারে।

   

বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে: সালমান এফ রহমান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।

রোববার (১৯ মে) সন্ধ্যায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে আয়োজিত ১৭ মে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

২০০১ এর নির্বাচনেও ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগকে হারানো হয়েছে উল্লেখ করে সাল্মান এফ রহমান বলেন, গত নির্বাচনেও ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করেছে। আগামীতেও আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে।

সালমান এফ রহমান বলেন, যেভাবে নৃশংসভাবে ১৯৭৫ এ বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে, তারপরও প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ফিরে এসেছেন। ১৯৮৬ সাল থেকে বাংলাদেশকে এই পর্যায়ে নিয়ে আসতে বলিষ্ঠ হাতে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। যে দেশের মানুষ তার সব কেড়ে নিয়েছে সে দেশের মানুষের জন্যই তিনি এখনও করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর জায়গায় আমি থাকলে এই দেশে কখনও ফিরে আসতাম না। আমাদের ভাগ্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে আমরা পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতেই তিনি এদেশে ফিরে এসেছিলেন। শেখ হাসিনার ম্যাজিকের জন্যই আজ বাংলাদেশ এই অবস্থানে এসেছে।

বাংলাদেশে দুইটি চ্যালেঞ্জ আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ এবং আমেরিকা আর চীনের জৈব যুদ্ধ- এই দুইটার একটার সাথেও বাংলাদেশের কোনো সম্পর্ক না থাকলেও আমরা ভুক্তভোগী। অন্যদিকে প্রযুক্তি নিয়েও একটা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সামনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) আসতে যাচ্ছে। এটার সঠিক ব্যবহার করাও একটা চ্যালেঞ্জ। এই প্রযুক্তি ব্যবহারে সকলকে অ্যাডভান্স নিতে হবে।

আলোচনা সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, দেশের সবাই আওয়ামী লীগ করে না। কেউ বিএনপি করে, আবার কেউ অন্যান্য দল করে। আরেকটা পক্ষ আছে যারা কোনো দলই করে না। দেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগ সরকারের ভূমিকা তুলে ধরে নিরপেক্ষদের মন জয় করতে হবে।

মনে হচ্ছে সামনের নির্বাচন অনেক দূরে, কিন্তু না চোখের পলকে সময় শেষ হয়ে যাবে। সময়ের মধ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে বলেও নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান সালমান এফ রহমান।

এছাড়াও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এ্যাড. কামরুল ইসলাম, আ. লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, জাতীয় কমিটির সদস্য আব্দুল বাতেন মিয়া, ঢাকা-১৯ এর সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

;

'বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনে এই সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে এসব কথা বলেন তিনি।

সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১০ বিলিয়নের নিচে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বনিম্ন। এখন বলা হয় ৩ মাসের আমাদানি করার মতো অর্থ থাকলেই নাকি যথেষ্ট। কিন্তু আমরা যতটুকু জানি আমদানি ব্যয় আগের তুলনায় অনেক কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন ৭/৮ মিলিয়নের জায়গায় ৪/৫ মিলিয়নে নেমে এসেছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অনেক বড় বড় কথা বলেন, তাকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিলো জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে আসেন। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে এসে পৌঁছালে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের ও পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

;

দেশের মানুষ বর্তমান সরকারের ওপর বিরক্ত: চুন্নু



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টি (জাপা) মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে। দেশের মানুষ বর্তমান সরকারের ওপর বিরক্ত।

শনিবার (১৮ মে) জাপার বনানী কার্যালয়ে জাতীয় পেশাজীবী পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি’র ওপর মানুষ আস্থা রাখতে পারছে না। কারণ, আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপি সফল হতে পারছে না। এই দুটি দলের বিকল্প হিসেবে সাধারণ মানুষ জাতীয় পার্টিকে বেছে নিতে চায়। আগামী দিনে জাতীয় পার্টির উজ্জল ভবিষ্যত আছে। তাই, জাতীয় পার্টিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।

পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান আকাশের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন সদস্য সচিব ডাঃ রাকিব। পেশাজীবী পরিষদের লেহাজ উদ্দিন, সাংবাদিক নিশাত শাহরিয়ার, অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম, মোঃ নুরুজ্জামান, সোয়াইব ইফতেখার, ডাঃ মোঃ আজীজ বক্তব্য রাখেন।

উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মোঃ খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ সেলিম, যুগ্ম দফতর সম্পাদক সমরেশ মন্ডল মানিক, কেন্দ্রীয় সদস্য শেখ মোঃ আবু ওয়াহাব।

;

সরকার বয়কটে ইসরায়েল-ভারতের পণ্য বয়কট হবে: আলাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ‘ইসরায়েল ও ভারতের পণ্য’ মন্তব‌্য করে বিএনপি'র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মুয়াজ্জিন হোসেন আলাল বলেছেন, এই সরকারকে যদি বয়কট করা যায়, তাহলে ইসরায়েল ও ভারতের পণ্যকে বয়কট করা হবে। তাই, এই আওয়ামী লীগ সরকারকে বয়কট করাই হচ্ছে, এখন সবচাইতে বড় কাজ।

শনিবার (১৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বাংলাদেশ সিভিল রাইটস সোসাইটি’-এর উদ্যোগে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে এক নাগরিক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আলাল বলেন, ‘দ্য হিন্দুস্থান টাইমস’-এ একটি খবর দেখলাম, ভারত থেকে ইসরায়েলকে দেওয়া অস্ত্র বহর ইউরোপের একটি দেশ স্পেন তাদের বন্দরে রাখার অনুমতি দেয়নি। তারা ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে সেই জাহাজকে।

একই সঙ্গে ইউরোপের অন্যান্য দেশকেও স্পেন বলেছে, ইসরায়েলকে সমরাস্ত্র দেওয়া বন্ধ করতে হবে এবং তারা নিজেরাও বন্ধ করেছে। অথচ আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ যেখানে লাখ লাখ মানুষ রক্ত দিয়ে একটি মানচিত্র অর্জন করেছে, সেখানে ইসরায়েলের থাবা প্রায় বসেছে। তা না হলে রাতের বেলায় গোপনে ইসরায়েল সংস্থার বিমান কীভা‌বে অবতরণ করে! ভারত থেকে ইসরায়েলকে অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে, সমর্থন করা হচ্ছে। স্পেনের মতো একটি দেশ এর প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু আমরা প্রতিবাদ করছি না!

তিনি বলেন, ভারত এত বড় আমাদের প্রতিবেশী একটি রাষ্ট্র অথচ ধীরে ধীরে বাংলাদেশের জনগণের মন থেকে তারা উঠে গেছে। ফেলানি তো কোনো মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিল না অথচ তার লাশ কাঁটাতারে ঝুলেছে। তাকে কেন কাঁটাতারে ঝুলতে হয়েছিল! প্রতিদিন ‘গরু পাচারকারী’ আখ্যা দিয়ে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, যেটা বিশ্বের অন্যান্য দেশের সীমান্তে হয় কি না আমাদের জানা নেই, একই অবস্থা আজ ইসরায়েল করছে ফিলিস্তিনিদের ওপর!

যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, মিয়ানমারের গণহত্যার বিপক্ষে আমাদের পক্ষে গাম্বিয়ার মতো দেশ আন্তর্জাতিক আদালতে বাদী হতে পারে, তাহলে আমরা কেন আজ ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে বাদী হতে পারবো না! আজ এ সরকার ভারতকে তোষামোদ করে নিজে ক্ষমতায় থাকার জন্য বিশ্বের সব মানবতাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিচ্ছে। সুতরাং, আমরা মনে করি, ইসরায়েল ও ভারতের পণ্য হচ্ছে, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার। এই সরকারকে যদি বয়কট করা যায়, তাহলে ইসরায়েলকে পূর্ণ বয়কট করা হবে; ভারতীয় পণ্যকেও বয়কট করা হবে। এই আওয়ামী লীগ সরকারকে বয়কট করাই হচ্ছে, এখন সবচাইতে বড় কাজ।

এ সময় সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

;