ক্ষমতার ক্রোড়ে জন্ম নেওয়া বিএনপি'র চার দশক



মায়াবতী মৃন্ময়ী, অতিথি লেখক, বার্তা২৪.কম
চার দশকে বিএনপি।

চার দশকে বিএনপি।

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আজ শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) ৪১ বছরের সময়সীমা স্পর্শ করলো। সামরিক শাসনের ধারাবাহিকতার এক পর্যায়ে ফৌজি শাসক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠা করেন দলটি। দলের ৪১ বছরের শুরুর দিনটিতে বর্তমান চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রয়েছেন কারাবন্দি। তার অনুপস্থিতিতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনবাসী।

ক্ষমতার ক্রোড়ে জন্ম নেওয়া বিএনপি চার দশক পেরিয়ে আসার বছরটিতে ক্ষমতার বাইরে থাকার সাম্প্রতিক তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে পথ চলছে। সঙ্গে রয়েছে শীর্ষ দুই নেতার বিরুদ্ধে মামলার চাপ, নেতৃত্বের সঙ্কট আর দিশাহীন সাংগঠনিক অবস্থার ক্ষত। দলের জন্মের পর সবচেয়ে সঙ্কুল ও বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি নেতা ও কর্মীরা চরম হতাশা ও উদভ্রান্তির মধ্যে রয়েছেন।

যদিও ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকায় সমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি, তথাপি তা এক আনুষ্ঠানিকতার নামান্তর মাত্র। শনিবার বিকালে রাজধানীর নয়া পল্টনে সমাবেশ করবে দলটি। এতে দলের স্থায়ী কমিটিসহ সিনিয়র নেতারা অংশ নেবেন। এর আগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন সকালে প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দেবেন দলের নেতারা। পরদিন ২ সেপ্টেম্বর ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স (রমনা) মিলনায়তনে বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা হবে। এসব কর্মসূচি দলনেত্রীর মুক্তি ও নির্বাচন সম্পর্কে দলের দোদুল্যমানতা কাটাতে আদৌ কোনও কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে কিনা, তা দলের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাণীতে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অঙ্গীকার খালেদা জিয়ার মুক্তি, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে হারানো ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা এবং বাক-ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ জনগণের মানবিক মর্যাদা সুরক্ষা করা।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান দুঃসময়ে জনগণকে সংগঠিত করার কোনও বিকল্প নেই। দেশ আজ দুঃশাসন কবলিত। বারবার অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে যিনি মুক্ত করেছেন, সেই অবিসংবাদিত নেতা খালেদা জিয়াকে বানোয়াট মামলায় সাজা দিয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। এই সব প্রতিহিংসামূলক জুলুমের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। মুক্ত করে আনতে হবে আমাদের প্রিয় নেত্রী বেগম জিয়াকে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে।’

চার দশক পার হওয়ার সময়ের এই প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে দল ও শীর্ষ নেতৃবৃন্দের প্রতি মহাসচিবের অঙ্গীকারের কথাগুলো বাস্তবে দলের সর্বস্তরে কতটুকু প্রতিক্রিয়া ও প্রভাব সৃষ্টি করবে, সে সম্পর্কে পর্যবেক্ষকদের দ্বিধা রয়েছে। কারণ, আন্দোলনের মাঠে একের পর এক ব্যর্থতা আর কৌশল ও কর্মসূচি প্রণয়ন ও পালনের অক্ষমতা দলটিকে সাংগঠিকভাবে সবচেয়ে নাজুক পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।

দ্বিধা ও সিদ্ধান্তহীনতার ঘুর্ণাবর্তে নিমজ্জিত বিএনপি অতীতের চার দশকে ক্ষমতার স্বাদ অনেক পেলেও রাজনৈতিক দক্ষতা অর্জনের সক্ষমতা দেখাতে পেরেছে খুবই কম। দলের ইতিহাস বলছে যে, রাজনৈতিক সংগ্রাম ও মতাদর্শের লড়াই করে নয়, ক্ষমতার অংশীদার হওয়ার জন্যই দলটির সৃষ্টি। ফলে ক্ষমতার বাইরের বিএনপি দৃশ্যত অকার্যকর রাজনৈতিক দলের বেশি আর কিছু হতে পারছে না।

বিএনপির ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিকাল পাঁচটায় রাজধানী ঢাকার রমনা রেস্তোরাঁয় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র পাঠের মাধ্যমে বিএনপির যাত্রা শুরু হয়। সংবাদ সম্মেলনে নতুন দলের আহ্বায়ক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি প্রথমে ১৮ জন সদস্যের নাম ঘোষণা করেন। পরে ১৯৭৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর ওই ১৮ জনসহ ৭৬ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর আগে ১৯৭৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি জিয়াউর রহমান প্রথমে ‘জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল’ (জাগদল) গঠন করেন। যদিও দলটির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন তৎকালীন উপ-রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তার। ২৮ আগস্ট ১৯৭৮ সালে নতুন দল গঠন করার লক্ষ্যে জাগদলের বর্ধিত সভায় ওই দলটি বিলুপ্ত ঘোষণা হয়।

বিএনপি সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্য মতে, রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠার আগে ১৯৭৭ সালের ৩০ এপ্রিল জিয়াউর রহমান তার ‘সামরিক শাসন’-কে ‘বেসামরিক’ করার উদ্দেশ্যে শুরু করেন ১৯ দফা কর্মসূচি। অনেক ভাঙা-গড়া আর উত্থান-পতনের পথে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সুদীর্ঘ ৪০ বছর পার করতে গিয়ে বিএনপি চারবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল। দু’বার জাতীয় সংসদে বিরোধী দল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। কিন্তু টেকসই রাজনৈতিক দলের সাংগঠনিক শক্তিমত্তা দলটিতে কখনোই গড়ে উঠতে পারে নি। মূলত ক্ষমতার রাজনীতি ও শীর্ষ নেতৃত্বের চরম আধিপত্যের কারণে বিএনপিতে গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব মোটেও বিকশিত হতে পারে নি। যে কারণে বিরাট জনসমর্থনের দলটি শীর্ষ স্থানীয়দের পছন্দের ও মনোনীত কমিটির মাধ্যমে বিদ্যমান রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও চাপ মোকাবেলা করতে বার বার ব্যর্থ হচ্ছে।

ক্ষমতায় ও ক্ষমতার বাইরে থেকে বিগত চার দশকে বিএনপি নির্বাচনী রাজনীতিতে অনেক সাফল্যজনক অর্জনের অধিকারী হলেও গত নির্বাচন বর্জনের মতো হটকারিতা এবং আসন্ন নির্বাচন সম্পর্কে সিদ্ধান্তহীনতা দেখিয়েই চলেছে। অথচ ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২০৭টি আসন পেয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসে বিএনপি। এরপর ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে এক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে জিয়াউর রহমান নিহত হন। ১৯৮২ সালের ৩ জানুয়ারি বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ করে রাজনীতিতে আসেন তাঁর স্ত্রী খালেদা জিয়া। ১৯৮৪ সালের ১০ মে দলের চেয়ারপারসন নির্বাচিত হয় খালেদা জিয়া। এরপর থেকে তিনি দলটির চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ১৯৯১ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার নেতৃত্বে বিএনপি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। ১৯৯৬ সালের বির্তকিত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে স্বল্প দিনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন খালেদা জিয়া। ১৯৯৯ সালে চারদলীয় ঐক্যজোট গঠন করে বিএনপি। এরপর ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট ভোটের লড়াইয়ে জিতে সরকার গঠন করে। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন এবং ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হলে বিএনপি জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচন বয়কট করে বিএনপি। এই সিদ্ধান্তের চড়া মাশুল দিতে হয়েছে বিএনপিকে। এ কারণে সংসদীয় রাজনীতির ধারা থেকে ছিটকে পড়তে হয়েছে বিএনপিকে। সামনের নির্বাচন নিয়ে আবার কোনও ভ্রান্ত সিদ্ধান্ত বিএনপির ভবিষ্যতকে আরও অন্ধকারে ঠেলে দেবে। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর দিনে বিএনপিকে এই রূঢ় বাস্তবতাকেও মাথায় রাখতে হবে।

 

   

দেশের মানুষ বর্তমান সরকারের ওপর বিরক্ত: চুন্নু



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টি (জাপা) মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে। দেশের মানুষ বর্তমান সরকারের ওপর বিরক্ত।

শনিবার (১৮ মে) জাপার বনানী কার্যালয়ে জাতীয় পেশাজীবী পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি’র ওপর মানুষ আস্থা রাখতে পারছে না। কারণ, আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপি সফল হতে পারছে না। এই দুটি দলের বিকল্প হিসেবে সাধারণ মানুষ জাতীয় পার্টিকে বেছে নিতে চায়। আগামী দিনে জাতীয় পার্টির উজ্জল ভবিষ্যত আছে। তাই, জাতীয় পার্টিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।

পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান আকাশের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন সদস্য সচিব ডাঃ রাকিব। পেশাজীবী পরিষদের লেহাজ উদ্দিন, সাংবাদিক নিশাত শাহরিয়ার, অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম, মোঃ নুরুজ্জামান, সোয়াইব ইফতেখার, ডাঃ মোঃ আজীজ বক্তব্য রাখেন।

উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মোঃ খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ সেলিম, যুগ্ম দফতর সম্পাদক সমরেশ মন্ডল মানিক, কেন্দ্রীয় সদস্য শেখ মোঃ আবু ওয়াহাব।

;

সরকার বয়কটে ইসরায়েল-ভারতের পণ্য বয়কট হবে: আলাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ‘ইসরায়েল ও ভারতের পণ্য’ মন্তব‌্য করে বিএনপি'র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মুয়াজ্জিন হোসেন আলাল বলেছেন, এই সরকারকে যদি বয়কট করা যায়, তাহলে ইসরায়েল ও ভারতের পণ্যকে বয়কট করা হবে। তাই, এই আওয়ামী লীগ সরকারকে বয়কট করাই হচ্ছে, এখন সবচাইতে বড় কাজ।

শনিবার (১৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বাংলাদেশ সিভিল রাইটস সোসাইটি’-এর উদ্যোগে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে এক নাগরিক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আলাল বলেন, ‘দ্য হিন্দুস্থান টাইমস’-এ একটি খবর দেখলাম, ভারত থেকে ইসরায়েলকে দেওয়া অস্ত্র বহর ইউরোপের একটি দেশ স্পেন তাদের বন্দরে রাখার অনুমতি দেয়নি। তারা ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে সেই জাহাজকে।

একই সঙ্গে ইউরোপের অন্যান্য দেশকেও স্পেন বলেছে, ইসরায়েলকে সমরাস্ত্র দেওয়া বন্ধ করতে হবে এবং তারা নিজেরাও বন্ধ করেছে। অথচ আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ যেখানে লাখ লাখ মানুষ রক্ত দিয়ে একটি মানচিত্র অর্জন করেছে, সেখানে ইসরায়েলের থাবা প্রায় বসেছে। তা না হলে রাতের বেলায় গোপনে ইসরায়েল সংস্থার বিমান কীভা‌বে অবতরণ করে! ভারত থেকে ইসরায়েলকে অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে, সমর্থন করা হচ্ছে। স্পেনের মতো একটি দেশ এর প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু আমরা প্রতিবাদ করছি না!

তিনি বলেন, ভারত এত বড় আমাদের প্রতিবেশী একটি রাষ্ট্র অথচ ধীরে ধীরে বাংলাদেশের জনগণের মন থেকে তারা উঠে গেছে। ফেলানি তো কোনো মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিল না অথচ তার লাশ কাঁটাতারে ঝুলেছে। তাকে কেন কাঁটাতারে ঝুলতে হয়েছিল! প্রতিদিন ‘গরু পাচারকারী’ আখ্যা দিয়ে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, যেটা বিশ্বের অন্যান্য দেশের সীমান্তে হয় কি না আমাদের জানা নেই, একই অবস্থা আজ ইসরায়েল করছে ফিলিস্তিনিদের ওপর!

যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, মিয়ানমারের গণহত্যার বিপক্ষে আমাদের পক্ষে গাম্বিয়ার মতো দেশ আন্তর্জাতিক আদালতে বাদী হতে পারে, তাহলে আমরা কেন আজ ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে বাদী হতে পারবো না! আজ এ সরকার ভারতকে তোষামোদ করে নিজে ক্ষমতায় থাকার জন্য বিশ্বের সব মানবতাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিচ্ছে। সুতরাং, আমরা মনে করি, ইসরায়েল ও ভারতের পণ্য হচ্ছে, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার। এই সরকারকে যদি বয়কট করা যায়, তাহলে ইসরায়েলকে পূর্ণ বয়কট করা হবে; ভারতীয় পণ্যকেও বয়কট করা হবে। এই আওয়ামী লীগ সরকারকে বয়কট করাই হচ্ছে, এখন সবচাইতে বড় কাজ।

এ সময় সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

;

সরকারের ধারাবাহিকতায় দেশে এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের ধারাবাহিকতা এবং স্থায়িত্বতায় দেশে এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা একটা কথা কেউ বলি না, আজকের বাংলাদেশের এতো উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কেন? সরকারের ধারাবাহিকতা এবং স্থায়িত্বতার কারণে। এর কারণেই বাংলাদেশের এত উন্নয়ন ও অর্জন সম্ভব হয়েছে। এই কারণে বিশ্বের বিস্ময়ে রূপান্তরিত হতে পেরেছে বাংলাদেশ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতি আপনজন এই দেশের জনগণ। হতাশা কবলিত বাংলাদেশে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।

 সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করেছেন এটা সত্যি নয়: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, এটা সত্যি নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে তেজগাঁওয়ের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান পঁচাত্তরের পর আমাদের বিভিন্ন সামরিক বাহিনীর ১১শ' অফিসারকে নাস্তা খেতে খেতে ফাঁসি দিয়েছিলো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলেন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, এটা সত্যি নয়। ১১ হাজার স্বাধীনতা বিরোধী কারাগারে ছিলো, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে এদের মুক্তি দিয়েছিলো। যার মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিলো ৭১৩ জন। এদের মুক্তি দিয়েছিলো জিয়াউর রহমান। এই ইতিহাস ভুলে গেছেন? কথায় কথায় আজকে বলেন, কারাগার। আমি কি মিথ্যা বলেছি? জিয়াউর রহমান কি করেছিলো এর প্রমাণ আছে।

বিএনপি ২৮ অক্টোবর পালিয়ে গিয়ে এখন বেসামাল হয়ে এখন প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগকে আক্রমণ করছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, আমি তাদের বলতে চাই, মুক্তির কথা বলেন, লজ্জা করে না? জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগ সহ অন্যান্য দলের ৬২ হাজার নেতাকে জেলে রেখেছিলো। আপনাদের কতজন নেতা জেলে আছে? ৩ হাজার আমাদের নেতাকর্মীর ও সরকারি অফিসারদের গুম করেছিলেন জিয়াউর রহমান।

আমাদের নাকি প্রতিবেশী দেশ নিয়ন্ত্রণ করে, ফখরুল সাহেব শেখ হাসিনাকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। আমাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি জয় বাংলার চেতনা। দেশি বিদেশি কোন শক্তি নয়। আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে দেশের জনগণ, সংবিধান। এই সংবিধানের বাইরে আমরা যাবো না।

যত ষড়যন্ত্র করুক, বিদেশি শক্তির নামে হুমকি ধমকি দিতে পারেন। তিনি কোন বিদেশি শক্তির পরোয়া করেন না, শুধু বাংলাদেশের জনগণকে পরোয়া করেন।

শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের পূর্ব পৃথিবীর সূর্য, আশার বাতিঘর, স্বপ্নের ঠিকানা শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের গত ৪৪ বছরে সবচেয়ে সাহসী রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। গত ৪৪ বছরের সবচেয়ে বিচক্ষণ, সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক, সবচেয়ে জনপ্রিয়, সবচেয়ে সফল কূটনীতিক এর নাম শেখ হাসিনা।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;