স্টার্লিং-বালবার্নির সেঞ্চুরি, রেকর্ড গড়া জয় আয়ারল্যান্ডের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দ্বিতীয় উইকেটে ২১৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন বালবার্নি-স্টার্লিং

দ্বিতীয় উইকেটে ২১৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন বালবার্নি-স্টার্লিং

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরিজ আগেই জিতে নিয়েছিল ইংল্যান্ড। লক্ষ্য ছিল হোয়াইটওয়াশের। কিন্তু হারের তিক্ত স্বাদ পেল ফেভারিটরা। অথচ ওয়েন মরগানের শতরানে আয়ারল্যান্ডের সামনে পাহাড়সম চ্যালেঞ্জ দাঁড় করায় ইংল্যান্ড। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে সেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে রেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে শতরান করেন পল স্টার্লিং ও অ্যান্ডি বালবার্নি। তাদের সেঞ্চুরি ও রেকর্ড গড়া জুটিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে দিল আয়ারল্যান্ড।

মঙ্গলবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ৭ উইকেটে জয় তুলে নেয় আইরিশরা। নাটকীয়তা ছড়ানো ম্যাচে ৪৯.৫ ওভারে ইংল্যান্ডের ৩২৮ রান টপকে নতুন রেকর্ড গড়ে সফরকারীরা। এর আগে এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১১ বিশ্বকাপে ৩২৭ রান তাড়া করে জিতেছিল তারা।

হেরেও সিরিজটা থাকল ইংল্যান্ডের। ২-১ ব্যবধানে জিতল তারা। তবে রোজ বৌলে ওয়ানডে সুপার লিগের শেষ ম্যাচে পয়েন্ট পেল আইরিশরা।

এই ম্যাচেও মরগান বেশ লড়লেন। অধিনায়কের ব্যাটে সেঞ্চুরির সঙ্গে টম ব্যান্টন ও ডেভিড উইলি করেন ফিফটি। তাতেই বড় পুঁজি পায় দলটি। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জে মনে রাখার মতো ইনিংস খেললেন স্টার্লিং ও বালবার্নি। তাদের রেকর্ড গড়া জুটিতেই হাসিমুখ আইরিশদের।

স্টার্লিং দক্ষতার সঙ্গে খেলেছেন শুরু থেকেই। ৫২ বলে ফিফটি করেন তিনি। আর বালবার্নির করেন আরও দ্রুত, ৪৩ বলে। জুটির একশ হয় ৮৮ বলে। ৯৬ বলে ক্যারিয়ারের নবম শতরান তুলে নেন স্টার্লিং। আর ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি করতে ১০০ বল খেলেন বালবার্নি।

১৮৩ বলে দুইশ রান তুলে স্টার্লিং-বালবার্নি জুটি। শেষ অব্দি ২১৪ রানে ভাঙে জুটি। দ্বিতীয় উইকেটে আয়ারল্যান্ডের সেরা জুটি এটিই। যে কোনো জুটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০০৭ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে চতুর্থ উইকেটে উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড ও কেভিন ও’ব্রায়েন তুলেন ২২৭। যা এখনো সেরা।

১২৮ বলে ১৪২ রানে থামেন স্টার্লিং। অধিনায়ক বালবার্নি ১১২ বলে ১১৩ রানে আউট। এরপর শেষ ৫ ওভারে ৪৪ রানের লক্ষ্যটা বাস্তবে পরিণত করেন হ্যারি টেক্টর ও কেভিন ও’ব্রায়েন। ২৬ বলে ২৯ রানে অপরাজিত টেক্টর। ও’ব্রায়েন করেন ২১।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দারুণ লড়লেন মরগান। ৩৯ বলে করেন ফিফটি। ক্যারিয়ারের চতুর্দশ সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন ৭৮ বলে। ৮৪ বলে ১৫ চার ও চার ছক্কায় ১০৬ রান করেন মরগান। শেষ অব্দি বৃথা গেল তার ইনিংস।

সংক্ষিপ্ত স্কোর-

ইংল্যান্ড: ৪৯.৫ ওভারে ৩২৮/১০ (রয় ১, বেয়ারস্টো ৪, ভিন্স ১৬, মরগান ১০৬, ব্যান্টন ৫৮, বিলিংস ১৯, মইন ১, উইলি ৫১, কারান ৩৮*, রশিদ ৩, মাহমুদ ১২; ইয়াং ৩/৫৩, অ্যাডায়ার ১/৪৫, লিটল ২/৬২, ক্যাম্পার ২/৬৮, ডেলানি ১/২৯)।

আয়ারল্যান্ড: ৪৯.৫ ওভারে ৩২৯/৩ (স্টার্লিং ১৪২, ডেলানি ১২, বালবার্নি ১১৩, টেক্টর ২৯*, ও’ব্রায়েন ২১*; উইলি ১/৭০, রশিদ ১/৬১)।

ফল: ৭ উইকেটে জয়ী আয়ারল্যান্ড।

সিরিজ: ২-১ ব্যবধানে ইংল্যান্ড জয়ী।

ম্যাচ সেরা: পল স্টার্লিং।

সিরিজ সেরা: ডেভিড উইলি।

   

ব্রাজিলের রেকর্ড গোলদাতা মার্তার অবসরের ঘোষণা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাজিলের জার্সিতে তার চেয়ে বেশি গোল নেই কারও। জাতীয় দলের জার্সিতে গোল করার দিক দিয়ে যেন পেলে-নেইমাররাও তার কাছে নস্যি! পুরুষ এবং নারী ফুটবল মিলিয়ে ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ ১১৫ গোলের মালিক মার্তা অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। চলতি বছরেই আন্তর্জাতিক ফুটবল অধ্যায়ের ইতি টানবেন এই কিংবদন্তিতুল্য নারী ফুটবলার।

সিএনএন ব্রাজিলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অবসরের বিষয়টি জানিয়েছেন মার্তা। আগামী ২৮ এপ্রিল (রবিবার) তার সম্পূর্ণ সাক্ষাৎকারটি প্রচার করবে সিএনএন ব্রাজিল।

ব্রাজিলের হয়ে ছয় বিশ্বকাপ খেলা মার্তাকে আসছে প্যারিস অলিম্পিকে দেখা যেতে পারে। অবসরের বছরে ষষ্ঠবারের মতো অলিম্পিকে খেলার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে মার্তা বলেন, ‘যদি অলিম্পিকে যেতে পারি, তাহলে প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করব। তবে অলিম্পিকে যাই আর না যাই, জাতীয় দলের সঙ্গে এটাই আমার শেষ বছর। ২০২৫ সাল থেকে ব্রাজিলের জাতীয় দলে মার্তাকে আর দেখা যাবে না।’

নারী ফুটবল দুনিয়ার সবচেয়ে আলোচিত চরিত্রদের অন্যতম মার্তা। ব্রাজিলকে তিনবার কোপা আমেরিকা জিতিয়েছেন, দুইবার এনে দিয়েছে অলিম্পিকের রৌপ্যপদক। ফিফার বর্ষসেরা নারী ফুটবলারের খেতাব রেকর্ড ছয়বার জিতেছেন, ২০০৬ থেকে ২০১০ পর্যন্ত এই পুরস্কার টানা পাঁচবার তার হাতে উঠেছে।

২০১৯ সালে প্রথম ফুটবলার হিসেবে পাঁচ বিশ্বকাপে গোল করার কীর্তি গড়েন মার্তা। এছাড়া এক বিশ্বকাপে ১৭ গোলের অনন্য রেকর্ডও তার নামের পাশে শোভা পাচ্ছে। পুরুষ এবং নারী ফুটবল মিলিয়ে এই দুটি কীর্তিও মার্তা ছাড়া আর কারও নেই।

;

ব্রাজিলিয়ানের গোলে আবাহনীর কষ্টার্জিত জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রিমিয়ার লিগের চলতি আসরে প্রথমার্ধেই শেখ রাসেলকে হেসেখেলে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল আবাহনী। তবে দ্বিতীয় দেখায় রাসেলকে রুখে দিতে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে তাদের। তবে ব্রাজিলিয়ান ব্রুনো রোচার একমাত্র গোলে শেষ পর্যন্ত পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছেড়েছে আকাশি-হলুদরা।

 বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় প্রচণ্ড গরম আর সঙ্গে শেখ রাসেলের প্রতিরোধের সামনে শুরুতে কিছুটা খাবি খেতে হয় আবাহনীকে। প্রথমার্ধে বলার মতো একটা সুযোগই এসেছিল তাদের সামনে। বক্সের বাইরে থেকে ব্রুনোর বাঁকানো ফ্রি-কিক ঠেকিয়ে আবাহনীকে হতাশ করেন রাসেলের গোলকিপার মিতুল মারমা।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের মাঝপথে এক আক্রমণ থেকে পরম আরাধ্য গোলটি পেয়ে যায় আবাহনী। ৭৪ মিনিটে বদলি মিডফিল্ডার রবিউল হাসানের ক্রসে ব্রুনোর হেড ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়, তবে ফিরতি শটে বল জালে জড়াতে কোনো ভুল হয়নি এই ব্রাজিলিয়ানের। শেষ পর্যন্ত এই গোল দিয়েই তিন পয়েন্ট বুঝে নিয়েছে আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির শিষ্যরা।

এই জয়ে ১৩ ম্যাচ থেকে ২৫ পয়েন্ট পেয়ে তিনেই থাকল আবাহনী। শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংসের চেয়ে ৬ পয়েন্ট পিছিয়ে তারা। অন্যদিকে ১৩ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট পাওয়া শেখ রাসেলের অবস্থান টেবিলের ১০ নম্বরে।

;

কোপার আগে ফার্নান্দেজকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় আর্জেন্টিনা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোপা আমেরিকার আগে কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়তে হচ্ছে আর্জেন্টিনাকে। দলটির তারকা মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজের যে চোটে পড়ে মৌসুম শেষ হয়ে গেছে। আজ (২৬ এপ্রিল) কুঁচকির চোটে অস্ত্রোপচার হয়েছে তার। অস্ত্রোপচারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার ক্লাব চেলসি।

এনজোর চোট নিয়ে দেয়া এক বিবৃতিতে চেলসি জানায়, ‘এনজোর অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। এখন তার পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হবে।’

এক টুইটে সফল অস্ত্রোপচারের কথা জানিয়েছেন এনজো নিজেও , ‘আমার সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। গত ছয় মাস ধরে এই ব্যথা বয়ে বেড়াচ্ছিলাম। তাই অস্ত্রোপচারের দরকার ছিল।’

কবে নাগাদ মাঠে ফিরতে পারবেন এনজো, সে ব্যাপারে চেলসি এখনো কিছু জানায়নি। আগামী ২০ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হবে কোপা আমেরিকার পরবর্তী আসর। একটা কথা নিশ্চিত করে বলে দেয়া যায়, সে টুর্নামেন্টকে পাখির চোখ করেই এখন ফিট হয়ে ওঠার মিশনে নামছেন এনজো।

;

সাফের আগে তাইপের বিপক্ষে খেলবেন সাবিনারা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারী সাফের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। গত আসরে সাবিনা খাতুনের নেতৃত্ব হিমালয়ের দেশ নেপালে বিজয় নিশান ওড়ান বাংলাদেশের মেয়েরা। এবার ঘরের মাঠে সে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার মিশনে মাঠে নামবেন তারা। দিনক্ষণ নিশ্চিত না হলেও আগামী অক্টোবরে হতে পারে নারী সাফ। তার আগে চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল।

তাইপের বিপক্ষে দুই ম্যাচ খেলার কথা নিশ্চিত করেছেন বাফুফের নারী ফুটবল কমিটির প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ, ‘জুন উইন্ডোতে আমরা চাইনিজ তাইপের সঙ্গে খেলবো। প্রথম ম্যাচ ৩১ মে এবং দ্বিতীয় ম্যাচ ৩ জুন। তারা অফিশিয়ালভাবে চিঠি দিয়ে আমাদের নিশ্চিত করেছে।’ ম্যাচ দুটি বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া জুলাইয়ের ফিফা উইন্ডোতেও মেয়েদের ম্যাচ আয়োজনে চেষ্টা চলছে বলে জানান এই নারী ক্রীড়া সংগঠক, ‘জুলাইয়ের ফিফা উইন্ডোতেও আমরা ম্যাচ খেলার চেষ্টা করবো।’

চাইনিজ তাইপের ম্যাচগুলো খেলে বাংলাদেশের মেয়েরা সাফের আগে নিজেদের প্রস্তুত করতে পারবেন বলে মত কিরণের, ‘চাইনিজ তাইপে শক্তিশালী দল। তাদের বিপক্ষে বাংলাদেশ যখন ম্যাচগুলো খেলবে তারা তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে পারবে। সাফের আগে এটা অনেক বেশি কাজে দেবে বলে আমি মনে করি।’

;