দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের মধ্যবর্তী সময়ে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত একটা বোমা ফাটিয়েছিলেন রীতিমতো। বিসিবিকে জানিয়েছিলেন, তিনি সে সিরিজের পর আর নেতৃত্বে থাকতে চান না। তার ঠিক পরের সিরিজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে। সে সিরিজে অবশ্য অধিনায়ক থাকছেন শান্তই।
তবে মাঝের সময়টাতে নতুন অধিনায়ক হিসেবে কানাঘুষা কম হয়নি। শোনা যাচ্ছিল টেস্ট আর ওয়ানডের জন্য মেহেদি হাসান মিরাজ আর টি-টোয়েন্টির জন্য তাওহীদ হৃদয়কে অধিনায়ক করা হতে পারে। অথচ এদের চেয়ে অনেক সিনিয়র তাসকিন আহমেদ সেভাবে আলোচনায় আসেননি।
সেই তাসকিনকে নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন বাংলাদেশের সাবেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেককেই ভাবি যে, সে অধিনায়কত্বের জন্য খুব ভালো। দায়িত্ব পালনের পর বোঝা যায় সে অধিনায়কত্বে কতখানি ভালো, আর কতখানি যোগ্য। আবার অনেককে ভাবি যে, ও হয়তো অধিনায়কত্বের জন্য অতটা যোগ্য নয়, দায়িত্ব পালনে দেখা যায় সেই অনেক ভালো করছে।’
তাসকিনকে অধিনায়ক করার বড় অন্তরায় হচ্ছে তার চোট। তবে হাবিবুলের বিশ্বাস, তাসকিন তা সামলে নিতে পারবেন, ঠিক যেমন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক প্যাট কামিন্স নেন। তিনি বলেন, ‘তাসকিন অনেক সিনিয়র খেলোয়াড়। অনেক দিন ধরে খেলছে। তাসকিনকে নিয়ে একটু চিন্তা হচ্ছে সে চোটপ্রবণ। কিন্তু প্যাট কামিন্স তো অধিনায়কত্ব করছে।’
শান্তকে অধিনায়ক রাখা হয়েছে আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত। তার দায়িত্ব ছিল এক বছরের জন্য। তবে হাবিবুলের অভিমত, যাকেই অধিনায়ক করা হয়, তাকেই যেন দীর্ঘ সময়ের জন্য অধিনায়ক করা হয়।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা যাকেই করি, আমাদের সিদ্ধান্তটা তাড়াতাড়ি নিয়ে নেওয়া উচিত। যাকেই নিই, আমরা যেন একটু লম্বা সময়ের জন্য নিই। কারণ দল হিসেবে আমরা ধারাবাহিক নই। অধিনায়কত্বে ধারাবাহিকতা রাখা গুরুত্বপূর্ণ।’