রোমাঞ্চ ছড়িয়ে আবুধাবী টেস্ট জিতলো নিউজিল্যান্ড



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
বোলারদের দাপটে জিতল নিউজিল্যান্ড

বোলারদের দাপটে জিতল নিউজিল্যান্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

আবুধাবীর উইকেট পাকিস্তানের কাছে হাতের তালুর মতো চেনা। তাছাড়া জয়ের টার্গেট মাত্র ১৭৬ রান। টার্গেট মামুলি হলেও ব্যাটিংয়ে বড় ধাক্কা খায় পাকিস্তান। শেষের দিকে এসে মুড়িমুড়কির মতো উইকেট হারায়। জয়ের স্বপ্নে বিভোর থাকা পাকিস্তান আকস্মিক এই ধসে হঠাৎ আবিস্কার করে ম্যাচ হেরে যাচ্ছে তারা! শেষমেষ তাই হলো! ৪ রানে আবুধাবী টেস্ট হেরে গেল পাকিস্তান।

চরম সঙ্কটে পড়া দলকে ব্যাট হাতে প্রায় একাই রক্ষা করছিলেন আজহার আলী। শেষ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ আব্বাসকে নিয়ে শেষের দিকে লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। আব্বাসকে আড়ালে রেখেই নিজের হাতেই বেশিরভাগ সময় স্ট্রাইক রাখছিলেন। কিন্তু সেই তিনিও শেষপর্যন্ত পাকিস্তানকে রক্ষা করতে পারলেন না। দারুন দক্ষতা দেখিয়ে নিউজিল্যান্ড জিতে নিলো তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্ট।

আর ৫ রান করলেই ম্যাচ জিতে যাবে পাকিস্তান। এই সমীকরণের সময় হিসেব বদলে দিয়ে আজহার আলীকে ৬৫ রানে এলবিডবøু করে নিউজিল্যান্ডকে আনন্দে ভাসান স্পিনার আয়াজ প্যাটেল। জীবনের প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেই দলকে ম্যাচ জেতানো পারফরমেন্স উপহার দিলেন এই অফস্পিনার। দ্বিতীয় ইনিংসে তার শিকার ৫৯ রানে ৫ উইকেট।

-কে বলে টেস্ট ম্যাচ বিরক্তিকর! যারা বলে তাদের উচিত পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ডের আবুধাবী টেস্ট ম্যাচ বারবার দেখা। চতুর্থদিনের লাঞ্চের পর এই ম্যাচে যা হলো তাকে এক কথায় বলে-নাটক! ফ্যানটাসটিক ক্রিকেট! ব্যাট-বলের লড়াইয়ের রোমাঞ্চকর উত্তেজনায় ঠাসা প্রতিটা ওভার। পুরোটা সময়। সেই লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসলো নিউজিল্যান্ড।

ওপেনিং জুটিতে ৪০ রান আসার পর মনে হচ্ছিলো আয়েশের ভঙ্গিতে পাকিস্তান সিরিজের প্রথম এই টেস্ট ম্যাচ জিতে যাচ্ছে। কিন্তু ঠিক তখনই মিনি ধসের মুখে পড়ে পাকিস্তানের ইনিংস। দেখতে না দেখতেই চোখের পলকেই ৪০ রানে ১ উইকেট থেকে পাকিস্তান হঠাৎ ৪৮ রানে ৩ উইকেটে দলে পরিণত! মাত্র ৭ বলের মধ্যে পাকিস্তান হারায় তিন উইকেট। মিডলঅর্ডারে আজহার আলী ও আসাদ শফিক সেই বিপর্যয় সামলে দলকে সামনের দিকে টানেন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে দুজনে ৮২ রান যোগ করে বিছিন্ন হন। বাঁহাতি পেসার ওয়েগনারের বলে ৪৫ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আসাদ শফিক। পাকিস্তানের সংগ্রহ দাড়ালো ৪ উইকেটে ১৩০ রান। জয় থেকে পাকিস্তান তখনো ৪৬ রান দুরে। হাতে জমা ৬ উইকেট। জয় কোন ব্যাপারই না-এমন ভাবনায় যারা ছিলেন তারা এই ম্যাচে দ্বিতীয়বার ধাক্কা খেলেন! পাকিস্তানও তাই। আসাদ শফিকের আউটের পরপরই বাবর আজম ফিরলেন রান আউট হয়ে ১৩ রানে। অধিনায়ক সারফরাজ আহমেদও আউট সিঙ্গেল ডিজিটে। খানিকবাদে অধিনায়ককে অনুসরণ করে ড্রেসিংরুমে ফিরলেন বিলাল আসিফ ও ইয়াসির শাহ। ১৩০ রানে ৪ উইকেট থেকে পাকিস্তান গড়িয়ে পড়লো ১৫৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে।

-কি বুঝলেন? এই সময়টায় মাত্র ১০.১ ওভারে ২৫ রানে পাকিস্তান হারায় পরের পাঁচ উইকেট! পুরো টেস্টে তখন চরম নাটকীয়তা! শেষের দুই উইকেটে পাকিস্তান কি পারবে জয়ের জন্য বাকি ২১ রান তুলতে? একপ্রান্তে পাকিস্তানের আশা ভরসা হয়ে লড়ছেন আজহার আলী। ছক্কা হাঁকিয়ে টেনশন দুর করতে গিয়ে এই সময় উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এলেন হাসান আলী। পাকিস্তান তখনো জয় থেকে ১২ রান দুরে দাড়িয়ে! শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটে এলেন মোহাম্মদ আব্বাস।

এই ম্যাচের তখন একটাই প্রশ্ন-কে জিতবে? পাকিস্তান নাকি নিউজিল্যান্ড? একেকটা বল হচ্ছে আর ম্যাচ জয়ের পাল্লা একবার পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকছে তো পরমূর্হুতে নিউজিল্যান্ডের দিক হেলে পড়ছে। ডট বল হচ্ছে আর নিউজিল্যান্ডের সম্ভাবনা বাড়ছে। শেষ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ আব্বাসকে আড়াল করে রাখতে আজহার আলী সিঙ্গেলস নিচ্ছেন না। বল বাউন্ডারির দড়ির কাছে যাচ্ছে কিন্তু সিঙ্গেল নেয়ার জন্য আজহার আলী দৌড়াচ্ছেন না। বেশিরভাগ সময় নিজের কাছে স্ট্রাইক রাখার চেষ্টা তার। আজহারের সেই কৌশলও শেষ পর্যন্ত আর কাজে দিলো না। পেসার ওয়েগনার ও জীবনের প্রথম টেস্ট খেলতে নামা স্পিনার আয়াজ প্যাটেল পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন আপকে অস্থির করে তোলেন। সেই সঙ্কট পাকিস্তান আর কাটিয়ে উঠতেই পারেনি।

পুরোদুস্তর ওয়ানডে ম্যাচের টানটান আমেজ ছড়িয়ে নিউজিল্যান্ড জিতলো সিরিজের প্রথম টেস্ট। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর: নিউজিল্যান্ড ১ম ইনি: ১৫৩/১০ ( উইলিয়ামসন ৬৩, নিকোলস ২৮, ইয়াসির শাহ ৩/৫৪, নিউজিল্যান্ড ২য় ইনি: ২৪৯/১০ (রাভাল ৪৬, নিকোলস ৫৫, ওয়াটলিং ৫৯, ইয়াসির ৫/১১০, হাসান আলী ৫/৪৫)। পাকিস্তান ১ম ইনি: ২২৭/১০ (আসাদ শফিক ৪৩, বাবর আজম ৬২, বোল্ট ৪/৫৪, প্যাটেল ২/৬৪)। পাকিস্তান ২য় ইনি:১৭১/১০ (আজহার আলী ৬৫, আসাদ শফিক ৪৫, প্যাটেল ৫/৫৯, সোধি ২/৩৭, ওয়েগনার ২/২৭)। ফল: পাকিস্তান ৪ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা: আয়াজ প্যাটেল। দ্বিতীয় টেস্ট: ২৪ নভেম্বর শুরু, দুবাইয়ে।

   

এক মৌসুম শেষেই চেলসি ছাড়লেন পচেত্তিনো



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজেদের ঘরের ছেলে ফ্রাঙ্ক ল্যাপার্ডকে বরখাস্তের পর গত মৌসুমে ২০২৩ সালের ১ জুলাই মরিসিও পচেত্তিনোকে কোচ করে আনে চেলসি। চুক্তিটা ছিল দুই বছরের। সঙ্গে ছিল আরও এক বছর চুক্তি নবায়নের সুযোগ। তবে সব ছাপিয়ে এক মৌসুম পরই শেষ হতে চলেছে পচেত্তিনোর চেলসি অধ্যায়। 

ক্লাব ও পচেত্তিনো, দুই পক্ষের পারস্পারিক সমঝোতায় চেলসি ছাড়ছেন এই ৫২ বছর বয়সী এই আর্জেন্টাইন কোচ। 

গত মৌসুমে ব্লুজদের অবস্থান ছিল আরও বাজে। পয়েন্ট তালিকার ১২তম অবস্থানে থেকে মৌসুম শেষ করেছিল তারা। চলতি মৌসুমের শুরুর অর্ধেও অবস্থাটা ঠিক তেমনই ছিল। এতে তখন থেকেই শুরু হয় পচেত্তিনো ছাঁটাইয়ের আলোচনা। শেষ পর্যন্ত এবার দুই পক্ষের আলোচনায় এলো সিদ্ধান্ত। 

মৌসুমের শেষ দিকে অবশ্য ভালোভাবেই ফিরেছে চেলসি। টানা পাঁচ ম্যাচে জিতে তালিকার ছয়ে থেকে মৌসুম শেষ করে তারা। এতে পরের মৌসুমে ইউরোপা কনফারেন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ব্লুজরা। এছাড়া সদ্য শেষ হওয়া এই মৌসুমে এফএ কাপের সেমিফাইনাল ও কারাবাও কাপের ফাইনালে খেলেছিল চেলসি। 

নিজের বিদায় নিশ্চিতের পর পচেত্তিনো বলেন, ‘আমাকে সুযোগ দেওয়ার জন্য চেলসির মালিকপক্ষ ও ক্রীড়া পরিচালকদের ধন্যবাদ। সামনের মৌসুমগুলোতে ক্লাবটি প্রিমিয়ার লিগ ও ইউরোপে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত।’

২০১৬-১৭ মৌসুমে সবশেষ প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জেতা চেলসি গত ছয় মৌসুমে পচেত্তিনোসহ মোট পাঁচজনের হাতে দিয়েছিল দায়িত্ব। আরও একবার তাই দলের ছন্দ ফেরাতে কোচ খুঁজতে নামবে তারা। এতে ইপসউইচের কোচ কিয়েরান ম্যাককেনা, স্পোর্টিংয়ের রুবেন আমোরিম এবং বার্নলির ভিনসেন্ট কোম্পানির দিকে নজর চেলসির। 

;

টানা দ্বিতীয়বার প্রিমিয়ার লিগের মৌসুমসেরা কোচ গার্দিওলা 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ম্যানচেষ্টার সিটির হয়ে পেপ গার্দিওলা জিতেছেন ‘সব’। আগের মৌসুমে সিটিজেনদের জিতিয়েছেন ট্রেবল। এই মৌসুমে সেই খেতাবটা না ফিরলেও লিগ ইতিহাসে এই প্রথম টানা চতুর্থবারের মতো প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা রেখেছে নিজেদের দখলে। সামনে আছে এফএ কাপের ফাইনাল। এতে আরও একটি শিরোপার হাতছানি। সেই শিরোপা সম্ভাবনার ম্যাচের আগেই আরও এক সুসংবাদ সিটিজেনদের জন্য। টানা দ্বিতীয়বারের মতো প্রিমিয়ার লিগের মৌসুমের সেরা কোচের খেতাব পেয়েছেন গার্দিওলা। 

২০১৬ সালের ১ জুন ম্যানচেস্টার সিটির কোচ হয়ে আসেন গার্দিওলা। এরপর থেকে আট মৌসুমের পাঁচটিতেই জিতলেন এই মৌসুম সেরা কোচের খেতাব। 

সিটির হয়ে এই আট বছরে মোট ১৭টি শিরোপা জিতেছেন গার্দিওলা। আট মৌসুমের ছয়টিতেই প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা, চারটি কারাবাও কাপ শিরোপা, দুটি কমিউনিটি শিল্ড, দুটি এফএ কাপ শিরোপা, একটি উয়েফা সুপার কাপ শিরোপা, একটি ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপা এবং ২০২২/২৩ মৌসুমে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। 

আর্সেনালের মিকেল আর্তেতা, অ্যাস্টন ভিলার উনাই এমেরি, লিভারপুলের ইয়ুর্গেন ক্লপ এবং বোর্নমাউথের আনদোনই ইরাওলাকে পেছনে ফেলে এই মৌসুম সেরা কোচের খেতাব জিতলেন গার্দিওলা। 

খেতাবটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার পর গার্দিওলা বলেন, ‘টানা চারটি লিগ শিরোপা জয় আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গৌরবময় অর্জন। এটা (প্রিমিয়ার লিগ) বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন লিগ এবং আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বীরা অবিশ্বাস্য ফুটবল খেলেছে। অসাধারণ কিছু খেলোয়াড় ও সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গে লম্বা সময় কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।’ 

এদিকে নারীদের সুপার লিগের মৌসুম সেরা কোচের জেতাব জিতেছেন লিভারপুলের ম্যাট বিয়ার্ড। মৌসুমটা অবশ্য চারে থেকে শেষ করেছে তার দল। সেখানে টানা পঞ্চমবারের মতো লিগ শিরোপা জিতেছে চেলসির মেয়েরা।

;

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হেরে খারাপ উইকেটকে দুষলেন শান্ত



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাটিং ব্যর্থতা। বিশেষ করে টপ-অর্ডারে। সেই জুজু যেন কাটছেই না বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। সবশেষ জিম্বাবুয়ে সিরিজটা ৪-১ ব্যবধানে জিতলেও টপ-অর্ডার ব্যাটাররা উইকেটে টিকে থাকতে রীতিমত হিমশিম খেয়েছে। সেই ধারা বজায় থাকলো যুক্তরাষ্ট্রেও। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক দেশটির বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে ৫ উইকেটে হেরে অঘটন ঘটিয়ে বসেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। 

শুরুটায় কিছুটা ভালো ব্যাটিংয়ের আভাস দিলেও ৩৪ রানের মাথায় ফেরেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। পাওয়ার প্লের ছয় ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে ২ উইকেটে সংগ্রহ স্রেফ ৩৭ রান! ম্যাচটা মূলত সেখানেই হেরে গেছে সফরকারীরা। পরে তাওহিদ হৃদয়ের ৫৮ এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৩১ রানে চড়ে কোনোমতে দেড়শ পেরোয় তারা। পরে শেষ ওভারে গড়ান ম্যাচে জয় তুলে নেয় স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। 

ব্যাটিংয়ে আরও একবার ব্যর্থ তা সহসাই মেনে নিলেন অধিনায়ক শান্ত। তবে ম্যাচ হারের জন্য আলাদাভাবে দুষলেন খারাপ উইকেটকে =ও। ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে শান্ত বলেন, ‘এটাকে ভুলের পুনরাবৃত্তি মনে করি না। আমার মতে, আমরা ভালো উইকেটে খেলছি না। জিম্বাবুয়ে সিরিজেও ভালো উইকেটে খেলিনি। তবে এটা মানসিক ব্যাপার, আশা করছি ব্যাটসম্যানরা ঘুরে দাঁড়াবে।’ 

যুক্তরাষ্ট্রে উড়ে যাওয়ার আগে রান বন্যার আইপিএল এড়িয়ে ১৬০-১৮০ রানকে টি-টোয়েন্টির ভালো স্কোর বলেন শান্ত। এবং তার মতে দলের বোলাররা আছেন ছন্দে, এমন লক্ষ্য দাঁড় করালে ম্যাচ জিতবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচেও শান্ত হাঁটলেন তার সেই কথার পথেই। তার মতে আরও ২০ রান করতে পারলে পরিস্থিতি ভিন্ন থাকতো। ‘আমরা ভালো ব্যাটিং করিনি। আমরা ভালো শুরু করেছিলাম। তবে মাঝে উইকেট হারিয়েছি। আমরা আরও ২০ রান বেশি করতে পারতাম। সেক্ষেত্রে ম্যাচটা ভিন্ন হতে পারত।’ 

;

মোহামেডানের ‘ডজন’ নাকি কিংসের ‘ট্রেবল’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের রফিকউদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে আজ (বুধবার) বেলা ৩টায় ফেডারেশন কাপের ফাইনালে নামবে মোহামেডান ও বসুন্ধরা কিংস। এবারের মৌসুমের শেষ দিকে এসে এই দুই ফাইনালিস্টের কার কেমন সমীকরণ তার আগে একটু ঘুরে আসা যাক গতবছরের পরিসংখ্যানে। 

২০০৯ সালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীকে ফেডারেশন দশম ফেডারেশন কাপ জিতেছিল মোহামেডান। এরপরের ১৪ বছরে আর শিরোপা জেতা হয়নি তাদের। এমনকি ফাইনালেও পৌঁছাতে পারেনি। তবে সেই জুজু কাটিয়ে গত মৌসুমে (২০২২-২৩) সেই আবাহনীকে হারিয়েই ১৪ বছর পর ফেডারেশন কাপের শিরোপা জেতে মোহামেডান। সঙ্গে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১টি শিরোপাও তাদেরই। সেই আসরে সেমিতে বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়েছিল মোহামেডান। এতেই লিগ ও স্বাধীনতা কাপের পর ট্রেবলের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল কিংসের।

ফেডারেশন কাপের এবারের ফাইনালটা জিতলেই রেকর্ড শিরোপার জয়ে নাম লেখাবে মোহামেডান। অবশ্য রেকর্ডটি একার হবে না তাদের। ভাগাভাগি করতে হবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ১২টি শিরোপাজয়ী আবাহনীর সঙ্গে। 

এদিকে এবারের মৌসুমে স্বাধীনতা কাপের পর লিগে টানা পঞ্চমবারের মতো শিরোপা নিশ্চিত হয়ে গেছে কিংসের। আরও একবার তাই ট্রেবলের দুয়ারে অস্কার ব্রুজনের দলটি। তবে বিপক্ষে সেই মোহামেডান, যারা দাঁড়িয়ে আছে ফেডারেশন কাপে তাদের ‘ডজন’ অর্থাৎ, ১২তম শিরোপার দিকে। 

বসুন্ধরা কিংসের ফেডারেশন কাপ শিরোপা দুটি। সবশেষটা জিতেছিল ২০২-২১ মৌসুমে। এবার তাই মৌসুমে ট্রেবলসহ টুর্নামেন্টটিতে নিজের তৃতীয় শিরোপার পথেই চেয়ে কিংস। তাদের কোচের সুরে এই শিরোপাটিও নিজেদের করে মৌসুমকে পরিপূর্ণতা দেওয়ার। নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বকেও ভালোভাবে প্রমাণ করার। ফাইনালটা সামনে রেখে তাই ব্রুজোন বলেন, ‘ফেডারেশন কাপ ফাইনাল নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের আরও একটি সুযোগ। পুরো মৌসুমে খেলোয়াড়েরা যেই কঠোর পরিশ্রম করেছে, সেটিরই একটা পূর্ণতা দেওয়া সুযোগও।’ 

আজকের এই ফাইনালে মাঠের লড়াই ছাড়াও রেফারি নিয়ে দুদিন আগে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে মোহামেডান। পাঁচজন রেফারির দায়িত্ব নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) তারা চিঠি দিয়েছে, যেন সেই পাঁচ রেফারিকে দায়িত্ব না দেওয়া হয়। চলতি মৌসুমে কোনো ক্লাবের এমন কাণ্ড অবশ্য এটিই প্রথম না, মৌসুমের শুরুর দিকে রেফারি নিয়ে চিঠি দিয়েছিল আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংসও। 

;